Showing posts with label ঈদ. Show all posts
Showing posts with label ঈদ. Show all posts
ছুটি শেষে সরকারি অফিস খুলছে আজ

ছুটি শেষে সরকারি অফিস খুলছে আজ

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদের ছুটি শেষে সরকারি অফিস খুলছে রোববার (৯ জুন)। এবার ৪ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত মোট পাঁচদিন ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি চাকুরেরা। সেই হিসাবে আজ শনিবারই শেষ হচ্ছে ছুটি।


এক মাস রোজা পালন শেষে বুধবার (৫ জুন) সারাদেশে মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার (৪, ৫ ও ৬ জুন) ছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। এরপর শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ জুন) সাপ্তাহিক ছুটির দিন।


গ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রেল, সড়ক ও নৌপথে রাজধানী ছেড়েছেন অসংখ্য মানুষ। তাই রাজধানী এখন ফাঁকা। ঈদের পরের দিন বৃহস্পতিবার থেকেই আবার গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন তারা।


বাড়তি ছুটি না নেয়া চাকরিজীবীরা মূলত অফিস করার জন্য শনিবারই ঢাকায় এসে উপস্থিত হবেন। তবে কেউ কেউ রোববার সকাল নাগাদ পৌঁছে অফিস ধরবেন।


শনিবার সকালে সদরঘাটে ঢাকায় ফেরা মানুষে ভিড় ছিল। একই সঙ্গে রাজধানীর বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনগুলোতেও ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় রয়েছে।


সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দূর-দূরান্তে গ্রামের বাড়ি ঈদ পালন করতে যাওয়া অনেকেই রোববার অফিসে যোগ দিতে পারবেন না। তারা আরও দু’একদিন ছুটি নিয়েছেন।


সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সোমবার প্রথম অফিস খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি থাকবে কম। ঈদের আমেজ থাকবে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে।

ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরছেন নরগরবাসী

ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরছেন নরগরবাসী

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদ উদযাপন শেষে ধীরে ধীরে কর্মস্থল ও রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন নগরবাসী। একইভাবে ঈদের তৃতীয় দিনেও অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি এবং অন্যান্য স্থানে যাচ্ছেন। ঈদের আগে যারা ঢাকা ছাড়তে পারেননি বা যাননি তাদের অনেকেই এখন প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে বাড়ির পথ ধরছেন।


তবে রাজধানীতে শুক্রবারও ছিল ঈদের আমেজ। ঈদের সরকারি ছুটি বৃহস্পতিবার শেষ হলেও শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে চিরচেনা ঢাকার অচেনা চিত্রটিই থাকবে বলে অনেকে মনে করেন। যদিও বৃহস্পতিবারের তুলনায় ঢাকা শহরে যানবাহনের সংখ্যা একটু বেশি ছিল শুক্রবারে। যথারীতি দোকানপাট বেশির ভাগেই বন্ধ ছিল। কিছু কিছু কাঁচা বাজার খুললেও পণ্যসামগ্রী ছিল কম।


সেগুন বাগিচার কাঁচাবাজারের এক সবজি দোকানদার জানান, এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকবে। ঢাকার ব্যাস্ততম এলাকা মতিঝিলের খাবারের দোকানগুলো এখনো বন্ধ দেখা গেছে। বিআইডব্লিওটিএর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ১০০টিরও বেশি লঞ্চ সদর ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে, যা স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি। অন্যদিকে যে লঞ্চগুলো সদর ঘাটে এসেছে তাতে যাত্রী সংখ্যা ছিল কম।


কমলাপুর রেল স্টেশনে আসা বিভিন্ন আন্ত:নগর ট্রেনেও নগরবাসীদের ফেরার চিত্র দেখা গেছে। এবার স্বস্তির সঙ্গেই ফিরছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন। দুপুরের আগে দুরপাল্লার যে বাসগুলো এসেছে, তাতে যাত্রী সংখ্যা মোটামুটি দেখা গেলেও একটা অংশ ছিল ঢাকায় বেড়াতে আসা।


অন্যদিকে ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর চিড়িয়াখানা, শিশুমেলা, ফ্যান্টাসি কিংডম, বলধা গার্ডেন, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যমুনা ফিউচার পার্ক, নন্দন পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দেখা গেছে বিপুল মানুষের উপস্থিতি।


গত দুই দিনের মতো শুক্রবারও সকাল থেকেই ঈদ আনন্দ উদযাপনে উল্লাসে মুখর ছিল রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো। পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নগরবাসী।

