Showing posts with label উত্তরাঞ্চল. Show all posts
Showing posts with label উত্তরাঞ্চল. Show all posts
প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি

প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি

admin September 08, 2018
রংপুর: রংপুর নগরীর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একই সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধু। তার নাম হাসিনা আক্তার পপি (২৮)। আজ শুক্রবার দুপুরে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পপি গাইবান্ধা সদর উপজেলার সিংহপুর গ্রামের মহসীন আলীর স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে তাকে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক লায়লা হাসনা বানু দুপুর আড়াইটার দিকে ওই গৃহবধূর অস্ত্রোপচার করলে পরপর চার সন্তানের জন্ম হয়।

পপির বড় ভাই মোস্তাকিন রহমান শিশির জানান, ৮ বছর আগে তার বোনের সঙ্গে মহসীনের বিয়ে হয়। মহসীন ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তাদের এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হয়। এতে পরিবারের সকলেই খুশি। বর্তমানে চার সন্তান ও প্রসূতি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক লায়লা হাসনা বানু।
১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হচ্ছে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন

১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হচ্ছে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন

admin September 08, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: দীর্ঘ প্রায় তিন মাস (৮৮ দিন) বন্ধ থাকার পর ১০ সেপ্টেম্বর, সোমবার দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু হচ্ছে। ওই দিন খনির ১৩১৪ নম্বর কোল ফেইজ হতে পরীক্ষমূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে। এর আগে গত ১৫ জুন খনির উৎপাদনশীল ১২১০ নম্বর কোল ফেইজের উৎপাদনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৬ জুন থেকে খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। একই সময় খনির কোল ইয়ার্ড ও কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার মজুদ শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এতে কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে।


এদিকে খনির কয়লা মজুদের হিসাবে গরমিল ও ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মে.টন কয়লা ঘাটতির ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, খনি কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশি খনি শ্রমিকদের ঐকান্তিক চেষ্টায় নির্দ্ধারিত সময়ের আগে আগামি ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১৪ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশি খনি শ্রমিকরা তারও আগে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চায়।


গত বুধবার বিকেলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শনে গেলে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট দ্রুত চালু করতে জোর তৎপরতা চলছে। গত ২৬ আগস্ট বিকেলে খনির প্রশাসনিক ভবনে পিডিবি, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম ও বিসিএমসিএল’র মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামি ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরুর একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার তথা জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পেট্রো-বাংলা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


তবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষে জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপি (৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মেলা সফল করতে কয়লা খনির বাংলাদেশি শ্রমিকরা ৮ সেপ্টেম্বর কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চান। সে কারণে ৬ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান। খনি শ্রমিকদের সংগঠন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন ও সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে ৬ ঘন্টার প্রতি শিফটের স্থলে অতিরিক্ত দুই ঘন্টাসহ প্রতি শিফটে ৮ ঘন্টা কাজ করে হলেও শ্রমিকেরা ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খনির কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চায়। শীঘ্রই কয়লা উত্তোলন শুরুর সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় খনি কর্তৃপক্ষ, পিডিবি, পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ও সরকারের নীতি নির্দ্ধারক পর্যায়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।

নীলফামারীতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ

নীলফামারীতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ

admin September 08, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় জমি দখলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে রাধা কৃরে প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হিরা লাল ভুইমালী নামের এক কিশোর কে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের শিব মন্দির পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


জানা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট (শিব মন্দির) পাড়া গ্রামের মৃত নারায়ন ভুইমালীর মৃত্যুর পর গত ১০ বছর যাবত নারায়ন ভুইশালীর বিধবা স্ত্রী বাসন্তী ভুইমালী তার নাবালক পুত্র হিরা লাল ভুইমালীকে নিয়ে মৃত স্বামীর বসত বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলো। এমতাবস্থায় আজ সকালে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দও খড়িবাড়ী গ্রামের মৃত তমদ্দিনের পুত্র আতাউড় রহমান (৪৫) ও ডিমলা সদরের বাবুরহাট (শিব মন্দির) পাড়া গ্রামের মৃত চাটি মামুদের পুত্র মহুবার রহমানসহ (৫০) তাদের লোকজন নিয়ে ওই বিধবার বসত বাড়ি জবরদখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় গাছপালা কর্তন করতে থাকলে ওই বিধবা তার নাবালক সন্তান বাধা দিতে গেলে তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এবং বিধবার পারিবারিক পুজা মন্ডপ ঘড়ের রাধা কৃরে প্রতিমা ভাংচুড় করে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।


সংবাদ পেয়ে ডিমলা থানার এসআই সুমন রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।

কুড়িগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

admin September 07, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলায় সদর উপজেলা ভোগডাঙ্গা বানির খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩-০ গোলে বেলগাছা আত্তারাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।


অন্যদিকে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যারয় ২-০ গোলে হলো খানা ইউনিয়নের চর শুভার কুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে। পরে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সৈয়দপুরে অপহরণের শিকার স্কুলছাত্র উদ্ধার, আটক ১

সৈয়দপুরে অপহরণের শিকার স্কুলছাত্র উদ্ধার, আটক ১

admin September 07, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে সিনেমার শুটিংয়ের কায়দায় অপহরণের শিকার এক স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সৈয়দপুর শহরের বাইপাস সড়ক বসুনিয়াপাড়া মোড় এলাকায়। আটক যুবকের নাম ফয়সাল। সে শহরের সাহেবপাড়া হানিফ মোড় সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্কুল এলাকার মো: মিলনের ছেলে। উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রের নাম মো: আমান। সে একই এলাকার মৃত. জব্বারের ছেলে ও সৈয়দপুর রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র।


