রংপুর এক্সপেস: ইদুল আযহা উপলক্ষে নাড়ির টানে নিজ এলাকায় যাচ্ছে ঢাকাবাসী। কিন্তু এই যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছে প্রায় সব জায়গায়। যেন ইদ এলেই গাড়ির স্টাফদের মোক্ষম সুযোগ এসে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, ২০০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কিছুই করার নেই তাদের। বাধ্য হয়ে বাড়ি যেতেই হবে।
এদিকে আজ সোমবার ঢাকার গাবতলীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সময় কয়েক টিকিটমাস্টারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। কোন রকম ঝুট ঝামেলা ছাড়ায় যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে পারছেন কিনা তা দেখতে গাবতলীতে যান ডিএনপি কমিশনার। এসময় অতিরিক্ত বাস ভাড়ার অভিযোগ জানায় যাত্রীরা । যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগের পরে সরেজমিনে কাউন্টারে যেয়ে দেখতে পান অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বিষয়ে স্বচক্ষে দেখার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।
একযাত্রী অভিযোগ করেন, ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। কিন্তু প্রকৃত ভাড়া ভাড়া হওয়ার কথা ২৭৮ টাকা। এরপরেই টিকিট কাউন্টারে যেয়ে জিজ্ঞাসা করে বলেন, 'আমার বাড়ি আলফাডাঙ্গা আমি জানি ভাড়া ২৭৮ টাকা কিন্তু ৫০০ টাকা নিচ্ছেন কেন! এরপর টিকিট মাস্টার বলেন, বিআরটিএ চার্ট দিয়েছে স্যার। তখন ডিএমপি কমিশনার চার্ট দেখতে চান।
চার্ট দেখে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'চার্টে আছে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গা ৩৫০ টাকা, তাহলে ৫০০ টাকা কেন নিলে' এরপর টিকিট মাস্টার অজুহাত খাঁড়া করার চেষ্টা করেন । তখন ডিএনপি কমিশনার বলেন '৫০০ টাকা কেন নিলা বল। এইরকম কয়টা টিকিট কাটছো তোমরা। মেরে একাবারে হাড় গুঁড়ো করে দিবো। এই টাকা ফেরত দে। এই মাসুদ এদের সবগুলাকে বেঁধে থানায় নিয়ে যাও। এই বাসের মালিক কে। মালিকের নাম কি!' তখন টিকিটি মাস্টার বলেন, 'মালিকের নাম আশরাফ আলী' এরপর ডিএনপি কমিশনার বলেন , 'বাবা আমার বাড়ি আলফাডাঙ্গা, আমি চিনি। ভাড়া কেন বেশি নিচ্ছ। সব টাকা ফেরত দাও। আর ফেরত না নিলে আমারে জানাও। বাকি টাকা ফেরত দাও।'
পরে পুলিশ এসে ওই টিকিট মাস্টারকে থানায় নিয়ে যায়।