নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ
2019 Cricket World Cup ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ bangladesh Cricket World Cup ICC Cricket World Cup অস্ট্রেলিয়া আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ কিউই বাহিনী খেলাধুলা দক্ষিণ আফ্রিকা নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ ক্রিকেট২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯.২ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। ০৫ জুন (বুধবার) লন্ডনের ওভালে টসে হেরে শুরুটা দুর্দান্ত করে টাইগাররা। ওপেনিং জুটিতে শুভ সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে দলীয় ৪৫ রানে সৌম্যকে (২৫) বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি। স্কোরবোর্ডে ৬০ রান উঠতেই তামিমকে (২৪) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
তবে গত ম্যাচের মতো এবারও দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ভুল বুঝাবুঝিতে। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হোন মুশফিক। মুশি ফিরেন ১৯ রানে।
স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ২০১৯ বিশ্বকাপের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।
একই একাদশ নিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে টাইগাররা
2019 Cricket World Cup ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ bangladesh Cricket World Cup ICC Cricket World Cup অস্ট্রেলিয়া আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ কিউই বাহিনী খেলাধুলা দক্ষিণ আফ্রিকা নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ ক্রিকেটরংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর আজ ওভালে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগারবাহিনী। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে।
উইকেট ভিন্নতা থাকলেও আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের একাদশের উপর ভরসা রাখছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।
আগামীকাল দুরন্ত টাইগারদের সামনে কিউই বাহিনী
2019 Cricket World Cup ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ bangladesh Cricket World Cup ICC Cricket World Cup অস্ট্রেলিয়া আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ কিউই বাহিনী খেলাধুলা দক্ষিণ আফ্রিকা নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ ক্রিকেটরংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে লড়াইটা একেবারে সহজ ছিল না। কেননা বরাবরের মতোই শক্তিশালী দল নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শক্তিসামর্থ্যে পিছিয়ে ছিল না মাশরাফির দলও। মাঠের খেলায় নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছে টাইগাররা। প্রোটিয়াদের হারিয়ে পেয়েছে শুভসূচনাও। এখন প্রথম ম্যাচে পাওয়া এ মোমেন্টাম ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা।
এবার ২য় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে কিউইরা। সে ম্যাচে লংকানদের মাত্র ১৩৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল কিউই পেসাররা। ব্যাটে-বলে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে নিউজিল্যান্ড। উড়ন্ত সূচনা পেয়ে আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে। তাই এমন দলের বিপক্ষে আগামীকাল নিজেদের সেরাটা দেয়ার কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুপ্রেরণা নেয়ার মতো অনেক কিছুই আছে বাংলাদেশ শিবিরে। এ নিউজিল্যান্ডকেই ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত জোড়া শতকে বিপর্যয়ের মুখ থেকে ম্যাচ বের করে আনে টাইগাররা। এখন সেই ইংল্যান্ডেই আবারো কিউইদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিও এখন বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে টাইগারদের।
[bs-quote quote="‘‘আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু।’’" style="default" align="left" author_name="Sakib-Mashrafi" author_job="Crickter" author_avatar="http://rangpurexpress24.com/wp-content/uploads/2019/06/sakib-mashrafi.png"][/bs-quote]
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ওপেনিংয়ে চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও সৌম্য শুরু করেছেন ঝড় তুলে। তার ৩০ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংসটিই পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য পথটা তৈরি করে দেয়। এরপর সাকিব ও মুশফিকের রেকর্ড গড়া জুটির ওপর ভর দিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর শেষ দিকে এসে ইনিংসকে পরিণতি দেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক, যা বাংলাদেশকে এনে দেয় নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