আমান জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রাইভেট থেকে ফিরে বাড়ির সামনে ব্রাশ করছিলাম। এমন সময় একটি কার এসে দাঁড়ায় বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায়। কার থেকে ২ জন অপরিচিত যুবক এসে আমার ক্লাসমেট আকাশের বাড়ি দেখিয়ে দিতে বলে। আমি আকাশের বাড়ির ঠিকানা বলার পর তারা অনুরোধ করে যে তাদের যেন বাড়ি পর্যন্ত পৌছে দেয়া হয়। এতে সম্মত হয়ে তাদের সাথে মাইক্রোবাসে উঠে শহরের পূর্ব দিকে সৈয়দপুর থানার পাশে রাসুলপুর এলাকায় ফ্রি আমিন স্কুলের দিকে যেতে বলি। কিন্তু তারা আমাকে নিয়ে উল্টোদিকে অর্থাৎ রেলওয়ে কারখানা হয়ে মিস্ত্রিপাড়া মোড় দিয়ে পশ্চিমে বাইপাস সড়কের দিকে যেতে থাকে। এতে আমি আপত্তি করায় তারা জোড় পূর্বক সেদিকেই যেতে ড্রাইভারকে তাগাদা দেয়। এক পর্যায়ে একটি তোয়ালে দিয়ে আমার চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। এতে আমি চিৎকার করলে ড্রাইভার হঠাৎ মাইক্রোবাস থামিয়ে দিয়ে চাবি নিয়ে নেমে পড়ে এবং বলে এমন ভাড়া সে যাবেনা। এর ফলে অপহরণকারীরা কার থেকে নেমে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যায় এবং আমি নামার পর ড্রাইভারকে চিনতে পারি। পরে ড্রাইভার আমাকে নিয়ে বাড়ি পৌছে দেয়। তার সহযোগিতায় এ অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানতে পেরে তাকে এলাকাবাসী আটক করে স্থানীয় রেলওয়ে শ্রমিকলীগ অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেধড়ক গণপিটুনি দেয়া হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ৩ টার দিকে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।


এ ব্যাপারে কার চালক এনামুল হক জানায়, বুধবার আমির নামে একজন ড্রাইভারের সাথে ২ হাজার ৫শ’ টাকায় শুটিং করার কথা বলে ভাড়া ঠিক করে ফয়সাল। কিন্তু কোন কারণে আমির যেতে না পারায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আমাকে জানালে আমি যেতে রাজি হই। এসময় আমাকে জানানো হয় যে, ৪ জন যাত্রী দিনাজপুর যাবে। তবে তারা রেলওয়ে শ্রমিকলীগ অফিস, রেলওয়ে কারখানা ও দিনাজপুরের জেলখানার পিছনে, বড় ময়দান এলাকায় কিছুক্ষণ করে অবস্থান করবেন। কারণ এসব জায়গায় শুটিং করা হবে। সে অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রেলওয়ে মাঠের মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে ফয়সাল আমার গাড়িতে উঠে রেলওয়ে শ্রমিকলীগ অফিসের সামনে গিয়ে নেমে পরে এবং সেখানে ৩ যুবক ওঠে। তারা সেখান থেকে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা স্কুলের সামনে গিয়ে এক ছেলেকে নিয়ে আসে। তারা এসময় জানায় যে এখন নায়কের ছোট ভাইকে অপহরণের শুটিং হবে। কিন্তু তাদের হাতে কোন ক্যামেরা বা অন্যান্য উপকরণ না থাকায় আমার একটু সন্দেহ হয়। সে ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোন উত্তর দেয়নি। তারপর রেলওয়ে কারখানার কাছে আসার পর ছেলেটি আমাকে ফ্রি আমিন স্কুলের দিকে যেতে বলে কিন্তু কারে ওঠা অপর যাত্রীরা আমাকে মিস্ত্রিপাড়ার দিকে যাওয়ার জন্য তাগাদা দেয়। এতে ভাড়াকারীদের কথায় আমি সেদিকেই যেতে থাকি। একসময় বসুনিয়াপাড়া মোড়ে এলে আমার কাছ থেকে তোয়ালা চেয়ে নিয়ে যখন ছেলেটির চোখ মুখ বেধে দেয় তখন আমার সন্দেহ সত্যে পরিণত হওয়ায় আমি গাড়ি বন্ধ করে চাবি নিয়ে নেমে প্রথমে ছেলেটিকে আমার দরজা দিয়ে বাইরে আনি পড়ে ওই যুবকদের ধরার চেষ্টা করার আগেই তারা দরজা খুলে বের হয়ে দিনাজপুরের পখে রাবেয়া মিলের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ছেলেটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌছে দেই।


আটক যুবক শহরের আলম প্রেসের মেশিন ম্যান ফয়সাল জানায়, আমান আমার ব্যাপারে অশ্লীল অপপ্রচারণা চালাচ্ছিল। আমি নাকি নেশা করি, মেয়েদের সাথে ঘুরি। তাকে বার বার নিষেধ করা সত্বেও সে থামেনি। একারণে তাকে ভয় দেখিয়ে নিবৃত করার জন্য নাটক করতে সাগর ভাইয়ের শরনাপন্ন হই। তিনি প্লাজায় প্রায়ই আসেন। কিন্তু তার বাসা কোথায় বা কি করেন তা জানিনা। তিনি তার আরও ২ বন্ধুসহ আমাকে সহযোগিতা করতে চান বলেই এ কাজ করেছি। কিন্তু আমি আমানকে শুধু ভয় দেখাতে বলেছি। কিন্তু তারা যে তাকে মারধর করবে বা চোখ মুখ বেঁধে নিয়ে যাবে তা আমার জানা ছিলনা।


সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা জানান, শুটিংয়ের নাম করে কার ভাড়া নিয়ে অপহরনের চেষ্টা করা হয়েছিল এবং স্কুলছাত্র ও চালকের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্বায় তারা রেহাই পায় মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে, অপর ৩ জনকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।

পীরগঞ্জে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

পীরগঞ্জে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

admin September 07, 2018
রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জে রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটবিহীন গঠিত বিতর্কিত ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্থগিত হওয়ার পরও জোরপূর্বব প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পক্ষের লোকজনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

pirganj-raypur-school-foto-4

বিদ্যালয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে যথারিতি ক্লাশ চলছিলো। হঠাৎ করে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে স্কুলে আসেন স্থগিত হওয়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম নান্নু। তিনি মাঠের মধ্যে থাকা ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ভবনের দোতলায় যেতে বলেন। ছাত্রছাত্রীরা দোতলা উঠলে তার সঙ্গে আসা লোকেরা দোতলার সিড়ির গেটে তালা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আটকে রাখেন। এসময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম নান্নু পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমানের ছোট ভাই খায়রুল ইসলাম খয়বারকে স্কুলের নতুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করেন। এতে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙ্গে বাহিরে বেরিয়ে পড়ে। উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীদের সাথে নান্নুর লোকজনের বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নান্নুর লোকজনেরা শিক্ষার্থীদের বাধা উপেক্ষা করে খায়রুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যায়। এঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা মিলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ঘেরাও করলে সেখানে ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের সাথে ধাওয়া-ধাওয়ির ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতি নান্নুর সাথে আসা বহিরাগতদের হামলার শিকার হয় সাধারণ ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবক ও স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে স্কুল থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তার লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাম করছে।pirganj-raypur-school-foto

