Showing posts with label ICC Cricket World Cup. Show all posts
Showing posts with label ICC Cricket World Cup. Show all posts
ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

admin June 19, 2019

আফগানিস্তানের জন্য লক্ষ্যটা ছিল স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো। ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে হতো দলটিকে। সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই খেলে আফগানিস্তান। তাই জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে হারের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য নেয় তারা। সেই লক্ষ্য মোটামুটি সফল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান করে। তাই ইংল্যান্ড ১৫০ রানের বড় জয় পায়।


চলতি বিশ্বকাপে ৩৯৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে ইংলিশদের এটা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের নেতৃত্বাধীন দল। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত আসরে সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। এছাড়া ৪৬ রান করেন রহমত শাহ। ৪৪ ও ৩৭ রান করেন সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক আসগর আফগান ও গুলবাদিন নাইব।


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৮ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ভরকে যায়নি আফগানিস্তান। রানের পাহাড়ে চাপা পড়েও অসাধারণ ব্যাটিং করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি ও আসগর আফগানরা। দলীয় ৪ রানে ওপেনার নুর আলী জাদরান আউট হলে দলের হাল ধরেন গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ।


দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৪৮ রানের জুটি গড়েন। ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। এরপর তৃতীয় উইকেটে হাসমতউল্লাহর সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান রহমত শাহ। ৭৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন তিনি।


২৪.৫ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন হাসমতউল্লাহ ও আসগর আফগান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৯৪ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে তিনটি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। মাত্র ৯ রানে আউট হন মোহাম্মদ নবী।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন হাসমতউল্লাহ। ইনিসের শেষ দিকে জফরা আর্চারের গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০০ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৬ রান করে ফেরেন হাসমত। তার বিদায়ের পর ১৩ বলে ১৫ রান করে ফেরেন নজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ দিকে রশিদ খান ও ইকরাম আলিখিনরা দলের পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমালেও হারা এড়াতে পারেননি।


ইংল্যান্ড ৩৯৭/৬


ইয়ন মরগানের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং জনি বেয়ারস্টো-জো রুটের ঝড়ো ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ইংলিশরা। চলতি বিশ্বকাপে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।


বিশ্বকাপে এটা তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের দল।


তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই এই রেকর্ড গড়েছিল মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন দল।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড।আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান জনি বেয়ারস্টো, ইয়ন মরগান ও জো রুট।


মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তিনি ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করে আউট হন। এছাড়া ৯৯ বলে ৯০ রান করেন বেয়ারস্টো। ৮২ বলে ৮৮ রান করেন জো রুট।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে উদ্বোধনীতে নেমে ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানের জুটি গড়েন জেমস ভিন্স। দৌলত জাদরানের বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩১ বলে ২৬ রান করে ফেরেন জেমস ভিন্স।


ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে রুটকে সঙ্গে নিয়ে ১২০ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। এই জুটিতেই অনবদ্য ব্যাটিং করে ৬১ বলে ফিফটি পূর্ণ করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি।


কিন্তু ৯৯ বলে ৮টি চার ও তিন ছক্কায় ৯০ রান করে গুলবাদিন নাইবের গতির মুখে পড়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। তার বিদায়ে ২৯.৫ ওভারে ১৬৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।


এরপর তৃতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ১৮৯ রানের জুটি গড়েন ইয়ন মরগান। আর এই জুটিতেই ৫৭ বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি।


এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার কেভিন ওব্রায়েন। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। আর ৫২ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।


ইয়ন মরগানের মতো সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন জো রুট। গুলবাদিন নাইবের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮২ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্বায় ৮৮ রান করে ফেরেন রুট। এর আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।


জো রুট বিদায় নেয়ার পর পরই আউট হয়ে যান ইয়ন মরগান। গুলবাদিন নাইবের তৃতীয় শিকার পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও ৪টি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করেন মরগান। শেষ দিকে মঈন আলীর ৯ বলের অপরাজিত ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড।

সাকিব-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টাইগারদের ইতিহাস গড়া জয়

সাকিব-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টাইগারদের ইতিহাস গড়া জয়

admin June 18, 2019

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে টাইগারদের জয়। ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৩২২ রানের পাহাড় ডিঙিয়ে জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে গত বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের রেকর্ড তাড়া করে জয় পেয়েছিল মাশরাফিরা। সোমবার ইংল্যান্ডের টনটনে শাই হোপ, এভিন লুইস ও সিমরন হিতমারের ঝড়ো ফিফটিতে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে সর্বোচ্চ ৯৯বলে ১২৪ রান করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ৬৯ বলে ৯৪ রান করেন লিটন কুমার দাস। ৪৮ রান করেন তামিম ইকবাল।


উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৫২ রান করেন তারা। ২৩ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সৌম্য।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৫৩ বলে ৪৮ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম। তার বিদায়ের পর রানের খাতা খুলতে না খুলতেই আউট হন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাকিব।


চতুর্থ উইকেটে তাদের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। আর এই জুটিতেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬ হজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২১/৮


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপ (৯৬) ও এভিন লুইসের (৭০) অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়েছে ক্যারিবীয়রা। এছাড়া ২৬ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সিমরন হিতমার।


বিশ্বকাপে টাইগারদের বিপক্ষে উইন্ডিজের এটা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৪৪/৯ রান করেছিল কার্ল হুপারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দল।


সোমবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬ রানে ক্রিস গেইলের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় উইন্ডিজ। ব্যাটিং দানব গেইলকে দ্রুত আউট করে টাইগার শিবিরে খানিকটা স্বস্তির পরশ এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু সেই বিপর্যয় কাটিয়ে তুলেন শাই হোপ ও এভিন লুইস জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা অনবদ্য ১১৬ রানের জুটি গড়েন।


উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান এভিন লুইস। ৫৮ বলে ফিফটি গড়ার পর বল আর মাটিতে ফেলতে দেননি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ক্যারিবীয় এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। তার আগে ৬৭ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৭০ রান করেন লুইস।


সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিকোলাস পুরান। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পুরান। তার আগে ৩০ বলে ২৫ রান করেন তিনি।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান সিমরন হিতমার। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ২৫ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটি করার পরের বলে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন হিতমার।


এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল। কাটার মাস্টারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাসেল। ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেও বেশি দূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ১৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন হোল্ডার।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন শাই হোপ। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন তিনি। ৭৭ বলে ফিফটি করার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান তিনি। মোস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১২১ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৯৬ রান করেন হোপ। ইনিংসের একিবারে শেষ দিকে ১৫ বলে ১৯ রান করে সাইফউদ্দিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ড্যারেন ব্রাভো।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (শাই হোপ ৯৬, এভিন লুইস ৭০, হিতমার ৫০, হোল্ডার ৩৩, নিকোলাস ২৫, ড্যারেন ব্রাভো ১৯; মোস্তাফিজ ৩/৫৯, সাইফউদ্দিন ৩/৭২, সাকিব ২/৫৪)।

টস জিতে উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো টাইগাররা

টস জিতে উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো টাইগাররা

admin June 17, 2019

চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারটি করে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুদলই একটি করে জয় পেয়েছে, হারের মুখ দেখেছে দুটি এবং একটি করে পরিত্যক্ত হয়েছে। উভয় দলেরই দখলে ৩ পয়েন্ট। ফলে সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই কোনো দলেরই।


এ অবস্থায় টনটনে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যাতে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টাইগার একাদশে এসেছে এক পরিবর্তন। মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় ঢুকেছেন লিটন দাস।


বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।

ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

admin June 17, 2019

ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে এনিয়ে টানা সাত ম্যাচে হেরে গেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয় যেন নিয়তি। রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি (১৪০) ও বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটিতে ৩৩৬/৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ৬ উইকেটে ২১২ তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ফখর জামান। এছাড়া ৪৮ রান করেন বাবর আজম। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। বৃষ্টি আইনে ৮৯ রানে জয় পায় ভারত।


ভারতের বিপক্ষে ৩৩৭ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ১৩ রানে ওপেনার ইমাম-উল হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ফখর জামান ও বাবর আজমের ১০৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তান। এক উইকেটে ১১৭ রান করা পাকিস্তান এরপর মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।


পাকিস্তান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৫৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। নিজের ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ফখর জামানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন কুলদীপ।


৭৫ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে ফেরেন ফখর জামান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ছক্কায় ইনিংস শুরু করা মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পান্ডিয়ার বলে বোল্ড শোয়েব মালিক।


ভারত ৩৩৬/৬


বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানের রেকর্ড গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপে এতদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ছিল ৩০০। গত বিশ্বকাপে এই রান করেছিল ভারত। রোববার রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৫ উইকেটে এ রান করে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।


ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন ওপেনার রোহিত শর্মা। এছাড়া ৭৭ রান করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৫৭ রান করেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৪৭ রানে ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।


রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ভারত।


ইনিংসের শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। প্রথম পাঁচ ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান যোগ করেন তারা। এরপর হাতখুলে খেলেন রোহিত-রাহুল। ১৭.৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১০০ রান।


উদ্বোধনীতে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ২৩.৫ ওভারে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন রোহিত শর্মা। ওয়াহাব রিয়াজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রাহুল। তার আগে ৮৭ বলে তিন চার ও দুটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি।


রাহুল আউট হলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান রোহিত। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট কোহলির সঙ্গে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। আর এই জুটিতেই ৮৫ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন রোহিত।


ভয়ঙ্কর ব্যাটিং করে যাওয়া রোহিতকে সাজঘরে ফেরান হাসান আলী। তার আগে ১১৩ বলে ১৪টি চার ও তিন ছক্কায় ১৪০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা।


এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রান যোগ করেন বিরাট কোহলি। ১৯ বলে ২৬ রান করে মোহাম্মদ আমিরের গতির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন পান্ডিয়া।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। রানের খাতা খুুলতেই আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এ অধিনায়ক। পান্ডিয়া-ধোনির বিদায়ের পরও ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন কোহলি।


৫১ বলে ফিফটি তুলে নেয়ার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান কোহলি। তার ব্যাটে ভর করে ৪৬.৪ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩০৫ রান। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ২৪ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।


এরপর খেলা ফের শুরু হলে আউট হয়ে যান বিরাট কোহলি। মোহাম্মদ আমিরের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৬৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৭৭ রান করে ফেরেন ভারতীয় এ অধিনায়ক। তার ফিফটি ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৫ (রোহিত ১৪০, কোহলি ৭৭, রাহুল ৫৭, পান্ডিয়া ২৬, বিজয় শঙ্কর ১৫*, কেদার যাদব ৯*, ধোনি ১; আমির ৩/৪৭)।

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাড়ে জয়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো প্রোটিয়ারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসিসের দল। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার মুখোমুখি হলো এই দুই দল।


বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। কার্ডিফের সোফিয়া গর্ডেন্সে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের অর্ধশতকে ১১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়রা।

১২৭ রানের নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানেই ব্যাট চলাতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তাদের ব্যাটিং দৃড়তায় আফগানিস্তানের বোলাররা কোন রকম সুবিধাই করতে পারেনি। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ে ভিত্তি পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রান আসে আমলা ও ডি ককের ব্যাট থেকে।

অর্ধশতক তুলে নেন ডি কক। ৬৮ রান করে গুলবাদিন নাঈবের বলে আউট হন তিনি। এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন আমলা ও আন্দ্রেল ফেলুকায়ো। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ১ উইকেটে ১৩১ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা ৪১ ও ফেলুকায়ো ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তবে ইনিংসের প্রথমেই আসে বৃষ্টির বাধা। ৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলেতেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলে দলীয় ৩৯ রানে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ৫৬ রানে বিদায় নেন রহমত শাহ।

২০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির থামার পর ম্যাচ পুনরায় শুরু হলে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

এরপরই আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান প্রোটিয়া বোলাররা। ইমরান তাহির, ক্রিস মরিসের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে রশিদ খানের ব্যাট থেকে। এছাড়া দুই ওপেনার নূর আলী জাদরান ৩২ ও হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ করলেও বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫/১০ (রশিদ খান ৩৫, নুর আলী জাদরান ৩২, হযরতউল্লাহ ২২; ইমরান তাহির ৪/২৯, ক্রিস মরিস ৩/১৩)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (ডি কক ৬৮, আমলা ৪১*, ফেহালুকাওয়ে ১৭*)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।


