Showing posts with label ক্রিকেট বিশ্বকাপ. Show all posts
Showing posts with label ক্রিকেট বিশ্বকাপ. Show all posts
বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

admin May 31, 2019

তিহাসে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। তবে মেগা এ ইভেন্টে টাইগারদের সেরা সাফল্য ২০১৫ বিশ্বকাপে। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টারফাইনালে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টাইগাররা। এবারও তাদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে। এবার বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক:


আইসিসি বিশ্বকাপে কিভাবে এলো বাংলাদেশ?
১৯৭৫ সালে আইসিসির সদস্য ছিলনা বাংলাদেশ এবং যে কারণে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিতে পারেনি। ১৯৭৯-১৯৯৯৬ পরবর্তী পাঁচটি বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারেনি। ১৯৯৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৯৯ আসরে। তারপর থেকে প্রতিটি আসরেই খেলছে টাইগাররা। ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১১ তিন বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ টিম। ২০০৭ আসরে খেলেছে সুপার এইট পর্ব। ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছে কোয়ার্টারফাইনাল।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২০১৫ আসরে। নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২/৪। সর্বনিম্ন স্কোর ২০১১ আসরে নিজ মাঠ মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮।


ব্যক্তিগত রেকর্ড: মাহমুদুল্লাহ এবং শফিউল ইসলামের রয়েছে বিশ্বকাপ রেকর্ড:
বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রানের রেকর্ড রয়েছে মাহমুদুল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবলমাত্র মাহমুদুল্লাহরই (২টি) সেঞ্চুরি রয়েছে।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা বেলিং পারফরমেন্স শফিউল ইসলামের। ২০১১ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২১ রান ৪ উইকেট শিকার বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সেরা বোলিং নৈপুণ্য। এ ছাড়া এক ম্যাচে চার উইকেট শিকার রয়েছে মাশরাফি, সাকিব এবং রুবেল হোসেনের।


সাকিব আল হাসান: বিশ্বকাপে বাংলাদেশ টিমের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় সাকিব। বিশ্বকাপ আসরে শীর্ষ পারফরমার সিনিয়র অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচ খেলেছেন। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকার। ৪ দশমিক ৯৯ গড়ে তার মোট উইকেট ২৩টি। ব্যাট হাতে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট রান ৫৪০।


বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের আরো কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া পাঁচশ’র বেশি রান করা একমাত্র খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কাও রয়েছে মুশফিকের। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ ৯টি ক্যাচও এ তারকা ব্যাটসম্যানের। ২০১৫ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লা- মুশফিকের ১৪১ রান বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সর্বোচ্চ জুটি।


২০১৯ বিশ্বকাপ কিছু জরুরি বিষয় বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে:
ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবালের যথার্থ সঙ্গী খুঁজে নিতে হবে। প্রতিদ্বন্দিতামূলক একটা রান অতিক্রম করতে শক্তিশালী মিডল অর্ডার দরকার। টাইগার টিমের আরেকটি দুঃশ্চিন্তার বিষয় বোলিং গভীরতার অভাব। তাছাড়া অধারাবাহিকতা টিমকে ভোগাতে পারে। তবে সব কিছু ঠিকভাবে হলে টিমটি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

১০ দলের ১০ অধিনায়ক

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শুরু হওয়া ১২তম আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলবে দশটি দল। প্রতিটি দলেরই অনেক কিছু নির্ভর করবে তাদের অধিনায়কদের ওপর। এই দশ অধিনায়কের মধ্যে তিন জন মাশরাফি বিন মর্তুজা, ইয়োইন মরগান এবং জেসন হোল্ডার গত আসরেও নিজ নিজ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাকি সাত জনের অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে অভিষেক এবারই। এবারের বিশ্বকাপের অংশ নেওয়া ১০ দেশের ১০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের অতীত ওয়ানডে রেকর্ডে চোখ বুলিয়ে নেওয়া


আফগাানিস্তান দল:
অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। তিনি আফগানিস্তান দলের নতুন অধিনায়ক। গুলবাদিনের কেবলমাত্র অধিনায়ক হিসেবেই বিশ্বকাপে অভিষেক ঘটবে তা নয়, একই সাথে প্রথমবার তিনি আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচে দলের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন।


আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) তিন ফর্মেটে ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিলে আসগর আফগানের কাছ থেকে সদ্যই নেতৃত্ব পান নাইব। অতীতে নেতৃত্ব দেয়ার কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় নাইব কিভাবে নেতৃত্ব দেন এটাই দেখার বিষয়। একজন খেলোয়াড় হিসেবে ৫২ ওয়ানডেতে নাইবের আছে ৮৩০ রান এবং ৫০ উইকেট।



 

অস্ট্রেলিয়া দল:
এ্যারন ফিঞ্চ। এ্যারন ফিঞ্চের অধীনে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা আটটি ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন ফিঞ্চ। তার অধীনে এ পর্যন্ত ২৫ ওয়ানডে ম্যাচের ১৭ম্যাচে জয় পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া।


দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি বাদে বাকি আটটি জয় এসেছে এ বছর। এ বছর মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দুইটি সেঞ্চুরি এবং সমসংখ্যক হাফ-সেঞ্চুরির আগে অধিনায়ক হিসেবে বেশিরভাগ সময়ই রান খড়ায় ছিলেন ফিঞ্চ।


বাংলাদেশ
মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাশরাফি দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দল হিসেবে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনাল খেলে বাংলাদেশ।


যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দলকে ১৫ রানে পরাজিত করা। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিরেদশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় মাশরাফির দল। যেখানে শক্তিশলিী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের সবক’টিতেই হারায় টাইগাররা। তার অধীনে ৭৭ ম্যাচের ৪৪টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।


ইংল্যান্ড দল:
অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর ইয়োইন মরগানের নেতৃত্বে ৮০ ওয়ানডের মধ্যে ৫৪ ম্যাচে জয়ী হয়েছে ইংল্যান্ড।


গত বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই লজ্জাস্কর বিদায়ের পর মরগানের নেতৃত্বে ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। তার অধীনেই আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে ইংলিশরা এখন শীর্ষ দল।


শুধু তাই নয় মরগানের নেতৃত্বে এবারের বিশ্বকাপে দলটি হট ফেবারিট এবং প্রথমবারের মত মেগা এ ইভেন্টের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে।


ভারত
অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টিম ইন্ডিয়ার মেরুদণ্ড বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের ইয়োইন মরগানের ন্যায় বিরাট কোহলিও টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ভারতয়ি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর দিনকে দিন কোহিলির নেতৃত্ব গুন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে জয়ের রেকর্ড ৭৩.৮৮ শতাংশে পৌঁছেছে।


কোহলির অধীনে ভারত ৭৮ ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে ৪৯টিতে জয় পেয়েছে। ইতোপুর্বে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বিশ্ব ইভেন্টে দলের অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে কোহলির।


সে আসরে লর্ডসের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে অবশ্য হারতে হয়েছিল ভারতকে। এই প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং স্পট লাইটে থাকা খেলোয়াড়দের অন্যতম একজন এ তারকা ব্যাটসম্যান।


নিউজিল্যান্ড দল:
কেন উইলিয়ামসন। প্রথমবার বিশ্বকাপে দলের নেতৃত্ব দেয়া সাত জনের একজন কেন উইলিয়ামসন। ২০১৫ আসরের ফাইনাল খেলা দলের সদস্য ছিলেন নিউজিল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক। অধিনায়কত্বে নতুনত্ব আনা ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ছায়া তলে বেড়ে উঠেছেন উইলিয়ামসন। ব্যাটিং ও অধিনায়কত্ব উভয় বিভাগেই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। দলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদন্ড হবেন উইলিয়ামসন। অধিনায়ক হিসেবে বর্তমানে তার জয়ের হার ৫৩.৯৬ শতাংশ।


পাকিস্তান
পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। সরফরাজ আহমেদের নেতৃতত্বেই পাকিস্তান প্রথমবারের মত ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওযার গৌরব অর্জন করে।


একইভাবে এবার ৫০ ওভার বিশ্বকাপেও পাকিস্তানকে শিরোপা এনে দিতে চাইবেন তিনি। তার অধীনে ৩৯ ওয়ানডের মধ্যে ২১ ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান দল।


