Showing posts with label আওয়ামী লীগ. Show all posts
Showing posts with label আওয়ামী লীগ. Show all posts
ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

admin June 07, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছ আওয়ামী লীগ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতারা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান, আমিরুল আলম মিলন প্রমুখ।


সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, মাহমুদা বেগম, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথসহ অনেকে।


প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, যুব মহিলা লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।


প্রসঙ্গত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তি কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।


কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজকদের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালে ছয় দফা উত্থাপন করেন।

একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি সাদেক কুরাইশী

admin May 30, 2019

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
দেশে যখন খাদ্য সঙ্কট, মানুষের দ্বাারে দ্বারে অভাব, খেয়ে না খেয়ে মানুষ যখন জীপন যাপন করছিলো। উচ্চশিক্ষা অর্জন যে সময় অনিশ্চিত চাওয়া ছিলো শিক্ষার্থীদের। সে সময়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের ছোট্ট জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেন তিনি। এ জেলাতেই শৈশব, কৈশর কাটিয়ে বেড়ে উঠা তাঁর। এ অঞ্চলের মানুষের সেই দুঃসমের চিত্র তাঁর মনে ছাপ ফেলে। তখনই বুকের ভেতর স্বপ্ন বুনে একটি স্বচ্ছল দিনের। যেখানে মানুষ না খেয়ে থাকবেনা আর শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেনা কোন শিক্ষার্থী।


তাঁর জন্মস্থানে তারই শৈশব ও কৈশরকাল খুঁজতে গিয়ে মিলেছে নানা অজানা তথ্য। তিনি তখন থেকেই ভাবতেন দেশ ও দেশের মানুষের জীবন মান কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে কথা? নিজের জন্মভূমিতে প্রতবেশীদের অভাব অনটন আর মানুষের জীবনের সঙ্কটময় সময় তিনি দেখেছেন খুব কাছ থেকে। মানুষের দুঃসময়ে শৈশবকাল থেকে এখন পর্যন্ত নিজেকে উজার করছেন তিনি। এমনকি নিজের টিফিনের টাকা জমিয়ে মেধাবী গরীব সহপাঠীদের লেখাপড়ার জন্য করেছেন নানা রকম সাহায্য সহযোগীতা। সে সময় থেকেই তিনি এলাকার একটি সোনার টুকরো ছেলে। যিনি ভাবেন অসহায় প্রতিবেশী, সহপাঠী আর গরীব মেহনতী মানুষদের নিয়ে। এমনই অজানা তথ্য এই প্রতিবেদককে জানাচ্ছিলেন তাঁরই একাধিক প্রতিবেশী ও সহপাঠী।


আরও জানা যায়, ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত তিনি। মানুষের সেবায় নিজেকে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত করতে প্রস্তুত তিনি। সে ইচ্ছা ও মানুষের পাশাপাশি থেকে মানুষের অধিকারে কথা বলতে করেছেন ছাত্র রাজনীতি। অনেক মেধা, শ্রম ত্যাগের বিনিময়ে তিনি আজ একজন আপাদমস্তত রাজনীতিবিদ। তাঁর রাজনীতি জীবন যাত্রা শুরু হয়ে আজও থামেনি। পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি কোনোদিন।



তিনি তার রাজনৈতিক দলকে সুসংগঠিত করেছেন। কাঙ্খিত লক্ষ্যেও নিয়েছেন প্রিয় দলকে। নজর কেড়েছেন দলের শীর্ষ নেতাসহ সভানেত্রী শেখ হাসিনারও। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি জেলা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের ছিলেন কাণ্ডারি। তিনি হলেন-ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী।


তিনি ১৯৬০ সালের ৩১ শে আগস্ট ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ইসলাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছেন। এরপর ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শ্রেণি পড়েছেন বর্তমান ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর ১৯৭৫ সালে ঠাকুরগাঁও রোডের ইসলাম নগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। এরপর ১৯৭৭ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ১৯৭৯ সালে বিএ পাস করেন মুহা. সাদেক কুরাইশী।


