Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মহান মুক্তযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোববার। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই দলটি প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানী এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ঢাকায় কর্মসূচি শুরু হবে আজ রোববার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে।


এছাড়াও দু’দিন ব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সূর্যোদয়ের সময় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারাদেশের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং সকাল ১১টায় টুঙ্গীপাড়ায় দলের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। পরের দিন ২৪ জুন (আগামীকাল সোমবার) বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক মানুষের অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি গণতন্ত্র ও অসা¤প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারাও। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী অসা¤প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। আর অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশের গড়ার কাজ প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এ দলটিকে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভাষা, স্বাধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা অর্জনে মহোত্তম গৌরবে অভিষিক্ত আওয়ামী লীগের সাত দশকের অভিযাত্রায় শান্তি, সমৃদ্ধি ও দিন বদলের লক্ষ্যে অবিচল বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী।


ইতিহাসবিদ, লেখক ও লোক সাহিত্যিক শামসুজ্জামান খান এই দলকে মূল্যায়ন করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ‘পাকিস্তান’ নামের অবৈজ্ঞানিক এবং ভৌগোলিক ও নৃতাত্তি¡কভাবে এক উদ্ভট রাষ্ট্রের পূর্ব বাংলার বাঙালি জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে অবজ্ঞায়, অবহেলায় ও ঔপনিবেশিক কায়দায় শোষণ-পীড়ন-দমন ও ‘দাবিয়ে রাখা’র বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং গণসংগ্রামের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠা বিপুল জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের নেতা-কর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অঙ্গীকারদীপ্ত সংগ্রামী ভ‚মিকা ইতিহাস বিদিত।


বিশিষ্টজনদের মতে, দলটির বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে সফলতার নতুন পথ দেখিয়েছেন, দেশের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ শুরু করার সুবাদে বাংলাদেশের মর্যাদা আন্তর্জাতিকভাবে সৃষ্টি করেছে এবং আমরা মর্যাদাশীল জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি। পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে তা শুধু আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে বিকাশ লাভ করে।


প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ দেশে পাকিস্তানি সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে এ দলটি। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬৪-এর দাঙ্গার পর সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।


ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হলেও দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দলটির প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ২৩ জুন দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে।


২০০১ এবং পরে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর আর এক দফা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ।পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুযারী এবং ২০১৮এর ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে এ দলটি।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী শনিবার শনিবার এক বিবৃতিতে দলের গৌরবোজ্জ্বল ৭০ বছর পূর্তিতে গৃহিত কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল জেলা, উপজেলাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে -জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে -জিএম কাদের

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির (জাপা) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সুশৃঙ্খল।


তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে সাধারণ মানুষের আস্থার পার্টিতে পরিণত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আর এ কারণেই পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রাণবন্ত রাখতে দায়িত্বশীল সব নেতারা এক হয়ে কাজ করবেন।


শনিবার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় তিনি একথা বলেন। কাদের বলেন, যারা জাতীয় পার্টির জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করবে তাদের নেতৃত্বের বিকাশে যথাযথ মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। দেশ ও মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অটুট রাখতে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।


সভায় জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানোর এখনই প্রকৃত সময়। কোন আসনে কে নির্বাচন করবে, তা এখনই নির্ধারণ করে সম্ভাব্য প্রার্থীর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


তিনি বলেন, যারা জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দেবেন তাদের তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। তাদের কাছে তৃণমূলের সব তথ্য থাকতে হবে। আগামী ২৪ থেকে ২৭ জুন অনুষ্ঠেয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সভা সফল করতে সবার প্রতি আহবান জানান রাঙ্গা। জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর কাদেরের আহŸানে এটাই প্রথম প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভা।


সভায় চলমান রাজনীতির মূল্যায়ন এবং আগামী দিনে জাপার পথচলার বিভিন্ন কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলকে আরো শক্তিশালী করতে উপস্থিত প্রেসিডিয়াম সদস্যরা খোলামেলা আলোচনা করেন এবং শীর্ষ নেতাদের পরামর্শ দেন।


সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, আবুল কাশেম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আজম খান, সোলায়মান আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক, সফিকুল ইসলাম সেন্ট, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীরজাদা শাহজাদা আল মনির, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মো, মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখত, কাজী মামুনুর রশিদ, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নাজমা আখতার এমপি, আবদুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, আদেলুর রহমান ও উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান প্রমুখ।

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির ২ নেতার পদোন্নতি

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির ২ নেতার পদোন্নতি

admin June 19, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির দুই নেতা আবদুর রাজ্জাক ও বারী মুন্সি পদোন্নতি পেয়েছেন।


আবদুর রাজ্জাককে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোহাম্মদ বারী মুন্সিকে যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।


পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ পদোন্নতি দিয়েছেন।


এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি জানান, পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার সুপারিশক্রমে গতকাল সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান তাদের পদোন্নতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। জুন ২০১৯ থেকে এ পদোন্নতি কার্যকর হবে।