ম্যাচ সেরা: দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ইমরান তাহির।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যা তাড়া করতে গিয়ে দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরারা দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন শ্রীলঙ্কাকে। যা অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বপ্নই জাগাল লঙ্কান দর্শকদের মনে। কিন্তু মিচেল স্টার্ক আর কেন রিচার্ডসনের তোপে ভেঙে পড়ল লঙ্কান ব্যাটিং লাইন। আসরে নিজেদের চতুর্থ জয়ে অস্ট্রেলিয়া ওঠে গেল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।


শনিবার বিশ্বকাপে দিনের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮৭ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওভালে টস হেরে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ৩৩৪ রানের পুঁজি গড়ে। জবাবে শ্রীলঙ্কা থেমেছে ২৪৭ রানে। ২৫ বল বাকি থাকতেই ‍গুটিয়ে যায় দলটি।


অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৩ রান। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন।


আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ওয়ার্নার এদিন ২৬ রান করে ফেরেন। তবে তার আগে ফিঞ্চের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৮০ রান। ১৭তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। খেলেছেন খুবই ধীর গতিতে। ৪৮ বলে মাত্র ২ চারে নিজের ইনিংস সাজান ওয়ার্নার। এরপর উসমান খাজাও ফিরে যান দ্রুত। ব্যক্তিগত ১০ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার শিকার তিনিও।


তবে অ্যারন ফিঞ্চ এদিন আর সেঞ্চুরি মিস করেননি। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮২ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে এদিন সেঞ্চুরিটাকে দেড় শতে রূপ দিয়েছেন। ৪৩তম ওভারে উদানার শিকার হওয়ার আগে ১৩২ বলে ১৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা।


তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ১৭৩ রান যোগ করেন ফিঞ্চ। দুজনই অবশ্য ফিরেছেন পাশাপাশি। ফিঞ্চ ফেরার পরের ওভারেই ফিরেছেন স্মিথ। ৫৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি।


এরপর চলেছে ম্যাক্সওয়েলের একক শো। অন্য প্রান্তে আসা যাওয়া চললেও ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে তিন শ পেরোনো স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংসটি খেলেন ম্যাক্সওয়েল। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইসুরু উদানা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।


জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরার জোড়া ফিফটিতে শ্রীলঙ্কা পায় উড়ন্ত শুরু। দুজনই চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন শুরু থেকেই। অজি বোলারদের রীতিমতো নাজেহাল করে ছেড়েছেন দুজন।


৬.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা ফিফটি পূরণ করে। করুনারত্নে ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন। পেরেরা ফিফটি পূরণ করেছেন ৩৩ বলে। তবে ১৬তম ওভারে দলীয় ১১৫ রানে ফিরে যান পেরেরা। ব্যক্তিগত ৫২ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৬ বলে নিজের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়।


এরপর থিরমান্নের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি হয়েছে করুনারত্নের। তরে থিরিমান্নে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর করুনারত্নেও ফিরে যান সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থেকে। রিচার্ডসনের বলে ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন করুনারত্নে। ১০৮ বলে ৯৭ রান করেন ৯ চারে।


করুনারত্নে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কার আশার প্রদীপ নিভে যায়। এর মধ্যে মিচেল স্টার্ক হয়ে উঠলেন ভয়ংকর। কুশল মেন্ডিস (৩০) ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান পেলেন না। আসরে তাই দ্বিতীয় পরাজয় মেনে নিতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ।


৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। শ্রীলঙ্কার ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। দলটি একটি মাত্র ম্যাচ জিতেছে। তাদের দুটিতে ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারালো ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারালো ইংল্যান্ড

admin June 15, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সহজ জয়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৪.৪ ওভারে ২১২ রান করে অলআউট হয়। জবাবে ৩৩.১ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জো রুট দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন। বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হন তিনি।


ইংল্যান্ড প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেল। তাই ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে অবস্থান নিয়েছে ইংলিশরা। অপরদিকে সমান ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় ও দুটিতে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় তিন পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ছয় নম্বরে।


শুক্রবার সাউদাম্পটনে এই ম্যাচে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্ট ও জো রুট সাবলীল গতিতেই ব্যাট করতে থাকেন। দলীয় ৯৫ রানে বেয়ারস্ট আউট হন ৪৫ রান করে। এরপর দলীয় ১৯৯ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিস ওয়েকস (৪০) আউট হন। তবে রেুট জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৯৪ বল থেকে ১১টি চারের মারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।


এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানেই এভিন লুইস বোল্ড হয়ে যান। সেই ধাক্কা কাটাতে দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিস গেইল ও শাই হোপ চেষ্টা করছিলেন। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। দলীয় ৫৪ রানে ক্রিস গেইল এবং এক রানের ব্যবধানে শাই হোপ আউট হয়ে যান। এর মধ্যে ক্রিস গেইল ৩৬ রান করেছেন।


মাত্র ৫৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান সাজঘরে চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সামনে এগুতে থাকেন নিকোলাস পুরান ও শিমরন হেটমায়ের জুটি। চতুর্থ উইকেটে এ দু’জন ৮৯ রান করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৪৪ রানে জো রুটের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন হেটমায়ের। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩৯ রান।


পরবর্তী ব্যাটসম্যানরাও আর সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। তবে পুরান ৬৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছেন। শেষ পর্যন্ত ৩২ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আন্দ্রে রাসেল ২১ ও ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ১৪ রান করেন। ইংলিশ বোলারদের মার্ক উড এবং জোফরা আর্চার তিনটি করে উইকেট নেন।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে হারালো পাকিস্তান

admin June 13, 2019

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টনটনে বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩০৮ রানের জবাবে পাকিস্তান ৪৫.৪ ওভারে অলআউট হয় ২৬৬ রানে।


টনটনে বুধবার টস হেরে ৪১ রানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৩০৭ রান তাড়ায় ২৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান।


আগের ম্যাচে ওয়ানডেতে নিজের মন্থরতম ফিফটি করা ওয়ার্নার এদিন শুরু থেকে ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরুতে একটু ভুগছিলেন ফিঞ্চ। প্রথম পাঁচ ওভারে আমিরের দুটি ওভার মেডেন খেলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।


ফিঞ্চকে ভোগাচ্ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ২৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ডানহাতি ওপেনার। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ৪৪ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন সরফরাজ। ৬৩ বলে ফিফটি করার পর রানের গতি বাড়ান ফিঞ্চ।



