Showing posts with label Statistics and records. Show all posts
Showing posts with label Statistics and records. Show all posts
পরিসংখ্যান এবং অতীতে বিশ্বকাপের রেকর্ড ও সংখ্যাতত্ত্ব

পরিসংখ্যান এবং অতীতে বিশ্বকাপের রেকর্ড ও সংখ্যাতত্ত্ব

admin May 31, 2019

বেজে গেল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দামামা। ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দ্বাদশ বিশ্বকাপ। ১৯৭৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্বকাপ, সর্বশেষ আসর বসে ২০১৫ সালে।


এই ১১টি আসরে বিশ্ববাসী দেখেছে অনেক পরিবর্তন। এ সময়ের মধ্যে ৬০ থেকে কমিয়ে ৫০ ওভারে আনা হয়েছে ম্যাচের পরিধি, প্রবর্তন হয়েছে রঙ্গীন পোশাকের। প্রবর্তন হয়েছে সাদা বলের, দিবা-রাত্রির ম্যাচসহ অনেক পরিবর্তনই সাধিত হয়েছে।


এ পর্যন্ত মোট ২০ দেশ অংশ নিয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। তবে তাদের মধ্যে কোবলমাত্র ৭টি দেশ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড অংশ নিয়েছে ১১টি টুর্নামেন্টের সব আসরেই। সর্বোচ্চ ১৬টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৭ বিশ্বকাপ।


দীর্ঘ দিন পর ২০১৯ আসরে প্রথমবার কোন সহযোগী দেশ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে না। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আসরে টেস্ট খেলুড়ে ১০টি দল অংশ নিচ্ছে। উপরোল্লিখিত দেশগুলো ছাড়া এবারের টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণকারী দেশগুলো- দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান।


বিশ্বকাপে সেরা দল কোনটি প্রশ্ন আসলেই নাম আসে অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিযা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ বার বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেছে এবং তারাই একমাত্র দল যারা এক নাগারে তিন বার বিশ্বকাপ জয় করেছে। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর পর দুই বার জিতেছে বিশ্বকাপ শিরোপা।



বিশ্বকাপ ‘রোল অব অনার’


১৯৭৫-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৭৯-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৮৩-ভারত
১৯৮৭-অস্ট্রেলিয়া
১৯৯২-পাকিস্তান
১৯৯৬-শ্রীলংকা
১৯৯৯-অস্ট্রেলিয়া
২০০৩-অস্ট্রেলিয়া
২০০৭-অস্ট্রেলিয়া
২০১১-ভারত
২০১৫-অস্ট্রেলিয়া।



ব্যাটিং পারফরমেন্স:


৪১৭/৬ অস্ট্রেলিয়া প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ২০১৫। বিশ্ব্কাপের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
৩৬ কানাডা প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা ২০০৩। বিশ্বকাপে সর্ব নিম্নদলীয় সংগ্রহ।
২২৭৮ ভারতের শচিন টেন্ডুলকারের রান। বিশ্বকাপে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান।
২৩৭* মার্টিন গাপটিলের রান প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপে কোন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
১৬৫- বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সেঞ্চুরি সংখ্যা।
২৬- অস্ট্রেলিয়া দলের সেঞ্চুরি সংখ্যা। বিশ্বকাপে কোন দলের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি।
৬- শচিন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি সংখ্যা।
১৫- শচিন টেন্ডুলকারের হাফ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরি সংখ্যা।
৬৭৩-২০০৩ আসরে শচিন টেন্ডুলকারের রান সংখ্যা। বিশ্বকাপের কোন এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান সংখ্যা।



বোলিং পারফরমেন্স :


৭১- অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রার উইকেট সংখ্যা। বিশ্বকাপে কোন বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা।
৭/১৫-নামিবিয়ার বিপক্ষে ২০০৩ আসরে গ্লেন ম্যাকগ্রার বোলিং ফিগার। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন বোলারের সেরা বোলিং ফিগার।
৫৪- বিশ্বকাপ ইতিহাসে পাঁচ উইকেট শিকারের সংখ্যা।
১৩-অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের পাঁচ উইকেট শিকারের সংখ্যা। বিশ্বকাপে যা কোন দলের সর্বোচ্চবার পাঁচ উইকেট শিকার।
২-বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ বার পাঁচ উইকেট শিকার। অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি গিলমোর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাসবার্ট ড্রাকেস, শ্রীলংকার অশান্তা ডি মেল, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুইবার করে পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
২৬- এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। ২০০৭ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট শিকার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা।