এদিকে ধাওয়া-ধাওয়ির সময় ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজার রহমান গোলাপ, স্কুল ম্যানেজিং সাবেক সহ সভাপতি মাহমুদুল হক তুষার, অভিভাবক শরিফুল ইসলাম সবুজ, শিক্ষার্থী লিখন, তাসকিরাতুলসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গোলাপ, তুষার ও সবুজকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় জানান, আমি বিভিন্ন রকমের চাপে রয়েছি। এই মুহুর্তে আমি কাউকে কিছু বলতে পারছি না।

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এখনো কোন প্রধান শিক্ষকের কাগজপত্রে কোন সই করা হয়নি। এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমি ওই ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিলাম। তারপরও কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে কমিটির সভাপতির বিরোধ চলছে। সেই জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

pirganj-raypur-school-foto
কাউনিয়ায় আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ

কাউনিয়ায় আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ

admin September 05, 2018
কাউনিয়া, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সর্বত্র আমন ধান ক্ষেতে মাজরা পোকাড় প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ পোকার আক্রমণ আরো বাড়তে পারে বলে উপজেলার ৯৫ শতাংশ কৃষিজীবীরা দুঃচিন্তায় ভুগছেন। কিছু ক্ষেতে ওষুধ প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না বলে অনেকেই জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন এখন কীটনাশক ওষুধেও ভেজাল বের হয়েছে। কিন্ত ভেজাল ওষুধ শাসনে সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই।

উপজেলার বনগ্রাম গ্রামের গোপাল চন্দ্র জানায়, একেতো বৃষ্টি নাই তার ওপর পোকাড় আক্রমন। তিনি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, বৃষ্টির অভাবে জমিত সেচ দিয়ে যে টুকু ধান গারছি তাও বোধহয় পোকায় খাইবে। তিনি জানান, তার এবারে ৬ দোন জমির মধ্যে অনেক কষ্টে ৩ দোন (৭৫ শতক) জমিতে আমন আবাদ করছি। মাজরা পোকাড় ওষধ ২ বার স্প্রে করছি তাও হামার ধান ক্ষেত পোকা মুক্ত হয় নাই। উপজেলার পূর্বচান্দঘাট গ্রামের হানিফ নেতা জানান, হামরা অরিজিনাল কৃষক, জমিতে আবাদ করি আর সারা বছর সংসারের খরচ চালাই, তিনি বলেন, তার ৪ একর জমির সবটাতেই মাজরা পোকা ধরছে। অনেক কষ্টে ওষুধ স্প্রে করনো আল্লায় জানে এলা কী হইবে। আবাদ তো অর্ধেক খাইছে খরায় আর বাকী অর্ধেক বোধায় পোকায় খাইবে। কীটনাশক বিক্রেতা বরুয়াহাট বাজারের আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এলাকার বেশীর ভাগ জমিত মাজরা পোকাড়র আক্রমন হয়েছে।

তবে ভিরতাকো, কাটাপ্রিড, জি গোল্ড, ফিকর, জেলড, মর্টার ইত্যাদি জাতীয় ওষুধ নিয়মিত স্প্রে করলে পোকাড় প্রকোপ কমে যাবে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনর রশীদ জানান চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৪’শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। মাজরা পোকাড়র আক্রমন নাই। তারমতে, উপজেলার ১৯ টি ব্লকে ১৯ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সারাক্ষণ মাঠে কাজ করেন। তিনি নিজেও গত মঙ্গলবার সন্ধায় আলোর ফাঁদ তৈরী করে মাজরা পোকা সনাক্তের চেষ্টা করেছেন কিন্ত পাননি। তবে কী কৃষকরা ভুল করছেন, নাকী কৃষি অফিস তাদের তদারকিতে গাফিলতি করছেন এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা অবশ্য মাজরা পোকাড় আক্রমন প্রতিরোধে জমিতে পার্চিং করা এবং লাইভ প্রতিরোধ অর্থাৎ ধৈঞ্চা গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

একদিকে কৃষক বলছেন মাজরা পোকা অপর দিকে কৃষি অফিস বলছেন মাজরা পোকা নয়। এখন কৃষক কোন পথে হাটবেন সেটা নিয়েও কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জাগ্রত তেঁতুলিয়ার’ আত্মপ্রকাশ

সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জাগ্রত তেঁতুলিয়ার’ আত্মপ্রকাশ

admin September 05, 2018

তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়: ‘তেঁতুলিয়ার তারুণ্য জেগেছে এবার, করবে অন্যায় সাধ্য কার’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় একটি তারুণদীপ্ত সেচ্ছাসেবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তেঁতুলিয়ার স্থানীয় একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনটির সমন্বয়ক সাংবাদিক আতাউর রহমান কাবুল সংবাদ সম্মেলনে তাদের কার্যক্রমের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।


এ সময় তিনি জানান, তরুণ নিয়ে গঠিত জাগ্রত তেঁতুলিয়া মাদক, বাল্য বিয়ে, বোমা মেশিন বন্ধ করাসহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, তেঁতুলিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহিদুল ইসলামসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।

