অনলাইন ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই বিজ্ঞানী ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। এছাড়া দিনটিতে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আজ সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। একই স্থানে আলাদা আলোচনার আয়োজন করবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আবদুল কাদের মিয়া ও মা ময়েজুন্নেসার চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হন।
ড. ওয়াজেদ মিয়া অনেক জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তারা গবেষণামূলক ও বিজ্ঞানবিষয়ক অনেক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকায় এবং সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ড. ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং এক মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। মৃত্যুর পর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি জানান, পীরগঞ্জে এই প্রথম সরকারিভাবে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। তার বাড়ি লালদীঘি ফতেহপুরে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, ড. ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। ড. ওয়াজেদ মিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। বিকালে ফতেহপুরে ‘জয় সদন’ চত্বরে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান হবে। ইউএনও টিএমএ মমিন বলেন, সরকারিভাবে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আমরা প্রস্তুতি সভা করেছি।