প্রসঙ্গত আবদুর রাজ্জাক রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আর বারী মুন্সি জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বুটের তলায় পিশে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বুটের তলায় পিশে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

admin June 17, 2019

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালে একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য বাংলার মানুষ যুদ্ধ করেছে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলেছে। কিন্তু আজ তারাা (আওয়ামীলীগ) সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্নভাবে বুটের তলায় পিশে দিয়ে একটি এক দলীয় শাষণ ব্যবস্থা প্রবর্তন করার সব আয়োজন তারা সম্পন্ন করেছে।


রবিবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রুহিয়া থানা কর্তক আয়োজিত এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে বর্তমানে যে সঙ্কটটা সৃষ্টি হয়েছে এ সঙ্কটটা বিএনপির নয় বরং এ সঙ্কট টা জাতির। জাতি তার সমস্ত অধিকার গুলো হারিয়ে ফেলেেেছ। একটা দম বন্ধ করা পরিবেশ, একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ। কোথাও কথা বলার কোন সুযোগ নেই, কোথাও অধিকার নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, ন্যায় বিচার নেই, ইনসাফ নেই, সোজা কথায় একটা এক নায়কতন্ত্র, একটা শ্বৈরাচার, একটা মগের মূল্লুক তৈরি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনই কল্পনাও করেনি। ফলে বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাঙ্খাগুলো পুরোপুরিভাবে ধুলিস্যাত হয়ে গেছে।


এছাড়াও কৃষকের ধানের দাম কম হওয়ার কারণ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কৃষকের কথা চিন্তা করার সময় এ সরকারের নেই। তারা শুধু চিন্তা করে তাদের পকেটভারী তারা কিভাবে করবে? তিনি বলেন শুধু তাই নয় আপনারা শ্রমিকদের দিকে তাকান শ্রমিকরা ন্যয্য মূল্য পায়না, ব্যসায়ীরা ভালোমতো ব্যবসা করতে পারেনা।


বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বাজেটে সাধারন জনগণের কোন লাভ হয়নি। শুধু জিনিস পত্রের দাম বাড়ে সাধারন মানুষের কষ্ট বেড়েছে। আমরা এর ফলে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যারা আছি তারা সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছি।


এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয় আনতে হলে সংগ্রাম করতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে মানুষটি এত এত নির্যাতন সহ্য করলো, এতো সংগ্রাম করলো সেই মানুষটি হলো বেগম খালেদা জিয়া। আজ তিনিই মিথ্যা মামলার দায়ে কারাগারে। তাকে মুক্ত করতে হবে। কারন আপনাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের জন্মই হয়েছিলো সংগ্রামের মধ্যদিয়ে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো: তৈমুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, রুহিয়া থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. আনছারুল হক সহ বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ছাত্রদল নিয়ে উভয় সংকটে বিএনপি

ছাত্রদল নিয়ে উভয় সংকটে বিএনপি

admin June 13, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বয়সসীমা নির্ধারণ না করে চিরাচরিত ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে ছাত্রদলের আন্দোলন ও কমিটি নিয়ে উভয় সংকটে আছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে নিজের চেম্বারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।


ছাত্রদলের আন্দোলন ও কমিটির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটা নিয়ে আমরা উভয় সংকটে। এই যে ওরা (ছাত্রদলের নেতাকর্মী) দীর্ঘদিন জেল খাটলো, মামলা এবং পুলিশের হয়রানির শিকার হলো, অথচ ওদের অবদানের বিনিময়ে ওরা কী পাবে? ওদের কী মূল্যায়ন হবে? দোষটা কার? দোষ কারও না। কারণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল তার কাজটি সঠিকভাবে করতে পারে না।


তিনি বলেন, ছাত্রদল বিরাট একটি সংগঠন। এই সংগঠনের আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক ঐতিহ্য আছে। তবে অতীতের মতো ওদের আন্দোলনের ধারাবাহিক ঐতিহ্যটা নেই। কিন্তু তারপরও তারা প্রচেষ্টা করে।


ছাত্রদলের কার্যক্রমের বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, ছাত্ররা কোথায় থাকবে? কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছর তারা ক্যাম্পাসে যেতে পারে না। তাই তাদের কর্মকাণ্ডটা ক্যাম্পাসভিত্তিক কিংবা ছাত্রদের নিয়ে কর্মকাণ্ডটা তারা করতে পারছে না। ছাত্রদলের নিয়মিত কাউন্সিল হওয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাউন্সিল হওয়ার মতো হয়তো পরিস্থিতি নেই, যে কারণে আমাদের কাউন্সিলগুলো বিলম্বিত হয়। এ কারণে অনেকের ছাত্রত্ব থাকে না। আর কাউন্সিল নিয়মিত হলে ছাত্ররা তাদের অবদান অনুযায়ী পুরস্কৃত হয়।


ছাত্রদলের বিক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার যেটা হয়েছে, সেটাকে আমি অস্বাভাবিক মনে করি না। কারণ বড় বড় রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনে প্রতিযোগিতাগুলো অনেক সময় প্রতিহিংসারও রূপ নেয়। সুতরাং এটাকে বড় করে বা নেতিবাচক করে দেখার কিছুই নেই। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে- সেটা হলো, ওদের বোঝানো এবং এই বিষয়টা স্বাভাবিক করতে ইতিবাচক ভ‚মিকা পালন করতে হবে। আর তাদের মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়, তা আমরা করবো। তাই আমি সবাইকে বলবো, এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেন।