বিদেশে থাকলেও মন পড়ে আছে দেশে: ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী

বিদেশে থাকলেও মন পড়ে আছে দেশে: ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী

admin June 05, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় সফরে ফিনল্যান্ডে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানান।


ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশবাসী সকলকে আমার পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা। সঙ্গত কারণে এবারের ঈদে বিদেশে থাকতে হলো। বিদেশে থাকলেও মনটা পড়ে আছে দেশে।’


দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'দেশে যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তার সুবিধা ইতিমধ্যে জনগণ পেতে শুরু করেছে। এবারে ঈদ যাত্রায় রেলপথ, সড়কপথ, আকাশ পথ- প্রতিটি পথেই সু ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।’

রংপুরে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর পালিত

রংপুরে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর পালিত

admin June 05, 2019
স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুর নগরীরর কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদ জামাত ঘিরে রংপুরে ঈদগাহে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ঈদগাহ ময়দানে নেয়া হয়েছিল তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে না নিতে মুসল্লিদের পরামর্শ দিয়েছিলেন পুলিশ প্রশাসন। একাধিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তল্লাশি শেষে সারিবদ্ধ ভাবে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।

রংপুরে ঈদের প্রধান জামাতে কালেক্টরর ঈদগাহ মাঠে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীবসহ সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রায় এক লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

সংসদের বিরোধী দলের চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা নিজ নির্বাচনি এলাকা গঙ্গাচড়ার সাতান্ন জামাত ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এছাড়া রংপুর নগীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ঈদগাহ মাঠসহ ৮টি উপজেলা ও ৩াট পৌরসভা নিজ নিজ প্রশাসন ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাঠে মুল্লিরা ঈদেরে জামাত আদায় করেন । এ সব মাঠে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে মুসল্লিগণ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রায় ৭৫টি ঈদগাহ মাঠে এবং রংপুর জেলার প্রায় ১ হাজার ২ শত ঈদগাহ মাঠে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন । নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতি তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

admin June 05, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
আজ সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছ বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। বঙ্গভবনে বুধবার (৫ জুন) সকালে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় স্ত্রী রাশিদা খানমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হলেও ঈদের এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, সারা বাংলায়। শহরবাসী মানুষ শিকড়ের টানে ফিরে যান গ্রামে, আপনজনের কাছে। মিলিত হন আত্মীয়-স্বজনের সাথে।সবাই এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।


ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এই সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেষ মো. আবদুল্লাহ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


এছাড়া ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চ বিশপ জর্জ কোচেরি, ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসনসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


সংসদ সদস্য, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।


বঙ্গভবনের দরবার হলে গরু ও মুরগির মাংসের কয়েকটি পদ, খিচুড়ি, পোলাও, দই বড়া এবং বিভিন্নরকম মিষ্টান্ন ও ফল দিয়ে দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।

জীবনে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি: এরশাদ

জীবনে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি: এরশাদ

admin June 05, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
‘জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আমি ধন্য’। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।


আজ বুধবার (৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ।


এরশাদ বলেন, ‘আজকের এই শুভ দিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এমনি দিন আবার ফিরে আসুক বারবার, আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি। জাতীয় পার্টি আস্তে আস্তে আরো শক্তিশালী হচ্ছে। সেটা দেখে আমার খুব খুশি লাগে। অনেক দিন অফিসে আসি না। এটা বোধহয় সেকেন্ড টাইম আসলাম। অফিসে এসে আরো ভালো লাগল যে এত মানুষ আমার দলে আছে, এত মানুষ আমার দলে।’


শুভেচ্ছা বিনিময়কালে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গোলাম কিবরিয়া টিপু, ফখরুল ইমাম, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান হাজি আবু বক্কর, নুরুল ইসলাম নুরু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব শফিউল্লাহ শফি, মনিরুল ইসলাম মিলন, সুলতান আহমেদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. হেলাল উদ্দিন, এ টি ইউ আহাদ চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।

ঈদের দিনের সাজ হবে যেমন

ঈদের দিনের সাজ হবে যেমন

admin June 05, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদ মানেই আনন্দ আর আনন্দ মানেই নতুন পোষাকের সঙ্গে সুন্দর সাজে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। তাই সেই সাজটা হওয়া চাই আকর্ষণীয় এবং মানানসই। তা ছাড়া ঈদের সাজটা সুন্দর না হলে যেন ঈদ উৎসবটাই ম্লান হয়ে যায়। মেয়েদের সাজে সময় ও আবহাওয়া বুঝে নেওয়া উচিত।