৩৩০ ডিফেন্ড করতে নেমে বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। শুরুতে উইকেট নিতে না পারলেও রান রেট আটকে চাপে রাখে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। এরপর যখনই দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপেক্ষায় তখনই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। ভালো জায়গায় বল করে সবসময় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছেন মুস্তাফিজ-সাকিব-মিরাজরা। পেয়েছেন নিয়মিত ব্রেক থ্রু। প্রায় প্রত্যেক বোলারই এ ম্যাচে অবদান রেখেছেন। সেই সঙ্গে ছিল মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব। ফিল্ডিং ও বোলিং পরিবর্তনে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে বাংলাদেশের ভাবনার বিষয় হতে পারে ফিল্ডিং। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ পড়েছে একাধিক, যা দিন শেষে হতাশার কারণ হলেও হতে পারত।
এছাড়া মিস ফিল্ডিংও হয়েছে বেশকিছু। পরের ম্যাচগুলোয় ফিল্ডিং নিয়ে তাই বাড়তি কাজ করার সুযোগ আছে। এদিকে ম্যাচ জয়ের পর এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের শান্ত থাকা জরুরি। আমরা কেবল একটি ম্যাচ জিতেছি, এখনো আটটি ম্যাচ বাকি। এখন এ জয় আমাদের টুর্নামেন্টে কোথাও নিয়ে যাবে না। তাই আমি মনে করি না, আমাদের এ মুহূর্তে রোমাঞ্চিত হওয়ার কিছু আছে। এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে।’
এ সময় নিউজিল্যান্ড ম্যাচে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ আসছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমাদের নিউজিল্যান্ড ম্যাচের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেসব পরিকল্পনার বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনে করি, আরো অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। সম্ভবত ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে অপেক্ষা করছে।’
পাশাপাশি কোনো দলকেই হালকাভাবে দেখতে রাজি নন বলে মন্তব্য করে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দলকেই বড় দল হিসেবে দেখছি এবং আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সব খেলোয়াড় যেন ফিট থাকে। যদি সবাই ফিট থাকে, সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো। প্রতি ম্যাচেই হয়তো এমন পারফরম্যান্স দেখা যাবে না। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তবে ভালো কিছু করা সম্ভব।’
সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু। এখন এ জয়ের প্রেরণা নিয়ে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ কেমন পারফরম্যান্স করে, সেটিই দেখার অপেক্ষা।
নিউজিল্যান্ডের কাছে শোচনীয় পরাজয় শ্রীলঙ্কার
2019 Cricket World Cup ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ Cricket World Cup ICC Cricket World Cup আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলাধুলা নিউজিল্যান্ড নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা হাইলাইটরংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ম্যাট হেনরি ও লকি ফার্গুসনের বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ১৩৬ রানেই শেষ লঙ্কানদের ইনিংস। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটেই ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
খুব সাধারণ লক্ষ্যে খেলতে নেমে মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো মিলেই জয় তুলে নেন। গাপটিল করেন ৫১ বলে ৭৩ রান যেখানে তিনি খেলেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কার মার। তার সঙ্গী মুনরো করেন ৪৭ বলে ৫৮। তিনি হাঁকান ৬টি চার ও একটি ছক্কা।
এর আগে দলীয় মাত্র ৪ রানেই পড়ে যায় লঙ্কার প্রথম উইকেট। হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান লাহিরু থিরিমান্নে। তার নামের পাশে তখন সেই ৪ রান। এর পর ফেরেন কুশল পেরেরা। বোল হাতে সেই হেনরি। ব্যক্তিগত ২৯ রানে ফেরেন পেরারা।
এর পর একে একে কূশল মেন্ডিস (০), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৪), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (০) ও জীবন মেন্ডিস (১) ফিরে যান। কিছুটা সময় চেষ্টা করে ফেরেন থিসারা পেরেরাও। ২৪ রানে তাকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার।
দলীয় ১১৪ রানে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফেরেন ইসুরু উদানাও। তাকে ফেরান জেমস নিশাম। ৭ রানে সুরঙ্গা লাকমলকে ফিরিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। সবশেষ লাসিথ মালিঙ্গা ফিরে গেলে লঙ্কানরা থামে ১৩৬ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওপেনার দিমুথ করুনাওরত্নে।
