অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীতে মশা, বায়ুদূষণ ও জলাবদ্ধতার সমস্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এসব সমস্যা রোধে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। বুধবার বায়ুদূষণ রোধে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান দুই নির্বাহীর ব্যাখ্যা শেষে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এ ছাড়া আদালতের তলব আদেশের ব্যাখ্যা দিতে হাজির হয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. আবদুল হাই এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজুর রহমান। তাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী ড. নুরুন্নাহার নূপুর। শুনানির শুরুতে দুই সিটির নির্বাহীরা বায়ুদূষণ রোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করেন।
দুই সিটির নির্বাহীরা আদালতকে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, সরকার মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেয়ায় বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তখন আদালত বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রোজেক্টের কাজের সময় আপনাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা যায় না কেন? আপনারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করেন। তাই সমন্বিতভাবে কাজ করবেন। এ ছাড়া নাগরিক যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তাও আপনারা নিশ্চিত করবেন। পয়োনিষ্কাশন, জলাবদ্ধতা ও মশা নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আদালত আরও বলেন, জনগণ ট্যাক্স দিচ্ছেন। তাই নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া তাদের অধিকার। তাই সব অনিয়ম ও প্রতিবন্ধকতা থেকে বেরিয়ে অচিরেই সব সমস্যা সমাধান করতে হবে। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।