ডেস্ক রিপোর্ট:
গত বুধবার (২৩ মে) রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সকাল পর্যন্ত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১০ জন মাদকব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে গত ৬ দিনে কথিত এসব বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ৪৫ জন।
পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত সবাই মাদক চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালানোয় পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা গুলি চালায়। এতেই এই নিহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এসব ঘটনাকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে তা বন্ধের দাবিও জানিয়েছে তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, “মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। যে কেউই মাদকব্যবসার সাথে যুক্ত হলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এই ব্যাপারে কিছুই সহ্য করা হবে না। সে সাংসদ হোক, সরকারি কর্মকর্তা হোক, নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও ব্যক্তি হোক।”
তিনি বলেন, “মাদকব্যবসার সাথে সাধারনত সন্ত্রাসী-অস্ত্রবাজরা জড়িত এবং যেখানেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে সেখানেই তারা অস্ত্রশস্ত্রসহ আক্রমণ করছে। আক্রমণ করলে তো পাল্টা আক্রমণতো হবেই, সেই কাউন্টার এ্যাটাকেই এ নিহতের ঘটনাগুলো ঘটছে।” মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে এসব অভিযান চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।