আবার হাওয়া বুঝে ট্রেন্ড বদল করাও যে আরেকটি ফ্যাশন। সাজের ক্ষেত্রে গত দুই বছরে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। মেয়েদের কাছে নো মেকআপ লুকই বেশি পছন্দের। তা ছাড়া এবারের ঈদটাও হবে তীব্র গরমের ভিতর। তাই সাজগোজে যত সাধারণ থাকা যায় ততই ভালো। তবে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে মেকআপ নেওয়াটা বুদ্ধিমানের


ঈদের আনন্দের পূর্ণতা পায় নতুন জামা-কাপড়, সাজসজ্জা, আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়া এবং বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে। তাই সবার মাঝে নিজেকে আকর্ষণীয় রাখতে যা করতে পারেন।


ঈদের দিনে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গোসলটা সেরে নিলে সারাদিনের জন্য টেনশনমুক্ত থাকা যায়। এরপর নতুন পোশাক পরে দিনের শুরু।



কেমন হবে ঈদের দিনের পোশাক

ঈদের দিন একটু আরামদায়ক পোশাক পরিধান করাই ভালো। এক্ষেত্রে হালকা সুতি হলে বেশি ভালো হয়। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, জিন্স যেটাই হোক তার সঙ্গে ম্যাচিং করে পরা যায় দুটি চুড়ি, পায়ে দুই ফিতার চটি। সবার মধ্যেই খুশিখুশি ভাবটা থাকে, তাই সাজগোজের ব্যাপারটিও এ সময় বেশি প্রাধান্য পায়। তবে এদিন শিফন, জর্জেট, সুতি, ঢাকাই জামদানি, মসলিন, টাঙ্গাইলের জামদানি কাপড়গুলোও পরতে পারেন। কারণ এগুলো হালকা হওয়ায় খুব আরামদায়ক হবে।



সুন্দর লুকে নিজেকে উপস্থাপন

ঈদের দিনে এত কাজের ভিড়েও নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হলে একটু সচেতন হতেই হয়। আগে ঈদের দিনে সাজটাকে তিন ভাগে ভাগ করে নিন। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল, দুপুর ও রাতের সাজ এবং পোশাক কী হবে।



সকালের সাজ

সকালে একটু-আধটু কাজের চাপ থাকে, তাই চলাফেরা করতে সহজ হয় এমন কোনো পোশাক বেছে নিন। সকালের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই কোনো হালকা কালারের পোশাক পরতে পারেন। মেকআপের শুরুতে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন দিয়ে পাউডার ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। সকাল বেলায় ভারী মেকআপ না নেওয়াই ভালো। এ সময় চোখে কাজল পরতে চাইলে কালো না পরে ব্রাউন কালার বেছে নিতে পারেন।


এছাড়া সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কেমন সাজ নেবেন এ প্রসঙ্গে বিউটি এক্সপার্ট শারমিন আখতার বলেন, সকালে সুতির সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সাজটা একেবারে শুভ্র ও ন্যাচারাল হবে। চোখে কাজল এবং ঠোঁটে ন্যাচারাল কালারের লিপস্টিক লাগিয়ে নিলে চেহারায় সকালের শুভ্রতার একটা প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে। চুলটা এ সময় বাঁধা থাকবে।



দুপুরের সাজ

ঈদের দিন দুপুরে বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। দুপুরে হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন। আর সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পাউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন দুই গালে। আর দিতে পারেন লিপগ্লোস। চোখের সাজে ভিন্নতা আনতে শ্যাডো আর আইলাইনার দিন। পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কানে আর গলায় ছোট গয়না পরুন।


দুপুরে আইশ্যাডোর রঙের সঙ্গে ম্যাচ করতে পারেন, আবার কন্ট্র্যাস্টও করতে পারেন। চোখের পুরোটা পাতায় বেজ কালার করে নিন। তারপর অন্য কালারগুলো লাগান। চোখের লেশের কোল ঘেঁষে পেনসিল আইলাইনারের টান আবার আউটার কর্নারটাও একটু টেনে দিতে পারেন। গালে আলতো করে একটু ব্লাশন ছুঁইয়ে নিন। লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন।