এবারের আসরে দুবার ওয়ানডেতে নিজের মন্থর ফিফটির রেকর্ড ভাঙা ওয়ার্নার শুরু থেকে ছিলেন স্বচ্ছন্দ। বাঁহাতি এই ওপেনার পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৫১ বলে।


দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফিঞ্চকে বিদায় করে ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আমির। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৮৪ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ৮২ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।


এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে বোল্ড করার পর সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারকে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওয়ানডেতে ১৫তম সেঞ্চুরি পাওয়া ওয়ার্নারের ১১১ বলে খেলা ১০৭ রানের ইনিংস গড়া ১১ চার ও এক ছক্কায়।


দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা উসমান খাওয়াজা ও শন মার্শকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় একটা ধাক্কা দেন আমির। সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ফিঞ্চের দল।


মাত্র ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ৩১০ পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা।


৪৯তম ওভারে চার বলের মধ্যে অ্যালেক্স কেয়ারি ও মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়ার খুশিতে ভাসেন আমির। অস্ট্রেলিয়া থামে ৩০৭ রানে।


৩০ রানে ৫ উইকেট নেন আমির। তরুণ পেসার আফ্রিদি ২ উইকেট নেন ৭০ রানে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ৩০৭ (ফিঞ্চ ৮২, ওয়ার্নার ১০৭, স্মিথ ১০, ম্যাক্সওয়েল ২০, মার্শ ২৩, খাওয়াজা ১৮, কেয়ারি ২০, কোল্টার-নাইল ২, কামিন্স ২, স্টার্ক ৩, রিচার্ডসন ১*; আমির ১০-২-৩০-৫, আফ্রিদি ১০-০-৭০-২, হাসান ১০-০-৬৭-১, ওয়াহাব ৮-০-৪৪-১, হাফিজ ৭-০-৬০-১, মালিক ৪-০-২৬-০)


পাকিস্তান: ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬ (ইমাম ৫৩, ফখর ০, বাবর ৩০, হাফিজ ৪৬, সরফরাজ ৪০, মালিক ০, আসিফ ৫, হাসান ৩২, ওয়াহাব ৪৫, আমির ০, আফ্রিদি ১*; কামিন্স ১০-০-৩৩-৩, স্টার্ক ৯-১-৪৩-২, রিচার্ডসন ৮.৪-০-৬২-২, কোল্টার-নাইল ৯-০-৫৩-১, ম্যাক্সওয়েল ৭-০-৫৮-০, ফিঞ্চ ২-০-১৩-১)


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪১ রানে জয়ী


ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

ভারতের কাছে ৩৬ রানে হারলো অস্ট্রেলিয়া

ভারতের কাছে ৩৬ রানে হারলো অস্ট্রেলিয়া

admin June 10, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে তুমুল লড়াই চললো। শেষে বিরাট কোহলির দল টিম ইন্ডিয়া ৩৬ রানে হারিয়ে টানা দুই জয় তুলে নিল। এটি ছিল বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণীয় খেলা। এরআগে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতের সংগ্রহ ৩৫২ রান।


ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ান করলেন সেঞ্চুরি। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা করলেন হাফ সেঞ্চুরি। হার্দিক পান্ডিয়া, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা লোকেশ রাহুলরা ব্যাট হাতে বইয়ে দিয়েছেন চার-ছক্কার ঝড়। সব মিলিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের জন্য ছিল এক উপভোগ্য ম্যাচ।


কোহলিদের ছুঁড়ে দেয়া ৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া থেমেছে ৩১৬ রানে। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকার কারণে, শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি তারা।


দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারোন ফিঞ্চ মিলে শুরুটা ভালোই করেছিলেন। দু’জন মিলে ৬১ রানের জুটি গড়েন। ৩৫ বলে ৩৬ রান করে ফিঞ্চ রানআউট হয়ে যান। এতেই বিপদ শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথ মিলে গড়েন ৭২ রানের দারুণ এক জুটি।


অস্ট্রেলিয়ার 'ধীর নীতির' কারণে ওয়ার্নারের রানের গতি ছিল খুবই স্লো। ৮৪ বল খেলে তিনি করেছেন মাত্র ৫৬ রান। ৫টি বাউন্ডারি মারলেও কোনো ছক্কার মার নেই তার ব্যাটে।


ভুবনেশ্বর কুমারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ৭০ বলে ৬৯ রান করা স্মিথ। উসমান খাজা করেন ৩৯ বলে ৪২ রান। ম্যাক্সওয়েল মাঠে নেমেই ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। ১৪ বলে ২৮ রান সে ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় স্পিনের সামনে ধরাশায়ী হন তিনি। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন।


এদিকে মার্কাস স্টোইনিজ শূন্য রানে আউট হলেও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারে দারুণ ব্যাটিং করেন। মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে তিনি অপরাজিত থেকে যান ৫৫ রান করে। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মিছিলে।


ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রিত বুমরাহ নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। দুটি হলো রানআউট।

ইংল্যান্ডের পাহাড়সম রান টপকাতে পারলো না টাইগাররা

ইংল্যান্ডের পাহাড়সম রান টপকাতে পারলো না টাইগাররা

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছিল জয়ী দলের নাম। আগে ব্যাট করে ৩৮৬ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে জয়ের বন্দরে এক পা দিয়েই রেখেছিল ইংল্যান্ড। দেখার বিষয় ছিলো এ বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কেমন জবাব দেয় বাংলাদেশ।


এ বিশাল সংগ্রহের পেছনে ছুটে ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভালোই লড়েছিল টাইগাররা। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বাকিদের কাছ থেকে সে অর্থে সমর্থন না পাওয়ায় ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধানটা বেশ বড়, ১০৬ রানের।



ইংল্যান্ডের করা ৩৮৬ রানের জবাবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সাকিব আল হাসান সেঞ্চুরি করে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন। তবু নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৮০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ১০৬ রানের বড় ব্যবধানের জয়ে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।


কার্ডিফে আজ (শনিবার) টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে শুরুতে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায় ছিল ইংলিশরা।


প্রথম ৫ ওভারে ইংল্যান্ড তুলতে পেরেছিল মাত্র ১৫ রান। কিন্তু পরে সুদে আসলে সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো। তেড়েফুড়ে ব্যাটিং করছিলেন তারা।


কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ২০তম ওভারে এসে ১১৫ বলে গড়া ১২৮ রানের বিধ্বংসী এই জুটিটি ভাঙেন মাশরাফি। উইকেট না পড়ায় এই ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসেছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। প্রথম বলেই তাকে খেলতে গিয়ে শর্ট কভারে বল উঠে যায় বেয়ারস্টোর, বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫০ বলে ৫১ করে আউট হন বেয়ারস্টো।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটকে নিয়ে ৭৭ রানের আরেকটি জুটি গড়েন রয়। ৩২তম ওভারে এসে রুটকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোর্ড করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২৯ বলে রুট করেন ২১ রান।


সেঞ্চুরির পর জেসন রয় ভয়ংকর থেকে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজকে তো এক ওভারে টানা তিন ছক্কাও হাঁকিয়ে দিলেন। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে মিরাজের উপর এই তাণ্ডব চালান রয়। তবে তাতে দমে যাননি টাইগার অফস্পিনার। চতুর্থ বলে ঠিকই রয়কে আউট করে দিয়েছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্যাচ হয়ে ইংলিশ ওপেনার ফিরেছেন ১২১ বলে ১৫৩ রান করে, বিধ্বংসী এ ইনিংসে ১৪ বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৫টি ছক্কার মার।


চতুর্থ উইকেটে আরেকটি বড় জুটি ইংল্যান্ডের। জস বাটলার আর ইয়ন মরগান এই জুটিতে যোগ করেন ৯৫ রান। শেষ পর্যন্ত মারকুটে বাটলারকে (৪৪ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৬৪) বাউন্ডারিতে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাইফউদ্দিন।


৪৭ ওভারে বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। চতুর্থ বলে বাউন্ডারিতে মরগান ক্যাচের মতো তুলে দিয়েছিলেন, দৌড়ে গিয়ে তামিম কোনোমতে হাত ছোঁয়ালেও ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি। পরের বলে আবারও তুলে মারেন মরগান। এবার বাউন্ডারিতে একইভাবে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সৌম্য। ৩৩ বলে ৩৫ করে ফেরেন মরগান।


পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আকাশে ক্যাচ তুলে দেন ৬ রান করা বেন স্টোকস। পয়েন্টে মাশরাফি ক্যাচটা মিসই করে ফেলেছিলেন, তিনবারের চেষ্টায় শেষপর্যন্ত শুয়ে বল তালুবন্দী করেন টাইগার দলপতি।


তবে ৩৪১ রানে ৬ উইকেট ফেললেও ইংল্যান্ডের রানের বান আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। ক্রিস ওকস ৮ বলে ১৮ আর লিয়াম প্লাংকেট ৯ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।


বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। মাশরাফি বিন মর্তুজা আর মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

টাইগারদের সামনে পাহাড়সম টার্গেট দিলো ইংল্যান্ড

টাইগারদের সামনে পাহাড়সম টার্গেট দিলো ইংল্যান্ড

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে রানের রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের সেঞ্চুরি এবং জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টোর জোড়া ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রানের ইতিহাস গড়েছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাসের ইতিহাসে ইংলিশদের এটা দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে ছিল ইংল্যান্ড।


শনিবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ১৯.১ ওভারে ১২৮ রান করেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। এরপর মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বেয়ারস্টো। তার আগে ৫০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন তিনি।


এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা জো রুটের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের ৭৭ রান যোগ করেন জেসন রয়। এই জুটিতে সেঞ্চুরি করেন রয়। মোস্তাফিজুর রহমানকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্যে দিয়ে ৯২তম বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন রয়।


আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন জো রুট। ইংল্যান্ডের এ তারকা ব্যাটসম্যানকে বড় ইনিংস গড়ার সুযোগ দেননি সাইফউদ্দিন। তার গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে ২১ রান করার সুযোগ পান রুট।


সেঞ্চুরির পর আগের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন জেসন রয়। ৩৫তম ওভারে মিরাজের প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান এ ইংলিশ ওপেনার। চতুর্থ বলেও বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মাশরাফির হাতে ক্যাচ তুলে দেন।


মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ১২১ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৫৩ রান করেন জেসন রয়। বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭৯তম ম্যাচে এটা নবম শতক।


চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান জস বাটলার। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ইংলিশ এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান এদিন ৩৩ বলে ফিফটি গড়েন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৪৪ বলে চারটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে ফেরেন তিনি।


ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তাকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। তার অফস্পিনে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৩৩ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ৩৫ রান করেন মরগান।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে মাশরাফি বাহিনী

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে মাশরাফি বাহিনী

admin June 08, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
বিশ্বকাপের ১২তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। টাইগার একাদশে কোনো পরির্বন নেই। এক পরিবর্তন আছে ইংলিশ একাদশে। মঈন আলির জায়গায় ঢুকেছেন লিয়াম প্লাংকেট।


শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করে দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপযাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে হেরে যায় টাইগাররা। ফলে ২ খেলায় ২ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে তারা।


এ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট ইংল্যান্ড। ২ খেলায় ২ পয়েন্ট ইংলিশদেরও। বাংলাদেশের মতো দুর্দান্ত জয় নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করে তারাও। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে শুভসূচনা করে স্বাগতিকরা। কিন্তু পরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হয় তারা। শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে ১৪ রানে হারে ইংল্যান্ড।


স্বভাবতই এ ম্যাচে জয় চায় বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে গড়াবে দুই দলের লড়াই।


বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক)ও মোস্তাফিজুর রহমান।


ইংল্যান্ড একাদশ: জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়, জো রুট, ইয়ন মরগান, জস বাটলার, বেন স্টোকস, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, লিয়াম প্লাংকেট, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।

আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্বাসরূদ্ধকর হারের পর বাংলাদেশ একাদশে বেশ কিছু জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে মনে করেন, দলে একজন উইকেটটেকারের অভাব রয়েছে। সেটা পূরণে রুবেলকে খুব দরকার। প্রয়োজন একজন হার্ডহিটারেরও।


বাংলাদেশ একাদশে একজন উইকেট টেকিং বোলারের অভাব, কয়েকদিন ধরে এটা নিয়ে রীতিমতো ঝড় বয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোটা স্কোয়াডে উইকেটটেকার একজনই। সেই রুবেল ছিলেন না গেল দুই ম্যাচের মূল একাদশে। মোস্তাফিজ-মাশরাফির বাজে ফর্ম তার অভাবটা বেশ ভালোভাবেই টের পাইয়ে দিয়েছে।