বিএনপি একটি বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গয়েশ্বর বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলবো, উনি যেন নিজের চরকায় তেল দেন, তার চেহারাটা আয়নায় দেখুন। কারণ আমার সংগঠনকে তিরস্কার করে তার সংগঠনের দূরবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সুতরাং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজের ঘর গোছানোর কাজটা আগে করুন। ছাত্রদলের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা তাদের কথাগুলো শুনবো এবং সেই কথাগুলো শুনে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করবো। আমি বিশ্বাস করি, ওরা এটা বুঝবে। সুতরাং ওদের সঙ্গে আলাপ করে আমরা এটার সমাধান করবো।


প্রশ্ন উঠেছে যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে বিএনপির কী লাভ হলো- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন কোনো দলের লাভ-ক্ষতির হিসাব করার সময় নয়। আর আমি যদি দলীয় লাভের হিসেব করি তাহলো তো ঐক্য হবে না। কবে নাগাদ বিএনপি মাঠে নামবে- জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, আমরা তো মাঠে নামি। কিন্তু আমাদের মাঠে নামাটা নামার মতো কেউ দেখেনি। সেই দেখানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর বিএনপির জন্ম বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রশ্নে। আর যদি ঐক্য নাও হয়, তাহলে বিএনপি ঘরে বসে থাকবে? তাহলে তো জনগণের দল হিসেবে বিএনপি দায়িত্বশীল দল হলো না।


আন্দোলনের জন্য বিএনপি কতোটা সংগঠিত- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো সময় কোনো দল শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে এবং শতভাগ দল গুছিয়ে আন্দোলন করে না। কারণ আন্দোলনের মাধ্যমেই দলটা গুছিয়ে আসে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ নেই- ক্ষমতাসীন দলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, আমরা মনে করি, আমার দেশে আমি বাস করি। সুতরাং আমার দেশের সমস্যা আমাকেই সমাধান করতে হবে।

সংসদে যোগ দিয়েই উত্তাপ ছড়ালেন রুমিন ফারহানা

সংসদে যোগ দিয়েই উত্তাপ ছড়ালেন রুমিন ফারহানা

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সংসদে যোগ দিয়েই উত্তাপ ছাড়িয়েছেন বিএনপি সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সংসদ।


তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।’ এতে সংসদ কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানালে স্পিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আপত্তিকর কোনো কথা থাকলে তা এক্সপাঞ্জ করা হবে বলে জানান।


বিএনপির এই এমপি প্রায় আড়াই মিনিট বক্তব্য রাখলেও সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিদের চিৎকার, চেঁচামেচি ও প্রতিবাদের কারণে সংসদ কক্ষে কেউ রুমিনের বক্তব্য ভালোভাবে শুনতে পাননি। এ সময় স্পিকার সরকারি দলের সদস্যদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালেও কেউ কর্ণপাত করেননি।

আদালত স্থানান্তর: খালেদার রিটের শুনানি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ

আদালত স্থানান্তর: খালেদার রিটের শুনানি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নাইকো দুর্নীতি মামলার আদালত স্থানান্তরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনের শুনানি হবে হাই কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের অবকাশকালীন হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও মওদুদ আহমদ; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।


নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার বিচারের জন্য বিশেষ আদালত পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে গত ২৬ মে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের অবকাশকালীন হাই কোর্ট বেঞ্চ ওই রিট আবেদনের শুনানিতে নাইকো মামলা আমলে নেওয়ার আদেশ এবং আদালত স্থানান্তরের গেজেটের কপি হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছিল খালেদার আইনজীবীদের। এর ধারাবাহিকতায় এ জে মোহাম্মদ আলী মঙ্গলবার নাইকো মামলা আমলে নেওয়ার আদেশের কপি হলফনামা আকারে জমা দেন।


কিন্তু আদালত স্থানান্তরের গেজেটের কপি পাননি জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে বিশদ শুনানি প্রয়োজন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ সময় বলেন, আজ এই ভ্যাকেশন বেঞ্চের শেষ কার্যদিবস। আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন। মওদুদ আহমদ এ সময় বলেন, চাইলে আপনারা রুল দিতে পারেন। পরে আদালত এই রিট মামলা শুনানির জন্য হাই কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেয়। নিয়ম অনুযায়ী এই বেঞ্চের আদেশসহ মামলার নথি এখন হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় যাবে। আদালতের নিয়মিত বেঞ্চের কার্যক্রম শুরু হলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা কোনো একটি বেঞ্চে তা শুনানির জন্য উপস্থাপন করবেন।


আদেশের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী মওদুদ সাংবাদিকদের বলেন, এটা (আদালত স্থানান্তর) এখন বিচারাধীন বিষয়। সুতরাং এর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতে মামলার কার্যব্ক্রম চলতে পারে না। অন্যদিকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, এটা সাবজুডিস মেটার কীভাবে, রুলও তো হয়নি। বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত না হলে কোনো মামলার বিচারই বন্ধ থাকে না। আমি মনে করি বিচারিক কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই।


তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ইতোমধ্যে আগের আদালতে দুই দিন শুনানি করেছেন। অথচ তারা এটা তারা উচ্চতর আদালতে গোপন করেছেন। দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছিল পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত কারাগারে। তার বিরুদ্ধে নাইকোসহ অন্য কয়েকটি মামলার বিচারও সেখানেই চলছিল। চিকিৎসার জন্য তাকে গত ১ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


পরে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, সুস্থ হলে খালেদাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হবে। এরপর খালেদার বিচারে আদালত স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মে মাসের মাঝামাঝি গেজেট জারি হলে প্রথমে উকিল নোটিস পাঠিয়ে পরে হাই কোর্টে আসেন খালেদার আইনজীবীরা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক।


খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভ‚ঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলাটি বর্তমানে অভিযোগ গঠনের শুনানি পর্যায়ে আটকে আছে।

গাইবান্ধায় সাবেক সাংসদ লিটন হত্যায় কাদের খানের যাবজ্জীবন

গাইবান্ধায় সাবেক সাংসদ লিটন হত্যায় কাদের খানের যাবজ্জীবন

admin June 11, 2019

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খানকে পৃথক দুটি ধারায় একটিতে যাবজ্জীবন ও অপরটিতে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।


মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


তিনি জানান, সকালে মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানকে কারাগার থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।তার উপস্থিতিতেই আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।


২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহবাজ মাস্টারপাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


লিটন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী পর দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।


২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খানকে বগুড়ার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে কাদের খানের দেয়া তথ্যানুযায়ী তার বাড়ির উঠানের মাটির নিচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।


মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে লিটন হত্যা মামলায় সাবেক এমপি (অব.) কর্নেল ডা. আবদুল কাদের খানকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের তোপের মুখে বিএনপি

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের তোপের মুখে বিএনপি

admin June 11, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে দলীয় একক সিদ্ধান্তে দলের পাঁচ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নেওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন বিএনপির নেতারা। সোমবার রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে জোটের সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে সংসদে যোগদান করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।


তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এসময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়- সংসদে যোগদানের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করা হবে।


সূত্রটি আরো জানায়, বৈঠকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে দলের পাঁচজন এমপির শপথ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চান। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রবসহ অন্যান্য নেতারাও জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে শপথ নেওয়ার সমালোচনা করেন। তারা এ বিষয়ে বিএনপির কাছে সঠিক ব্যাখ্যাও দাবি করেন।


তবে যেহেতু এ শপথ গ্রহণে বিএনপির সঙ্গে গণফোরাম সম্পৃক্ত রয়েছে, তাই আগামী বৈঠকে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


এসময় কাদের সিদ্দিকীকে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের না হওয়ার জন্য ঐক্যফ্রন্টরে পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। তিনি আগামী বৈঠক থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।


প্রসঙ্গত, গত ৯ মে ঐক্যফ্রন্টের সাতজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যের শপথ নেওয়ার সঠিক ব্যাখ্যা না পেলে জোটে থাকবেন না বলে ঘোষণা দেন কাদের সিদ্দিকী।

জুনের শেষে আবারও সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন এরশাদ

জুনের শেষে আবারও সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন এরশাদ

admin June 11, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জুন মাসের শেষের দিকে চিকিৎসার জন্য আবারও সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন।


এরশাদের বিশেষ সহকারী ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।


তিনি বলেন, ‘গত মাসের ২১ তারিখ তাকে (এরশাদ) রক্ত দেয়ার পর অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। বর্তমানে একটু দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এ কারণে আবারও সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে।’


খালেদা আক্তার আরও বলেন, ‘স্যার একই অবস্থায় আছে, হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। বয়সের কারণে কথা জড়িয়ে আসে। তবে কাউকে চিনতে সমস্যা হচ্ছে না।’


তিনি বলেন, ‘আপনারা তো ঈদের দিন দেখেছেন, এখনও সেভাবেই আছে। তার পাশে লোকজন থাকলে একটু হাশি খুশি থাকেন।’

কাউনিয়ায় পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশঙ্কা

কাউনিয়ায় পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশঙ্কা

admin June 11, 2019

কাউনিয়া প্রতিনিধি, রংপুর:
রংপুরের কাউনিয়ায় পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


জানা যায়, উপজেলার কুটিরপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন সরকার নয়ন ঈদ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি’র ছবি সম্বলিত ঈদূল ফিতরের শুভেচ্ছা জানানো একটি পোস্টার বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়ে দেন। কিন্তু রাতে কে বা কারা সেই পোস্টার ছিড়ে ফেলে। এতে নয়ন ক্ষুব্ধ হলে দীর্ঘদিন ধরে পাল্টাপাল্টি মামলা চলে আসা কোহিনুর গং তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।


পরে এলাকাবাসী বিষয়টি সাময়িক মিটমাট করলেও এখনো উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা।