রাতের সাজ

রাতে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো সাজুন। বাইরে গেলে শাড়ি পরুন। বাঙালি নারীর শাড়িতেই পূর্ণ সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। মুখ, গলায় ফাউন্ডেশন কমপ্যাক্ট পাউডার দিন। সাজ বেশি সময় স্থায়ী করতে স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে মুখে চেপে মেকআপ বসিয়ে নিন। চোখে মাশকারা, আইলাইনার এবং গাঢ় রঙের শ্যাডো ব্যবহার করুন।


রাতের সাজে শাড়ি খুব বেশি গর্জিয়াস হলে মেকআপটা পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল হবে। চোখের ওপর অ্যাকোয়া ব্লু এবং গ্রে আইশ্যাডো একসঙ্গে মিলিয়ে লাগান। চোখের ইনার কর্নারে গোল্ড বা শিমারি পিঙ্ক আইশ্যাডো স্মাজ করে লাগিয়ে নিন। তবে ব্লাশনের রং বেশি উজ্জ্বল না হওয়াই ভালো। হালকা রঙের লিপস্টিক রাতের সাজের জন্য বেশি মানানসই হবে।

বৃহস্পতিবার নয়, ঈদ আগামীকাল বুধবার

বৃহস্পতিবার নয়, ঈদ আগামীকাল বুধবার

admin June 05, 2019
বৃহস্পতিবার নয়, আগামীকাল বুধবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জনসং‌যোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন।

এর আগে রাত ১০টা ৪২ মি‌নি‌টে গণমাধ্যমেকে জানান, ফের বৈঠকে বসেছে চাঁদ দেখা ক‌মি‌টি। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চাঁদ দেখা নিয়ে ব্রিফিং করবেন বলে জানান তিনি।

আজ রাত সোয়া ১১টার ব্রিফিংয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সব আলেম ওলামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা জেনেছিলাম যে দেশের কোথাও থেকে চাঁদ দেখা যায়নি। সেই কথার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার। তবে রাতে জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম ও পাটগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আমাদের জানিয়েছেন, সেখানে ১১ জন চাঁদ দেখেছেন। এ খবর জানার পর সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামীকাল বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি বলে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ ঘোষণা দিয়েছিলেন, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের কোথাও থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসাবে রমজান ৩০ টি পূর্ণ করে আগামী ৬ জুন বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে।

আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ ঘোষণা দেন, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের কোথাও থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসাবে রমজান ৩০ টি পূর্ণ করে আগামী ৬ জুন বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে।

তবে রাত ১১টায় ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে ফের বৈঠকে বসে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সেই বৈঠকে বৃহস্পতিবার নয় আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখী মানুষ

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদযাত্রায় সড়ক পথে যানজট না থাকায় রাজধানী থেকে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। সোমবার সকালে উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চলসহ চট্টগ্রাম মহাসড়কে একই অবস্থা দেখা গেছে। এবার ঈদের ছুটিতে সড়কপথে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সড়কপথে অন্যান্য বছরের মতো যানজট নেই।


টাঙ্গাইল: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক যানজটমুক্ত থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটি। মির্জাপুর বাইপাস আন্ডার পাস ব্রিজ, ধেরুয়ায় রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, কালিয়াকৈরের লতিফপুরে রেলওয়ের রেলওয়ের ওভার ব্রিজ, দেওহাটা আন্ডার পাস ব্রিজ, টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা আন্ডার পাস ব্রিজ, চন্দ্রায় ওভার ব্রিজ ও কোনাবাড়ি ওভার ব্রিজ খুলে দেওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু একসেস জাতীয় মহাসড়কে নেই যানজট। এবারের ঈদে যানজট মুক্ত, নিরাপদে এবং কম সময়ে বাড়ি ফিরতে পারায় তাদের স্বস্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।



যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর রোজা ও কোরবানীর ঈদ এলেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয। ঈদের আগে ও পরে ৫-৬ দিন এই যানজট স্থায়ী থাকে। কিন্ত এ বছর হয়েছে পুরোটাই উল্টো। চন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্বপ্রাপ্ত পর্যন্ত চার লেনের কাজ মোটামুটি সমাপ্তির পথে। যাত্রীদের দর্র্ভোগের কথা চিন্তা করে যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং চারলেন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী সংস্থা ওভার ব্রিজ ও ছোট বড় মিলে ৩৬ ব্রিজের দুপাশ খুলে দেওয়ায় দ্রুত গতিতে চলছে দুদিক থেকে যানবাহন। এছাড়া চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বসানো হয়েছে মোবাইল কোর্ট ও স্টাইকিং ফোর্স। বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন, জেলা ও থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, এপিবিএন সদস্য, ট্রাফিক পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। টাঙ্গাইল জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে কাজ করছেন যানমুক্ত রাখার জন্য বলে পুলিশ জানিয়েছেন।