এখন প্রশ্ন হলো, রুবেল একাদশে ফিরলে কে বাদ পড়বেন? মোস্তাফিজ নাকি সাইফউদ্দিন? ব্যাটিংয়ের কারণে দলে থাকার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকছেন সাইফ। এছাড়া বোলিংয়েও দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। গেল দুই ম্যাচে তিন পেসারের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স তারই। সেক্ষেত্রে এ যাত্রায় কোপটা পড়তে পারে ফিজের ওপর। কাটার মাস্টার ছিটকে যেতে পারেন। দলে ঢুকতে পারেন রুবেল।


রিভার্স সুইং তারকার সঙ্গে একাদশে প্রবেশ করতে পারেন লিটন বা সাব্বিরের কেউ। কারণ গেল ম্যাচে একজন হার্ডহিটিং মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের অভাব বোধ করছে টাইগাররা। মিডলঅর্ডারের জন্য এগিয়ে থাকছেন সাব্বির। ডেথ ওভারে তার ঝড়ো ব্যাটিং কাজে লাগতে পারে। এজন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে মোহাম্মদ মিঠুনকে। এ দুটি ছাড়া আর পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


এখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শনিবার কেমন একাদশ নিয়ে মাঠে নামবেন টাইগাররা, সেটাই দেখার বিষয়। কার্ডিফে দুই দলের খেলা গড়াবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায়। তখনই এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শেষ হবে।



ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:


তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান/মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফিন বিন মুর্তজা (অধিনায়ক) ও রুবেল হোসেন/মোস্তাফিজুর রহমান।


তথ্যসূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো

বৃষ্টির কারণে পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা

বৃষ্টির কারণে পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বৃষ্টির কারণে ব্রিস্টলে পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দুই দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে।


ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় ব্রিস্টলের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মাঠ খেলার অনুপযুক্ত হওয়ায় প্রায় ছয় ঘণ্টা পর ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।


এর আগে আম্পায়াররা দুই দফা মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠের কয়েক জায়গায় পানি দেখা গেছে। গ্যালারিতে দর্শকরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।


আম্পায়ার নাইজেল লং ও ইয়ন গোল্ড দ্বিতীয় দফা পরিদর্শন শেষে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যদিও ইতিমধ্যে বৃষ্টি থেমে গেছে। কাজেই পাকিস্তান-শ্রীলংকার ম্যাচ শুরুর প্রস্তুতিও চলছিল।


ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপে আজ মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল এশিয়ান ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি পাকিস্তান ও শ্রীলংকা।


কিন্তু পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বৃষ্টি। প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে দুদলই।


প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা জয় পায় ১৪ রানে।


অন্যদিকে শ্রীলংকা প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ রানে জয় পায় তারা।


১৯৭৫ সালে যাত্রা করে বিশ্বকাপ। এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সাতবার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলংকা-পাকিস্তান। সব কটিতেই জয়ী হয়েছে তারকাচিহ্নিত নীল জার্সিধারীরা।

তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

admin June 06, 2019


তুমুল লড়াইয়ের পরও হেরে গেল বাংলাদেশ। স্বল্প পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করেছেন সাইফউদ্দিন-মোসাদ্দেক-সাকিবরা। ইনিংসের শেষ দিকে টাইগার বোলারদের নৈপুণ্যে পরাজয়ের দুয়ারে থেকেও ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য ভালো খেলেও পরাজয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মাশেোফিদের।



 



বুধবার প্রথমে ব্যাট করে ২৪৪ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।



 



বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পথেই ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ইনিংসের শেষ দিকে পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।



 



শেষ দিকে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৪৮ বলে ৩৩ রান। ৪৩তম ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে গ্রান্ডহোমকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন।



 



ঠিক পরের ওভারে মাত্র ২ রানে জেমস নিশামকে আউট করার মধ্য দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।



 



২৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরান উইলিয়ামসন ও টেইলর। তৃতীয় উইকেট ১০৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন তারা। তাদের এই জুটিতেই জয় দেখে নিউজিল্যান্ড।



 



ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফস্পিনে ২ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৭২ বলে ৪০ রান করা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে টম লাথামকে আউট করেন তিনি।



 



তবে মুশফিকের একটি ভুলের কারণে বড় জুটি গড়ে টেইলর ও উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ৭ রানেই সাজঘরে ফেরার যাওয়ার কথা ছিল উইলিয়ামসনের।



 



প্রায় অপর প্রান্তেই চলেই গিয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দারুণ থ্রো করেছিলেন তামিম ইকবাল। বল ধরে উইকেট ভাঙতে গেলেন মুশফিক। কিন্তু বল ধরার আগেই কনুই দিয়ে উইকেট ভেঙে ফেলেন তিনি। অথচ ছেড়ে দিলেও সরাসরি উইকেট ভাঙত।



 



আর তাতেই লাইফ পান কিউই অধিনায়ক। তখন ৭ রানে ব্যাট করছিলেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের দলীয় রান ছিল ১২ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৭।



 



বাংলাদেশ ২৪৪/১০



 



সাকিব ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি টাইগাররা।



 



দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাকিব। ইনিংসের শেষ দিকে ২৩ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন। ৪৫তম ওভারে ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি হাঁকান তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ম্যাট হেনরি।



 



টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া সৌম্য ২৫ বলে ২৫ রান করতেই ম্যাট হেনরির গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।



 



এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তামিম ইকবাল। লুকি ফার্গুনসনের বলে বাজে শট খেলে আউট হন তামিম। তার আগে ৩৮ বলে মাত্র ২৩ রান করেন দেশ সেরা এ ওপেনার। দলীয় ৬০ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ।



 



এরপর সাকিব-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এই জুটিতে তারা ৫০ রান যোগ করেন। দলীয় ১১০ রানে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।



 



এর আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জুটিই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেছিল। বুধবার রান আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ১৯ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ের পরও দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান সাকিব।



 



আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রান করা সাকিব, বুধবার ফেরেন ৬৮ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৫০ আর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৪১ রানের জুটি।



 



সাকিবের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মেহেদী হাসান মিরাজরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে বড় ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি। তবে শেষ দিকে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান সাইফউদ্দিন। ২৩ বলে তিনটি চার দলের হয়ে একমাত্র ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সাইফউদ্দিন।



 