নয়নের দাবি, তার পোস্টার কোহিনুর গং ছিড়েছে। অপরপক্ষে কোহিনুর বেগম দাবি করেন, আমি কেনো তার পোস্টার ছিড়তে যাবো? ওর পোস্টার ওই নিজেই ছিড়ে আমাদের দোষ দিচ্ছে।


এদিকে এলাকাবাসী বলছেন এ নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তারা।


বিষয়টি নিয়ে কাউনিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আজ এমপি হিসেবে শপথ নেবেন রুমিন

আজ এমপি হিসেবে শপথ নেবেন রুমিন

admin June 09, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আজ রোববার (৯ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের নিজ কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী তাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।


জানা যায়, গত ২৮ মে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির যুগ্ম-সচিব মো. আবুল কাসেম। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।


উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সাতটি আসনে জয় লাভ করে। কিন্তু দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি সবাই শপথ নিয়ে সংসদে গেছেন। এ ক্ষেত্রে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন আইন অনুযায়ী, দলটিকে একটি আসন বণ্টন করে দিয়ে নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি।


টেলিভিশন টকশোর পরিচিত মুখ হিসেবেই ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পরিচিত। একাদশ জাতীয় সংসদের আগে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে তিনি আলোচনায় আসেন।

ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

admin June 07, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছ আওয়ামী লীগ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতারা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান, আমিরুল আলম মিলন প্রমুখ।


সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, মাহমুদা বেগম, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথসহ অনেকে।


প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, যুব মহিলা লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।


প্রসঙ্গত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তি কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।


কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজকদের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালে ছয় দফা উত্থাপন করেন।

এ বছরই রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে, আশা ড. কামালের

এ বছরই রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে, আশা ড. কামালের

admin June 07, 2019

নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছরেই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডের নিজ বাসায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।


ড. কামাল বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের পাশাপাশি গণফোরামকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এ বছরের মধ্যেই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসবে আশা করছি।’


দ্রুত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এখন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে গণফোরাম সভাপতি বলেন, শক্তিশালী আন্দোলনের ওপরই অনেক কিছু নির্ভর করে।


এ সময় অচিরেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন জোরদার করা হবে বলেও জানান ড. কামাল।

জীবনে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি: এরশাদ

জীবনে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি: এরশাদ

admin June 05, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
‘জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আমি ধন্য’। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।


আজ বুধবার (৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ।


এরশাদ বলেন, ‘আজকের এই শুভ দিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এমনি দিন আবার ফিরে আসুক বারবার, আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি। জাতীয় পার্টি আস্তে আস্তে আরো শক্তিশালী হচ্ছে। সেটা দেখে আমার খুব খুশি লাগে। অনেক দিন অফিসে আসি না। এটা বোধহয় সেকেন্ড টাইম আসলাম। অফিসে এসে আরো ভালো লাগল যে এত মানুষ আমার দলে আছে, এত মানুষ আমার দলে।’


শুভেচ্ছা বিনিময়কালে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গোলাম কিবরিয়া টিপু, ফখরুল ইমাম, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান হাজি আবু বক্কর, নুরুল ইসলাম নুরু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব শফিউল্লাহ শফি, মনিরুল ইসলাম মিলন, সুলতান আহমেদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. হেলাল উদ্দিন, এ টি ইউ আহাদ চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।

বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

admin June 05, 2019

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টীকাদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।


জ্যোতি টীকাদারের গলার সামনের অংশে কালো দাগ রয়েছে জানিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন মজুমদার।


জ্যোতির পরিবার দাবি করছে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।


বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআই আলমগীর জানান, দুপুর ১২টার দিকে খবর পেয়ে জ্যোতির বাসায় যান তারা। এ সময় তার পরিবার জানায়, রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় জ্যোতিকে পাওয়া যায়। তখন তাদের বাসায় শুধুমাত্র জ্যোতি ও তার স্ত্রী ছিলেন।


আলমগীর বলেন, ‘জানতে পেরেছি, রাতে কোনো এক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে জ্যোতি তার রুমের দরজা লাগিয়ে দেন। তার স্ত্রী পাশের রুমে রাতযাপন করেন। এর মধ্যে কারো সঙ্গে তার কথা হয়নি। রাতে আর কেউ কারো খোঁজ নেননি।’


এসআই জানান, দুপুরেও ঘুম থেকে উঠছেন না দেখে জ্যোতির রুমের চাবি এনে দরজা খোলেন স্ত্রী। দেখতে পান সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার দেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে পাশের বাসায় বসবাসরত শ্বশুরকে ফোন করেন তিনি। তিনি এসে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে বঁটি দিয়ে ওড়না কেটে ছেলেকে নিচে নামান।


এসআই আলমগীর হোসেন মজুমদার জ্যোতির মৃতদেহের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘তার জিহ্বা বের করা অবস্থায় দাঁত দিয়ে চেপে ছিল। গলার সামনের অংশে কালো দাগ রয়েছে, চেহারা কিছুটা কালো হয়ে গেছে। পায়ের নিচও কালো হয়ে গেছে। তবে মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