বিশ্বকাপে অধিনায়ক, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষক তিন ভূমিকা পালন করতে হবে সরফরাজকে।


 

 

দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ফাফ ডু প্লেসিসের অধীনে ৩০ ওয়ানডের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৫টিতে পরাজিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সফল অধিনায়কদের মধ্যে একজন ডু প্লেসিস। তার অধীনে প্রোটিয়াদের জয়ের হার ৮৩.৩৩ শতাংশ।


২০১৮ সালের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র একটি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে, জিতেছে পাঁচটি। ওয়ানডেতে গড়ে ৪৬.৫৪ রার করা এ স্টাইলিশ মিডল অর্ডার এ ব্যাটসম্যান মিডল অর্ডারে অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। এমনকি লোয়ার মিডল অর্ডারেও ব্যাটিং করতে সক্ষম তিনি।


শ্রীলংকান দল:
দিমুথ করুনারত্নে। ২০১৫ বিশ্বকাপে মার্চ মাসে নিজের সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন দিমুথ করুনারত্নে। নিরোশান ডিকবেলা, দিনেশ চান্ডিমাল, উপুল তারাঙ্গা এবং আকিলা ধনঞ্জয়ার মত কিছু নিয়মিত ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সেবা পাচ্ছেনা শ্রীলংকা।


২০১৯ বিশ্বকাপের কয়েক দিন আগে অধিনায়ক হিসেবে করুনারত্নের নাম ঘোষণা করে শ্রীলংকা ক্রিকেট। এ বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে করুনারত্নের নেতৃত্বে প্রথমবারের মত ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় করে শ্রীলংকা। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে এখনো তার অভিষেক হয়নি। রান করার টেকনিক এবং কিভাবে রান পেতে হয় একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে সেটা ভাল জানেন তিনি। তবে ১৮ গড়ে ১৭ ওয়ানডেতে তার রান মাত্র ১৯০।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ:
জেসন হোল্ডার। প্রথম দুই বিশ্বকাপ ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ আসরের শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দলটির বর্তমান অধিনায়ক শিরোপা জয়ী তৎকালীন নেতা ক্লাইভ লয়েডের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন। হোল্ডার সম্প্রতি ক্লাইভ লয়েডের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বলেছেন। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে হোল্ডার এবারের বিশ্বকাপেও লর্ডসের ফাইনালে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর আশা ব্যক্ত করেছেন।


সর্বশেষ এই লর্ডসেই বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারের টুর্নামেন্টে সর্ব কনিষ্ঠ অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন হোল্ডার। তবে নবীন-প্রবীণ এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে গড়া দল নিয়ে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতেই নজর তার। অবশ্য ২০১৪ সালের পর কোন ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত ফেব্রুয়ারীতে নিজ মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি সিরিজ ড্র করেছে। তবে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচের সবক’টিতেই বাংলাদেশের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে।

জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা

জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা

admin May 31, 2019

বেন স্টোকসের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ঘরের মাঠে ২০১৯ বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করলো ইংল্যান্ড। এদিন ইংলিশদের সামনে সেভাবে লড়াই করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। আর স্টোকসের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের আলোচিত পেসার জোফরা আর্চারের দারুণ বোলিংয়ে যেন আত্মসমর্পণই করে ডু প্লেসিসবাহিনী।


ইংল্যান্ডের দেয়া ৩১২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৯.৫ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। বেন স্টোকস, ইয়ন মরগান, জেসন রয় এবং জো রুটরা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। বোলিংয়ে অসাধারণ পারফর্ম করেন জোফরা আর্চার।


তরুণ এই পেস বোলারের গতির সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি ফাফ ডু প্লেসিস ও জেপি ডুমিনিরা। ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং ভেন দার দাসুনের জোড়া ফিফটি আফ্রিকার পরাজয় এড়াতে পারেনি। বিশ্বকাপের ১২তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাটে বলের অসাধারণ নৈপুণ্যে ১০৪ রানে জয় পায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু ফ্লেসিস। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে ১ রানে এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফিরিয়ে তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।


শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে খেলায় ফেরান জেসন রয় ও জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে তাড়া ১০৬ রান করে দলকে খেলায় ফেরান। জোড়া ফিফটির পর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন।


দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন রয়কে সাজঘরে ফেরান আন্দিল ফেহলুকাওয়ো। তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি গড়েন। তবে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি রয়েছে জেসন রয়ের।


জেসন রয়ের বিদায়ের ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন জো রুট। কাগিসো রাবাদার বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ৩১তম ফিফটি। এর আগে ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের এ টেস্ট অধিনায়ক।


১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন ইয়ন মরগান ও বেন স্টোকস। তাদের কল্যাণে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড খেলায় ফিরতে সক্ষম হয়।


চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মরগান-স্টোকস। জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। তার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।


দলীয় ২১৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন স্টোকস। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।


একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বেন স্টোকস। ইনিংস শেষ হওয়ার ১৫ বল আগে লুঙ্গি এনডিগির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৭৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন স্টোকস।


দক্ষিণ অফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লুঙ্গি এনডিগি। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদা।


৩১২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইংলিশ তরুণ জোফরা আর্চারের গতিকে বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১৪ রানে চোটাক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন হাশিম আমলা। এরপর ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ফিরলেও সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ১৩ রানে আউট হন আমলা।


দক্ষিণ আফ্রিকার এই মুসলিম ক্রিকেটারকে বাউন্সার দেন জোফরা। কপালে চোট নিয়ে মাঠ থেকে সাজঘরে ফেরেন আমলা। তার বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়েন অ্যাডাম মার্কওরাম। ১২ বলে ১১ রান করে জোফরার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মার্কওরাম।


৮ রানের ব্যবধানে জোফরাকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানে আমলা রিটায়ার্ড হার্টসহ তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।


এরপর তৃতীয় উইকেটে ভেন দার দাসুনকে সঙ্গে নিয়ে ৮৫ রানে জুটি গড়ে ধকল সামাল দেন কুইন্টন ডি কক। ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন তিনি। দলীয় ১২৯ রানে ফেরেন ডি কক। তার আগে ৭৪ বলে ৬ চার ও দুই ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডি কক।


ডি ককের বিদায়ের পর রীতিমতো উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্য্যত ছিটকে যায় তারা। শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন দাসুন। তিনি ৬১ বলে ৫০ রান করে আউট হন। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন জোফরা আর্চার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (বেন স্টোকস ৮৯, মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪, জো রুট ৫১; লুঙ্গি এনডিগি ৩/৬৬ )।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৯.৫ ওভারে ২০৭/১০ (ডি কক ৬৮, দাসুন ৫০, ফেয়ালুকাওয়ে ২৪; আর্চার ৩/২৭)। ফল: ইংল্যান্ড ১০৪ রানে জয়ী।

৩১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

৩১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। এছাড়া অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪ ও জো রুট ৫১ রান করেন। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু ফ্লেসিস।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে ১ রানে এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফিরিয়ে তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।


শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে খেলায় ফেরান জেসন রয় ও জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে তাড়া ১০৬ রান করে দলকে খেলায় ফেরান। জোড়া ফিফটির পর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন।


দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন রয়কে সাজঘরে ফেরান আন্দিল ফেহলুকাওয়ো। তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি গড়েন। তবে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি করেছেন রয়।


জেসন রয়ের বিদায়ের চার রানের ব্যবধানে ফেরেন জো রুট। কাগিসো রাবাদার বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ৩১তম ফিফটি। এর আগে ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের এ টেস্ট অধিনায়ক।


১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন ইয়ন মরগান ও স্টোকস। তাদের কল্যাণে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড খেলায় ফিরতে সক্ষম হয়।


চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মরগান-স্টোকস। জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। তার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।


দলীয় ২১৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন বেন স্টোকস। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।


একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বেন স্টোকস। ইনিংস শেষ হওয়ার ১৫ বল আগে লুঙ্গি এনডিগির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৭৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন স্টোকস। দক্ষিণ অফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লুঙ্গি এনডিগি। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদা।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ইংল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (বেন স্টোকস ৮৯, মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪, জো রুট ৫১; লুঙ্গি এনডিগি ৩/৬৬ )।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে দক্ষিণ দ. আফ্রিকা