হেনরির তিন উইকেটের পাশাপাশি তিন উইকেট নেন ফার্গুসন। একটি করে নেন গ্রান্ডহোম, বোল্ট, নিশাম ও স্যান্টনার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৬ রানে গুটিয়ে গেল লঙ্কানরা
2019 Cricket World Cup ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ Cricket World Cup ICC Cricket World Cup আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলাধুলা নিউজিল্যান্ড নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ ক্রিকেট শ্রীলঙ্কারংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন। শনিবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে হাফসেঞ্চুরিয়ান দ্বিমুথ করুনারত্নে আগলে রাখেন একপ্রান্ত। তাকে রেখে অপরপ্রান্ত থেকে সব সঙ্গীই বিদায় নেন ২৯.২ ওভারের মধ্যে।
এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামনস। ব্যাট হাতে নেমে দলীয় ৪ রানেই লাহিরু থিরিমান্নে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন। দিমুথ করুণারত্নে ও কুশাল পেরেরা এরপর কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তবে ৪৬ রানে পেরেরা ফিরে গেলে শুরু হয় আসা যাওয়ার পালা।
দলীয় ৬০ রানের মধ্যেই আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন কুশাল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও জীবন মেন্ডিস। এরপর দিমুথ করুণারত্নের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন থিসারা পেরেরা। তবে এ দুজন ৫২ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নেন পেরেরা। তাকে অনুসরণ করেন ইসুরু উদানা।
শেষ পর্যন্ত ১৩৬ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস। করুনারত্নে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কুশাল পেরেরা (২৯) ও থিসারা পেরেরা (২৭) ছাড়া কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ম্যাট হেনরি ও লুকি ফার্গুসন তিনটি করে উইকেট নেন।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নিউজিল্যান্ড
2019 Cricket World Cup ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ Cricket World Cup ICC Cricket World Cup আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলাধুলা নিউজিল্যান্ড নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ ক্রিকেট শ্রীলঙ্কানিউজ ডেস্ক:
বিশ্বকাপের শনিবারের (০১ জুন) প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। মুখোমুখি দু দলের আইসিসি র্যাংকিংয়েও পার্থক্য বেশ স্পষ্ট। ওয়ানডে দলগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কিউইরা। অন্যদিকে লঙ্কানদের অবস্থান নবম। তাই বলাই যায় যে, শ্রীলঙ্কাকে জিততে হলে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।
ধারাবাহিকতার দিক দিয়েও নিউজিল্যান্ড এগিয়ে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয়বার সেমিফাইনাল খেলেছে দলটি। তবে গেল বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালেও খেলে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতছাড়া হয় তাদের।
এবারও দারুণ ছন্দে রয়েছে দলটি। ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসনদের নিয়ে গড়া হয়েছে শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ। সঙ্গে রস টেইলর, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলসের মতো অভিজ্ঞরা রয়েছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দাপুটে জয়সহ শেষ দশ ম্যাচের ছয়টিতেই জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ তিন ওয়ানডেতে হেরেছে তারা। আবার চলতি বছর মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে লঙ্কানরা। তবে দলে রয়েছেন থিসারা পেরেরা, লাসিথ মালিঙ্গা, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউজের মতো ক্রিকেটার। তাই প্রথম ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত শ্রীলঙ্কা।
কার্ডিফ সিটির সোফিয়া গার্ডেন্সে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, রস টেইলর, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), কলিন মুনরো, টম ব্লান্ডেল, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, জিমি নিশাম, ইশ সোধি, ম্যাট হেনরি, লুকি ফার্গুসন, টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড: দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, থিসারা পেরেরা, কুশল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস, ইসুরু উদানা, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে, আভিস্কা ফার্নান্দো, জীবন মেন্ডিস, লাহিরু থিরিমান্নে, জেফরি ভ্যান্ডারসে, নুয়ান প্রদীপ, সুরঙ্গা লাকমল।
আজ কার্ডিফে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা
2019 Cricket World Cup ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ Cricket World Cup ICC Cricket World Cup আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলাধুলা নিউজিল্যান্ড নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ ক্রিকেট শ্রীলঙ্কাঅনলাইন ডেস্ক:
