Showing posts with label australia vs pakistan. Show all posts
Showing posts with label australia vs pakistan. Show all posts
ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

admin June 19, 2019

আফগানিস্তানের জন্য লক্ষ্যটা ছিল স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো। ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে হতো দলটিকে। সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই খেলে আফগানিস্তান। তাই জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে হারের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য নেয় তারা। সেই লক্ষ্য মোটামুটি সফল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান করে। তাই ইংল্যান্ড ১৫০ রানের বড় জয় পায়।


চলতি বিশ্বকাপে ৩৯৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে ইংলিশদের এটা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের নেতৃত্বাধীন দল। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত আসরে সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। এছাড়া ৪৬ রান করেন রহমত শাহ। ৪৪ ও ৩৭ রান করেন সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক আসগর আফগান ও গুলবাদিন নাইব।


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৮ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ভরকে যায়নি আফগানিস্তান। রানের পাহাড়ে চাপা পড়েও অসাধারণ ব্যাটিং করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি ও আসগর আফগানরা। দলীয় ৪ রানে ওপেনার নুর আলী জাদরান আউট হলে দলের হাল ধরেন গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ।


দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৪৮ রানের জুটি গড়েন। ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। এরপর তৃতীয় উইকেটে হাসমতউল্লাহর সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান রহমত শাহ। ৭৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন তিনি।


২৪.৫ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন হাসমতউল্লাহ ও আসগর আফগান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৯৪ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে তিনটি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। মাত্র ৯ রানে আউট হন মোহাম্মদ নবী।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন হাসমতউল্লাহ। ইনিসের শেষ দিকে জফরা আর্চারের গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০০ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৬ রান করে ফেরেন হাসমত। তার বিদায়ের পর ১৩ বলে ১৫ রান করে ফেরেন নজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ দিকে রশিদ খান ও ইকরাম আলিখিনরা দলের পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমালেও হারা এড়াতে পারেননি।


ইংল্যান্ড ৩৯৭/৬


ইয়ন মরগানের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং জনি বেয়ারস্টো-জো রুটের ঝড়ো ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ইংলিশরা। চলতি বিশ্বকাপে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।


বিশ্বকাপে এটা তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের দল।


তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই এই রেকর্ড গড়েছিল মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন দল।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড।আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান জনি বেয়ারস্টো, ইয়ন মরগান ও জো রুট।


মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তিনি ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করে আউট হন। এছাড়া ৯৯ বলে ৯০ রান করেন বেয়ারস্টো। ৮২ বলে ৮৮ রান করেন জো রুট।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে উদ্বোধনীতে নেমে ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানের জুটি গড়েন জেমস ভিন্স। দৌলত জাদরানের বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩১ বলে ২৬ রান করে ফেরেন জেমস ভিন্স।


ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে রুটকে সঙ্গে নিয়ে ১২০ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। এই জুটিতেই অনবদ্য ব্যাটিং করে ৬১ বলে ফিফটি পূর্ণ করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি।


কিন্তু ৯৯ বলে ৮টি চার ও তিন ছক্কায় ৯০ রান করে গুলবাদিন নাইবের গতির মুখে পড়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। তার বিদায়ে ২৯.৫ ওভারে ১৬৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।


এরপর তৃতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ১৮৯ রানের জুটি গড়েন ইয়ন মরগান। আর এই জুটিতেই ৫৭ বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি।


এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার কেভিন ওব্রায়েন। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। আর ৫২ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।


ইয়ন মরগানের মতো সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন জো রুট। গুলবাদিন নাইবের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮২ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্বায় ৮৮ রান করে ফেরেন রুট। এর আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।


জো রুট বিদায় নেয়ার পর পরই আউট হয়ে যান ইয়ন মরগান। গুলবাদিন নাইবের তৃতীয় শিকার পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও ৪টি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করেন মরগান। শেষ দিকে মঈন আলীর ৯ বলের অপরাজিত ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড।

ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

admin June 17, 2019

ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে এনিয়ে টানা সাত ম্যাচে হেরে গেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয় যেন নিয়তি। রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি (১৪০) ও বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটিতে ৩৩৬/৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ৬ উইকেটে ২১২ তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ফখর জামান। এছাড়া ৪৮ রান করেন বাবর আজম। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। বৃষ্টি আইনে ৮৯ রানে জয় পায় ভারত।


ভারতের বিপক্ষে ৩৩৭ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ১৩ রানে ওপেনার ইমাম-উল হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ফখর জামান ও বাবর আজমের ১০৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তান। এক উইকেটে ১১৭ রান করা পাকিস্তান এরপর মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।


পাকিস্তান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৫৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। নিজের ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ফখর জামানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন কুলদীপ।


৭৫ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে ফেরেন ফখর জামান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ছক্কায় ইনিংস শুরু করা মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পান্ডিয়ার বলে বোল্ড শোয়েব মালিক।


ভারত ৩৩৬/৬


বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানের রেকর্ড গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপে এতদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ছিল ৩০০। গত বিশ্বকাপে এই রান করেছিল ভারত। রোববার রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৫ উইকেটে এ রান করে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।


ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন ওপেনার রোহিত শর্মা। এছাড়া ৭৭ রান করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৫৭ রান করেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৪৭ রানে ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।


রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ভারত।


ইনিংসের শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। প্রথম পাঁচ ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান যোগ করেন তারা। এরপর হাতখুলে খেলেন রোহিত-রাহুল। ১৭.৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১০০ রান।


উদ্বোধনীতে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ২৩.৫ ওভারে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন রোহিত শর্মা। ওয়াহাব রিয়াজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রাহুল। তার আগে ৮৭ বলে তিন চার ও দুটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি।


রাহুল আউট হলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান রোহিত। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট কোহলির সঙ্গে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। আর এই জুটিতেই ৮৫ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন রোহিত।


ভয়ঙ্কর ব্যাটিং করে যাওয়া রোহিতকে সাজঘরে ফেরান হাসান আলী। তার আগে ১১৩ বলে ১৪টি চার ও তিন ছক্কায় ১৪০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা।


এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রান যোগ করেন বিরাট কোহলি। ১৯ বলে ২৬ রান করে মোহাম্মদ আমিরের গতির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন পান্ডিয়া।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। রানের খাতা খুুলতেই আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এ অধিনায়ক। পান্ডিয়া-ধোনির বিদায়ের পরও ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন কোহলি।


৫১ বলে ফিফটি তুলে নেয়ার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান কোহলি। তার ব্যাটে ভর করে ৪৬.৪ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩০৫ রান। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ২৪ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।


এরপর খেলা ফের শুরু হলে আউট হয়ে যান বিরাট কোহলি। মোহাম্মদ আমিরের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৬৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৭৭ রান করে ফেরেন ভারতীয় এ অধিনায়ক। তার ফিফটি ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৫ (রোহিত ১৪০, কোহলি ৭৭, রাহুল ৫৭, পান্ডিয়া ২৬, বিজয় শঙ্কর ১৫*, কেদার যাদব ৯*, ধোনি ১; আমির ৩/৪৭)।

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাড়ে জয়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো প্রোটিয়ারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসিসের দল। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার মুখোমুখি হলো এই দুই দল।


বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। কার্ডিফের সোফিয়া গর্ডেন্সে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের অর্ধশতকে ১১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়রা।

১২৭ রানের নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানেই ব্যাট চলাতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তাদের ব্যাটিং দৃড়তায় আফগানিস্তানের বোলাররা কোন রকম সুবিধাই করতে পারেনি। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ে ভিত্তি পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রান আসে আমলা ও ডি ককের ব্যাট থেকে।