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে দক্ষিণ দ. আফ্রিকা

admin May 30, 2019

অপেক্ষার পালা শেষ। শুরু হলো ক্রিকেট বিশ্বকাপের দামামা। যদিও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেছে আগের দিনই। ব্যাকিংহ্যাম প্যালেসের সামনে ঐতিহ্যবাহী লন্ডন মলে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি। আর মাঠের লড়াই শুরু আজ। প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি স্বাগতিক ইংল্যান্ড। আর শুরুর শুরুটা ভালো হয়েছে স্বাগতিকদের। টস জিতে নিয়েছে তারা। তবে ব্যাটিং স্বর্গে আগে বল করবে দলটি। বাংলাদেশ বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।


জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো সম্ভবত চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটি। তিন জো রুট, এরপর ইয়ন মরগান। শেষ দিকে ঝড় তুলতে আছেন জস বাটলার, বেন স্টোকসের মতো খেলোয়াড়। তাই নিঃসন্দেহে এবারের সেরা ব্যাটিং লাইন আপ তাদের। বোলিং বিভাগও দারুণ। শেষ দিকে দলে ঢুকেছেন বিস্ময় পেসার জোফরা আর্চার। স্পিন আক্রমণে আদিল রশিদ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। তবে ইনজুরির কারণে এদিন নেই দলের অন্যতম ভরসা পেসার মার্ক উড।


ব্যাটিং লাইন আপটা খারাপ নয় দক্ষিণ আফ্রিকারও। হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি যে কোন দলকে ভোগাতে পারে। এরপর অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি, জেপি ডুমিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। বোলিং বিভাগটা আরও বেশি শক্তিশালী তাদের। যদিও এদিন দলের সেরা পেসার দেল স্টেইনকে পাচ্ছে না তারা। তবে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ধারাবাহিক পেসার কাগিসো রাবাদা একাই ধসিয়ে দিতে পারেন যে কোন দলকে। এক্স ফ্যাক্টর হতে পারে ইমরান তাহিরের লেগ স্পিন।


গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই টনক নড়েছিল ইংলিশদের। এরপর থেকে গেল চার বছরে ঢেলে সাজিয়েছে ক্রিকেটকে। তার ধারাবাহিকতায় শেষ ১৯টি সিরিজের ১৫টিতেই জিতেছে তারা। বিশেষ করে ঘরের মাঠে দারুণ শক্তিশালী দলটি। কদিন আগে পাকিস্তানকে দিয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। আর এবার বিশ্বকাপ তো ঘরের মাঠেই। ভালো কিছু করতে চায় দলটি।


অন্যদিকে এবারই হয়তো প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার দল নিয়ে ততোটা হাঁকডাক নেই। আন্ডারডগ হিসেবেই মাঠে নামছে দলটি। আর নিজেদের এ আন্ডারডগ তকমাটাও পছন্দ প্রোটিয়াদের। প্রত্যাশার চাপ থেকে মুক্ত থাকার দাওয়াই হয়তো এতেই মিলবে। কে না জানে বিশ্বকাপের মঞ্চে যে বরাবরের চাপে ভেঙে পড়েছে এ দলটি। তাই তো তাদের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে চোকার্স তকমা।


ইংল্যান্ড একাদশ:


জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), বেন স্টোকস, মইন আলি, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, লিয়াম প্লাঙ্কেট।


দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ:


হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক),আইডেন মার্করাম, ফাফ দু প্লেসি (অধিনায়ক), রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, জেপি ডুমিনি, আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ইমরান তাহির।

রানী এলিজাবেথের সঙ্গে মাশরাফিসহ ১০ অধিনায়ক

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১০টি দলের অধিনায়কের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ব্রিটেনের রানী আলেকজান্দ্রা মেরি বা দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের পর্দা ওঠে।


তার আগে বিশ্বকাপের ১২তম আসরে অংশ নেয়া ১০টি দলের প্রতিনিধিত্ব করা অধিনায়কদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রানী এলিজাবেথ।পৃথিবীর বৃহত্তম রাজকীয় রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেটের রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১০টি দলের অধিনায়ক।


