রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাজেটে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলায় খরচ বাড়বে। আগে কথা বলার ওপর সম্পূরক শুল্ক ছিল ৫ শতাংশ। আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে তা ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে কথার বলার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা আছে। যাতে করে গ্রাহককে মোবাইলে কথা বলতে হলে সরাসরি ২২ শতাংশ কর দিতে হয়। আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ হওয়ায় তা হবে ২৭ শতাংশর কিছু বেশি।
মোবাইল কোম্পানির আয়কর বাড়ছে আড়াই গুণ: নতুন অর্থবছরের মোবাইল কোম্পানির বার্ষিক মোট আয়ের (টার্নওভার) উপর নূন্যতম কর আড়াই গুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
অর্ধমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা বিবেচনা করে সব ধরনের কোম্পানি করের হার অপরিবর্তিত রাখা হলেও মোবাইল কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভারের উপর নূন্যতম কর দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বিদ্যমান করহার ২৫ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এই হার ৩৫ শতাংশ।
এছাড় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট ব্যাংক ছাড়া) জন্য ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কর এবং অতালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪০ শতাংশ করপোরেট কর বহাল আছে। মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ কর।
তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি ৪০ শতাংশ ও অতালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি ৪৫ শতাংশ কর দেয়। এই করপোরেট করহার বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানি হ্রাসকৃত করহার ও কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করছে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে করপোরেট করের কার্যকর হার ৫ শতাংশেরও কম। এছাড়া গতবার ব্যাংক কোম্পানির কর হার আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছিল, যার ফলে রাজস্ব আহরণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।