Showing posts with label ঝিনাইদহ. Show all posts
Showing posts with label ঝিনাইদহ. Show all posts
হরিণাকুণ্ডুতে কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার

হরিণাকুণ্ডুতে কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার

admin May 13, 2019

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর চরপাড়া গ্রাম থেকে এক কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নিজ বাড়ির ঘরের বারান্দা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জয়নুদ্দিন মালিথা ওই গ্রামের মৃত সবেদ আলী মালিথার ছেলে।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানিয়েছেন, জয়নুদ্দিন প্রতিদিনের মতো গতরাতেও নিজ ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিল। আজ ভোররাতে তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে স্বামীকে ডাকতে গেলে তার কোন সাড়া না পেয়ে চিৎকার করে। এসময় বাড়ির পাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।


স্থানীয়রা খবর দিলে আজ সকাল ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতদেহের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত শেষে তার মৃত্যুর কারন জানা যাবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তার স্ত্রী আবেদা বেগমকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

গরিবের চাল পঁচলো পুকুরে

গরিবের চাল পঁচলো পুকুরে

admin August 28, 2018

সারাদেশ: ঝিনাইদহ সদরে ৩ টি পুকুরে সরকারের দেয়া বিপুল পরিমাণ ভিজিএফ চাল পাওয়া গেছে। কিছুদিন ধরে পুকুরের পানিতে চাল থাকায় পঁচা দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভেসে উঠেছে পুকুরের মাছ।


সরেজমিনে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মাঝপাড়া মসজিদের পেছনের পুকুরে দেখা যায়, স্থানীয় সিরাজুল, আজিজুলসহ আরও তিনজনের পুকুরের পানিতে চালের পচা দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। পুকুরের পানির দুর্গন্ধ থেকে সাধারণ মানুষ ধারণা করছেন, আশেপাশের ৫ টি পুকুরে শত বস্তা চাল ফেলা হয়েছে। এই গন্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।


[রাজশাহীতে ভাইরাস জ্বরের পাদুর্ভাব, ভোগান্তিতে শিশু ও বৃদ্ধরা]


খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, পুকুরগুলোর দুই পাশে দুই ইউপি সদস্যের বাড়ি। একজন হলেন মহিলা ইউপি সদস্য শাবানা বেগম আরেকজন আহাম্মদ আলী। গ্রামবাসীর ধারণা, সরকারের দেয়া ভিজিএফ চাল আত্মসাৎ করায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ভয়ে এই চাল পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে।


তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শাবানা বেগম। অপর ইউপি সদস্য আহাম্মদ আলীর সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কালীগঞ্জ আছি।


[কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ধরা খেল পুলিশ ]


খবর পেয়ে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ইউনিয়ন পরিষদে চাল দেয়ার পর সবুজ নামে এক ব্যক্তি ২৬ শ' কেজি চাল কিনে আজিজুলের নিকট বিক্রি করেছে। বিভিন্ন তৎপরতার কারণে আজিজুল সেই চাল পুকুরে ফেলে দিয়েছে।


চাল কেনার কথা স্বীকার করে সবুজ বলেন, আমি ৬৫ হাজার টাকার চাল আজিজুলের কাছে বিক্রয় করেছি। আজিজুলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন বলে জানান।


এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথকে জানানো হলে তিনি বলেন, চাল চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমি ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পাঠিয়েছে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।

কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ধরা খেল পুলিশ

কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ধরা খেল পুলিশ

admin August 28, 2018

সারাদেশ: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সাধারন মানুষকে কোন কারণ ছাড়াই ধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এমন ঘটনা শুনে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার গভীর রাতে মটর সাইকেল নিয়ে ছুটে জান পুলিশের এ কর্মকাণ্ড দেখতে। এমন ঘটনা ঘটেছে কালীগঞ্জ উপজেলার সিংদহ গ্রামে।


জানা যায়, গত শনিবার রাত ১ টার দিকে কালীগঞ্জ থানার অমিত, সমম্বিত, গাফ্ফার সাথে কয়েকজন কনস্টেবল একটি কালো রংয়ের মাইক্রো নিয়ে সিংদহ গ্রামে মোচিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। এ সময় তিনি পুলিশের কথায় দরজা না খুলে এমপি আনোয়ারুল আনারের কাছে ফোন দেয়। একথা শুনে এমপি আনার রাত দেড় টার সময় সাংবাদিক মানিককে সাথে নিয়ে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় পুলিশ জোর করে ঘরের দরজা খুলতে বলছে। পুলিশ এমপি আনারকে দেখে হতাশ হয়ে পড়ে এবং এমপি আনার পুলিশ দের কাছে জানতে চায় এতরাতে এখানে কি। পুলিশ আমতা আমতা করে বলে স্যার এমনি আসছি।


[পাবনায় আবাসিক হোটেলে থেকে ২৯ নারী-পুরুষ আটক]


ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাকে ঘরের দরজা খুলতে বলছে ও নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করছে। দামোদরপুর গ্রামের আবুল কাশেম কে রাতে বাড়ি ধোরে কোলা ক্যাম্পে আটকিয়ে রাখে ২ দিন, পরে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। বারবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সবুজ হোসেন কে ধোরে এনে ১ লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা চাপাচাপি করলে টাকা ফেলতের কথা বলে পুলিশ রক্সা পায়। কিন্তু পুলিশ সবুজের টাকা ফেলত দেয়নি। এধরনের অসখ্য প্রমান রয়েছে নিরিহ মানুষ কে ধোরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া।


[জামাই-শ্বাশুড়ির পরকীয়ার পর বিয়ে, জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু]


সাদিকপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের পুত্র হাফিজুর ও একই গ্রামের রিপন হোসেন জানায়, গভীর শুক্রবার রাতে একটি সিএনজিতে ৪/৫ জন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ তাদের বাড়িতে যায়। এরপর তাদেরকে ঘুম থেকে তুলে মাদক ব্যাবসার অভিযোগ আছে বলে হাতকড়া পরিয়ে থানায় না এনে আমবাগান নামকস্থানে নিয়ে আসে। সেখানে রেখে পুলিশ আটক রিপনের মোবাইল থেকে তার বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে গ্রামের মেম্বরকে নিয়ে দেখা করতে বলে। রাত ৩ টার দিকে মেম্বর ঝুন্টসহ পরিবারের লোকজন আমবাগানে আসে। আটককৃতদের নামে কোন মামলা না থাকলেও পুলিশ ভয় দেখিয়ে পরিবারের নিকট ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ৮ হাজার টাকা নিয়ে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।


[দুদক কারো অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না -ইকবাল মাহমুদ]


ভুক্তভোগী রিপন আরও জানায়, পুলিশ তাকে আটকের পরই তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাতে কিছু মাদকের ছবি পোস্ট দেয়। তবে ছেড়ে দেবার আগে তা ডিলিট করে দেয়। বর্তমানে কালীগঞ্জের মানুষ থানা পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে চরম আতঙ্কগ্রস্থ রয়েছে।


এ বিষয়ে সাদিকপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ঝন্টু মিয়া জানায়, তিনি রাতে আমবাগানে গিয়েছিলেন। তবে পুলিশ কত টাকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়েছেন তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, রাতের ওই ঘটনাটি তিনি জানেন না। তবে খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three