৩০মে থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের ১২তম আসর। উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।



প্রসঙ্গত, এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়স্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান এই ১০টি দেশ অংশ নিচ্ছে।


আর এ ১০টি দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন- ইংল্যান্ড- ইয়ন মর্গান, অস্ট্রেলিয়া-অ্যারন ফিঞ্চ, ভারত-বিরাট কোহলি, পাকিস্তান-সরফরাজ আহমেদ, বাংলাদেশ-মাশরাফি বিন মুর্তজা, দক্ষিণ আফ্রিকা-ফাফ ডু প্লেসিস, নিউজিল্যান্ড-কেন উইলিয়ামসন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জেসন হোল্ডার, শ্রীলংকা-দিমুথ করুনারত্নে, আফগানিস্তান-গুলবাদিন নায়েব।


বিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি জয়া-রাজ্জাক

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক ও অভিনেত্রী জয়া আহসান। অনুষ্ঠানে প্রতিটি দলের প্রতিনিধিদের ক্রিকেট ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেয়। ক্রিকেটা তারকা আব্দুর রাজ্জাক মাত্র ৪ বল খেলে ২২ রান করেন। অভিনেত্রী জয়া আহসান কোনো রান নিতে পারেননি।


পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিধি হিসেবে আসেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার আজহার আলী। তার সঙ্গে মঞ্চে আসেন পাকিস্তানের নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফ জায়ী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ব্রিটেনের মধ্য লন্ডনের ওয়েসমিনিস্টার শহর ও বাকিংহাম প্রসাদের মধ্যের সড়ক দ্য মলে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্টান শুরু হয়।



আগামী সাত সপ্তাহে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসজুড়ে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ওভালে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে এই বড় আয়োজন। বুধবার টিকিট পাওয়া কয়েক হাজার ক্রিকেট ভক্ত বাকিংহাম প্রসাদের সামনে আইকনিক সড়ক দ্যা মলে গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই ক্রিকেট উদযাপনে অংশ নেন।


ব্রিটেনের বিখ্যাত পত্রিকা ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু এটাকে একটা স্মরণীয় রাত হিসাবে উদযাপনের সব প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠান শুরুর সহায়তায় বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিও উপস্থিত থাকবেন।

পর্দা উঠল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের

পর্দা উঠল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল ক্রিকেট বিশ্বকাপের। ব্রিটেনের মধ্য লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার শহর ও বাকিংহাম প্রাসাদের মধ্যের সড়ক দ্য মলে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০ টায় বিশ্বকাপের জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে।


শুরুতেই প্রতিটি দলের দুজন করে প্রতিনিধিকে ডেকে নেন উপস্থাপক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন জাতীয় দলের ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া তারকা ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক। তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেন ক্রিকেটার আজহার আলী ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নারী মালালা ইউসুজাই।


বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণকারী ১০টি দলের প্রতিনিধিদের খোলা সড়কে ৬০ সেকেন্ডের মায়াবী ক্রিকেটে মুগ্ধতা ছড়ানোর সুযোগ দেয়া হয়। সেই সুযোগ সবাই লুফে নেন। টেবিল টেনিসের বলে খেলা সেই এক মিনিটের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল ইংল্যান্ড।


মজার ক্রিকেটে জয়া আহসান মাত্র একটি বলে ব্যাট লাগাতে সক্ষম হন। তবে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০৭টি উইকেট শিকার করা বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের বদৌলতে ২২ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।


বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ পিছিয়ে ছিল ভারত। কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলে এবং জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহানা আখতার মাত্র ১৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।


৬০ সেকেন্ডের মজার ক্রিকেট শেষে জনপ্রিয় অভিনেত্রী লরিন গেয়ে শোনান ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের থিম সং ‘স্ট্যান্ড বাই...’। পাশে থেকো সারা বিশ্বের ক্রিকেটানুরাগীদের ইংল্যান্ডের আহবান, পাশে থেকো। কাছে থেকো।


এরইমাঝে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটাও হাতে নিয়ে মঞ্চে রাখেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্র ফ্লিনটফ।


