Showing posts with label ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী. Show all posts
Showing posts with label ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী. Show all posts
ফণীর কারণে ৬৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত: কৃষিমন্ত্রী

ফণীর কারণে ৬৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত: কৃষিমন্ত্রী

admin May 07, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৩৫ জেলার প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। এসব ফসলের মধ্যে ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট ও পান রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্য ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা বলে জানান মন্ত্রী।


মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।


ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গত ৪ মে সকালে কিছুটা দুর্বল অবস্থায় খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ঢাকা-ফরিদপুর অঞ্চল পেরিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ এটি লঘুচাপে পরিণত হয়।


ফণী ধেয়ে আসায় প্রেক্ষিতে গত ২ মে সকাল থেকে পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়।

‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিপদ কেটে গেছে’

‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিপদ কেটে গেছে’

admin May 04, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফণী’র বিপদ কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। ফণীর বিপদ কেটে গেছে। তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।’


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শনিবার (৪ মে) দুপুর দেড়টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


মো.এনামুর রহমান বলেন, ‘গত ২৪ এপ্রিল আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রথম এই সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। সেটা প্রথমে লঘুচাপ থাকলেও ২৬ এপ্রিল সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়।’


ঘূর্ণিঝড়ে চার জন নিহত হয়েছে জানিয়ে এবং প্রাণহানির এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণেই তাদের প্রাণহানি ঘটেছে। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে না থাকে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা, নগদ টাকা কোনও কিছুরই অভাব ছিল না। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে।’


তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার সামর্থবান এবং ধনী সরকার। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। বিদেশিদের কাছেও হাত পাততে হবে না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।’


আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেজন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন বিকাল ৪টা থেকে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন। তাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’


তিনি বলেন, ‘১৯টি জেলার ৪ হাজার ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ফসল এবং গবাদি পশুর তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। বরগুনায় ২ জন, ভোলায় একজন ও নোয়াখালীতে একজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুইজন ঘর চাপা পড়ে এবং দুইজন গাছ চাপা পড়ে মারা গেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।’


প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেভাবেই আমরা কাজ করেছি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য নৌ এবং বিমানবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে যেভাবে কাজ করা প্রয়োজন তারা সেভাবেই কাজ করবেন।’


মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বিষয়েও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য বলেছিলেন। সেখানে কোনও ধরনের সমস্যা হয়নি। আমাদের বিপদ কেটে গেছে।’

কমে গেছে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা: আবহাওয়া অধিদফতর

কমে গেছে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা: আবহাওয়া অধিদফতর

admin May 04, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে যে ধরনের আশঙ্কা করা হয়েছিল সেই অবস্থা এখন নেই। এছাড়া পূর্বাভাস অনুযায়ী যথাযথ প্রস্তুতি ও উপকূলের সকল মানুষকে সাইক্লোন সেন্টারে সরিয়ে নেয়ায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সহনশীল মাত্রায় নিয়ে আসা গেছে। শনিবার (৪ মে) সকাল ১০ টায় আবহাওয়া অধিদফতরের মিডিয়া সেন্টারে ঘূর্ণিঝড় ফণীর তথ্য জানাতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।


তিনি বলেন, বাতাস এখন স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। যদি বাতাসের তীব্রতা অধিক হতো তাহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হতো। তারপরও আবহাওয়া যেহেতু সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলা যায় না, সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে আমাদের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে না যায়।


যারা সাইক্লোন সেন্টারে অবস্থান করছেন তাদেরকে নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে ফণীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের দিকে আসতেছিল, আজ (শনিরার) সকাল ৬টায় যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চলে অবস্থান করছিল। বর্তমানে এটি দেশের মধ্যাঞ্চল চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ ও ঢাকার উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সকাল ৬টার পর অগ্রসর হওয়ার গতিবেগ বাড়লেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নয়।


তিনি আরও বলেন, এটা (ফণী) কেন্দ্র থেকে ৫৪ কিলোমিটার ভেতরে বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। তবে শক্তি সঞ্চয় সাপেক্ষে আরেকটু বাড়লেও বাড়তে পারে। সারাদেশেই ফণীর প্রভাব পড়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। যেমন- চাঁদপুরে ১২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টায় বরিশালে বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৪ কিলোমিটার।


এক প্রশ্নের জবাবে শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা এখনো কিছুটা আছে। ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ, অনেক সময় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এবং জোয়ার-ভাটাতেও জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।