সরকারি কলেজে পড়াকালে ছাত্ররাজনীতি করেন। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সামরিক আইন জারির সময় গণতন্ত্রের জন্য ছাত্রদের সুসংগঠিত করে সভা, সমাবেশ মিছিলসহ বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন সংগ্রামেও লিপ্ত ছিলেন তিনি। সে সময় অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় আন্দোলনে আরও কার্যকরি হন মুহা. সাদেক কুরাইশী। আন্দোলনের পর পুনঃরায় চাকরিতে যোগদান করেন অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ। ১৯৮২-৮৩ সাল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে ১৯৮৪-৮৬ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে যুবলীগ হয়ে ওঠে গঠনমূলক ও শক্তিশালী। তার দক্ষতা ও নেতৃত্বের অগ্রগতিতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। পরে চলে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে।


১৯৯১ সালে দায়িত্ব পান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের। ১৯৯৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে দলীয় কোন্দলে দল জড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্র থেকে ভেঙ্গে দেয়া হয় কমিটি। সেই সময় ছিল দলের দুঃসময়। দলের ভার পড়ে যায় তার কাঁধে। সাদেক কুরাইশী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদে থেকে তিনি দলের কোন্দল দূর করে সুসংগঠিত করেছেন। দিনরাত শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত চষে বেড়িয়েছেন। ২০০৫ সালের দলীয় কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাদেক কুরাইশী। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।


২০১১ সালের ডিসেম্বরে জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দেন সাদেক কুরাইশীকে। নিয়োগ প্রাপ্তির পর জেলা পরিষদ সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা পাল্টিয়ে ইতিবাচকে নিয়ে এসেছেন। দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে জেলার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ম্যুরাল ও স্মৃতি ফলক স্থাপন করেছেন জেলা পরিষদ থেকে।


জেলার ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার বালিয়াডাঙ্গী মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ সম্বলিত ম্যুরাল, জাতীয় চার নেতার ছবি সম্বলিত ম্যুরাল, জেলা পরিষদ হল রুমের সামনে ৭ বীরশ্রেষ্ঠের ম্যুরাল, ডাকবাংলো হলের সামনে ও নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে নির্মাণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ম্যুরাল। এছাড়াও জেলা পরিষদের অর্থায়নে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, এডিবির উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মুহা. সাদেক কুরাইশী। বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার অনগ্রসর এলাকা চিহ্নিত করে সুপেয় পানির জন্য শতাধিক স্থানে টিউবয়েল স্থাপন করেছেন। সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধুলা কর্মকান্ডের জন্য জেলা পরিষদ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দেয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা।


সর্বশেষ ২০১৫ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে আবারো ঠাকুরগাঁওজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।


তিনি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য নির্মূলে দলীয় অবস্থান থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত দূর্গ গড়ে তুলেছেন। সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তিনি জনগণকে এক্যবদ্ধ করেছেন। সকল অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন।


উল্লেখ্য সাদেক কুরাইশী ২০০৯ সালে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ দিনের সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ পরিষদে যোগ দেন। ২০১৫ সালেও কোরিয়া ও চীনে সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়ার আমন্ত্রণ পান।


সাদেক কুরাইশীর রাজনৈতিক উত্থান কোন গল্প নয় একটি বাস্তব ইতিহাস। তাঁর নিরলস ও কঠোর পরিশ্রমে দল আজ গোছানো। ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মানুষ তাকে ভালো মানুষ হিসেবে চেনে এবং জানে। এক কথায় বলতে গেলে আ. লীগকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাণ্ডারী হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ও মানুষের নেতা মুহা. সাদেক কুরাইশী। তাই দলীয় নেতাকর্মীসহ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চাওয়া ও বিশ্বাস যে, জননেতা সাদেক কুরাইশী একদিন ভবিষ্যতে রাজনীতির আরও ভালো স্থানে গিয়ে নেতৃত্ব দেবে এবং এভাবেই মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে তাঁর সকল ভালো কাজের জন্য তিনি চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে।

কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ -রমেশ চন্দ্র সেন

কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ -রমেশ চন্দ্র সেন

admin August 28, 2018

ঠাকুরগাঁও: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, কর্মীরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ ও শক্তি। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলের যে কোন কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সেই সাথে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মীসহ দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।


[চাকরির খোঁজে এসে গণধর্ষণের শিকার যুবতী]


জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেন্টার কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আপনাদের জন্য একটা খুশির সংবাদ আছে; সেটি হলো ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষিভিত্তিক ইপিজেড হচ্ছে। আর সেটি হবে সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি চলে এসেছে ইপিজেড নির্মাণ করার জন্য। জমি অধিগ্রহণের কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। প্রায় ২শ একর জমির মধ্যে এই ইপিজেড নির্মাণ করা হবে। আর এটি হলে ঠাকুরগাঁওয়ে বেকারত্ব দুর হবে; অসংখ্য মানুষ এখানে চাকুরি করবে।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ব্যাপক পরিমাণে উন্নয়নের কাজ হয়েছে। যা আগামী ১শ বছরে কেউ করতে পারত না। এ সরকার ক্ষমতায় আসার কারণ একটাই ; তা হলো দেশের উন্নয়ন। আর সেই উন্নয়নের ধারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকায় চলমান। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দৃশ্যমান।



[জামাই-শ্বাশুড়ির পরকীয়ার পর বিয়ে, জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু]

রমেশ সেন বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। তারা দেশের ক্ষতি করার জন্য বার বার ক্ষমতায় আসতে চায়। অতীতে দেখুন তাদের আমলে বাংলাদেশের কী উন্নয়ন হয়েছে; উন্নয়ন হয়নি। উল্টো বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাট করেছে বিএনপি-জামায়াত।


গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ঠাকুরগাঁওসহ সারা দেশে ব্যাপক পরিমাণ সহিংসতা চালিয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা করা হয়েছিল প্রিজাইডিং অফিসারকে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পুরো বাংলাদেশ। আমরা সেইসব কথা ভুলে যায়নি।


বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগ ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।


আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবোধ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাইফুল রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ এ্যাপালো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াফু তপু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার পারভেজ পুলক, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান নজরুল প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ সঙ্কট তৈরি করেছে -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ সঙ্কট তৈরি করেছে -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

admin August 23, 2018

ঠাকুরগাঁও: আওয়ামাী লীগ নির্বাচনী ও রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন, গায়ের জোরে বললে হবে না-যে সংকট নেই। আলোচনার মাধ্যমে সংকট দুর করতে হবে। সংলাপের বসতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় কালে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কারাগারে ঈদের দিন খালেদা জিয়ার সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের দেখা করতে না দেয়াকে মির্জা ফখরুল সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব বলে মন্তব্য করে বলেন, বিরোধী দলকে রাস্তায় নামতে দেয়না, সভা সমাবেশের অনুমতি দেয়না। এর পরেও শান্তিপূর্ণ ভাবে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদ করে যাচ্ছে বিএনপি। এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা, সদর উপজেলা, পৌর বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।Mirza-Fakhrul-Islam-Alamgir


এরআগে আজ সকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামেন মির্জা ফখরুল। এসময় সাংবাদিদের মুখোমুখি হন তিনি। বলেন, কথা দিয়ে কথা না রেখে জনগণের সাথে প্রতারণা করা আওয়ামী লীগের চিরাচরিত স্বভাব। নির্বানে জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন হতে হবে কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্বাচন মানেই প্রহসনের নির্বাচন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আওয়ামী লীগকেই তৈরি করতে হবে। এই সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তার প্রমাণ হলো সিটি নির্বাচনগুলোতে ভোটের কারচুপির মহোৎসব। আলাপ আলোচনার মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে বিএনপি মনে করে। জনগণ ভোট দিতে না পারলে সে ভোট আর ভোট নয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র ও সাবেক সাংসদ আমজাদ হোসেন সরকার, দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক এমপি আকতারুজ্জামান মিয়া, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও পৌর প্যানেল মেয়র শাহিন আখতার শাহিন প্রমুখ।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three