গাজীপুর: রবিবার রাতে বৃষ্টি ও সোমবার সকালে চান্দনা চৌরাস্তার কাছে ময়মনসিংহগামী সড়কে একটি ট্রাক বিকল কয়ে যাওয়ায় ঢাকা -ময়মনসিংহ সড়কে কিছু সময়ের জন্য যানজট সৃষ্টি হয়। তবে বিকল হয়ে যাওয়া ট্রাকটি সরানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।


কুমিল্লা: এবার কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী এবং কোনাবাড়ী উড়াল সড়ক খুলে দেওয়ায় পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। এখন অনেকটাই নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষ। মহাসড়কে আগের মতো আর যানজট নেই। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে কোনাবাড়ী উড়াল সড়কটিও উদ্বোধন করেন। এরপর এগুলো যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। গত মার্চে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড, সোনারগাঁর কাঁচপুর এবং মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা ছিল যানজটপ্রবণ। প্রতি বছর ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের জন্য এই তিনটি স্থান ছিল আতঙ্কের নাম। শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও গোমতীতে তিনটি নতুন সেতু নির্মাণের পর দুই ঘণ্টায় নেমেছে ঢাকা-কুমিল্লার দূরত্ব। চট্টগ্রাম যেতে লাগছে ৫ ঘণ্টা।


মুন্সীগঞ্জ: প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঈদের ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেন ঘরে ফেরা মানুষ। তবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ এবার নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে। নেই কোনো যানজট, নেই ফেরি সংকট। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ম্যানেজার (বাণিজ্য) আব্দুল আলীম জানান, অন্যান্য বারের চাইতে এবার অনেকটাই ফাঁকা শিমুলিয়া প্রান্তর। আমাদের মোট ১৮টা ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য চলমান রয়েছে।


মানিকগঞ্জ: ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি ও লঞ্চে পার হতে পারছেন যাত্রীরা।


বিআইডব্লিটিসির আরিচা অঞ্চলের এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, সোমবার সকালে পাটুরিয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ে। তবে ছোট বড় ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার অব্যাহত থাকায় যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। ঘাটে পৌঁছেই নদী পার হতে পারছেন সবাই।

যানজটমুক্ত সড়কে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

যানজটমুক্ত সড়কে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

admin June 03, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক: সড়ক-মহাসড়কে এবার যানজট না থাকায় নির্বিঘ্নে ও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরে বসবাসরত ঘরমুখো মানুষ। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে আজও অনেকে বাড়ি যাচ্ছেন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এমন কি ঈদের দিনও অনেকে বাড়ি যাবেন। এবার ঈদের ছুটিতে সড়কপথে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে সড়কপথে অন্যান্য বছরের মতো যানজট নেই।


কোন ধরনের ভোগান্তি ও সমস্যা ছাড়াই স্বস্তিতে মানুষ বাড়ি যেতে পারছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই মানুষ গ্রামের বাড়ির পথে রওয়ানা দিচ্ছেন। এখনও মানুষ রাজধানী ছাড়ছে। রাস্তায় ভোগান্তি কম থাকায় এবার বেশি সংখ্যক মানুষ রাজধানী ছাড়ছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আজও যাত্রীচাপ লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি বছরই ঈদে ঘরমুখো মানুষের সড়কপথে বাড়ি ফেরার সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় ছিল মহাসড়কে যানজট। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু এবং ঢাকা-বগুড়া ও ময়মনসিংহ সড়কের গাজীপুর, কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা এলাকার যানজটের বিড়ম্বনা ঈদ আনন্দকেই মাটি করে দিত।