অর্ধশতক তুলে নেন ডি কক। ৬৮ রান করে গুলবাদিন নাঈবের বলে আউট হন তিনি। এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন আমলা ও আন্দ্রেল ফেলুকায়ো। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ১ উইকেটে ১৩১ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা ৪১ ও ফেলুকায়ো ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তবে ইনিংসের প্রথমেই আসে বৃষ্টির বাধা। ৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলেতেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলে দলীয় ৩৯ রানে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ৫৬ রানে বিদায় নেন রহমত শাহ।

২০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির থামার পর ম্যাচ পুনরায় শুরু হলে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

এরপরই আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান প্রোটিয়া বোলাররা। ইমরান তাহির, ক্রিস মরিসের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে রশিদ খানের ব্যাট থেকে। এছাড়া দুই ওপেনার নূর আলী জাদরান ৩২ ও হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ করলেও বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫/১০ (রশিদ খান ৩৫, নুর আলী জাদরান ৩২, হযরতউল্লাহ ২২; ইমরান তাহির ৪/২৯, ক্রিস মরিস ৩/১৩)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (ডি কক ৬৮, আমলা ৪১*, ফেহালুকাওয়ে ১৭*)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।


ম্যাচ সেরা: দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ইমরান তাহির।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যা তাড়া করতে গিয়ে দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরারা দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন শ্রীলঙ্কাকে। যা অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বপ্নই জাগাল লঙ্কান দর্শকদের মনে। কিন্তু মিচেল স্টার্ক আর কেন রিচার্ডসনের তোপে ভেঙে পড়ল লঙ্কান ব্যাটিং লাইন। আসরে নিজেদের চতুর্থ জয়ে অস্ট্রেলিয়া ওঠে গেল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।


শনিবার বিশ্বকাপে দিনের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮৭ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওভালে টস হেরে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ৩৩৪ রানের পুঁজি গড়ে। জবাবে শ্রীলঙ্কা থেমেছে ২৪৭ রানে। ২৫ বল বাকি থাকতেই ‍গুটিয়ে যায় দলটি।


অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৩ রান। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন।


আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ওয়ার্নার এদিন ২৬ রান করে ফেরেন। তবে তার আগে ফিঞ্চের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৮০ রান। ১৭তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। খেলেছেন খুবই ধীর গতিতে। ৪৮ বলে মাত্র ২ চারে নিজের ইনিংস সাজান ওয়ার্নার। এরপর উসমান খাজাও ফিরে যান দ্রুত। ব্যক্তিগত ১০ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার শিকার তিনিও।


তবে অ্যারন ফিঞ্চ এদিন আর সেঞ্চুরি মিস করেননি। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮২ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে এদিন সেঞ্চুরিটাকে দেড় শতে রূপ দিয়েছেন। ৪৩তম ওভারে উদানার শিকার হওয়ার আগে ১৩২ বলে ১৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা।


তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ১৭৩ রান যোগ করেন ফিঞ্চ। দুজনই অবশ্য ফিরেছেন পাশাপাশি। ফিঞ্চ ফেরার পরের ওভারেই ফিরেছেন স্মিথ। ৫৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি।


এরপর চলেছে ম্যাক্সওয়েলের একক শো। অন্য প্রান্তে আসা যাওয়া চললেও ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে তিন শ পেরোনো স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংসটি খেলেন ম্যাক্সওয়েল। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইসুরু উদানা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।


জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরার জোড়া ফিফটিতে শ্রীলঙ্কা পায় উড়ন্ত শুরু। দুজনই চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন শুরু থেকেই। অজি বোলারদের রীতিমতো নাজেহাল করে ছেড়েছেন দুজন।


৬.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা ফিফটি পূরণ করে। করুনারত্নে ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন। পেরেরা ফিফটি পূরণ করেছেন ৩৩ বলে। তবে ১৬তম ওভারে দলীয় ১১৫ রানে ফিরে যান পেরেরা। ব্যক্তিগত ৫২ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৬ বলে নিজের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়।


এরপর থিরমান্নের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি হয়েছে করুনারত্নের। তরে থিরিমান্নে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর করুনারত্নেও ফিরে যান সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থেকে। রিচার্ডসনের বলে ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন করুনারত্নে। ১০৮ বলে ৯৭ রান করেন ৯ চারে।