প্রথমবারের মতো হাসপাতালে ঈদ করছেন খালেদা

প্রথমবারের মতো হাসপাতালে ঈদ করছেন খালেদা

admin June 05, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
এবার নিয়ে পঞ্চম বারের মতো কারা হেফাজতে ঈদ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে চারবার তিনি কারাগারে ঈদ করেন। খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তাই সেখানেই কাটছে তার এবারের ঈদ। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে বিএনপি এবং সরকার ও হাসপাতালপক্ষ পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছে।


বিএনপি বলছে, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। গত ২৪ মে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন করেন চিকিৎসা না দিয়ে সরকার কি খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়? তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বন্দী অবস্থায় খালেদা জিয়ার কোনো ক্ষতি হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।


এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও বিএনপির মুক্তি দাবি প্রসংগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে মেরে ফেলার মতো এতটা নিষ্ঠুর নয় আওয়ামী লীগ সরকার। খালেদা জিয়ার মু্ক্তির জন্য সরকারের ওপর যে চাপ সৃষ্টি করা দরকার ছিল বিএনপি তাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।


অপরদিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক গত ২৯ মে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ১ মাস ২৯ দিন আগে ভর্তি হওয়ার সময় ওনার শারীরিক যে সমস্যা ছিল, সে অবস্থানের চেয়ে দুই মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে।


সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কে মাহবুবুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর্থারাইটিসের অনেক উন্নতি হচ্ছে। তার জিহ্বায় যে ঘা হয়েছিল, সেটা আমাদের প্রায় সবার মুখেই হয়। সেটা অন্য কিছু না। জিহ্বার ঘা ৯০ শতাংশ সেরে গেছে। তিনি রোজা রাখছেন। ছোলাসহ অন্য স্বাভাবিক খাবারও খাচ্ছেন।


জানা গেছে, হাসপাতালে খালেদার সঙ্গে আছেন গৃহকর্মী ফাতেমা। তার তৈরি খাবার ও পরিবার থেকে পাঠানো খাবার ঈদের দিন খাবেন খালেদা জিয়া।


এবার ঈদের দিন দলের সিনিয়র নেতারা প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিএসএমএমইউ যাবেন। সেখান থেকে বনানীতে খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করবেন।


ঈদের দিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।


এবার নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাগারে ঈদ হবে পঞ্চমবার। এর আগে ১/১১ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দু’টি ঈদ কারাগারে কাটাতে হয়েছে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াকে। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঘোষিত সাবজেলে ওই দুই ঈদে খালেদা জিয়ার পাশের আরেকটি সাবজেলে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।


জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাবজেলে থাকার সময় ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর প্রথম উদযাপিত হয় রোজার ঈদ। এরপর ২০০৭ সালের ২১ ডিসেম্বর কোরবানির ঈদও ওই সাবজেলেই উদযাপন করেন তিনি। ওই কারাগারে ৩৭২ দিন কাটানোর পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে মুক্তি পান।


খালেদা জিয়া ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে তখন তাকে বেশিদিন বন্দি থাকতে হয়নি।


বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে পারেন। তারেক রহমানের পরিবার, কোকোর স্ত্রী ও মেয়েরা লন্ডনে থাকায় খালেদা জিয়ার ভাই, বোন ও তাদের ছেলে-মেয়েরা কারাগারে দেখা করতে যাবেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত খালেদা জিয়া। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাবন্দি।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ক‌মি‌টি বা‌তিল

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ক‌মি‌টি বা‌তিল

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় সংসদ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠন করা হবে।


সেক্ষেত্রে কাউন্সিলে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে গেলে তাকে নিয়মিত ছাত্র হতে হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয়তবাদী ছাত্রদলের অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিন ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে।


এর মধ্যে রয়েছে-


১. জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য হতে হবে।


২. অবশ্যই বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হতে হবে।


৩. কেবলমাত্র ২০০০ সাল থেকে পরবর্তীতে যেকোনো বছরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।


তবে কাউন্সিলের জন্য এখনো পর্যন্ত দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের কাউন্সিলের তফসিল পরবর্তীতে জানানো হবে।


গত ৩১ মে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্কাইপের মাধ্যমে লন্ডন থেকে মতবিনিময় করার কয়েক দিনের মাথায় এই সিদ্ধান্ত এল। এর আগে মার্চ মাস থেকে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এমন ১২ নেতাকে ছাত্রদলকে ঢেলে সাজাতে দায়িত্ব দেন তারেক রহমান। তাদের মতামতের ভিত্তিতে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


এদিকে এই ঘোষণায় বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়রদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা নেমে এসেছে। কারণ, তাদের ছাত্রত্ব না থাকায় তাদের পক্ষে ছাত্রদলের রাজনীতি করা সম্ভব হবে না। আবার অন্য কোনো অঙ্গ সংগঠনে জায়গা হবে তাও নিশ্চিত নন। তবে যাদের কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তাদের মধ্যে এক ধরনের ইতিবাচক উত্তেজনা কাজ করছে।