উইকেটকিপিং পারফরমেন্স:


৫৪-বিশ্বকাপে কোন উইকেটরক্ষকের সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। যে রেকর্ডটি শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারার দখলে।
৬ -বিশ্বকাপের কোন আসরে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। ২০০৩ আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট এবং ২০১৫ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ এ রেকর্ডের মালিক।
২১- এক আসরে কোন উইকেটরক্ষকের সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। ২০০৩ বিশ্বকাপে এ রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট।



ফিল্ডিং পারফরমেন্স :


২৮ : বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ সংখ্যা। যার মালিক অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।
৪-বিশ্বকাপের কোন এক ম্যাচে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের মোহাম্মদ কাইফ, ২০১৫ আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সৌম্য সরকার, একই আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের উমর আকমলের দখলে রয়েছে রেকর্ডটি।
১১- বিশ্বকাপের এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ। ২০০৩ আসরে রেকর্ডটি গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।

নিউজিল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

নিউজিল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

০১৫ বিশ্বকাপ, ফাইনাল। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো নিউজিল্যান্ড আরো একবার শূন্য হাতে ফিরলো ওই অজিদের সাথে হেরে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সোনালী ট্রফি ছুঁয়ার সেরা সুযোগ হারালো ব্ল্যাকক্যাপরা। প্রথমবার যে ফাইনালে উঠেছিলা আসরের সহ আয়োজকরা। চ্যাম্পিয়ন না হয়ে সবচেয়ে বেশিবার সেমি ফাইনালে ওঠা দলের নামও নিউজিল্যান্ড। সংখ্যাটা ছয়।মাত্র দুবার গ্রুপ পর্ব বাধা পেরুতে পারেনি কিউইরা।


শুধু বিশ্বকাপ কেনো, আন্তর্জাতিক যে কোন টুর্নামেন্টেই রহস্যের নাম নিউজিল্যান্ড। বরাবরই ডার্ক হর্স হয়ে আসর শুরু করা ব্ল্যাকক্যাপদের ট্রফিটাই শুধু অধরা থেকে যায়। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের শোকেসে তাই একমাত্র অর্জন ২০০০ সালে কেনিয়ায জেতা আইসিসি নক আউট ট্রফি।


স্বপ্ন দেখেছিলেন, দলকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন একজন। তিনি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সেরা পারফরমার মার্টিন ক্রো। ১৯৯২ আসরের টুর্নামেন্ট সেরা শেষ পর্যন্ত পারেননি। পাকিস্তানের কাছে হেরে সেবার সেমিফাইনালে থেমেছিলো বিশ্বকাপ অভিযান


অথচ বিশ্বকাপের ৭৯ ম্যাচের ৪৮টিতে জয়ে সেরা তিনে জায়াগ পেয়েছে র্যাংকিংয়ের ৪ নম্বর দলটি। তবে সবমিলিয়ে ৭৫৯ মচে অর্ধেকের চেয়ে বেশি হেরেছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের শুরুর দিকে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে কিউইরা। এক জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু হবে কেন উইলিয়ামসনের দলের।


এবারের আসরের যথারীতি সমীহ জাগানো দল কিউইরা। যেখানে ভরসার প্রতীক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এ ব্যাটিং স্তম্ভের সঙ্গী দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলায় অপেক্ষায় থাকা রস টেলর।সাম্প্রতিক দারুন ফর্মে র্যাংকিংয়ের তিন নম্বরে এ ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করা মার্টিন গাপটিলকেও রাখতে হবে এই তালিকায়।


পিছিয়ে নেই নিউজিল্যান্ডের পেস অ্যাটাক। র্যাংকিংয়ে দু নম্বরে থাকা ট্রেন্ট বোল্ড, অভিজ্ঞ টিম সাউদিরা ই্ংলিশ উইকেটে ঝড় তুলতে প্রস্তুত। লোকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরিরাও গতিময়ততার প্রতীক।


আছে শক্তিশালী অল রাউন্ডার ডিপার্টমেন্ট। কলিন মানরো, জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, এমনকি মিচেল স্যান্টনার সকলেই ব্যাটে বলে পারদর্শী। নিউজিল্যান্ডের দূর্বলতার জায়গা তাই কোন নির্দিষ্ট বিভাগ নয়। অতীত আর পরিসংখ্যান।

আফগানিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

আফগানিস্তান টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

ফগানিস্তান টিমের বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটে বিশ্বকাপের একাদশ আসরে। লীগ পর্বে ‘এ’ গ্রুপে ষষ্ঠ অবস্থানে থেকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টিমটি। টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ী হয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়েই ছিটকে পড়ে আফগানরা। তাদের একমাত্র জয়টি এসেছে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এশিয়ার টিমটির জয়ের হার ১৬.৬৬ শতাংশ। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে টিমটির অতীত পারফরমেন্স ও গুরুত্বপুর্ন কিছু পরিসংখ্যানের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক:


অতীত পারফরমেন্স:
২০১৫- লীগ পর্বে ‘এ’ গ্রুপে ষষ্ঠ স্থান


ব্যাটিং পারফরমেন্স :
২৩২-বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০১৫ আসরে যা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিল তারা।
১৪২- বিশ্বকাপে আফগান টিমের সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৫ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
২৫৪- বিশ্বকাপে কোন আফগান খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। রেকর্ডটির মালিক সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।
৯৬- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগান কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।
২-হাফ সেঞ্চুরি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ অর্ধশতকের ইনিংস। যার মালিক সামিউল্লাহ শনওয়ারি।


বোলিং পারফরমেন্স :
১০ উইকেট- বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা। যার মালিক শাপুর জাদরান।
৪/৪৮- বিশ্বকাপে আফগান কোন খেলোয়াড়ের সেরা বোলিং ফিগার। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এ কৃত্তি গড়েন শাপুর জাদরান।


উইকেটরক্ষক পারফরমেন্স :
৭-ডিসমিজাল-বিশ্বকাপে কোন উইকেটরক্ষকের সেরা সাফল্য। যার মালিক আফসার জাজাই।
৩-ডিসমিজাল- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগান কোন উইকেটরক্ষকের সেরা সাফল্য। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আফসার জাজাইর সাফল্য।


ফিল্ডিং পারফরমেন্স :
৩ ক্যাচ- বিশ্বকাপে আফগান কোন ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ ক্যাচ সংখ্যা। মোহাম্মদ নবী, নজিবুল্লাহ জাদরান এবং নওরোজ মঙ্গল তিন জনই তিনটি করে ক্যাচ নিয়েছেন।
২ ক্যাচ- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সংখ্যা। ২০১৫ বিশ্বকাপে মোহাম্মদ নবী অস্ট্রেলিয়া, নজিবুল্লাহ জাদরান অস্ট্রেলিয়া এবং নওরোজ মঙ্গল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২টি করে ক্যাচ নিয়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

অস্ট্রেলিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

admin May 31, 2019

পাঁচ বার শিরোপা জিতে বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল টিম অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডে শুরু হওয়া দ্বাদশ বিশ্বকাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। তবে এবারের আসরে এ্যারন ফিঞ্চের টিমের জন্য কাজটি কিছুটা কঠিন হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিমের পারফরমেন্স।


বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিমের পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপের প্রথম ও দ্বিতীয় (১৯৭৫ ও ১৯৭৯) আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯২ আসরে বিস্ময়করভাবে রাউন্ড রবীন পর্বে ছিটকে পড়ে। ২০১১ বিশ্বকাপে বিদায় নেয় কোয়ার্টারফাইনাল থেকে। রানার্স-আপ হয় দুই বার(১৯৭৫ এবং ১৯৯৬) বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে সফল টিম এবং পাঁচ বার ( ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১৫ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।


বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সংগ্রহ:
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া টিমের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড সৃষ্টি হয় ২০১৫ আসরে। নিজ মাঠে এ আসরে নবাগত আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রানের রেকর্ড গড়ে। বিস্ময়করভাবে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১৯৮৩ আসরে চেমসফোর্ডে ভারতের বিপক্ষে ১২৯ রান।


ব্যক্তিগত রেকর্ড: ওয়ার্নার এবং ম্যাকগ্রা
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগ ইনিংসটির মালিক ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৫ আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষ ওয়ার্নারের করা ১৭৮ রানের ইনিংসটি। বোলার হিসেবে বিশ্ব আসরে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ২০০৩ আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি গড়েন তিনি। একই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষ ২০ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন এন্ডি বিচেল।


রিকি পন্টিং এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার প্রভাব:
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিমের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭৪৩ রান করেছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সহকারী কোচ রিকি পন্টিং। পাঁচ সেঞ্চুরি এবং ছয়টি হাফ সেঞ্চরি নিয়ে তিন টিমের সর্বোচ্চ স্কোরার এবং সর্বকালের সেরাদের তালিকায় আছেন দ্বিতীয় স্থানে। অসিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ উইকেট শিকারী ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপেরও শীর্ষে আছেন।


অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড:
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ানদের পন্টিং ছাড়া এক হাজারের বেশি রান করেছেন অপর দুই ব্যাটসম্যান মার্ক ওয়াহ (১০০৪) এবং এডাম গিলক্রিস্ট (১০৮৫) পাঁচ সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পন্টিং। উইকেটরক্ষক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ টি ডিসমিজালের মালিক গিলক্রিস্ট। উইকেটরক্ষকের বাইরে সবচেয়ে বেশি ২৮টি ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড রয়েছে পন্টিংয়ের।

বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

admin May 31, 2019

তিহাসে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। তবে মেগা এ ইভেন্টে টাইগারদের সেরা সাফল্য ২০১৫ বিশ্বকাপে। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টারফাইনালে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টাইগাররা। এবারও তাদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে। এবার বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক:


আইসিসি বিশ্বকাপে কিভাবে এলো বাংলাদেশ?
১৯৭৫ সালে আইসিসির সদস্য ছিলনা বাংলাদেশ এবং যে কারণে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিতে পারেনি। ১৯৭৯-১৯৯৯৬ পরবর্তী পাঁচটি বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারেনি। ১৯৯৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৯৯ আসরে। তারপর থেকে প্রতিটি আসরেই খেলছে টাইগাররা। ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১১ তিন বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ টিম। ২০০৭ আসরে খেলেছে সুপার এইট পর্ব। ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছে কোয়ার্টারফাইনাল।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২০১৫ আসরে। নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২/৪। সর্বনিম্ন স্কোর ২০১১ আসরে নিজ মাঠ মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮।


ব্যক্তিগত রেকর্ড: মাহমুদুল্লাহ এবং শফিউল ইসলামের রয়েছে বিশ্বকাপ রেকর্ড:
বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রানের রেকর্ড রয়েছে মাহমুদুল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবলমাত্র মাহমুদুল্লাহরই (২টি) সেঞ্চুরি রয়েছে।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা বেলিং পারফরমেন্স শফিউল ইসলামের। ২০১১ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২১ রান ৪ উইকেট শিকার বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সেরা বোলিং নৈপুণ্য। এ ছাড়া এক ম্যাচে চার উইকেট শিকার রয়েছে মাশরাফি, সাকিব এবং রুবেল হোসেনের।


সাকিব আল হাসান: বিশ্বকাপে বাংলাদেশ টিমের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় সাকিব। বিশ্বকাপ আসরে শীর্ষ পারফরমার সিনিয়র অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচ খেলেছেন। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকার। ৪ দশমিক ৯৯ গড়ে তার মোট উইকেট ২৩টি। ব্যাট হাতে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট রান ৫৪০।


বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের আরো কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া পাঁচশ’র বেশি রান করা একমাত্র খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কাও রয়েছে মুশফিকের। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ ৯টি ক্যাচও এ তারকা ব্যাটসম্যানের। ২০১৫ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লা- মুশফিকের ১৪১ রান বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সর্বোচ্চ জুটি।


২০১৯ বিশ্বকাপ কিছু জরুরি বিষয় বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে:
ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবালের যথার্থ সঙ্গী খুঁজে নিতে হবে। প্রতিদ্বন্দিতামূলক একটা রান অতিক্রম করতে শক্তিশালী মিডল অর্ডার দরকার। টাইগার টিমের আরেকটি দুঃশ্চিন্তার বিষয় বোলিং গভীরতার অভাব। তাছাড়া অধারাবাহিকতা টিমকে ভোগাতে পারে। তবে সব কিছু ঠিকভাবে হলে টিমটি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

ইন্ডিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

ইন্ডিয়া টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

ইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দ্বাদশ আসরে ফেবারিটদের একটি ভারত। গত আসরে টিমটি সেমফিাইনাল থেকে বিদায় নেয়। টিমটির অতীতের কিছু পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক।


আইসিসি বিশ্বকাপ ইভেন্টে ভারত কেমন করেছে?
বিশ্বকাপের তিন আসর ১৯৭৫, ১৯৭৯ এবং ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। ১৯৯২ আসরে রাউন্ড-রবীন পর্ব থেকে ছিটকে যায় তারা। এছাড়া ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সুপার সিক্স পর্বে বিদায় ঘটে তাদের।
১৯৮৭, ১৯৯৬ এবং ২০১৫ তিন বার সেমিফাইনাল খেলেছে উপমহাদেশের টিমটি। রানার্স আপ হয় ২০০৩ বিশ্বকাপে। ১৯৯৩ ও ২০১১ দুইবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত।


বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর
বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ সংগ্রহ এসেছে ২০০৭ আসরে। বারমুডার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪১৩ রান বিশ্বকাপে ভারতীয় টিমের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১২৫ রান ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে।


ব্যক্তিগত রেকর্ড:
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ভারতীয় টিমের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির। ১৯৯৯ আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান তিনি।
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক পেসার আশিষ নেহরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ২৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে এ রেকর্ডটি গড়েন তিনি।


শচিন টেন্ডুলকার
বিশ্বকাপে ভারতীয় টিমের সর্বোচ্চ রানের মালিক কিংবদন্তী শচিন টেন্ডুলকার। রেকর্ড ৬ আসরে অংশ নিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৫৬ দশমিক ৯৫ গড়ে তার মোট রান ২২৭৮। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরির মালিকও টেন্ডুলকার। ৫টি করে সেঞ্চুরি নিয়ে যৌথভাবে এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা।


ভারতীয় ক্রিকেটারদের উল্লেখযোগ্য আরো কিছু রেকর্ড :
সৌরভ গাঙ্গুলি এবং রাহুল দ্রাবিড় জুটিবদ্ধভাবে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশীপ গড়েছেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩১৮ রান করে তারা এ রেকর্ডের মালিক হন। বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৪ উইকেট শিকার করে যৌথভাবে এ তালিকার শীর্ষে আছেন দুই পেসার জহির খান ও জাভাগল শ্রীনাথ। ৩১ উইকেট শিকার করে ভারতের সেরা স্পিনার অনিল কুম্বলে।

দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

শুরু হয়েছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। এই নিবদ্ধে আমরা দেখাতে চাই বিগত আসরগুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের কিছু পরিসংখ্যান এবং রেকর্ডসমূহ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- দক্ষিণ আফ্রিকা এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা টিমে সব সময়ই বেশ কিছু ভাল খেলোয়াড় থাকে এবং তারা সত্যিকারার্থেই বিশ্ব ক্রিকেটে একটি শক্তিশালী টিম। তবে সব টুর্নামেন্টেই গুরুত্বপুর্ন মুহুর্তে তারা খেই হারিয়ে ফেলে কিংবা জিততে পারেনা বলে ‘চোকার’ শব্দটি প্রোটিয়া টিমের সঙ্গে মিশে আছে। দেখার বিষয় হচ্ছে এবারের আসরে টিমটি কেমন করে। এবার আমরা বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের কিছু পরিসংখ্যান এবং গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড তুলে ধরব।


আইসিসি বিশ্বকাপে কেমন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা?
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করে ১৯৯২ আসরে। বিশ্বকাপে টিমটির সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানো। গত সাত বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রোটিয়ারা চার বার ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০৭ এবং ২০১৫ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলেছে। এ ছাড়া ১৯৯৬ ও ২০১১ বিশ্বকাপে তারা দুইবার কোর্য়াারফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। একবার ২০০৩ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে টিমটি।


বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন রান:
বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪১১। ২০১৫ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের এ রেকর্ডটি গড়ে প্রোটিয়ারা। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানও তাদের। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১৪৯। ২০০৭ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায়।


কার্স্টেন ও হলের রেকর্ড:
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক সাবেক ওপেনিং ব্যাটসম্যান গ্যারি কার্স্টেন। ১৯৯৬ আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ১৮৮ রানের ইনিংস খেলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক হন। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে এটাই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কোন খেলোয়াড় হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি এন্ড্রু হল’র। ২০০৭ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ১৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের হয়ে এ রেকর্ড গড়েন।


এবি ডি ভিলিয়ার্স ও এ্যালান ডোনাল্ডের প্রভাব:
সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মোট ১ হাজার ২০৭ রান করেছেন। ২০০৭, ২০১১ এবং ২০১৫ তিন বিশ্বকাপে তিনি এ রান করেন। ৬৩ দশমিক ৫২ গড়ে তার রয়েছে চারটি সেঞ্চুরি এবং ছয়টি হাফ সেঞ্চুরি। সাদা বিদ্যুৎ হিসেবে পরিচিত ফাস্ট বোলার এ্যালান ডোনাল্ড দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ উইকেট শিকার করেন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ২০ দশমিক ৩১ গড়ে তিনি শিকার করেন ১৬ উইকেট।


দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের আরও কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের তালিকায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ডি ভিলিয়ার্স ছাড়া বিশ্ব আসরে এক হাজারের বেশি রান করা অপর দুই খেলোয়াড় জক ক্যালিস (১১৪৮) এবং হার্শেল গিবস (১০৬৭)। বিশ্বকাপে প্রোটিয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি ডাক মেরেছেন ডি ভিলিয়ার্স।


এবারের বিশ্বকাপে যে বিষয়গুলো মোকাবেলা করতে হবে:
এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব। বিশ্বকাপে চোকার তকমাও তাদের একটা সমস্যা হতে পারে। তবে তাদের রয়েছে একটি থিতু টিম এবং শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ বিভাগ। উপড়ন্ত তাদের রয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের মত সক্ষম অধিনায়ক। আমরা মনে করি ২০১৯ বিশ্বকাপে প্রোটিয়ারা সেমিফাইনালে যেতে পারে।

শ্রীলঙ্কা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

শ্রীলঙ্কা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের সঠিক কম্বিনেশন ঠিক করতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখানে ভাল কিছু করতে পারেনি টিমটি। এরপর বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলছে উপমহাদেশের টিমটি। তবে বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটি হয়েছে পরিত্যক্ত। এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা টিমের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। গত বেশ কিছুদিন যাবতই টিমটি খুব বেশি ভাল করতে পারছে না। বিশ্বকাপে টিমটির কিছু পরিসংখ্যানের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক।


অতীতে আইসিসি বিশ্বকাপে কেমন করেছে শ্রীলঙ্কা?
একটি ম্যাচেও পরাজিত না হয়ে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়া ২০০৭ এবং ২০১১ আসরেও তারা হয়েছে রানার্স-আপ। দ্বীপ রাষ্ট্রটি ছয় বার ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩,১৯৮৭,১৯৯২ এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। ২০০৩ আসরে সেমিফাইনাল খেলা টিমটি ২০১৫ বিশ্বকাপে বিদায় নেয় কোয়ার্টারফাইনাল খেলে।


বিশ্বকাপে টিমটির সর্বোচ্চ ও নর্বনিম্ন স্কোর:
শিরোপা জয় করা ১৯৯৬ বিশ্বকাপেই টিমটির রয়েছে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। এ আসরে নিজ মাঠ ক্যান্ডিতে কেনিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৯৮ রান ছিল বিশ্ব আসরে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টিমটির সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৮৬। যে রেকর্ড হয়েছিল ১৯৭৫ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।


ব্যক্তিগত রেকর্ডের মালিক দিলশান ও ভাস:
২০১৫ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিলকরত্নে দিলশানের অপরাজিত ১৬১ রান বিশ্বকাপ ইতিহাসে লংকান খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। অসাধারণ এ ইনিংস খেলার পথে ২২টি বাউন্ডারি হাকান তিনি।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দিলশান। বিশ্বকাপে এক ইনিংসে লংকান টিমের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক চামিন্ডা ভাস।


২০০৩ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ২৫ রানে ৬ উইকেট শিকার টিমটির হয়ে সেরা বোলিং ফিগার। দ্বিতীয় সেরা পারফরমেন্স ২০১১ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার ৬/৩৮। মালিঙ্গা এবং ভাস উভয়েই বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করেছেন।


সাঙ্গাকারা এবং মুরলিধরনের ছিল ব্যপক প্রভাব:
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা টিমের সর্বোচ্চ ১৫৩২ রান সংগ্রহকারী কুমার সাঙ্গাকারা। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি এবং সাতটি হাফ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী সাঙ্গাকারা একই সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ উইকেট শিকারী মুত্তিয়া মুরলিধরন। বিশ্ব আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।


শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের আরো কিছু রেকর্ড:
সাঙ্গাকারা ছাড়াও টিমটির আরো চার খেলোয়াড় সনত জয়সুরিয়া, দিলশান, মাহেলা জয়বর্ধনে এবং অরবিন্দ ডি সিলভা বিশ্বকাপে এক হাজারের বেশি রান করেছেন। উইকেটরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৫৪টি ডিসমিজালের রেকর্ড রয়েছে সাঙ্গাকারার দখলে। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৬টি ক্যাচ নিয়েছেন জয়সুরিয়া। এ ইভেন্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ২৮২ রানের পার্টনারশীপ উপুল থারাঙ্গা দিলশান জুটির।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three