রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঢাকার অদূরে সাভার ও আশুলিয়া থেকে এক রাতে ৪ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুটি নারী ও দুটি পুরুষের লাশ। গত বুধবার রাতে সাভারের উলাইল এলাকার ভাণ্ডারির মোড়, আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ইটাখোলা, পলাশবাড়ী ও ডেন্ডাবর এলাকা থেকে ওইসব লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও এক দিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা দুই নির্মাণ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে সাভারের উলাইলের ভাণ্ডারির মোড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
অন্যদিকে রাতেই আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ইটাখোলা এলাকা ও ডেন্ডাবর এলাকার দুটি বাড়ি থেকে দুই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গত বুধবার রাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর পাল গার্মেন্টসের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আশুলিয়া থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, কীভাবে ওইসব ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. লিটন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেফটির ট্যাংক থেকে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের বয়স আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫।
জানা গেছে, বিকাল ৫ টার দিকে ওই দুই শ্রমিক সেফটিক ট্যাংকির ভিতরে সেন্টারিংয়ের বাঁশ-কাঠ খোলানোর জন্য নামে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় সেখানে অক্সিজেনের অভাবে তারা দুজনই অচেতন হয়ে যায়। ট্যাংকির ভিতর জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে পড়ে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়।।
লিটন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে দুই শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে অন্য কোন নির্মাণ শ্রমিক কিংবা ঠিকাদার না থাকায় তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার এসআই মো. আবু সাঈদ পিয়াল বলেন, দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিচয় সনাক্ত এবং মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।