Showing posts with label লাশ উত্তোলন. Show all posts
Showing posts with label লাশ উত্তোলন. Show all posts
তেঁতুলিয়ায় আদালতের নির্দেশে দাফনের ৬ দিন পর শিশুর লাশ উত্তোলন

তেঁতুলিয়ায় আদালতের নির্দেশে দাফনের ৬ দিন পর শিশুর লাশ উত্তোলন

admin August 12, 2018

তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়: হত্যা নাকি পানিতে ডুবে ‍মৃত্যু তা জানতে আদালতের নির্দেশে দাফনের ৬ দিন পর পঞ্চগড়েরর তেঁতুলিয়ায় এক শিশুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১২ আগষ্ট) সকালে উপজেলার গনাগছ গ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবল চাকমার উপস্থিতিতে কবরস্থান থেকে ওই লাশ তোলা হয়।


জানা যায়, ৬ দিন আগে গত মঙ্গলবার (৭ আগষ্ট) সকালে বাড়ির টিউবওয়েলের পানির গর্তে আরব (১৯ মাস বয়সী) নামে ওই শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। পরে পরিবারের লোকজন থানায় না জানিয়ে ওই দিন শিশুটির দাফন সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে শিশুটির দাদা জহিররুল ইসলাম গত বুধবার (৮ আগষ্ট) থানায় একটি ইউডি মামলা করেন। পরিবারের লোকজনের দাবি, শিশুটির পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় নি। তাকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে শিশুটির সৎ বড়মায়ের হাত দেখছে। তারা মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে বড় স্ত্রী রূপালী জরিত।


শিশুটির দাদা জানান, আমাদের বাড়ির চারপাশে শক্ত বেড়া দিয়ে ঘেরা, শিশুটি সহজে বাড়ি থেকে বের হওয়া সম্ভব না। কিন্তু বাড়ির পিছনে প্রায় ৫০ গজ দূরে টিউবওয়েলের পানি নিষ্কাশনের দুই আড়াই ফিট গর্তে আরব বাবু মরতে পারে না। তিনি দাবি করেন, আরবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রমাণ শিশুটিকে হত্যার পর বাড়ির পিছনে ব্যাড়া ভেঙ্গে গর্তে ফেলানো হয়েছে। যে কেউ হত্যা কণ্ডের সাথে জড়িত থাকুক না কেন আমি আরবের হত্যার সুষ্ঠু চাই।


শিশুটির পিতা শাহজাহান আলীর দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী রূপালী আক্তার ও দিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। শিশু আরব দ্বিতীয় স্ত্রীর একমাত্র সন্তান। শিশুটির পিতা শাহজাহান আলী জানান, ঘটনার দিন আমি ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিলাম, পথিমধ্যে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার ছোট বউয়ের একমাত্র ছেলে পানিতে ডুবে মারা গেছে। ওইসময় তার মৃত্যু আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় আমি পুলিশকে জানিয়েছি। আমার বড় স্ত্রী রূপালী প্রায় আমার ছোট স্ত্রীর একমাত্র সন্তান আরবকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করতো বলেও জানান তিনি।


তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, গত ৭ আগস্ট শিশুটির মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন থানায় না জানিয়ে তার দাফন করে। দাফনের পরদিন শিশুটির একটি ইউডি মামলা করেন। আইন গত জটিলতা সৃষ্টি যেন না হয় সে লক্ষে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে শিশু আরবের লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three