শেষ চারে ছয়বার হারের পর চার বছর আগে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল তারা। সেবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ট্রফি অধরাই থেকেই যায়। আবার যখন বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে নিউজিল্যান্ড, সেই সময়েও তাদের কেউ ফেভারিট ভাবছে না। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আজ শনিবার মাঠে নামার আগে নিউজিল্যান্ড আলোচনার বাইরে থাকাটাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে।
নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার খেলাটি হবে কার্ডিফে। বাংলাদেশ সময় সাড়ে তিনটায়। কেন উইলিয়ামসন এবার ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শিরোপার কাছাকাছি যাওয়া সে দলটির মূল অংশকে নিয়ে ইংল্যান্ডে এসেছেন। গত বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড বিশ্ব র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। কিন্তু নিজের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও ভারতের কাছে হারে। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে এসে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপরা।
সাবেক নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার পেসার জেমস ফ্রাঙ্কলিনের দৃঢ় বিশ্বাস উইলিয়ামসনের দল তাদের প্রথম বিশ্বকাপটির দেখা পেতে পারে। তিনি দ্বাদশ এই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড একটা ভালো অবস্থায় আছে। কেউই আমাদের সম্পর্কে বেশি কিছু বলছে না। আমরা চিরকালের আন্ডারডগ এবং সেটা আমাদের ভালোভাবেই মানিয়েছে। এখন আমরা যদি আগামী কয়েক সপ্তাহে ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারি, তাহলে নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ জিততে পারবে।’
রস টেলর সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ভালো ফর্মে আছেন। ২০১৭ সালে তার গড় ছিল ৬০। গেল বছর এটা ছিল ৯০ এরও বেশি। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ১২ ও ১০ নম্বরে থাকা উইলিয়ামসন ও মার্টিন গাপটিল নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ের অপর দুই স্তম্ভ। ট্রেন্ট বোল্ট তাদের নজরকাড়া বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও টিম সাউদি আছেন তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য। স্পিনার ইস সোধি ও মিশেল সেন্টনার এই বোলিংয়ে বৈচিত্র্য দিয়ে থাকেন।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড ফেভারিট হিসেবেই শুরু করবে। কারণ ১৯৯৬ -এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বর্তমানে ওয়ানডে ক্রিকেট র্যাংকিংয়ে নবম স্থানে গড়িয়ে গেছে। নবনিযুক্ত অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেও ওয়ানডেতে এসেছেন প্রায় চার বছর পর। তার জন্য কাজটাও কঠিন। কেননা গত ৯টি ওয়ানডের মধ্যে আটটিতে হারা দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব তার কাঁধে।
অবশ্য দ্বীপদেশটির বিশ্বকাপ রেকর্ড ভালো। একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও লঙ্কানরা দুবার রানার্স আপ হয়েছিল। এছাড়াও একবার সেমিফাইনালে খেলেছিল। সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনা বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য একটা পথ খুঁজে নেয়। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে দলটাতে কিছুটা ভিন্ন পরিবর্তন আছে। অধিনায়ক নিজেই অনেকদিন ওয়ানডে খেলেনি। কিন্তু সে দারুণ খেলোয়াড়। এছাড়াও আছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, কুসল পেরেরা ও কুসল মেন্ডিসের মতো মেধাবিরা। দলটিতে জেতানোর মতো খেলোয়াড়ও আছে।’
জয়াবর্ধনা মনে করেন, ‘চার পাঁচটি জয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব। আমি এখনো মনে করি তাদের ভালো সুযোগ আছে।’
নিউজিল্যান্ড টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড
2019 Cricket World Cup ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ Cricket World Cup ICC Cricket World Cup new zealand new zealand cricket team new zealand cricket team 2019 Statistics and records World Cup Cricket ইংল্যান্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলাধুলা নিউজিল্যান্ড নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট টিম নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ড টিম পরিসংখ্যান পরিসংখ্যান ও রেকর্ড বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ ক্রিকেট রেকর্ড২০১৫ বিশ্বকাপ, ফাইনাল। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো নিউজিল্যান্ড আরো একবার শূন্য হাতে ফিরলো ওই অজিদের সাথে হেরে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সোনালী ট্রফি ছুঁয়ার সেরা সুযোগ হারালো ব্ল্যাকক্যাপরা। প্রথমবার যে ফাইনালে উঠেছিলা আসরের সহ আয়োজকরা। চ্যাম্পিয়ন না হয়ে সবচেয়ে বেশিবার সেমি ফাইনালে ওঠা দলের নামও নিউজিল্যান্ড। সংখ্যাটা ছয়।মাত্র দুবার গ্রুপ পর্ব বাধা পেরুতে পারেনি কিউইরা।
