Showing posts with label পুলিশ. Show all posts
Showing posts with label পুলিশ. Show all posts
মাদ্রাসার চেয়ে সাধারণ শিক্ষায় পড়ুয়ারাই জঙ্গিবাদে বেশি জড়িত

মাদ্রাসার চেয়ে সাধারণ শিক্ষায় পড়ুয়ারাই জঙ্গিবাদে বেশি জড়িত

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
পুলিশ সদর দপ্তর পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মাদ্রাসার চেয়ে সাধারণ শিক্ষায় পড়ুয়ারাই জঙ্গিবাদে বেশি জড়িত। শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ‘প্রিভেন্টিং টেরোরিজম অ্যান্ড এক্সট্রিমিজম থ্রু কমিউনিটি এনগেইজমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানান।


ধারণা করা হয়, সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ুয়াদের চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জঙ্গিবাদের চর্চা বেশি হয়। কিন্তু সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে ভিন্ন কথা। এতে দেখা গেছে মাদ্রাসার চেয়ে সাধারণ শিক্ষায় পড়ুয়ারাই জঙ্গিবাদে বেশি জড়িত।


প্রতিবেদনে বলা হয়, জঙ্গিবাদে জড়িতদের ৫৬ শতাংশই সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত, অন্যদিকে জঙ্গিবাদে জড়িতের মধ্যে ২২ শতাংশ এসেছে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় থেকে।


পুলিশ সদর দপ্তর এই গবেষণাটি চালায় ২৫০ জন ব্যক্তির ওপর, যারা ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক হয়েছেন।


ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আটককৃতদের ৫৬ শতাংশই সাধারণ শিক্ষা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে আর মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে ২২ শতাংশ। এছাড়া বাকি ২২ শতাংশ ছিল অশিক্ষিত অথবা ইংরেজি মাধ্যম থেকে আসা।


অন্যদিকে ৮০ শতাংশই ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে প্রভাবিত হয়েছে, বাকি ২০ শতাংশ ছিল বন্ধু অথবা পরিচিতদের দ্বারা প্রভাবিত, যোগ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


তিনি আরো বলেন, অতএব মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের চরমপন্থী করছে কিনা তা নিয়ে আমাদের চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই, যেহেতু আমাদের কাছে আটকৃতদের অধিকাংশই এসেছে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে।


মনিরুজ্জামান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারবে না। দীর্ঘমেয়াদের জন্য জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি; যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আলেম-ইমাম ও সামাজিক কমিউনিটির অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আমাদের উচিত বিভিন্ন ধরণের মৌলবাদবিরোধী কার্যক্রম শুরু করা।


অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, জঙ্গিবাদ রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কাজটি করে যাচ্ছে। কিন্তু এটিই যথেষ্ঠ নয়, কারণ কেবল পুলিশের অভিযান দিয়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ সম্ভব নয়। বক্তারা আরও বলেন, যেহেতু ৮০% জঙ্গিই ইন্টারনেটের দ্বারা প্রভাবিত, তাই একটি শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থাও গড়ে তোলা প্রয়োজন।

পুলিশ সুপার পদে ২১ কর্মকর্তাকে বদলি

পুলিশ সুপার পদে ২১ কর্মকর্তাকে বদলি

admin June 14, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
পুলিশ সুপার পদে ২১ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (তেজগাঁও) বিপ্লব কুমার সরকারকে রংপুর জেলায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া সিটিটিসির উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খানকে কুড়িগ্রাম ও মোহাম্মদ ইউসুফ আলীকে পঞ্চগড় জেলায় বদলি করা হয়েছে।


বদলি করা অন্য কর্মকর্তারা হলেন- ডিএমপির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনকে সিলেট জেলায়, রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আলমগীর হোসেনকে নোয়াখালী জেলায়, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলামকে পিরোজপুর জেলায়, ডিবির উপ-কমিশনার খোন্দকার নুরন্নবীকে ফেনী জেলায়, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফকে ডিএমপিতে, এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারকে ভোলা জেলায়, ভোলা জেলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনকে বরিশাল মহানগরীতে, কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মেহেদুল করিমকে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটে, জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানকে রাজশাহী মহানগরীতে, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর এআইজি মোহাম্মদ সালাম কবিরকে জয়পুরহাট জেলায়, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার জোবায়দুর রহমানকে ডিএমপিতে, সিএমপি উপ-কমিশনার ফাতিহা ইয়াসমীনকে ঝালকাঠির জেলায়, পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে এসবিতে, সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানকে এসবিতে, অষ্টম এপিবিএন এর মোসফিকুর রহমানকে এসবিতে, নোয়াখালী পিটিসির মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খানকে অষ্টম এপিবিএন এর অধিনায়ক হিসেবে, রংপুর জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানকে রাজবাড়ি জেলায়, রাজবাড়ির পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলিকে ডিএমপিতে বদলি করা হয়েছে।