বাংলাবান্ধা বন্দরে চার্জ পরিশোধ না করায় শতাধিক ট্রাক আটকা, অচলাবস্থা সৃষ্টি

বাংলাবান্ধা বন্দরে চার্জ পরিশোধ না করায় শতাধিক ট্রাক আটকা, অচলাবস্থা সৃষ্টি

admin September 05, 2018
পঞ্চগড়: দেশের উত্তরের স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে চার্জ (ট্যারিফ) পরিশোধ না করায় ভুটানের শতাধিক ট্রাক আটক পরেছে। এতে করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সৃষ্টা হয়েছে অচল অবস্থা। সিএন্ডএফ এজেন্টরা বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের বকেয়া পরিশোধ না করায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, সিএন্ডএফ এর কতিপয় এজেন্টরা বন্দর চার্জ প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বকেয়া রেখেছে। তাই বন্দর কতৃপক্ষ সিএন্ডএফ এজেন্টদের নতুন করে আমদানি করা পণ্যে বন্দর চার্জ নগদ টাকা পরিশোধ করতে বললে এই অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়। ভুটান থেকে আমদানি করা ১০৩টি ট্রাকের পাথর আনলোড না করায় ভুটানের প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাক চালক সহ বন্দরে গত ৬ দিন যাবত আটকা পড়েছে। গত বৃহষ্পতিবার থেকে এই অচলাবস্থা বিরাজমান করছে। এতে করে ভুটানের ট্রাক চালকদের মধ্যে খোভের সৃষ্টি হয়ে বন্দর সংরক্ষিত এলাকায় বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা ।
ল্যান্ডপোর্র্টের ম্যানেজার মামুন সোবহান জানান, ১২/১৩ জন সিএন্ডএফ এজেন্ট তাদের ২ কোটি ৪৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪০ টাকা বকেয়া রেখেছে। আগের টাকা বকেয়া রাখতে পারে কিন্তু এখন নগদ টাকা জমা দিলে মালামাল লোড আনলোড করা হবে। নগদ টকা জমা প্রদান করা সরকারি নিয়ম।
এ বিষয়ে কাস্টমের রাজস্ব কর্মকতা জাকির হোসেন তাহের জানান, মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভুটানের শ্রমিক (ড্রাইভার/হেলপার) পোর্টে হৈ চৈ করতে থাকে। এটা সিএন্ডএফের বিষয় আমাদের করার কিছু নাই।
কাউনিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি পরিবারের বাড়িঘর পুড়ে ছাই

কাউনিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি পরিবারের বাড়িঘর পুড়ে ছাই

admin September 05, 2018

কাউনিয়া, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের উত্তর বল্লভবিষ্ণ গ্রামে বুধবার ভোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি পরিবারের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসেও চিকন রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে না পারার কারণে ঘন্টাব্যাপী আগুনের তাণ্ডবে বাড়িঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।


প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার ভোরে সাইদ আলীর গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল লাগালে সেই কয়েলের আগুন তামাকের গর্দ্দায় লেগে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। নিমিষে আগুন ছড়িয়ে পরে শাহ আলীর ৩টি টিনের ঘর ও ঘরে থাকা ব্যবসার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৯০ মন ধান, চাউল, পাট, বাইসাইকেল, আসবাবপত্র, সহিদুল ইসলামের দুইটি টিনের ঘর, নগদ ৩০ হাজার টাকা, ধান, চাউল, পাট, আসবাসপত্র, সাইদ আলীর দুইটি টিনের ঘর, ১০ হাজার টাকা, ধান, চাউল, আসবাবপত্র, ইমান হোসেনের ১টি টিনের ঘর, ৩০ হাজার টাকা, ধান, চাউল আসবাবপত্র, হাস-মুরগী, নুরুন্নবী মিয়ার ২টি টিনের ঘর, ৩৫ হাজার টাকা, ধান, চাউল, হাঁস-মুরগী, আসবাবপত্র, বাইসাইকেল, শ্যালো মেশিন, শাহজামাল এর ২টি টিনের ঘর, ধান, চাউল আসবাবপত্র, দারেজ আলীর ১টি পাকা ঘরের টিনের চালা, ২০মন ধান, চাউল আসবাবপত্র এবং হাসেম আলীর ১টি টিনের ঘর, ধান চাউল আসবাব পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সকলের মিলে ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা একজন জানান, রাস্তা চিকন হওয়ায় বড় গাড়ি নিয়ে আমরা সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌছতে পারি নাই, ফলে আমাদের তেমন কিছু করার ছিল না। ঘটনাস্থল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম নাজিয়া সুলতানা ও শহীদবাগ ইউপি চেয়ারম্যান এমএ হান্নান পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
রাজারহাটে নদী ভাঙ্গনের শিকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ কিলোমিটার দুরে স্থানান্তর

রাজারহাটে নদী ভাঙ্গনের শিকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ কিলোমিটার দুরে স্থানান্তর