শুধু বিশ্বকাপ কেনো, আন্তর্জাতিক যে কোন টুর্নামেন্টেই রহস্যের নাম নিউজিল্যান্ড। বরাবরই ডার্ক হর্স হয়ে আসর শুরু করা ব্ল্যাকক্যাপদের ট্রফিটাই শুধু অধরা থেকে যায়। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের শোকেসে তাই একমাত্র অর্জন ২০০০ সালে কেনিয়ায জেতা আইসিসি নক আউট ট্রফি।
স্বপ্ন দেখেছিলেন, দলকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন একজন। তিনি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সেরা পারফরমার মার্টিন ক্রো। ১৯৯২ আসরের টুর্নামেন্ট সেরা শেষ পর্যন্ত পারেননি। পাকিস্তানের কাছে হেরে সেবার সেমিফাইনালে থেমেছিলো বিশ্বকাপ অভিযান
অথচ বিশ্বকাপের ৭৯ ম্যাচের ৪৮টিতে জয়ে সেরা তিনে জায়াগ পেয়েছে র্যাংকিংয়ের ৪ নম্বর দলটি। তবে সবমিলিয়ে ৭৫৯ মচে অর্ধেকের চেয়ে বেশি হেরেছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের শুরুর দিকে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে কিউইরা। এক জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু হবে কেন উইলিয়ামসনের দলের।
এবারের আসরের যথারীতি সমীহ জাগানো দল কিউইরা। যেখানে ভরসার প্রতীক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এ ব্যাটিং স্তম্ভের সঙ্গী দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলায় অপেক্ষায় থাকা রস টেলর।সাম্প্রতিক দারুন ফর্মে র্যাংকিংয়ের তিন নম্বরে এ ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করা মার্টিন গাপটিলকেও রাখতে হবে এই তালিকায়।
পিছিয়ে নেই নিউজিল্যান্ডের পেস অ্যাটাক। র্যাংকিংয়ে দু নম্বরে থাকা ট্রেন্ট বোল্ড, অভিজ্ঞ টিম সাউদিরা ই্ংলিশ উইকেটে ঝড় তুলতে প্রস্তুত। লোকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরিরাও গতিময়ততার প্রতীক।
আছে শক্তিশালী অল রাউন্ডার ডিপার্টমেন্ট। কলিন মানরো, জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, এমনকি মিচেল স্যান্টনার সকলেই ব্যাটে বলে পারদর্শী। নিউজিল্যান্ডের দূর্বলতার জায়গা তাই কোন নির্দিষ্ট বিভাগ নয়। অতীত আর পরিসংখ্যান।
বোলিং-হেনরি নিউজিল্যান্ডের শক্তি
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলাধুলা নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপরংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আসন্ন বিশ্বকাপে বোলিংকেই নিউজিল্যান্ডের মূল শক্তি মনে করছেন দেশটির ফাস্ট বোলার ম্যাট হেনরি। তার বিশ্বাস বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের গোপন অস্ত্র হবে শক্তিশালী বোলিং ইউনিট। যেখানে প্রত্যেক সদস্যকেই স্পষ্ট একটা ভূমিকা পালন করতে হবে।
ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৪৩ ওয়ানডেতে ৭৮ উইকেট শিকার করা হেনরি ২০১৯ নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন। রেকর্ড ভাল হওয়া সত্ত্বেও এখনো নিউজিল্যান্ড দলে নিজের স্থান পাকা করতে পারেননি হেনরি। বিশ্বকাপের সেরা একাদশে হয়তোবা জায়গা নাও পেতে পারেন। তবে দুই পেসার টিম সাউদি এবং ট্রেন্ট বোল্টের সাথে একত্রে বোলিং করাটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তিনি।
ইএসপিএনক্রিকইনফোকে তিনি বলেন, ‘এমন শক্তিশালী একটা দলের সঙ্গে যুক্ত থাকাটাই অনেক বড় কিছু। টিম এবং ট্রেন্টের বোলিং জুটি নিউজিল্যান্ড দলের সর্বকালের সেরা-আপনাকে এটা মানতেই হবে। আমি মনে করি এমন একটা দলের অংশ হতে পারাটা সত্যিই আনন্দের। অবশ্যই আমি নিয়মিত খেলছি না। তবে ফোকাসড থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়া ও অনুশীলনে বিশ্বাস রাখুন এবং সুযোগ পেলেই সেটা কাজে লাগান। এই দলটির শক্তি হচ্ছে বোলিং ইউনিট। এটা এককভাবে নয়, সমন্বিতভাবে। যার যার ভূমিকা স্পষ্ট। এটাই সাফল্যের কারণ।’ হেনরির মতে, তার নিজের শক্তি গতি নয়, ধারাবাহিকতা। যার প্রতি সব সময়ই তার নজর থাকে।
তিনি বলেন, ‘আমি ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটারের একজন কাঁচা গতির বোলার নই। তার চেয়ে বরং ১৩০ কিংবা ১৪০ গতিতে বল করি। ধারাবাহিকতা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে ১৪০ কিলোমিটার গতিটাকে আমি একটা মান হিসেবে রাখতে চাই। আমি মনে করি লাইন-লেন্থে ধারবাকিতার কারণেই আজ আমি এখানে।’
গত কয়েক বছরে নিউজিল্যান্ড দলের বোলিং বেশ ভাল হচ্ছে ঠিকই। তবে গত আসরের তুলনায় আসন্ন বিশ্বকাপে যে হাই স্কোরিং ম্যাচ হবে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। ইংল্যান্ডসহ অনেক দলেরই একটা ধারা হচ্ছে শেষ দিকে ব্যাটিং করে রান বাড়িয়ে নেয়া। যে কারণে ফাস্ট বোলারদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা সাধারণত শেষ দিকে ফাস্ট বোলারদের ব্যবহার করা হয়। এমন অবস্থা সামাল দেয়ার ব্যাখ্যা দেন হেনরি।