সংক্ষিপ্ত স্কোর



 



বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৪৪/১০ (সাকিব ৬৪, সাইফউদ্দিন ২৯, মিঠুন ২৬, সৌম্য ২৫, তামিম ২৪; ম্যাট হেনরি ৪/৪৭, ট্রেন্ট বোল্ট ২/৪৪)। #NewsBD

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

admin June 06, 2019

২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯.২ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।


দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। ০৫ জুন (বুধবার) লন্ডনের ওভালে টসে হেরে শুরুটা দুর্দান্ত করে টাইগাররা। ওপেনিং জুটিতে শুভ সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।


ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে দলীয় ৪৫ রানে সৌম্যকে (২৫) বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি। স্কোরবোর্ডে ৬০ রান উঠতেই তামিমকে (২৪) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।


তবে গত ম্যাচের মতো এবারও দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ভুল বুঝাবুঝিতে। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হোন মুশফিক। মুশি ফিরেন ১৯ রানে।


স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ২০১৯ বিশ্বকাপের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।

একই একাদশ নিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে টাইগাররা

একই একাদশ নিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে টাইগাররা

admin June 05, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর আজ ওভালে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগারবাহিনী। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে।


উইকেট ভিন্নতা থাকলেও আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের একাদশের উপর ভরসা রাখছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।


বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।

আগামীকাল দুরন্ত টাইগারদের সামনে কিউই বাহিনী

আগামীকাল দুরন্ত টাইগারদের সামনে কিউই বাহিনী

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে লড়াইটা একেবারে সহজ ছিল না। কেননা বরাবরের মতোই শক্তিশালী দল নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শক্তিসামর্থ্যে পিছিয়ে ছিল না মাশরাফির দলও। মাঠের খেলায় নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছে টাইগাররা। প্রোটিয়াদের হারিয়ে পেয়েছে শুভসূচনাও। এখন প্রথম ম্যাচে পাওয়া এ মোমেন্টাম ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা।


এবার ২য় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে কিউইরা। সে ম্যাচে লংকানদের মাত্র ১৩৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল কিউই পেসাররা। ব্যাটে-বলে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে নিউজিল্যান্ড। উড়ন্ত সূচনা পেয়ে আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে। তাই এমন দলের বিপক্ষে আগামীকাল নিজেদের সেরাটা দেয়ার কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের।


নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুপ্রেরণা নেয়ার মতো অনেক কিছুই আছে বাংলাদেশ শিবিরে। এ নিউজিল্যান্ডকেই ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত জোড়া শতকে বিপর্যয়ের মুখ থেকে ম্যাচ বের করে আনে টাইগাররা। এখন সেই ইংল্যান্ডেই আবারো কিউইদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিও এখন বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে টাইগারদের।


[bs-quote quote="‘‘আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু।’’" style="default" align="left" author_name="Sakib-Mashrafi" author_job="Crickter" author_avatar="http://rangpurexpress24.com/wp-content/uploads/2019/06/sakib-mashrafi.png"][/bs-quote]

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ওপেনিংয়ে চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও সৌম্য শুরু করেছেন ঝড় তুলে। তার ৩০ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংসটিই পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য পথটা তৈরি করে দেয়। এরপর সাকিব ও মুশফিকের রেকর্ড গড়া জুটির ওপর ভর দিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর শেষ দিকে এসে ইনিংসকে পরিণতি দেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক, যা বাংলাদেশকে এনে দেয় নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


৩৩০ ডিফেন্ড করতে নেমে বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। শুরুতে উইকেট নিতে না পারলেও রান রেট আটকে চাপে রাখে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। এরপর যখনই দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপেক্ষায় তখনই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। ভালো জায়গায় বল করে সবসময় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছেন মুস্তাফিজ-সাকিব-মিরাজরা। পেয়েছেন নিয়মিত ব্রেক থ্রু। প্রায় প্রত্যেক বোলারই এ ম্যাচে অবদান রেখেছেন। সেই সঙ্গে ছিল মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব। ফিল্ডিং ও বোলিং পরিবর্তনে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে বাংলাদেশের ভাবনার বিষয় হতে পারে ফিল্ডিং। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ পড়েছে একাধিক, যা দিন শেষে হতাশার কারণ হলেও হতে পারত।


এছাড়া মিস ফিল্ডিংও হয়েছে বেশকিছু। পরের ম্যাচগুলোয় ফিল্ডিং নিয়ে তাই বাড়তি কাজ করার সুযোগ আছে। এদিকে ম্যাচ জয়ের পর এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের শান্ত থাকা জরুরি। আমরা কেবল একটি ম্যাচ জিতেছি, এখনো আটটি ম্যাচ বাকি। এখন এ জয় আমাদের টুর্নামেন্টে কোথাও নিয়ে যাবে না। তাই আমি মনে করি না, আমাদের এ মুহূর্তে রোমাঞ্চিত হওয়ার কিছু আছে। এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে।’


এ সময় নিউজিল্যান্ড ম্যাচে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ আসছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমাদের নিউজিল্যান্ড ম্যাচের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেসব পরিকল্পনার বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনে করি, আরো অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। সম্ভবত ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে অপেক্ষা করছে।’


পাশাপাশি কোনো দলকেই হালকাভাবে দেখতে রাজি নন বলে মন্তব্য করে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দলকেই বড় দল হিসেবে দেখছি এবং আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সব খেলোয়াড় যেন ফিট থাকে। যদি সবাই ফিট থাকে, সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো। প্রতি ম্যাচেই হয়তো এমন পারফরম্যান্স দেখা যাবে না। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তবে ভালো কিছু করা সম্ভব।’


সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু। এখন এ জয়ের প্রেরণা নিয়ে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ কেমন পারফরম্যান্স করে, সেটিই দেখার অপেক্ষা।

বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ টিমের জয়জয়কার, ব্যতিক্রম এনডিটিভি-গার্ডিয়ান

বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ টিমের জয়জয়কার, ব্যতিক্রম এনডিটিভি-গার্ডিয়ান

admin June 04, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অসাধারণ জয় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। ভারতের এনডিটিভি ও বৃটিশ গার্ডিয়ান টাইগারদের জয়কে অঘটন বললেও অধিকাংশ মিডিয়া প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সাকিব-মিরাজদের।