করুনারত্নে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কার আশার প্রদীপ নিভে যায়। এর মধ্যে মিচেল স্টার্ক হয়ে উঠলেন ভয়ংকর। কুশল মেন্ডিস (৩০) ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান পেলেন না। আসরে তাই দ্বিতীয় পরাজয় মেনে নিতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ।


৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। শ্রীলঙ্কার ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। দলটি একটি মাত্র ম্যাচ জিতেছে। তাদের দুটিতে ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে হারালো পাকিস্তান

admin June 13, 2019

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টনটনে বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩০৮ রানের জবাবে পাকিস্তান ৪৫.৪ ওভারে অলআউট হয় ২৬৬ রানে।


টনটনে বুধবার টস হেরে ৪১ রানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৩০৭ রান তাড়ায় ২৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান।


আগের ম্যাচে ওয়ানডেতে নিজের মন্থরতম ফিফটি করা ওয়ার্নার এদিন শুরু থেকে ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরুতে একটু ভুগছিলেন ফিঞ্চ। প্রথম পাঁচ ওভারে আমিরের দুটি ওভার মেডেন খেলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।


ফিঞ্চকে ভোগাচ্ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ২৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ডানহাতি ওপেনার। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ৪৪ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন সরফরাজ। ৬৩ বলে ফিফটি করার পর রানের গতি বাড়ান ফিঞ্চ।



এবারের আসরে দুবার ওয়ানডেতে নিজের মন্থর ফিফটির রেকর্ড ভাঙা ওয়ার্নার শুরু থেকে ছিলেন স্বচ্ছন্দ। বাঁহাতি এই ওপেনার পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৫১ বলে।


দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফিঞ্চকে বিদায় করে ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আমির। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৮৪ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ৮২ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।


এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে বোল্ড করার পর সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারকে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওয়ানডেতে ১৫তম সেঞ্চুরি পাওয়া ওয়ার্নারের ১১১ বলে খেলা ১০৭ রানের ইনিংস গড়া ১১ চার ও এক ছক্কায়।


দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা উসমান খাওয়াজা ও শন মার্শকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় একটা ধাক্কা দেন আমির। সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ফিঞ্চের দল।


মাত্র ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ৩১০ পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা।


৪৯তম ওভারে চার বলের মধ্যে অ্যালেক্স কেয়ারি ও মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়ার খুশিতে ভাসেন আমির। অস্ট্রেলিয়া থামে ৩০৭ রানে।


৩০ রানে ৫ উইকেট নেন আমির। তরুণ পেসার আফ্রিদি ২ উইকেট নেন ৭০ রানে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ৩০৭ (ফিঞ্চ ৮২, ওয়ার্নার ১০৭, স্মিথ ১০, ম্যাক্সওয়েল ২০, মার্শ ২৩, খাওয়াজা ১৮, কেয়ারি ২০, কোল্টার-নাইল ২, কামিন্স ২, স্টার্ক ৩, রিচার্ডসন ১*; আমির ১০-২-৩০-৫, আফ্রিদি ১০-০-৭০-২, হাসান ১০-০-৬৭-১, ওয়াহাব ৮-০-৪৪-১, হাফিজ ৭-০-৬০-১, মালিক ৪-০-২৬-০)


পাকিস্তান: ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬ (ইমাম ৫৩, ফখর ০, বাবর ৩০, হাফিজ ৪৬, সরফরাজ ৪০, মালিক ০, আসিফ ৫, হাসান ৩২, ওয়াহাব ৪৫, আমির ০, আফ্রিদি ১*; কামিন্স ১০-০-৩৩-৩, স্টার্ক ৯-১-৪৩-২, রিচার্ডসন ৮.৪-০-৬২-২, কোল্টার-নাইল ৯-০-৫৩-১, ম্যাক্সওয়েল ৭-০-৫৮-০, ফিঞ্চ ২-০-১৩-১)


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪১ রানে জয়ী


ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three