Showing posts with label ঈদ বাজার. Show all posts
Showing posts with label ঈদ বাজার. Show all posts
সৈয়দপুরের ঈদ বাজারে ‘ফাগুন বউয়ের শাড়ি’

সৈয়দপুরের ঈদ বাজারে ‘ফাগুন বউয়ের শাড়ি’

admin June 02, 2019

নীলফামারী প্রতিনিধি:
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিনিয়ত বিপনীবিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েই চলেছে। প্রতিবারের ঈদে পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের নামে শাড়ি ও থ্রি-পিস। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ঈদ বাজারে বিভিন্ন পোশাকের মধ্যে ফাগুন বউ নামের শাড়ির ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে।


সরেজমিনে জানা যায়, ভারতের ফাগুন বউয়ের পসরা এখন সৈয়দপুরে। ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসায় ফাগুন বউ নামে একটি ধারাবাহিক নাটক চলছে সেই নাটকের নামে এই শাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। সৈয়দপুরে এসব শাড়ি কিনতে নারীরা আসছেন দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা, চিরিরবন্দর উপজেলা,পার্বতিপুর উপজেলা, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলা, ডোমার উপজেলা,ডিমলা, কিশোরীগঞ্জ উপজেলাসহ রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায়।


এছাড়া শিল্প-বাণিজ্যের ব্যস্ততম শহর সৈয়দপুর উপজেলা।এ শহরে খুচরা, পাইকারি পোশাক ও থান কাপড়ের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ক্রেতা সাধারণের উপচেপড়া ভিড়ও রয়েছে। এখানে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে স্বল্প মূল্যেও পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।


দিনাজপুরের পাবর্তীপুর শহর থেকে সৈয়দপুর প্লাজায় সুপার মার্কেটে আসা একজন বলেন, সৈয়দপুরে কেনাকাটার পরিবেশটা অত্যন্ত ভাল। ঈদ বাজার বলেই ভিড় প্রচুর। তবে এখানে সাশ্রয়ী দামে সব পোশাক কিনতে পাওয়া যায়।


এই মার্কেটগুলোতে সারারাত বেচাবিক্রি চলে। বাজারে তাঁত, কাতান, জামদানি ও বুটিক শাড়ি ছাড়াও মেয়েদের গাউন, থ্রি-পিস তো আছেই। তবে শাড়ি-কাপড়ের দোকানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফাগুন বউ শাড়ি। এ শাড়ির দাম আট হাজার টাকা।


সৈয়দপুর ঈদ বাজারে বেচা-কেনা বেড়ে যাওয়ায় দোকানিগণ সারা রাত ধরে জনস্বার্থে খোলা রাখছেন তাদের প্রতিষ্ঠানটি। শহরে নিরাপত্তা জোরদার থাকায় আশপাশের উপজেলা থেকে ক্রেতা সাধারণ তাদের চাহিদামত পোশাক কিনে বাড়ি ফিরছেন।


অন্যদিকে নিউ ক্লথ মার্কেট, পৌর বাজার, শেরেবাংলা সড়কের শিল্প সাহিত্য সংসদের সুপার মার্কেট, এসআর প্লাজা, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের পৌর মার্কেট, কারখানা গেট বাজার, ক্যান্ট বাজার, সবখানে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।


নিউ ক্লথ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে ভারতীয় পাঞ্জাবির ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। ১২শ টাকা থেকে শুরু ১০ হাজার টাকা মূল্যের পাঞ্জাবিও পাওয়া যাচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানে।

পঞ্চগড়ে ঈদ বাজারের শেষ সময়ে বেড়েছে কাপড়ের দাম

admin June 01, 2019

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন। এরি মধ্যে এই কয়েকটা দিনকে ঘিরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পঞ্চগড়ে ঈদ মার্কেট গুলোই কাপড়ের দাম। তবে রমজানের শেষ দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ক্রেতারা।


এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হলেও দাম কমাচ্ছেনা বিক্রেতারা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


সরেজমিনে পঞ্চগড় জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে শেষ সময়ে ক্রেতাদের কাপড় কিনতে বেশি টাকা গুণতে হচ্ছে।পঞ্চগড় সেন্ট্রাল প্লাজায় কাপড় নিতে যাওয়া আয়শা সিদ্দিকা জানান, ঈদ উপলক্ষে নতুন কাপড় নিতে আসা। কিন্তু কাপড় পছন্দ হলেও বিক্রেতারা অনেক বেশি দাম চাচ্ছে।



নিশি জাহান নামে আরেকজন জানান, কম দামের কাপড়ের দামও বেশি নিচ্ছে বিক্রেতারা। যে জামার দাম ১৫শ টাকা সে জামা ৩৮শ টাকা চাচ্ছে।


রফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন জানান, মেয়ের পাশাপাশি ছেলেদের কাপড়েও অনেক বেশি টাকা গুণতে হচ্ছে। যে পেন্টের দাম ৫শ টাকা সে প্যান্টে নিচ্ছে হাজার টাকা। তবে বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, ঈদ উপলক্ষে জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে কাপড়ের দাম নেওয়া হচ্ছে। একই অবস্থা পঞ্চগড় সদর সহ তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায়।


এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম জানান, দাম যেন ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে হয় তাই আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে থাকছি।

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠছে ঈদ বাজার

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠছে ঈদ বাজার

admin May 27, 2019

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঈদ মানে আনন্দ। আর এই আনন্দের প্রস্তুতিনিতেই প্রতি বছরের মত এবারও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সবাই কেনা-কাটায়। ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকার ঈদ বাজার।


প্রতিবছরের মতো এবারও ক্রেতাদেরকে আগে থেকেই ঈদের কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হিসাবে অনেক ক্রেতারা জানায়, ঈদেও কেনাকাটা তো কম বেশি করতেই হবে তাই প্রথমেই দেখেশুনে কেনার সময় বেশ ভালো পাওয়া যায়। তাই একটু আগে থেকেই সচেতন ক্রেতারা কেনা কাটা শুরু করেছেন।


বর্তমানে ঠাকুরগাঁও প্রতিটি মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতে দেখা গেছে ঈদের আমেজ। সব দোকানেই ক্রেতার সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি পাড়ার কারিগররা। অনেকেই আবার ঈদের কেনাকাটার ভিড় জমার আগেই দর্জির দোকানগুলোতে পছন্দ মতো কাপড় কিনে তৈরি করতে দিচ্ছেন বিভিন্ন পোষাক।


রাতভর সেলাই মেশিনের শব্দে সমাগম হয়ে থাকছে টেইর্লাস পট্টিগুলো। কিছু কিছু টেইলার্সের দোকানে সাইনর্বোড ঝুলছে “ঈদের শেষ আট দিন কোন অর্ডার নেয়া হবে না”। ছোট থেকে শুরু করে ভিআইপি দোকানের কারিগররা এখন দিনরাত ব্যস্ত। দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। তবে গত বারের চেয়ে এবার প্রতিটি কাপড়ের দোকানগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। এছাড়া শাড়ির দোকানগুলোতেও রয়েছে সমান ভিড়। শাড়ি ও তার সাথে ম্যাচ করে অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার জন্য সবাই এখন ব্যস্ত।


এবারে ঈদে বিভিন্ন মেগাসিরিয়ালে নায়িকাদের পরিহিত পোষাকের নামের পোষাকগুলোর চাহিদা তরুনীদের মাঝে। কেউ কেউ বাহুবলী, ধূম, পাখি জামা, কেউ কেউ কিরণমালার জামাসহ অন্যান্য নায়িকাদের পরিহিত জামাই বেশি ক্রয় করছে বলে বিভিন্ন দোকানীরা জানান। সবাই এই ঈদে দেশি-বিদেশি কাপড় কেনায় বেশি ব্যস্ত। এলাকার বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে দেখা গেছে দেশি-বিদেশি থ্রি পিচ কেনার জন্য মেয়েদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদ মানে আনন্দ তাই অভিভাবকদের একটু কষ্ট হলেও সন্তানসহ অন্যান্য প্রিয়জনের মুখে হাসি ফুটাতেই শত সমস্যা উপেক্ষা করে কিনে দিচ্ছেন।


অপরদিকে সুযোগ হাতে পেয়ে দর্জিপাড়ার লোকেরা সময় নেই এবং কাজের অনেক ভিড় বলে দ্বিগুন পারিশ্রমিকে অর্ডার নিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্যান্ট ও শ্যার্ট পিস থেকে শুরু করে থ্রি-পিচ, শাড়ি এবং তৈরি পোষাকের প্রতিটির মূল্য গত বারের চেয়ে এবার হাতের নাগালে আছে বলে অনেক জানান ক্রেতারা। প্রতিটি ম্যার্কেট ও কসমেটিক্স বিপনী বিতানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও বেশি দামের জন্য পছন্দের জিনিস অনেকেই নিতে পারছে না। ঠাকুরগাঁয়ের মার্কেট, উপজেলা মার্কেট গুলো ঘুরে দেখা যায় এবারও মার্কেট গুলোতে বিদেশী কাপড়ে সয়লাব।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three