কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার এক পুলিশ ও এক কলেজছাত্রীকে 'দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত অবস্থায়' একই রুমে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে দেড়লাখ টাকায় ঘটনার মীমাংশা করা হয় বলে জানা গেছে। যদিও ওই পুলিশ সদস্যের দাবি, ধর্মবোন হওয়ার সুবাদে তার বাসায় মাঝেমধ্যে যেতেন তিনি। ঘটনার দিন ওই এলাকায় গেলে তিনি ওঁদের বাড়িতে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে জোর করে ওই কলেজছাত্রীর রুমে ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনাটি ওই এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসীর বলছেন, কলেজছাত্রী ও ওই পুলিশ সদস্যের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিনও তারা দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত ছিল।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রাজারহাট থানার এসআই মিজানুর রহমান সদর ইউনিয়নের দুধখাওয়া মণ্ডলপাড়া গ্রামের এক কলেজ পড়ুয়া যুবতীর বাড়িতে মাঝেমধ্যে অবাধে যাতায়াত করতেন। এতে করে ওই এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। ঘটনার দিন স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীর রুমে গেলে তাকে আটকে রাখে। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসীরা ছুটে এসে ওই কক্ষ ঘিরে রাখে। পরে শতশত উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে আসতে থাকে। অনেকে মিজানুর রহমানকে চর-থাপ্পর মারতে থাকে।
জানা গিয়েছে, ঘটনা জানাজানি হলে ওই থানার অপর এক এসআই আই নুর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মীমাংশার প্রস্তাব দেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভোর রাত ৫ টার দিকে নগদ দেড়লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টির মীমাংশা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এস আই মিজানুর রহমান বলেন, ওই কলেজছাত্রী আমার ধর্মবোন হওয়ায় মাঝে মধ্যে ওঁদের বাসায় যাতায়াত করতাম। বৃহস্পতিবার রাতে একটা কাজ শেষে ওই এলাকা দিয়ে আসার পথে ওঁদের বাড়ি যাই। পরে কিছু লোক আমাকে ওই ধাক্কা দিয়ে ওর রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে আটকে রাখে।
আপোস-মীমাংশার সময় উপস্থিত ইউপিসদস্যদের মধ্যে বিপ্লব আলী জানান, রাজারহাট থানার এসআই নুর আলম তাকে বিষটি জানিয়ে ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে দেড় লাখ টাকায় বিষয়টি মীমাংশা করা হয়।
মীমাংশাকারী এস আই নুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, ওই ঘটনার আপোস মিমাংসা করতে যেয়ে রাতে ঘুমোতে পারিনি পরে কথা বলব। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে সবাই যা শুনেছে তিনিও তা শুনেছেন। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন বলেও জানান। তবে এসব বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ওই ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।