এ অবস্থা কতোক্ষণ চলতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরও ৫/৬ ঘণ্টা এ অবস্থা থাকতে পারে। যদিও সকাল ৮টার সংবাদ সম্মেলনেও তিনি একই কথা বলেছিলেন। এছাড়া আগামীকাল রোববার (৫ মে) বিকেল ৫টার পর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে জানান তিনি।

ফণীর প্রভাবে বাগেরহাটে বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত

ফণীর প্রভাবে বাগেরহাটে বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত

admin May 03, 2019
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার বগী ও সাতঘর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই গ্রামের অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে সাইক্লোন সেল্টারসহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

সকাল থেকে বলেশ্বর নদীর পানি বাড়তে থাকলে শুক্রবার দুপুরে পানির স্রোতের চাপে উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ ফোল্ডারের বেড়িবাঁধ ভেঙে বগী, সাতঘর এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়।

বগী গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাক তালুকদার বলেন, সিডরে মরেছে আত্মীয়-স্বজন। ফণীর কথা শুনেই আতঙ্কে আছি। আজ সকালে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকলয়ে পানি ঢুকেছে। খুব বিপদে আছি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রিয়াদুল হোসেন পঞ্চায়েত বলেন, বেরিবাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। জোয়ারের পানির চাপে বেরিবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এর আগেও দাবি জানিয়েছিলাম মজবুত করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু তা করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতে আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, বগী এলাকার বেড়িবাঁধের একটি অংশ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান তিনি।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর শুনেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। প্রকল্পের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চেষ্টা করছি দ্রুত মেরামত করার।
সরাসরি দেখুন ঘূর্ণিঝড় ফণীর সর্বশেষ অবস্থান

সরাসরি দেখুন ঘূর্ণিঝড় ফণীর সর্বশেষ অবস্থান

admin May 03, 2019


অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রবল শক্তি সঞ্চয়কারী ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশা প্রদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার পুরী উপকূলের দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমের ৩২০ কিলোমিটার ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিমবঙ্গের দীঘার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণে পশ্চিমে অবস্থান করছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের কাছাকাছি অবস্থানে চলে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতোমধ্যে রাজ্যের বিশাখাপত্তনমে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে ওড়িশা প্রদেশেও।





দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে তীব্র হাওয়া এবং বৃষ্টির জেরে অন্ধ্রপ্রদেশের রাস্তার ধারে বৈদ্যুতিক পোল ও গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ঝড় ও বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ স্থানের সন্ধানে বাড়ি-ঘর ছাড়ছেন তারা। প্রদেশের কাকদ্বীপের উপকূলীয় থানা এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান মধ্য ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের আবহাওয়ার পূর্বাভাসবিষয়ক ওয়েবসাইট উইন্ডি তাদের ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করছে।

উইন্ডির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ঘূর্ণিঝড় ফণী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, সোমবার সকালের দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ফণী। এসময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০-১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বয়ে যেতে পারে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বাতাসের এই তাণ্ডব চালাতে পারে ফণী।

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে অগ্রসর হতে থাকা ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়া ট্যুডে এক প্রতিবেদনে বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের ঘূর্ণিঝড় ফণী বৃহস্পতিবার ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে সন্ধ্যার দিকে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পৌঁছাতে পারে। তবে ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে দেখা দিতে পারে শুক্রবার সকাল থেকেই।

‘ফণী’ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

‘ফণী’ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

admin May 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাভারে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।


জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘দুর্যোগের পূর্বে আমাদের কোথাও যদি কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় অথবা দুর্যোগ চলাকালীন বা পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আশেপাশের এলাকায় বা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় যেকোনো দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’


সেনাবাহিনীর সকল ডিভিশন এবং এরিয়া হেড কোয়ার্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।


গত ২৪ এপ্রিল সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’তে রূপ নেয় ২৭ এপ্রিল। এটি ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামীকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।


গতকাল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে ‘ফণী’ মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি উপকূলীয় সেনা ক্যাম্পগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে।


ইতিমধ্যে মাইকিং করে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। উপকূলীয় জেলার ডিসিদের দুইশ মেট্রিক টন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে; জেলা প্রশাসকদের পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়া আছে জরুরি সহায়তার জন্য। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি এবং অন্যান্য ছুটি বাতিল করে তাদেরকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


এদিকে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শক্তি সঞ্চয় করে আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ কারণে চার সমুদ্রবন্দরে স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী: সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী: সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা

admin May 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ধেয়ে আসা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে আবহাওয়ার প্রতিকূলতার শঙ্কায় সারা দেশে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ রাখতে বলেছে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবেলায় বিআইডব্লিউটিএর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।