admin September 04, 2018


কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীর ভাঙ্গনের শিকার একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নের স্থানান্তরের কারণে ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবার আশংকা করছেন অভিভাবক মহল। এছাড়া ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর, অনুদানর এবং প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের নিকট এক বছর আগে অভিযোগ করেও সুফল না পাওয়ায় হতাশ স্থানীয়রা।
অভিযোগ জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের একমাত্র বিদ্যাপিট বিদ্যানন্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯১ সালে ৩০শতক জায়গার উপর স্থাপিত হয়। ঐ বছরেই বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়। বিদ্যালটিতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক সহ স্টাফ রয়েছে ১০জন। বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ৩৭জন, ৭ম শ্রেণীতে ৩০জন এবং ৮ম শ্রেণী ২৭জন পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ১৯জন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গত বছর জুন মাসে নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়লে পার্শ্ববর্তী তৈয়ব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে স্থানান্তর করা হয়। বিদ্যালয়ের জন্য জেলা প্রশাসক নতুন ঘর নির্মাণে ৩০হাজার টাকা এবং ১০ বান্ডল ঢেউ টিন অনুদান দেন। কিন্তু এর কিছুদিন পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজস্ব সিদ্ধান্তে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রাতারাতি প্রায় ৫কি.মি. দূরে নাজিম খাঁ ইউনিয়নে তালতলা নামক জায়গায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
স্থানান্তর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এতে করে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবার আশংকা করছে অভিভাবকগণ।
সরেজমিনে দেখা যায় গত এক বছর আগে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের পর থেকে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত ৬ষ্ট থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত হাজিরা খাতায় কোন শিক্ষার্থী নামই তোলা হয়নি। অথচ খাতায় বিগত মাস গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগ দেখানো হয়েছে। ক্লাস নিয়মিত না হলেও শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পেয়েছে এবং শিক্ষকরাও নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছে বলে জানা যায়।
তৈয়ব খাঁ গ্রামের বাসিন্দা আমিনুর ইসলাম, আব্দুল হাই জানান, প্রধান শিক্ষক তার স্বার্থের কারনেই বিদ্যালয়টি অন্য ইউনিয়নে নিয়ে গেছে। আমরা গ্রামবাসি বিদ্যালয়ের জন্য জমি দিতে চেয়েছি তারপরেও প্রধান শিক্ষক কিভাবে বিদ্যালয় অন্য ইউনিয়নে নিয়ে গেলো। তারা জানান, বিষয়টি বিভিন্ন মহলে লিখিত ভাবে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। অথচ বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের জায়গা তালতলা থেকে আধা কি.মি. দূরে কালিরহাট দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বাছড়া আজিজিয়া আলিম মাদরাসা এবং এক কি.মি. দূরে ডাংরারহাট দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং নাজিম খা উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। আর পুর্বের বিদ্যালয়ের জায়গা থেকে তালতলায় স্কুলের দুরত্ব প্রায় ৫/৬ কি.মি.।
স্কুলের শিক্ষার্থী ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী এক রোল রীপা রাণী, ৬ রোল জেসমিন আক্তার, ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মাইদুল জানায়, স্কুল দূরে হওয়ায় অনেকেই স্কুল যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তারা এখন বাবা-মায়ের সাথে খেতে-খামারে কাজ করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভাল না। পায়ে হেটে স্কুল যেতে পা ব্যথা হয়। কাচা রাস্তা বৃষ্টি হলেই কাদা মাটিতে হাটা দায় হয়ে যায়। ফলে স্কুল যাওয়াই বন্ধ করছি।
তৈয়ব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, স্কুলটি ভেঙ্গে যাবার পর আমাদের বিদ্যালয়ের জমিতে টিনের ঘর করে কয়েক মাস ক্লাস হয়েছিল। তবে আকষ্মিকভাবে ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। পরে জানতে পারি তালতলায় স্কুলের নতুন ঘর করে সেখানেই ক্লাস চালু করছে। আমার বিদ্যালয়ের একটি রুমে তাদের আসবাব পত্র রয়েছে। বেশ করেকবার বলার পরেও সেগুলো নিয়ে যায়নি।
এদিকে বিদ্যালয়ের স্থানান্তরের সময় প্রধান শিক্ষক লোকনাথ বর্মণ প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৫টি রেইনট্রি, ১০টি মেহগনি, ১০টি ইউক্লিপটাস সহ ২৫টি গাছ কর্তন এবং বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ১লাখ ৬০হাজার মূল্যের ২০হাজার ইট বিক্রির টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বিদ্যানন্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকনাথ বর্মণ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করলেও নিয়মিত ক্লাস না হওয়ার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। আর বিদ্যালয় স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি জানান, ওখানে জায়গা না পাওয়ায় অফিসের সাথে কথা বলে নাজিখাঁন ইউনিয়নের তালততলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ উজ জামান সরকার জানান, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে বিদ্যালয় স্থানান্তরে বিধিতে নিষেধ আছে কিনা তার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান জানান, বিদ্যালয় স্থানান্তরের বিষয়টি মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং পরর্বীতে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে কাজ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান তিনি।

ঠাকুরগাঁয়ের বিরল প্রজাতির ভারতীয় নীল গাই উদ্ধার

ঠাকুরগাঁয়ের বিরল প্রজাতির ভারতীয় নীল গাই উদ্ধার

admin September 04, 2018

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির ভারতীয় নীল গাই (গরু) উদ্বার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ যদুয়ার এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।


জানা যায়, ভারতীয় নীল গাইটি যদুয়ার নদীর কাছের এক ঝোপ ঝাড়ে আটকে পড়ে। সেই নদীতেই দুপুর বেলা মাছ ধরছিলো ঐ গ্রামের পুরানু ছেলে মকবুল(৩৫) সুলতানের ছেলে আবু জাহেদ(৩৪) তারা নীল গাইটি দেখতে পেয়ে হায়দার বুধু সামশুলের সহযোগিতায় নদী থেকে উদ্বার করে আবু জাহেদের বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে ধীরে ধীরে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে এক পলক দেখার লক্ষে।


খবর পেয়ে উপজেলা ফরেস্ট কর্মকর্তা শাহাজাহন আলী থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিকেলে উদ্বার করে নিয়ে আসে ভারতীয় নীল গাইটিকে। এটিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান তিনি ।

রাজারহাটে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক কর্তৃক উৎকোচ নিয়ে নিয়োগ, এলাকায় টান টান
উত্তেজনা

রাজারহাটে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক কর্তৃক উৎকোচ নিয়ে নিয়োগ, এলাকায় টান টান উত্তেজনা

admin September 04, 2018

কুড়িগ্রাম: রাজারহাটে বটতলা আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক গনি মিয়া ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর জাল করে ২ টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা চলছে।


অভিযোগে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. গনি মিয়ার দীর্ঘদিনের নানা প্রকার দূর্নীতি-অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে তাকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি স্কুল পরিচালনা কমিটি সাময়িক বরখান্ত করে। কিন্তু সভাপতির সাথে যোগসাজস করে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে রেজুলেশনে অন্যান্য কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে প্রধান শিক্ষকের বরখাস্ত প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর থেকে সে দূর্নীতিতে আরো মরিয়া হয়ে উঠে। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক আ. গনি মিয়া এলাকায় প্রকাশিত নয় এমন একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা গোপন রেখে পূর্বের নির্ধারিত ২ পদের ২ প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে গত ২৭ আগস্ট গোপনে অফিস সহকারী কাম ক্যাটালগার এবং লাইব্রেরীয়ান পদে জেলার নাগেশ্বরী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করে তাদেরকে নিয়োগ প্রদান করে বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আ. আউয়াল, আ. মালেক, মোছা. রেজিনা খাতুন, আ. মালেক বসুনিয়া, আমিনুল ইসলাম, মাহমুদা বেগম ও আ. রহিম সরকার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ওই পদে অন্যান্য আবেদনকারী গণকে পরীক্ষার প্রবেশ পত্র দেয়া হয়নি। শুধু মাত্র যে দু’জনকে নেয়া হয়েছে তারাসহ তাদের মনোনিত প্রার্থীদের ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়েছে বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা সহ মো. তৌহিদ সরকার, মো. রাহেনুল হক, মোছা. সালমা বেগমসহ ৭ জন প্রার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে।


এ ব্যাপারে ওই প্রিিতষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ. রহিম জানান, ওই প্রধান শিক্ষক দূর্নীতির কারণে দীর্ঘ ২ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে আসে না। তার দূর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ উঠায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে ম্যানেজিং কমিটি সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে।


এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, নিয়োগের অনিয়মের ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি আমার বুঝার উপায় নেই। আমি রেজুলেশনে ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর দেখেছি।