নীলফামারীতে পুলিশের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রদের ঈদসামগ্রী বিতরণ

নীলফামারীতে পুলিশের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রদের ঈদসামগ্রী বিতরণ

admin June 02, 2019

নীলফামারী প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নীলফামারীতে হতদরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলা পুলিশ প্রশাসন।


শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরে পাঁচশত মানুষের মাঝে শাড়ী, লুঙ্গি, পাঞ্জাবী, শার্ট ও সেমাই-চিনি তুলে দেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান, রহুল আমিন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

লালমনিরহাটে পরীক্ষার্থীদের ট্রেনে উঠতে পুলিশের বাধা, লাঞ্ছিতের অভিযোগ (ভিডিওসহ)

admin June 01, 2019


স্টাফ রিপোর্টার:
লালমনিরহাটে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থী ও ট্রেনযাত্রীদের ট্রেনে উঠতে দেননি বুড়িমারী ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা। তাদের ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় সাংবাদিক ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করে এবং গালাগালি করা হয়।


ট্রেনযাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলরুটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।


রেলস্টেশনের যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৩১ মে) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কারণে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী কমিউটার ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় ছিল উপচেপড়া। পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ছিল লালমনিরহাট শহরে। তাই একদিন আগে কেন্দ্রের পাশে আত্মীয় ও আবাসিক হোটেলে আশ্রয় নিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা।


বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৬৬নং কমিউটার ট্রেনটি বড়খাতা স্টেশনে দাঁড়ালে ২নং বগিতে ওঠার চেষ্টা করেন হাসিনা আক্তার, ফারজানা খাতুন ও লাবণ্য আক্তার নামের তিন পরীক্ষার্থী। এ সময় ওই বগির গেটে দাঁড়িয়ে থাকা পোশাকধারী তিন পুলিশ সদস্য আসন নেই বলে তাদের উঠতে নিষেধ করেন। কিন্তু পরীক্ষার কারণে তাদের যেতেই হবে বলে গেট থেকে সরে যেতে বলেন। একপর্যায়ে তাদের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীকে ধাক্কা দেন পুলিশ সদস্য।


শিক্ষার্থীও নারী যাত্রীর ওপর পুলিশের এমন আচরণ ক্যামেরাবন্দি করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিক রবিউল হাসানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ওই সংবাদকর্মীকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে তাকেও মারতে উদ্ধত হন পুলিশ সদস্যরা। পরে ট্রেনের বাঁশি বাজলে ট্রেন যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ওই ট্রেনে প্রায় ৩০ জন পরীক্ষার্থী যেতে পারেননি।


যাত্রীর সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং পুলিশের আচরণ ও দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তদন্ত করে বিচার দাবি করেন অনেকেই।


ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক রবিউল হাসান জানান, ট্রেনে আসন ছিল না ঠিকই। তবে দাঁড়িয়ে যেতে পারত পরীক্ষার্থী যাত্রীরা। কিন্তু ট্রেনের গেটে তিন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে থাকায় কোনো যাত্রী উঠতে পারেননি বা উঠতে দিচ্ছিল না পুলিশ সদস্যরা।


পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আকছার আলী বলেন, আজ পার্বতীপুরগামী ৬৬নং কমিউটার ট্রেনটিতে কোনো পুলিশ সদস্য বুকিং বা রিজার্ভ করেননি।


এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ভিডিওটি দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে প্রাথমিক তথ্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা রংপুর রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) সদস্য ছিলেন।


কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ধরা খেল পুলিশ

কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ধরা খেল পুলিশ

admin August 28, 2018

সারাদেশ: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সাধারন মানুষকে কোন কারণ ছাড়াই ধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এমন ঘটনা শুনে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার গভীর রাতে মটর সাইকেল নিয়ে ছুটে জান পুলিশের এ কর্মকাণ্ড দেখতে। এমন ঘটনা ঘটেছে কালীগঞ্জ উপজেলার সিংদহ গ্রামে।


জানা যায়, গত শনিবার রাত ১ টার দিকে কালীগঞ্জ থানার অমিত, সমম্বিত, গাফ্ফার সাথে কয়েকজন কনস্টেবল একটি কালো রংয়ের মাইক্রো নিয়ে সিংদহ গ্রামে মোচিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। এ সময় তিনি পুলিশের কথায় দরজা না খুলে এমপি আনোয়ারুল আনারের কাছে ফোন দেয়। একথা শুনে এমপি আনার রাত দেড় টার সময় সাংবাদিক মানিককে সাথে নিয়ে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় পুলিশ জোর করে ঘরের দরজা খুলতে বলছে। পুলিশ এমপি আনারকে দেখে হতাশ হয়ে পড়ে এবং এমপি আনার পুলিশ দের কাছে জানতে চায় এতরাতে এখানে কি। পুলিশ আমতা আমতা করে বলে স্যার এমনি আসছি।


