Showing posts with label মৃত্যুদণ্ড. Show all posts
Showing posts with label মৃত্যুদণ্ড. Show all posts
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলামকে হত্যা মামলায় নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা মো. শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদীঘি গ্রামের মৃত আলী ঘোষের ছেলে আখেরুল ইসলাম, একই গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার চুতুরপুর গ্রামের মো. সেন্টুর রাছেল তোহরুল ইসলাম টুটুল, রশিকনগর গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে আবদুল মালেক, সাহাপাড়ার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, চরভবানিপুরের কশিমুদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম, পারচৌকার রানীনগরের আবদুর রশিদের ছেলে আবদুল মাসুদ, রশিকনগরের হোসেন মণ্ডলের ছেলে সেন্টু এবং ছত্রাজিতপুরের মসলিম উদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম।


অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


মামলার বিবরণে জানা গেছে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি আখেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুলের সঙ্গে বিরোধ হয় কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামের।


এর জের ধরে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর বিকালে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের একটি আমবাগানে মনিরুল ইসলামকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।


এ ঘটনায় নিহত মনিরুলের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন ২৫ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুলসহ ১৩ জনকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।


এর পর ২০১৫ সালের ১৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এর পর ২৩ সাক্ষী সাক্ষ্য ও যুক্ততর্ক শেষে বিচারক আজ এ মামলার রায় দেন।

ব্যবসায়ী হত্যায় স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

ব্যবসায়ী হত্যায় স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ছয় বছর আগে মনির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্ত্রীসহ চার জনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।


ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মনিরের সাবেক স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার কাকলী ওরফে নিপা মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা মো. শরীফ মাতবর এবং মো. ইব্রাহীম খলিল। তাদের মধ্যে শরীফ ও খলিল পলাতক। বিচারক রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত মনিরের স্ত্রী মোছাম্মৎ হাসিনা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কাঠগড়ায় দাঁড়ানো দণ্ডিত স্বর্ণা আক্তার কাকলী ও আনোয়ার হোসেন মোল্লাকেও কাঁদতে দেখা যায়।


মামলার বিবরণে জানা যায় মনির হোসেন জমি কেনা-বেচার ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি কামরাঙ্গীর চরের বাসা থেকে বেরিয়ে তেজগাঁও যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন। পরদিন সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীর চরের মুন্সীহাটিতে নদীর তীরে তার খণ্ড বিখণ্ড লাশ পাওয়া যায়।মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে দিয়ে স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন হাসিনা বেগম। হাসিনা বেগম মামলা দায়ের করলে স্বর্ণা ও আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।


আনোয়ার তার জবানবন্দিতে বলেন স্বর্ণা একসময় যৌনকর্মী ছিলেন। মনিরের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরও তার ও শরীফের সঙ্গে স্বর্ণার সম্পর্ক ছিল। এসব কারণে মনির তালাক দিলে সেই ক্ষোভ থেকে স্বর্ণা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মনিরকে অপহরণের পর কামরাঙ্গীর চরের আশ্রাফাবাদ হুজুরপাড়া সড়কের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেওয়া হয়। হত্যার পর মাংস কাটার চাপাতি দিয়ে মনিরের লাশ সাত টুকরো করে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয় নদীর তীরে। এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঞা জানান রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৩ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three