তার আগে দ্য মলের শেষ মাথায় লন্ডনের বিখ্যাত বাকিংহাম রাজ প্রাসাদের ১৮৪৪ কক্ষে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ১০টি দলের অধিনায়ক। তাদের মাঝে লাল-সবুজের পতাকা বহনকারী মাশরাফি মুর্তজাকে দারুণ সপ্রতিভ দেখাল।

ভারতের কাছে ৯৫ রানে হারলো বাংলাদেশ

ভারতের কাছে ৯৫ রানে হারলো বাংলাদেশ

admin May 29, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের লড়াইয়ের পরও পরাজয় এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ৩৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৯৫ রানে হেরে যায় মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটি।


ভারতের ছুড়ে দেওয়া ৩৬০ রানের বিশাল টার্গেটে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। কিন্তু দলীয় ৪৯ রানে বুমরাহ’র বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিকের গ্ল্যাভসে জমা হলে সম্পন্ন হয় সৌম্য’র ২৫ রানের ইনিংস।


সৌম্য বিদায় নেওয়ার পর ক্রিজে আসেন সাকিব। কিন্তু বুমরাহ’র করা পরের বলেই ইয়র্কারে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর তৃতীয় উইকেটে ১২০ রান যোগ করেন লিটন ও মুশফিক। অর্ধশতক তুলে নেন তারা। দলীয় ১৬৯ রানের মাথায় ৭৩ রান করে আউট হন লিটন। পরের বলেই আউট হন মিঠুন।


ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি মাহমুদুল্লাহ। ৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে সেঞ্চুরি মিস করেন মুশফিক। দলীয় ২১৬ রানে ব্যক্তিগত ৯০ রানে কুলদ্বীপ যাদবের বলে আউট হন তিনি।


মোসাদ্দেক হোসেন আউট হন পরের বলেই। ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় টাইগাররা। সম্পন্ন পর্যন্ত ২৬২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ভারতের চাহাল ও যাদব ৩টি, বুমরাহ ২টি এবং রবিন্দ্র জাদেজা ১টি উইকেট নেন।


এর আগে কার্ডিফের এই প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লোকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৫৯ রান সংগ্রহ করে ভারত।


বল হাতে বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেন ৮ ওভারে ৬২ রান খরচে নেন ২ উইকেট। সমান ২ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার সাকিবও। তবে ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৮ রান খরচ করেছেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান ৮ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ১ উইকেট নিয়েছেন পার্ট-টাইম স্পিনার সাব্বির হোসেনও।


অধিনায়ক মাশরাফি ৬ ওভারে ২৩ রান খরচে উইকেট শূন্য ছিলেন। ৬ ওভার বল করে ২৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


তবে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ বলেই হয়তো ৪ পেসারের কেউই তাদের কোটা পূরণ করেননি। এতে মূল আসরের আগে ইনজুরি শঙ্কা আছে। ফলে পেস বান্ধব পিচেও স্পিনারদের দিয়ে বেশি ওভার করেছেন মাশরাফি। এতে ভারতের রানের চাকায় বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ভারত: ৫০ ওভারে ৩৫৯/৭ (ধোনি ১১৩, রাহুল ১০৮, কোহলি ৪৭; সাকিব ২/৫৮, রুবেল, ২/৬২)।


বাংলাদেশ: ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪/১০ (মুশফিক ৯০, লিটন ৭৩, মিরাজ ২৭, সৌম্য ২৫; কুলদীপ ৩/৪৭, যুজবেন্দ্র চাহাল ৩/৫৫)।


ফল: ভারত ৯৫ রানে জয়ী।

পাকিস্তান ১৯৯২ ফিরিয়ে আনতে পারে: ওয়াকার

পাকিস্তান ১৯৯২ ফিরিয়ে আনতে পারে: ওয়াকার

admin May 29, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আরেকটি বিশ্বকাপ দাঁড়িয়ে দুয়ারে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ও সাবেক কোচ ওয়াকার ইউনুস মনে করেন, ১৯৯২-এর মতো চমক দেখিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিতে পারে সরফরাজ আহমেদের দল