তিনি বলেন, ‘দলগুলোর ব্যাটিং এখন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। সুতরাং আপনার অবশ্যই বিকল্প আছে। তারা যদি পেস ভাল খেলে তবে পেস পরিবর্তন করা আপনার বিকল্প। ’ লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হওয়া ২৭ বছর বয়সী হেনরি আরো বলেন, তিনি মনে করেন ক্রিকেট খেলার সবচেয়ে ভাল জায়গা হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং আসন্ন বিশ্বকাপে পারফরর্ম করতে মুখিয়ে আছেন।
হেনরি বলেন, ‘যে কোন ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট এবং এ দলটির জন্য এটা একটা উত্তেজনাপূর্ণ সময়। এখন আমাদের দলের গভীরতা অনেক। একইভাবে ক্রিকেট খেলার জন্য ইংল্যান্ড একটা ভাল জায়গা।’ কার্ডিফে ১ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে নিউজিল্যান্ড।
পরখ করার প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-নিউজিল্যান্ড
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলাধুলা নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ ক্রিকেট ভারতরংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দ্বাদশ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দশটি দলই দু’টি করে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে। প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। দু’দল প্রস্তুতি ম্যাচে শেষবারের মত পরখ করে নিতে চায়। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড লড়াই।
ফেভারিটের তকমা নিয়ে বিশ্বকাপের জন্য ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রাখে যথাক্রমে ওয়ানডে র্যাংকিং-এ দ্বিতীয় ও চতুর্থস্থানে থাকা ভারত-নিউজিল্যান্ড।। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে মাত্র দু’টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ও একটি টুর্নামেন্ট হেরেছে ভারত। ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেও শিরোপা জয় করতে পারেনি। এরপর ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের কাছে এবং সর্বশেষ গেল মার্চে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারে ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঐ সিরিজ হারের পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অংশ নেয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের সকল খেলোয়াড়ই। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার ভালো সুযোগ ছিলো আইপিএল। তাই তো আইপিএল দলের খেলোয়াড়দের আস্থা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি, ‘আইপিএলে প্রত্যক খেলোয়াড়ই নিজেদের সেরা ফর্মে ছিলো। আইপিএলের কারণে দলের সবাই নিজেদের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। ইংল্যান্ডে সবাই ক্রিকেটকে উপভোগ করতে চায়।’
প্রস্তুতিমূলক ম্যাচকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রী, ‘মূল লড়াইয়ের আগে দু’টি প্রস্তুতি মূলক ম্যাচ রয়েছে। দু’টি দলই বেশ শক্তিশালী। তাই প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ দু’টিকে হালকাভাবে নেয়ার কোন কারণ নেই। দু’টি ম্যাচেই নিজেদের প্রস্তুতি ভালোভাবে সাড়তে হবে।’ ভারতের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি মূলক ম্যাচ ২৮ মে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
চলতি বছর তিনটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। সবগুলোই দেশের মাটিতে। তিন ম্যাচের সিরিজে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলেও ভারতের কাছে ৪-১ ব্যবধানে হারে কিউইরা। তবে প্রায় তিন মাস ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলছে না নিউজিল্যান্ড। সর্বশেষ গেল ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলে কিউইরা। তবে আইপিএলে নিউজিল্যান্ডের বেশ কিছু ক্রিকেটার খেলার মধ্যেই ছিলো। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, মার্টিন গাপটিলম, কলিন মুনরো ও ট্রেন্ট বোল্ট।
তবে বিশ্বকাপের মঞ্চের আবহ ভিন্ন। এখানকার কন্ডিশন ও পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই মূল লড়াইয়ে নামার আগে দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে চায় নিউজিল্যান্ড। এমনই ইঙ্গিত দিলেন দলের ওপেনার গাপটিল। তিনি বলেন, ‘আইপিএলে আমরা অনেকেই ভালো খেলেছি। কিন্তু এক সাথে খেলতে পারেনি। জাতীয় দলে সেটি সম্ভব হবে। বিশ্বকাপের আগে দু’টি প্রস্তুতিমূলক আমাদের একত্র করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমরা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই।’
আগামী ২৮ মে ব্রিস্টলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ড।