বাংলাদেশ জিতলেই সেটা হয় আপসেট বা অঘটন। নিন্দুকেরা হয়ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না টাইগার জয়োল্লাস। তাই কিনা বিদেশি কিছু গণমাধ্যমের এমন শিরোনাম। যা আহত করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গেল কয়েক 'বছর ধরে ভালো খেলা বাংলাদেশকে।


তবে সব মিডিয়া কিন্তু এক নয়। টাইগারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছে দুনিয়ার বড় বড় কিছু সংবাদমাধ্যম। বৃটিশ গণমাধ্যমে এসেছে লাল সবুজের অসাধারণ কীর্তি। ডেইলি মেইল ও বিসিবি যেমন বলছে, বাংলাদেশ ভালো খেলেই জয় পেয়েছে। অন্যদিকে গার্ডিয়ান এটাকে দেখছে অঘটন হিসেবেই।


ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে গেল ক'দিন ধরেই চলছে আলোচনা সমালোচনা। সাবেক কিউই অধিনায়কের অনুমানকে ভুল প্রমাণিত করে প্রোটিয়াদের হারিয়েছে টাইগাররা। এরপর আবারো টুইট করেছন ম্যাককলাম। এবার তিনি ভূয়সী প্রশংসা করলেন সাকিব-তামিমদের। তবে স্বীকার করেছেন তিনি চেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জিতুক।


টাইগারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররাও। ভারতের আকাশ চোপড়া মনে করেন মাশরাফী, টপ ক্লাস ক্যাপ্টেন। ইয়ান বিশপ মনে করেন, গেলো ক'বছর ধরে যে বাংলাদেশ ভালো দল তিনি আবারো সেটা নিশ্চিত হলেন।


ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও মাশরাফীকে শুনতে হলে 'আপসেট' শব্দটি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন টাইগার কাপ্তান। বললেন, এসব নিয়ে না ভেবে মাঠের খেলায় আরো মনোযোগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরিও হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে

ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরিও হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
টানা ১২ ম্যাচে হারা পাকিস্তান অবশেষে জয়ের দেখা পেলে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। ইংল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে ১৪ রানে। দুই ইংলিশ ব্যাটার জো রুট এবং জস বাটলারের সেঞ্চুরির পরেও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি স্বাগতিকরা।


জিততে হলে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ছন্নছাড়া ব্যাটিং করা পাকিস্তান হঠাৎ জ্বলে উঠলো আগ্নেয়গিরির মতো। ৩৪৮ রান বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আর একটি রান হলেই ছুঁয়ে ফেলত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।


বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওপেনার জেসন রয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শাদাব খান। এরপর জনি বেয়ারস্টোও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৩২ রানে তাকে ফেরান ওয়াব রিয়াজ। ষষ্ঠ ওভারে ৯ রানের সময় স্লিপে রুটকে জীবন উপহার দেন বাবর আজম। সেই রুটের ব্যাট থেকে শেষ পর্যন্ত আসে সেঞ্চুরি। অধিনায়ক ইয়ন মর্গান ব্যার্থ। তাকে ৯ রানে বোল্ড করেন হাফিজ। ১৩ রানে বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে ইংলিশদের চাপে ফেলেন শোয়েব মালিক। তবে জস বাটলারের সেঞ্চুরি আবারো আশার আলো দেখায়। কিন্তু বাটলারের বিদায়ের ভরসা দেয়া মইন আলী এবং ক্রিস ওকসকে দ্রুত ফিরিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের দিকে নিয়ে যান ওয়াহাব রিয়াজ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৩৪ রান করে ইংল্যান্ড।


এরআগে ইংল্যান্ডকে বড় টার্গেট দেয় পাকিস্তান। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান করে পাকিস্তান। মাত্র ২ রানের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি সরফরাজের দল। ২০০৭ সালে কিংস্টনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৪৯ রান করেছিল পাকিস্তান। যা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।


শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম-উল হক। দলীয় ৮২ রানের সময় ফখর জামান ফেরেন ৩৬ রানে। বাবর আজমের সঙ্গে গড়া জুটিটাকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি ইমাম। ৪৪ রানে মইন আলির শিকার হন তিনি। এদিন উপরের দিকে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ হাফিজ বাবর আজমের সঙ্গে জুট গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। তাদের ৮৮ রানের জুটি ভাঙে বাবর ৬৩ রানে মইন আলির শিকার হলে। এরপর হাফিজ-সরফরাজ জুটি থেকে আসে ৮০ রান। ৬২ বলে ৮৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন একবার লাইফ পাওয়া হাফিজ। সরফরাজও তুলে নেন অর্ধশতক।


স্কোর:
পাকিস্তান ৩৪৮/৮ (৫০)
ইমাম ৪৪ (৫৮)
ফখর ৩৬ (৪০)
বাবর আজম ৬৩ (৬৬)
হাফিজ ৮৪ (৬২)
সরফরাজ ৫৫ (৪৪)
আসিফ আলি ১৪ (১১)
শোয়েব মালিক ৮ (৮)
ওয়াহাব রিয়াজ ৪ (২)
হাসান আলী ১০* (৫)
শাদাব খান ১০* (৪)


বোলার:
ওকস ৮-১-৭১-৩
আর্চার ১০-০-৭৯-০
মইন ১০-০-৫০-৩
উড ১০-০-৫৩-২
স্টোকস ৭-০-৪৩-০
আদিল ৫-০-৪৩-০


স্কোর:
ইংল্যান্ড ৩৩৪/৯ (৫০)
জেসন রয় ৮ (৭)
জনি বেয়ারস্টো ৩২ (৩১)
জো রুট ১০৭ (১০৪)
ইয়ন মরগান ৯ (১৮)
বেন স্টোকস ১৩ (১৮)
জস বাটলার ১০৩ (৭৬)
মইন আলী ১৯ (২০)
ক্রিস ওকস ২১ (১৪)
জোফরে আর্চার ১ (২)
আদিল রশিদ ৩* (৪)
মার্ক উড ১০* (৬)


বোলার
শাদাব খান ১০-০-৬৩-২
মোহাম্মদ আমীর ১০-০-৬৭-২
ওয়াহাব রিয়াজ ১০-০-৬৬-৩
হাসান আলি ১০-০-৬৬-০
মোহাম্মদ হাফিজ ৭-০-৪৩-১
শোয়েব মালিক ৩-০-১০-১

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three