আজ সকালে নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত দেশের সব রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।


বিআইডাব্লিউটিএ-এর জন সংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, সাধারণত নদী বন্দরে ২ নম্বর বিপদ সংকেত থাকলে ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।


‘তবে উপকূলে বিপদ সংকেত জারি হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ বেলা ১১টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, পাশাপাশি সব নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।


এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানবে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ অতিক্রম করার সময় এটির গতি হবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।


এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণী সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।


এটি বৃহস্পাতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।


এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং পরবর্তী সময় উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।


আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল নাগাদ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী-এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।


‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।’


তিনি বলেন, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


‘উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।’


আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতেহ ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।


ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।


উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশে আঘাত হানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশে আঘাত হানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

admin May 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুরের উপর দিয়ে ৪ মে সকালে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। আর আবহাওয়া কর্মকর্তা বলছেন, ‘ফণী’ যদি বাংলাদেশে আঘাত হানে তাহলে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে।


প্রস্তুতির ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয় থেকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এনডিআরসি প্রতিনিয়ত সংবাদ দিয়ে যাচ্ছে। সিপিসির হেড কোয়ার্টার ও উপকূলীয় ১৯টি জেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এসব জেলার উপজেলা পর্যায়েও কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। রেডক্রিসেন্টের কন্ট্রোলরুমও খোলা হয়েছে। উপকূলীয় আর্মি স্টেশনগুলোতেও ঢাকা থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা প্রস্তুতি রেখেছেন।
‘সিপিপির ৫৬ হাজার ভলান্টিয়ারকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা প্রস্তুত আছে। তারা ইতোমধ্যে মাইকিং করে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছেন। মানুষের অন্ন-বস্ত্র চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এসব জেলার প্রশাসকদের কাছে দুইশ মেট্রিকটন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে পাঁচ লাখ করে টাকাও দেওয়া আছে। একইসঙ্গে ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।


‘স্যালাইনের সুপেয় পানির জন্য পানির ট্রাক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজ লন্ডনে যাওয়ার আগে তার মুখ্য সচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা আশাকরি হতাহতের ঘটনা আমরা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারবো।’


বুধবার (২০) বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণী বিষয়ক বৈঠকে একথা জানান তিনি।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। বর্তমানে ফণী ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার গতিতে অতিক্রম করছে। কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১৮০ থেকে ২০৫ কিলোমিটার। ১৯ জেলা ও তার প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। ফণীপ্রবণ এলাকায় সব সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট, পুলিশ, আনসারসহ সব স্বেচ্ছাসেবকদের।


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, রংপুর হয়ে দিনাজপুরের দিকে যেতে পারে। সেই সঙ্গে কক্সবাজার ও চট্রগ্রামে আঘাত হানতে পারে। তবে ফণী ৪ মে সকাল নাগাদ এ আঘাত হানতে পারে।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৪ এপ্রিল গভীর সমুদ্রে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপে জন্ম নেওয়া এ ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে মহাপ্রলংকারী রূপ নিয়ে গভীর সমুদ্রেই রয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দর থেকে তা এক হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল ফণী তামিলনাড়ু উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে। কিন্তু এখন তা উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রমের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পশ্চিমা বায়ুর ঘূর্ণায়নে তা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে।


বৈঠকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, শক্তিশালী ফণী যদি গভীর সমুদ্র থেকে সরাসরি মোংলা হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানে তাহলে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আর যদি এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা হয়ে আমাদের দেশে আসে তাহলে তা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। ফলে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকবে।


তিনি জানান, ইতোমধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর এলাকাগুলোতে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে এটা ৫, ৬ বা ৭ নম্বর সংকেতে উন্নীত হতে পারে। এই বিপদ সংকেত বেড়ে যদি ৮, ৯ বা ১০ এ উন্নীত হয় তাহলে তা হবে মহাবিপদ সংকেত।


আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আরও বলেন, এই মহূর্তে এর গতিপথ যেভাবে রয়েছে তাতে প্রথমে এটি ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত করবে, এরপর পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু এর গতিপথ যদি পরিবর্তন হয়ে সমুদ্রের কোল ঘেষে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানে তাহলে এটি খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম হয়ে ভয়াবহ আকারে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।

এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’: ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত

এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’: ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত

admin May 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।


ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার (০১ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৩৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৯০ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৯৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১০০ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।


ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কি. মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।


এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three