বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। গোটা বিশ্বের সকল তথ্য এখন হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নেই পর্যাপ্ত তথ্য, আর যে তথ্য রয়েছে সেগুলোর নেই কোন আপডেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি হলেও সে সম্পর্কে কোন তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। সাইটটিতে প্রবেশ করলে যে তথ্য গুলো দেখা যায়, সেগুলো অনেক আগের হালনাগাদ করা। দীর্ঘ দশ বছরেও ওয়েব সাইটটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে দেখা যায়, হোম পেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতিসহ বেশ কয়েকটি ক্যাটেগরি রয়েছে। তার মধ্যে ‘কন্টাক্ট আস’-এ সাব-ক্যাটেগরি হোম, এ্যাবাউট আস, এডমিনিস্ট্রেশন, ডিপার্টমেন্ট, সেন্ট্রাল লাইব্রেরী এণ্ড ইনফরমেশন সেন্টার (সিএলআইসি) এবং সাইবার সেন্টার রয়েছে। ‘ডিপার্টমেন্ট’ ক্যাটেগরিতে প্রবেশ করলে দেখা যায়, বেশির ভাগ বিভাগের নতুন শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি এবং বিভাগীয় প্রধান পরিবর্তন হলেও আপডেট কোন তথ্য নেই। এমনকি কোন কোন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে একাধিক ব্যাক্তির নাম হালনাগাদ করা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ হলেও ওয়েবসাইটে অর্থনীতি বিভাগরে শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনের নাম হালনাগাদ করা রয়েছে। গণিত বিভাগ এবং লোক-প্রশাসন বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগের হালনাগাদ করা হয়নি নতুন বিভাগীয় প্রধানের নাম। এ ছাড়া সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ ও গণিত বিভাগের সবশের্ষ আপডেট করা হয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর বিভাগ দুটির কোন তথ্যই হালনাগাত করেনি কর্তৃপক্ষ। ফাইন্যান্স এণ্ড ব্যাংকিং বিভাগ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ এবং এ্যাকাউন্টিং এণ্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগসহ ওয়েব সাইটটির বিভিন্ন অপশনে ক্লিক করলে প্রক্রিয়াধীন হয়ে পূনরায় হোম পেজে ফিরে আসে।
২০১৭ সালের ২৫শে জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবীর সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটি পরিচালনার জন্য কম্পিউটার সায়েন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মুহাঃ শামসুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমানকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কাগজে-কলমে কমিটি থাকলেও দীর্ঘ এক বছরেও বাস্তবে কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি এই কমিটির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটির এরকম ব্যাকডেট থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়েবসাইট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাইবার সেন্টারের পরিচালক মুহাঃ শামসুজ্জামানের মুঠোফোনে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।