সুন্দরগঞ্জে কাঁচা সড়কের বেহাল দশা, জন দুর্ভোগ চরমে

সুন্দরগঞ্জে কাঁচা সড়কের বেহাল দশা, জন দুর্ভোগ চরমে

admin September 04, 2018

সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের ময়েজ মিয়ার হাট থেকে কাশিম বাজার পাকা রাস্তা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি খানা খন্দে ভরপুর হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।


জানা গেছে, অত্র এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী ময়েজ মিয়ার হাট। এ হাটটি ঘিরে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কেজি স্কুল, সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সসহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। ওই কাঁচা সড়কটি শত শত মানুষের যাতাযাতের ভরসা। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।


এ ছাড়া হাটটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধান, পাট, কলা, গম, ভুট্টা ও শাক-সবজি বহনের জন্য হালকা, ভারী যানবাহন যাতাযাত করে থাকে। সড়কটি খানা খন্দে ভরপুর হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই যাতাযাতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে করে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। এদিকে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটি পাকা করণের কাজ না হওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচল করছেন। সড়কটি পাকা করণ করা হলে ওই এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত হবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।


স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান ও বদিয়ার রহমান জানান, দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি পাকা করণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সড়কটি পাকা করণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা দাখিল করা হয়েছে।

‘চেয়ার নিয়ে দ্বন্দ্বে’ ভেঙে পড়েছে মান্দা এসসি মডেল স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা

‘চেয়ার নিয়ে দ্বন্দ্বে’ ভেঙে পড়েছে মান্দা এসসি মডেল স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা

admin September 04, 2018

নওগাঁ: নওগাঁর মান্দায় ‘চেয়ার নিয়ে দ্বন্দ্বে’ গত তিন বছর থেকে একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিনে চেয়ার দখল নিয়ে নানান জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চেয়ারকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে নানান তালবাহনা করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। ওই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ’। সমস্যা সমাধান করে দ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি অভিভাবকদের।


সূত্রে জানা গেছ, ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ৫৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৮২ জন ও ছাত্রী ২৮১ জন। ভোকেশনাল পর্যায়ে ৯ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রায় ১২২ জন। কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ জন। কলেজ শাখা এখনও জাতীয়করণ হয়নি। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকের পদসংখ্যা ২০ জনের বিপরীতে আছে ১৭ জন, ভোকেশনাল পর্যায়ে শিক্ষকের পদসংখ্যা ১৮ জনের বিপরীতে আছে ১৬ এবং কলেজ শাখায় শিক্ষক আছে ৮ জন।


জানা গেছে, গত ২০১৪ সালের অক্টোবরে প্রধান শিক্ষক ও ডিসেম্বরে সহকারি প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহণ করেন। পরিপত্র অনুযায়ী একই সালের ৩১ ডিসেম্বরে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে অত্র প্রতিষ্ঠানের বিদ্যালয় শাখার সিনিয়র শিক্ষক সমরেশ মজুমদারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে ১৪/০৭/২০১৫ ইং তারিখে তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যহতি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে বিদ্যালয় শাখার দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ গোলাম মোস্তফা মোহা: নুরুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।


পরবর্তীতে ৩০/০৯/২০১৫ ইং তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে আবারও দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ গোলাম মোস্তফা মোহা: নুরুজ্জামানকে অপসারণ করা হয়। ওই তারিখে কারিগরি শাখার তিনজন জ্যেষ্ঠকে বাদ দিয়ে জুনিয়র ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো: রোস্তম আলীকে ভারপ্রাপ্ত (অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক) এর দায়িত্বভার অর্পন করা হয়। এতেই শুরু হয় নানান জটিলতা। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজসে পরিপত্র পরিপন্থীর নিয়ম বর্হিভ‚ত ভাবে জুনিয়রকে দায়িত্বভার অর্পন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


গত ১৯/০১/২০১৬ ইং তারিখে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড থেকে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি পত্র প্রেরণ করা হয়। সেখানে সমরেশ মজুমদারের অব্যহতি পরবর্তী জ্যেষ্ঠকে নিয়োগ প্রদানের জন্য বলা হয়। সে মোতাবেক কারিগরি শাখার ট্রেড ইন্সট্রাক্টর জ্যেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক মো: শাহজাহান আলী মৃধা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবিদার বলে জানা গেছে। অপরদিকে পর্যাপ্ত শিক্ষক নাই। শরীর চার্চা শিক্ষক না থাকায় নিয়মিত অ্যাসেম্বলী হয়না। মোট কথা শিক্ষক স্বল্পতা ও চেয়ার নিয়ে দ্বন্দ্বে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে।


আরও পড়ুন >> সৈয়দপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা


বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আতিকুর রহমান মিঠু বলেন, ২০১৪ সালের পর প্রতিষ্ঠানটি অভিভাবকহীন ভাবে চলছিল। দুইটি অ্যাডহক কমিটির পর বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ কিমিটি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অস্থিতিশীল পরিবেশ, দলীয় কোন্দলসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে এ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ থেকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।


সহকারি শিক্ষক মো. শাহজাহান আলী মৃধা বলেন, বিষয়টি নিয়ে বারবার সভাপতিকে অবহিত করলেও তিনি কোনরুপ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বিধি বর্হিভ‚ত ভাবে তিনি জুনিয়রকে ভারপ্রাপ্ত (অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক) এর দায়িত্ব দিয়েছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।


প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত (অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক) মো. রোস্তম আলী বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানটি অদ্যবধি সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আসছে তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। একটি কুচক্রী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্নভাবে পায়তারা করছেন। তবে নিয়মিত অ্যাসেম্বলী না হওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।


প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গৌতম কুমার মহন্ত বলেন, পরিপত্র অনুযায়ী মো. রোস্তম আলীকে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে মো. রোস্তম আলীকে যখন দায়িত্ব দেয়া হয় তখন মো. শাহজাহান আলী মৃধা অসুস্থতার কারণে ছয়মাসের ছুটিতে ছিলেন। তবে বোর্ড থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাকে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দেয়ার জন্য এ বিষয়টি তিনি কখনো আমাকে অবগত করেননি। এছাড়া দুইপদে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। তালবাহনার বিষয়টি ভিত্তিহীণ।


নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মোসলেম উদ্দিন বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শাখার কোন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব নয়, বরং মাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিও ভূক্ত কোন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে অধ্যক্ষ/ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন বলে যুক্তিযুক্ত এবং আইনসংগত। তবে প্রতিষ্ঠানের জটিলতার বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটিই সুরাহা করতে পারেন।