তবে এবার কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী এবং কোনাবাড়ী উড়াল সড়ক খুলে দেওয়ায় পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। এখন অনেকটাই নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষ। মহাসড়কে আগের মতো আর যানজট নেই। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে কোনাবাড়ী উড়াল সড়কটিও উদ্বোধন করেন। এরপর এগুলো যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। গত মার্চে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড, সোনারগাঁর কাঁচপুর এবং মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা ছিল যানজটপ্রবণ। প্রতি বছর ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের জন্য এই তিনটি স্থান ছিল আতঙ্কের নাম। শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও গোমতীতে তিনটি নতুন সেতু নির্মাণের পর দুই ঘণ্টায় নেমেছে ঢাকা-কুমিল্লার দূরত্ব। চট্টগ্রাম যেতে লাগছে ৫ ঘণ্টা।


একই অবস্থা ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কেও। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশের উত্তরবঙ্গের ১১৮টি রোডের হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পায় বহু গুণ। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের একমাত্র এই মহাসড়ক পথে যানজট ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। যানজটে আটকে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থাকতে হতো। কোনাবাড়ী উড়াল সড়ক খুলে দেওয়া এবং জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়ক খুলে দেওয়ায় এখন বগুড়া যেতে সময় লাগছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। এছাড়া ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-যশোর, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও যানজট নেই। নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। আগের চেয়ে কম সময়ে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা।


ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক যানজটমুক্ত থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটি। এবার প্রায় ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ছে দেশ। তবে এর মাঝে আগামীকাল ৩ জুন সোমবার অফিস-আদালত খোলা। ঈদযাত্রা লম্বা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনেকেই ওইদিন ছুটি নিয়েছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পবিত্র লাইলাতুল কদরের ছুটি আজ। মাঝখানে সোমবার অফিস-আদালত খোলা থাকলেও মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটি। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। অর্থাৎ সোমবার একদিনের ছুটি নিলে ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছেন।


বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই বাস-ট্রেন-লঞ্চে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল ব্যাপক। অফিস শেষে অসংখ্য মানুষ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। অফিস-আদালতে রমজানের কর্মদিবস বিকাল সাড়ে ৩টায় শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। রবিবার সকাল থেকে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেনে ছাড়লেও ভিড় ছিল একটু বেশি।

এবার হতাশায় কাটবে কৃষকের ঈদ

এবার হতাশায় কাটবে কৃষকের ঈদ

admin June 01, 2019

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বোরো ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও দাম পায়নি কৃষক। উৎপাদন খরচও উঠছে না তাদের। অনেকেই ঋণ পরিশোধ করতে গরু-ছাগল বিক্রি করছেন। এরই মধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক পরিবারে নেই উৎসবের আমেজ। চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাদের। ধানের দামের প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারেও। ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকলেও জমেনি কেনাকাটা।


কৃষকরা জানিয়েছেন, অর্থাভাবে বেশিরভাগ পরিবারেই এখনও নতুন জামাকাপড় কেনা হয়নি। কেউ কেউ বিভিন্ন দোকানের ঋণ শোধ করতে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। টাকা না থাকায় কৃষক পরিবারের বেশিরভাগই এবার বঞ্চিত হবেন ঈদ আনন্দ থেকে।


কথা হয় উপজেলার পৌর শহরের রাজু নামের ধান চাষীর সাথে। তিনি হতাশার সাথে জানান আড়াই বিঘা জমি বার হাজার টাকায় একটি ফসল আবাদ করবে বলে চুক্তি নেয় । সেই হিসেবে তার এই আড়াই বিঘা জমিতে ধার-দেনা করে মোট খরচ করেন আঠাইশ হাজার টাকা । আর এই জমির ধান বিক্রি করে পেয়েছেন সতের হাজার টাকা । আর এই কৃষককে লোকশান গুনতে হচ্ছে এগার হাজার টাকা। শুধু রাজু নয় এর মতো অনেক কৃষকের ভাগ্যে এরকম শনিদশা জুটেছে।


এছাড়া শহরের বিভিন্ন দোকান-পাঠ ঘুরে দেখা যায় যে, দোকানে শুধু চাকুরিজীবী ব্যক্তিদের কেনাকাটা করতে দেখা যায়। যার ফলে ঈদের বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি খুবই কম। ঈদের প্রকৃত আনন্দ থেকে উপজেলার কৃষক বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের কপালে হতাশার ছাপ দেখা যাচ্ছে। বছরের একটি দুইটি দিন যদি একটু আনন্দ করতে না পারব তাহলে আমাদের কিসের জীবন। এমনই ক্ষোভের কথা কৃষকের মুখে মুখে। ধানের নায্য দাম না পেয়ে হতাশায় ঈদ পার করতে হচ্ছে কৃষককে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three