২০১৪ সালের অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই বছর মেয়াদি এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসেই। গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে সংগঠনটির কার্যক্রম। প‌রে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত মার্চ মাসে সাবেক ছাত্র নেতাদের দিয়ে একটি সার্চ কমিটি করে দেন বিএন‌পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


সার্চ কমিটিতে ছি‌লেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, বর্তমান ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।

ছাত্রলীগে ‘উনিশ’ আতঙ্ক

ছাত্রলীগে ‘উনিশ’ আতঙ্ক

admin June 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ছাত্রলীগে এখন বড় আতঙ্কের নাম গাণিতিক সংখ্যা ‘১৯’। সংগঠনটির ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্কের ফলে কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য সংখ্যাটি এখন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


কেন্দ্রীয় কমিটির অর্ধশত বিতর্কিত নেতাকে বাদ দিতে পদবঞ্চিতদের আন্দোলনের মুখে ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা থেকেই এ আতঙ্কের উৎপত্তি। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্যের এ সংখ্যা ঘোষণা করলেও পদ বা ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেনি। ফলে এই ১৯ জন কারা- সেটাই এখন সংগঠনটির আলোচনার কেন্দ্রে। এ অবস্থায় পদ পেয়েও প্রত্যাশিত উচ্ছ্বাস নেই কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে।


অন্যদিকে বিতর্কিতদের বাদ দিতে রোজার মধ্যে টানা ছয় দিন রাজু ভাস্কর্যে পদবঞ্চিতদের অবস্থান, এ আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে শূন্যপদ বাড়তে পারে, কমতেও পারে।


গত ২৮ মে দিবাগত রাত ১টায় এই ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এর আগে গত ১৩ মে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়। ৩০১ সদস্যের এ কমিটির শতাধিক নেতার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে পদ পাওয়া এবং বিভিন্ন অন্যায়, অপকর্ম ও অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। নতুন কমিটির সদস্যদের মধ্যে হত্যা মামলার আসামি থেকে শুরু করে বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্টতা, মাদক গ্রহণ ও ব্যবসা, চাকরিজীবীর নাম রয়েছে। অন্যদিকে এই কমিটিতে জায়গা হয়নি সর্বশেষ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ ও অবস্থানে থাকা প্রায় অর্ধশত নেতার। এতে ক্ষোভ জানিয়ে কমিটি প্রত্যাখ্যান করলে তাদের ওপর দু’দফায় হামলা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।


১৫ মে চাপের মুখে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ১৭ জন বিতর্কিত নেতার একটি তালিকা প্রকাশ করেন। তাদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য-প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পদগুলো শূন্য হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ১৬ মে বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মে জড়িত এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও রেওয়াজ পরিপন্থী উপায়ে পদপ্রাপ্ত বিতর্কিত ৯৯ নেতার নাম প্রকাশ করেন পদবঞ্চিতরা। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব ও পদবঞ্চিতদের এমন মুখোমুখি অবস্থানের ফলে আওয়ামী লীগের ৪ সিনিয়র নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ১৭টি পদ শূন্য ঘোষণা করেনি।


এদিকে কমিটি গঠনের পর ১৫ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনটির নতুন কমিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। তখন অপরাধী ও বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বাদ দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ সেই নির্দেশনা পালন না করে ২৭ মে মধ্যরাতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। ফলে ২৬ মে দিবাগত রাত ১টা থেকে ফের আন্দোলনে নামেন পদবঞ্চিতরা। শুক্রবার টানা ষষ্ঠ দিনের মধ্যে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদায়ন না করা পর্যন্ত তারা এ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। ১৯টি শূন্য পদের নাম প্রকাশের দাবিও রয়েছে তাদের। দাবি না মানলে তারা বাড়ি যাবেন না, ঢাকায়ই ঈদ করবেন।


ছাত্রলীগের সদ্যবিদায়ী কমিটির প্রচার সম্পাদক (বর্তমান কমিটিতে পদবঞ্চিত) সাইফ উদ্দিন বাবু বলেন, আন্দোলনের মুখে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রথমে ১৭ জনের কথা স্বীকার করলেও ১৪ দিন পর ১৯ জনের পদ শূন্য করার কথা উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। তাদের এই পদক্ষেপ আজ প্রমাণ করল আমাদের দাবি ও আন্দোলন গুরুত্বহীন ছিল না। ১৯টি পদ শূন্য হলেও এখন পর্যন্ত যে যার মতো স্বপদে বহাল আছে। এটা শুধু সুপরিকল্পিত নয়, অপরাজনীতি ও চাতুরীও বটে। অবিলম্বে শূন্য হওয়া ১৯ জনের নাম ও পদের বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের সব দাবি মেনে কমিটি পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।