সৈয়দপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা

সৈয়দপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা

admin September 04, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে সেন্টপল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক ত্রিমতি বিশ্বাস টেম্পুর বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদি যৌন হয়রানীর শিকার স্কুল ছাত্রীর মা মোছা. রেশমা ই্য়াসমিন।


সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়ার সাদ্দাম মোড়ের বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা লাইফ বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত সেন্ট পল কিন্ডার গার্টেন স্কুলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক একই এলাকার ত্রিমতি বিশ্বাস টেম্পু।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ক্লাস শেষে ওই ছাত্রী কোচিং ক্লাসের জন্য স্কুল চত্ত্বরে অপেক্ষা করছিল। এসময় ওই ছাত্রীকে স্কুলের পরিচালক ত্রিমতি বিশ্বাস টেম্পু তার ব্যক্তিগত একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে পরিচালক ওই স্কুল ছাত্রীকে কাছে নিয়ে ঠোটে চুমু দেয়া ছাড়াও শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। এসময় অপর এক স্কুল ছাত্রী এসে ওই কক্ষের দরজায় কড়া নারলে স্কুলের পরিচালক ত্রিমতি বিশ্বাস টেম্পু ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে দরজা খুলে দেয়। পরে ওই স্কুল ছাত্রী পরিচালকের কক্ষ থেকে বেড়িয়ে স্কুলের শিক্ষিকা মোছা: মৌসুমী আক্তারকে ঘটনার বিষয়টি জানান। কিন্তু ওই শিক্ষিকা ঘটনার বিষয়ে চুপ থাকার জন্য বলে ওই ছাত্রীকে। পরবর্তীতে কোচিং শেষে বাড়ি ফিরে স্কুল ছাত্রী পুরো ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে।


এলাকার অনেকের মন্তব্য ইতিপূর্বেও ওই স্কুল পরিচালক ত্রিমতি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একই ধরণের অনেক ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শক্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি একের পর এক এ ধরণের অপকর্ম করেই যাচ্ছেন। আমরা এবার তার যথাযথ ও উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।


সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। স্কুল ছাত্রীর মা মোছা. রেশমা ইয়াসমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মূলত: মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য। আর এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা বা পরিচালকরা হলেন শিক্ষিত সমাজ গড়ার উদ্যোক্তা।কিন্তু যদি এই উদ্যোক্তারাই অমানুষের মত আচরণ করে তবে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা নিরাপদ নয়। আর কোন ছাত্রীকে এভাবে যৌন হয়রানীর শিকার হতে না হয় সেজন্য সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই। তিনি ত্রিমতি বিশ্বাসের শাস্তি দাবি করে বলেন, আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।


মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কল্যাণ সোসাইটির রংপুর বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন স্কুল ছাত্রীর যৌন হয়রানীর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান। শিঘ্রই ওই স্কুল পরিচালককে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অন্যথায় এ ব্যাপারে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সৈয়দপুরে বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, গোপনে দাফনের চেষ্টা

সৈয়দপুরে বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, গোপনে দাফনের চেষ্টা

admin September 04, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ গোপনে দাফন করার সময় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কয়া গোলাহাট পশ্চিম রেলওয়ে কলোনী থেকে নীলফামারীর এএসপি অশোক কুমার পালসহ সৈয়দপুর থানা পুলিশ লাশটি কাফন পরানো অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি পুলিশকে জানানোয় গোপনে লাশ দাফনে তৎপর এলাকার একটি চক্র সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রাণ নাশের ভয়ভীতি দেখিয়েছে এবং কিভাবে সাংবাদিকতা করে তা দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেছে।


জানা যায়, গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী পশ্চিম এলাকার ৯৩৯ নং ডাবল (দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট) কোয়াটারে দীর্ঘ দিন থেকে বসবাস করছেন মো: নাইম হোসেন (৬০) মাস্টার নামে একজন প্রাইভেট টিউটর। তিনি নি:সন্তান ও আয় রোজগার কম হওয়ায় তার স্ত্রী রওশন আরা ও পালিত কন্যা লিজা দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর যাবত তার শ্বশুড়ালয় সৈয়দপুর শহরের হাওয়ালদারপাড়ায় অবস্থান করছেন। ফলে তিনি একাকীই কোয়াটারে থাকেন। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন সকাল ৮ টার দিকে পাশের কোয়াটারের লোকজন পঁচা গন্ধ পেয়ে বাড়ির প্রধান গেট খোলা পেয়ে ঢু মেরে দেখেন, কোয়াটারের আঙ্গিনায় মাষ্টার চিৎ হয়ে পড়ে আছেন এবং তার শরীর থেকে দূর্গন্ধ ও পোকা বের হচ্ছে। তৎক্ষনাৎ বিষয়টি এলাকার মাতবব্বর তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরীকে জানানো হলে তাদের পরামর্শে তাড়াহুড়া করে প্রশাসনকে না জানিয়েই দাফনের জন্য গোশল করানো ও কাফন পড়িয়ে খাটিয়ায় করে জানাযার ব্যবস্থা করা হয়। এসময় খবর পেয়ে হঠাৎ নীলফামারীর এএসপি (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পালসহ সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা, তদন্ত ইনচার্জ তাজ উদ্দিন আহমেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরতহাল তদন্ত করেন। এসময় লাশের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ও সদর দরজা খোলা থাকার তথ্য পেয়ে সন্দেহ করেন যে বৃদ্ধের মৃত্যু হত্যা না নিছক দূর্ঘটনাজনিত স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন করা যাবেনা। তাই তারা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করা হয়।



[সৈয়দপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা]


এ ব্যাপারে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী জানান, নাইম মাস্টার অত্যন্ত সৎ ও নিরীহ লোক ছিলেন। সম্ভবত গত শনিবার রাতে লেট্রিনে যাওয়ার সময় তিনি পড়ে গিয়ে আহত বা তাৎক্ষনিক মারা গেছেন। কারণ শনিবারের পর কেউ তাকে দেখেনি। কিন্তু দু:খজনক যে আমরা ব্যাপারটি টের পাইনি। এখন জানতে পেরে তার সৎকারের উদ্যোগ নিয়েছি। এদিকে একটি সূত্র নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, ওই এলাকার রেলওয়ে কোয়াটার ও জমি দখলবাজ একটি চক্র বৃদ্ধের মৃত্যুর বিষয়টি লোকজনকে না জানিয়ে গোপনে লাশ দাফন করে কোয়াটারটি দখলের অপচেষ্টায় আছে। এ কারণে প্রশাসনকেও জানানো হয়নি। কিন্তু সাংবাদিক খবরটি পুলিশকে দিয়ে তাদের চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছেন। এজন্য তারা সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত।