১৯৯২ বিশ্বকাপে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপ জিতে চমকে দিয়েছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। এরপর ১৯৯৯-এর ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি আর কখনো। আরেকটি বিশ্বকাপ যখন দুয়ারে দাঁড়িয়ে, দলটির সাবেক কোচ ও কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুস বলছেন, এবারও ১৯৯২-এর মতো চমক দেখিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিতে পারে পাকিস্তান।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে কলামে ওয়াকার লিখেছেন, ‘২৭ বছর হয়ে গেছে পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতেছে। আমরা আন্ডারডগ ছিলাম, কেউ ভাবেনি আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারি। কিন্তু একবার ছন্দ চলে আসার পর আমরা সবকিছু জিতে নিয়েছিলাম। এটাই পাকিস্তান ক্রিকেটের সৌন্দর্য। আমার মনে হচ্ছে, এবারও একই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’


এবারের বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে বড় রান করার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ওয়াকার বলছেন, বড় রান করার মতো ব্যাটসম্যান পাকিস্তান দলে আছে, ‘পাকিস্তানের জন্য ইতিবাচক বিষয় হলো, তারা বড় রান করতে শুরু করেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই দেখা গেছে, ৩০০-এর বেশি রান করতে সক্ষম ওরা। ব্যাটসম্যানেরা সবাই খুব ভালো ফর্মে আছে, বিশেষ করে বাবর আজম ও হারিস সোহেল। এ ছাড়া ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক ও রান পেয়েছে। পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে বেশ শক্তিশালিই মনে হচ্ছে।’


তবে পাকিস্তান সম্পর্কে উদ্বেগের কথাও লুকাননি দলটির সাবেক এ কোচ, ‘ওয়াহাব রিয়াজ ও আমির ফেরায় আমাদের বোলিং শক্তিশালি হয়েছে। তবে আমার বড় দুশ্চিন্তা ফিল্ডিং নিয়ে। সুযোগ লুফে নিতে না পারলে কিংবা অতিরিক্ত ১৫-২০ রান বাঁচাতে না পারলে ভুগতে হতে পারে। ইংল্যান্ড সিরিজেও ফিল্ডাররা নিজেদের সেরা ফর্মে ছিল না। এটা তাদের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দিতে পারে।’


সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই সরফরাজ আহমেদের দল। টানা ১১ ওয়ানডে হেরে বিশ্বকাপে যাচ্ছে পাকিস্তান। ওয়াকার বলছেন, শুরুর দুটি ম্যাচই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভাগ্য ঠিক করে দিতে পারে, ‘পাকিস্তান বিশ্বকাপে যাচ্ছে আন্ডারডগ হয়ে। তাদের শুরুটা ভালো করতে হবে। প্রথম দুটো ম্যাচ হেরে গেলে সেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন হবে। শুরুটা ভালো না হলে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সিরিজের স্মৃতি ফিরে আসতে পারে। ভালো শুরু করাটা তাই জরুরি।’


৩১ মে ট্রেন্টব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে পাকিস্তান।

থিম সং ‘খেলবে টাইগার, জিতবে টাইগার’

থিম সং ‘খেলবে টাইগার, জিতবে টাইগার’

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগীতশিল্পী প্রকাশ করে থাকেন ‘থিম সং’। তবে শনিবার দুপুরে মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রকাশিত গানটি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অফিসিয়াল থিম সং।


বিশ্বকাপের আগে পুরো জাতিকে উন্মাদনার মাতাতে থিম সংয়ের বিকল্প নেই। তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় ক্রিকেট দলের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভারের উদ্যোগে ‘বুকের ভেতর আছে বিশ্বাস, খেলবে টাইগার জিতবে টাইগার’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের থিম সং।


শনিবার দুপুরে মিরপুর স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন থিম সং। অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের কেউ উপস্থিত থাকতে না পারলেও স্কাইপিতে কার্ডিফ থেকে যুক্ত হন অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা।


বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, ‘থিম সং ভালো হয়েছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ ইতিমধ্যে লাইফবয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গানটি পোস্ট করা হয়েছে।


শনিবার দুপুরের অনুষ্ঠানে বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস, প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভারের কর্মকর্তারা।


ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে ৩০ মে, চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। ১৯৯২ সালের ফরম্যাট ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবারের আসরে। ১০ দলের সবাই একে অন্যের বিপক্ষে খেলে সেরা চার দল যাবে সেমিফাইনালে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three