সদ্যবিদায়ী কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শতাধিক নেতার নাম আমরা বলেছি। তাদের মধ্যে অকাট্য দলিলসহ ৫০ জনের তালিকা দিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে অসংখ্যবার যোগাযোগ করেও পাইনি। পরে নানক ভাইকে (জাহাঙ্গীর কবির নানক) দিয়েছি। অথচ নতুন নাটক সাজিয়ে ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করে একটি প্রেস রিলিজ দেয়া হয়েছে। যা একেবারেই অস্পষ্ট। সেখানে কারও নাম নেই, কোনো কিছু সুস্পষ্টভাবে বলা হয়নি। আমরা এই ছল-চাতুরীর প্রতিবাদ জানাই। ১৯টি শূন্যপদের নাম ঘোষণা করতে আমরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। তা-ও মানা হয়নি। এভাবে সংগঠন চলতে পারে না। আমাদের দাবি, সব বিতর্কিতকে সংগঠন থেকে বাদ দিতে হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তা না করা পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে।


এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তত ১০ জন নেতা বলেছেন, এই ১৯টি শূন্যপদের নাম ঘোষণা করা উচিত। কারণ তারা পদ পেয়েও এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তৃণমূলে সেভাবে কাজ করতে পারছেন না। অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভাই, উনিশ জনের মধ্যে আছেন নাকি?।’ তারা বলছেন, সামনে ঈদ। পদপ্রাপ্তদের প্রায় সবাই গ্রামের বাড়িতে যাবেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অথচ পদ নিয়ে ধোঁয়াশা অবস্থার কারণে তারা কর্মসূচি সাজাতে পারছেন না। তাই ঈদের আগেই শূন্যপদের বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন তারা।


শূন্যপদের নাম ঘোষণা না করার বিষয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, যেসব পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে তাদেরকে কিন্তু সংগঠন থেকে অব্যাহতিও দেয়া হয়নি বহিষ্কারও করা হয়নি। যেহেতু অভিযোগ এসেছে তাই ১৯টি পদ শুধু শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এই ১৯ জনের বিষয়ে আমরা কিছু জায়গায় সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। যেমন, এদের একজন বিয়ে করেছে কিন্তু বউ মারা গেছে। আরেকটা মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে তিন বছর আগে। আরেকজন তিন বছর আগে চাকরি করত। আমরা এদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না বলে আমাদের একমাত্র অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি দেশে ফিরলে তার সঙ্গে কথা বলে শূন্যপদের নাম ঘোষণা করা হবে।


ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমাদের যে বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে অনীহা নেই, সেটা বোঝানোর জন্যই পদগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। আপা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দেশে এলে তার কাছে অভিযুক্তদের নাম, পদ ও অভিযোগ উত্থাপন করা হবে। পরে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব। এ ক্ষেত্রে শূন্যপদ বাড়তেও পারে, কমতেও পারে। গঠনতন্ত্রের বয়সের নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের প্রথম গঠনতন্ত্র শেখ হাসিনা। আমরা যদি তাকে বোঝাতে পারি যে দলের বৃহত্তর স্বার্থে একটা ছেলে তার বয়স যদি দুই মাস বেশি হয়, আপা যদি তাকে রাখতে বলেন, তাহলে সে থাকবে। তবে সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপার।


আন্দোলনকারীদের কাছে বিতর্কিত অর্ধশত নেতার অকাট্য দলিল আছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গোলাম রাব্বানী বলেন, অকাট্য দলিল একজনেরও নেই। এটা যদি তারা বলে থাকে ভুল বলেছে। অকাট্য দলিল থাকলে তো আমদেরই দিত। ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বা দফতর সেলে অভিযোগ না দিয়ে মিডিয়াকে বা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের দেয়ার সুযোগ নেই। সূত্র: যুগান্তর

ঢাবির ছাত্রলীগ নেতা আহসান হাবীবের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী

ঢাবির ছাত্রলীগ নেতা আহসান হাবীবের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী

admin May 29, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আহসান হাবীবের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। তার ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তার গ্রামের বাসা রংপুর সদর উপজেলার পালিচড়ায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল এর আয়োজন করেছে তার পরিবার।


২০১৫ সালের ২৯ মে বাড়ি থেকে ঢাকা যাবার সময় রংপুরের শ্যামপুর রেল স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। রংপুর সদরের পালিচড়া বকসিপাড়ার অধিবাসী সাবেক সমবায় কর্মকর্তা মফিজার রহমানের প্রথম ছেলে আহসান হাবীব ঢাবির পরিসংখ্যান বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।


আহসান হাবীব রংপুর কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও রংপুর ক্যান্ট পাবলিক থেকে স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। এরপর সেখানেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের আস্থাভাজন ছিলেন আহসান হাবীব।


তার রাজনৈতিক সহ-যোদ্ধারা জানা যায় তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রখর, ত্যাগী ছাত্রনেতা। মুজিব আদর্শ বুকে ধারণ করে তার নিজের ক্যাম্পাসের ছোট-বড় সকলের বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন।


স্থানীয় এক আ.লীগ নেতা বলেন, হাবীব ছিল আমার এলাকার মেধাবীদের মধ্যে একজন। সে ছিল উদীয়মান তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক। তার মৃত্যুতে যে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবে না।


এদিকে ছাত্রলীগ নেতা মরহুম আহসান হাবীব এর ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকীতে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার একমাত্র ছোট ভাই সাংবাদিক হাসান আল সাকিব। তিনি বলেন, হাবীব ভাইয়া অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। তার জন্য সকলেই দোয়া করবেন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three