সূত্রটি আরও জানায়, ওই চক্রটি গোলাহাট রেলওয়ে কলোনীসহ আশাপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রেলওয়ের কোয়াটার ও ফাঁকা জায়গা দখল, ক্রয়-বিক্রয়ের হোতা হিসেবে পরিচিত। তারা এর পাশাপাশি এলাকায় জুয়া ও মাদকের কারবারও পরিচালনা করে থাকে। এলাকাসহ সৈয়দপুর শহরের কেউই তাদের বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নেয়নি। এক ধরণের রাজত্ব বিরাজ করছে এখানে তাদের। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের লোকজন তাদের হাতে জিম্মি।


এ ব্যাপারে সাংবাদিক শাহজাহান আলীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমি দায়িত্ব মনে করে আমার সহকর্মীদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তাদের কেউ হয়তো পুলিশকে জানিয়েছেন। কিন্তু মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও তার সাঙ্গপাঙ্গ ইতু আহমেদসহ কয়েকজন আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর পুলিশকে খবর দেয়ার জন্য আমাকে সন্দেহ করেন। এজন্য তারা নাকি আমাকে সাংবাদিকতা শিখিয়ে দিবেন বা দেখা পেলে লাঞ্চিত করবেন বলে শুনেছি। কিন্তু তারা এখনও আমাকে সরাসরি কিছু বলেনি। তবে বিষয়টি মৌখিকভাবে এএসপি কে জানিয়েছি। এএসপি (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, লাশ আমরা ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে ঘটনাটি হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু।

পঞ্চগড়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

পঞ্চগড়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

admin September 03, 2018

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদায় এক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলার বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। পরে তারা স্থানীয় সাংসদ এবং বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দাখিল করেছেন।


জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজুর বোদা থানাপাড়া এলাকার বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায় শিক্ষার্থী। সেখানে কেউ না থাকায় ছাত্রীটি চলে আসতে চাইলে শিক্ষক ছাত্রীটিকে জোর করে যৌন হয়রানি করে। পরে সে বের হয়ে বাসায় গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। এ ঘটনায় অভিভাবকেরা তাকে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুলের কাছে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন এবং একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয় সাংসদ এবং বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেন ছাত্রীটির পরিবার।


শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কিছুই করিনি। আপনারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন।’ এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল বলেন, ‘স্কুলছাত্রীর অভিভাবকের কাছ থেকে কোনও ধরনের অভিযোগ পাইনি।’ এরপর তিনি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আর কোনও কথা বলতে রাজি হননি।


অভিযোগ দায়ের করার বিষয়ে শিক্ষার্থীর মা জানান, ‘আমি অভিযোগ করেছি এবং অভিযোগপত্রের একটা রিসিভ কপিও রয়েছে আমার কাছে আছে। প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।’ বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা বিধান ও অশালীন আচরণকারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ডোমারে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে নিহত ১, মামলা দায়ের

ডোমারে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে নিহত ১, মামলা দায়ের

admin September 03, 2018

নীলফামারী: নীলফামারী জেলার ডোমারে কবিরাজের দেওয়া যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে নাজিমুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অপর তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রোববার (২ সেপ্টেম্বর) লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মৃত নাজিমুল ইসলাম হরিণচড়া ইউনিয়নের শেওটগাড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।


স্থানীয়রা জানান, ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে ধরনীগঞ্জ হাটের চা বিক্রেতা কবিরাজ সাইফুল ইসলাম শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে কয়েক জনের কাছে ওষুধ বিক্রি করে।


জানা গেছে, শেওটগাড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নাজিমুল ইসলাম (২২), নরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে জয়ন্ত রায় (৩০), হরিহরা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) এবং আব্দুল মান্নানের ছেলে সামসুল হক (২৫) কবিরাজ সাইফুলের ওষুধ সেবন করে। গাছ-গাছরার যৌন উত্তেজক ওষুধ খাওয়ার ঘন্টা খানেক পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।


এরপর বাড়ির লোকজন টের পেয়ে দ্রুত ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদেরকে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে নাজিমুল ইসলামের মৃত্যু হয়। অপর তিন জনের মধ্যে জয়ন্ত কুমার রায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মিজানুর রহমান ও সামসুল হক দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


এ ঘটনায় রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মৃত নাজিমুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

সিওবাজারে দুই বাসের সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু

সিওবাজারে দুই বাসের সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু

admin September 02, 2018

রংপুর: রংপুর মহানগরীর রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের সিওবাজার এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন; এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ জন। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী নুর বানু (৪৪), সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী অমিজন নেছা (৪৬), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তালুকবর্মণ এলাকার রুবেল মিয়ার স্ত্রী রোখসানা বেগম (২৪), পঞ্চগড়ের শাহিন মিয়া (১২), পঞ্চড়ের তেঁতুলিয়া থানার কনস্টেবল মামুনের স্ত্রী সুমি আখতার (২৪) এবং অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষ। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


রংপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, বগুড়া থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধাগামী বিআরটিসি একটি বাসের সঙ্গে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরগামী একটি মিনি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাস দুটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং বিআরটিসি বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়।


পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষ ও তেঁতুলিয়া থানার কনস্টেবল মামুনের স্ত্রী সুমি আখতারের মৃত্যু হয় বলে জানান সাইফুর। তিনি বলেন, দুটি বাসের চালক ও সহকারীরা পলাতক নাকি তারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তা এখনও জানা যায়নি। তাদের সন্ধান করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।


রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, বেলা পৌনে ৩টায় আহত সুমি আখতারের মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় প্রচণ্ড জখম ছিল। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৯ জনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজন বলে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শফিকুল জানিয়েছেন।


রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মুক্তারুল আলম জানান, সুমি আখতার পঞ্চড়ের তেঁতুলিয়া থানার কনস্টেবল মামুনের স্ত্রী। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে বিআরটিসি বাসে করে স্বামীর কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three