[পাবনায় আবাসিক হোটেলে থেকে ২৯ নারী-পুরুষ আটক]


ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাকে ঘরের দরজা খুলতে বলছে ও নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করছে। দামোদরপুর গ্রামের আবুল কাশেম কে রাতে বাড়ি ধোরে কোলা ক্যাম্পে আটকিয়ে রাখে ২ দিন, পরে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। বারবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সবুজ হোসেন কে ধোরে এনে ১ লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা চাপাচাপি করলে টাকা ফেলতের কথা বলে পুলিশ রক্সা পায়। কিন্তু পুলিশ সবুজের টাকা ফেলত দেয়নি। এধরনের অসখ্য প্রমান রয়েছে নিরিহ মানুষ কে ধোরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া।


[জামাই-শ্বাশুড়ির পরকীয়ার পর বিয়ে, জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু]


সাদিকপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের পুত্র হাফিজুর ও একই গ্রামের রিপন হোসেন জানায়, গভীর শুক্রবার রাতে একটি সিএনজিতে ৪/৫ জন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ তাদের বাড়িতে যায়। এরপর তাদেরকে ঘুম থেকে তুলে মাদক ব্যাবসার অভিযোগ আছে বলে হাতকড়া পরিয়ে থানায় না এনে আমবাগান নামকস্থানে নিয়ে আসে। সেখানে রেখে পুলিশ আটক রিপনের মোবাইল থেকে তার বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে গ্রামের মেম্বরকে নিয়ে দেখা করতে বলে। রাত ৩ টার দিকে মেম্বর ঝুন্টসহ পরিবারের লোকজন আমবাগানে আসে। আটককৃতদের নামে কোন মামলা না থাকলেও পুলিশ ভয় দেখিয়ে পরিবারের নিকট ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ৮ হাজার টাকা নিয়ে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।


[দুদক কারো অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না -ইকবাল মাহমুদ]


ভুক্তভোগী রিপন আরও জানায়, পুলিশ তাকে আটকের পরই তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাতে কিছু মাদকের ছবি পোস্ট দেয়। তবে ছেড়ে দেবার আগে তা ডিলিট করে দেয়। বর্তমানে কালীগঞ্জের মানুষ থানা পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে চরম আতঙ্কগ্রস্থ রয়েছে।


এ বিষয়ে সাদিকপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ঝন্টু মিয়া জানায়, তিনি রাতে আমবাগানে গিয়েছিলেন। তবে পুলিশ কত টাকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়েছেন তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, রাতের ওই ঘটনাটি তিনি জানেন না। তবে খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

ভারতে দলিত সম্প্রদায়ের ধর্মঘটে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ৯

ভারতে দলিত সম্প্রদায়ের ধর্মঘটে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ৯

admin April 03, 2018

এক্সপ্রেস ডেস্ক: ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম গুলোর খবরে জানা যাচ্ছে, দলিত সম্প্রদায়ের ডাকা ধর্মঘট ও বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহত হয়েছেন, যারা দলিত সম্প্রদায় আইন সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের প্রতিবাদে ঘোষিত ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেছেন।


গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এক রায় নিয়ে আজ মঙ্গলবার ডাকা ধর্মঘট ও বিক্ষোভে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে হাজার হাজার দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। এতেই মধ্য প্রদেশে একজন ছাত্র নেতাসহ ৬ জন, রাজস্থানে একজন, উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফরনগরে একজন ও মিরুতে একজন নিহত হয়েছেন।


এনডিটিভির খবরে বলা হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মিরু ছাড়াও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পাঞ্জাব ও ঝাড়খন্ডেও। পাঞ্জাব পুলিশ এনডিটিভিকে জানিয়েছে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পাঞ্জাব প্রদেশে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, বিভিন্ন সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।


প্রসঙ্গত গত ২০ মার্চ ভারতের সুপ্রিমকোর্ট 'অতীতে অপব্যবহার হয়েছে' -এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এসসি/এসটি (নৃশংসতা প্রতিরোধ) আইনের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পরিবর্তনের আদেশ দেন। সংশোধিত আইনের অধীনে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে আটক না করা এবং জামিনের বিধান যুক্ত করা হয়। এ আদেশকে কেন্দ্র করে ধর্মঘটের ডাক দেয় দলিতরা। নিম্নবর্ণের মানুষদের সুরক্ষায় ১৯৮৯ সালে ভারতের পার্লামেন্টে এসসি/এসটি অ্যাক্ট পাস হয়।


‘অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন ফর লোয়ার কাস্ট’ এর মহাসচিব কেবি চৌধুরি বলেন, 'এই রায়ের কারণে এখন ওই আইনের সুরক্ষা শেষ হয়ে যাবে। আমরা সবাই দুঃখী এবং বিমর্ষ হয়ে পড়েছি।'

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three