Showing posts with label দুর্নীতি. Show all posts
Showing posts with label দুর্নীতি. Show all posts
'‌সরকার দেয়ছে হামাক চাল, মেম্বার-চেয়ারম্যান মারি খায়ছে'

'‌সরকার দেয়ছে হামাক চাল, মেম্বার-চেয়ারম্যান মারি খায়ছে'

admin August 18, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে চরম অনিময়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুবিধাভোগীদের কার্ড প্রতি ২০ কেজির স্থলে দেয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ কেজি চাল। মহিলা মেম্বার সহ অনেক ওয়ার্ড মেম্বার তাদের বরাদ্দকৃত কার্ড সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ না করে চালের পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে গরীব দুস্থরা চাল না পেয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও কোন ফল পাচ্ছেন না। আবার অনেকে টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল পরিবারের লোকজনের কাছে কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে।


সরেজমিনে উপজেলার খাতামধুপুর ও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান মেম্বারদের উপস্থিতিতেই কার্ডপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীর ২০ কেজির চালের পরিবর্তে ১৫ থেকে ১৬ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকেই তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলেও কেউ কর্নপাত করছেন না। খাতামধুপুর ইউনিয়নের সাধাপাড়ার বিমল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী বিনা রানী (৩৫) ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নিয়ে বের হয়ে পাশেই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে চাল ওজন করে কম পান। তার চাল হয়েছে ১৬ কেজি।‌




#সৈয়দপুরে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম #কার্ড প্রতি ২০ কেজির জায়গায় ১৫ কেজি বিতরণ #মেম্বারের কার্ড বিক্রির অভিযোগ



বটতলী বছির উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল (৪০) এসময় বলেন, তার চালও কম হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ১৪ কেজি। একই অভিযোগ করেন আরাজি পানিশালার খগেন্দ্র চন্দ্র রায় (৬৫)। তিনিও তাৎক্ষণিক চাল ওজন করে দেখেন তার চাল হয়েছে ১৬ কেজি ৩ শ’ গ্রাম। এসময় উপস্থিত সুবিধাভোগী শেফালী বেগম আক্ষেপের সাথে বলেন, সরকার দেয় হামাক গরিবের জন্য চাল, কিন্তু মেম্বার-চেয়ারম্যানরা তা মারি খায়ছে। কাহো চাল কম দেয়ছে আবার কাহো স্লীপ (কার্ড) বেচে (বিক্রি) দেয়ছে পাইকারের ঠে (কাছে)।


এদিকে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ ওয়ার্ডের মেম্বার ও জাতীয় পার্টির নেতা জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে তার বরাদ্দপ্রাপ্ত ৪০০ কার্ডই বিতরণ না করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা বলছেন, তার ওয়ার্ডের কোন সুবিধাভোগীই কোন কার্ড পায়নি। একইভাবে এই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও জাতীয় পার্টির নেত্রী জেবুন্নেসা তার প্রাপ্ত ৩৫০টি বিতরণ না করে বিক্রি করেছেন। ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশেদা বেগমও তার প্রাপ্ত ৪৬৬টি কার্ড বিক্রি করেছেন। এনিয়ে চরম তোলপাড় ও ক্ষোভ বিরাজ করছে ইউনিয়ন জুড়ে।


এ বিষয়ে খাতামধুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভাইরে কেউই ১৮ কেজির বেশি চাল দিতে পারবেনা। তবে ১৫/১৬ কেজিও দেয়া হয়নি। তারপরও কারো কম হলে সেটা মিসটেক, ইচ্ছেকৃত নয়। এমতাবস্থায় চালের কার্ড বিক্রি করে দেয়ায় প্রকৃত গরীব ও দুস্থরা সরকারের দেয়া চাল না পেয়ে অসুবিধায় পড়েছে। তাছাড়া যারা কার্ড পেয়েছে তারাও চাল কম পেয়ে মনোক্ষুন্ন হয়ে চেয়ারম্যান মেম্বার সহ সরকারের সমালোচনা করছেন। এতে জনমনে বিরুপ প্রভাব পরছে।

অবিশ্বাস আর অনাস্থা নিয়ে বেশিদিন চলা যাবে না

অবিশ্বাস আর অনাস্থা নিয়ে বেশিদিন চলা যাবে না

admin August 07, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: বছরের পর বছর মরুকরণ প্রক্রিয়ার দ্বারা সমগ্র বন যখন শুষ্ক হয়, তখন বাইরে থেকে অগ্নিসংযােগের প্রয়োজন হয় না, সামান্য দুটো শাখার ঘর্ষণেই দাবানল জ্বলে উঠে অল্প সময়ের মধ্যেই সমগ্র বন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তেমনি দশকের পর দশক ধরে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থার প্রতিটি পদে পদে দুর্নীতি, অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব, অনিয়ম চলতে চলতে কোথাও আস্থা ও বিশ্বাসের ছিটেফোঁটাও নেই।


এজন্য যে কোনো একটা ইস্যুতেই দাবানল জ্বলে ওঠে। সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর ঘটনায় তেমনি জ্বলে ওঠে ছাত্রসমাজ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা শহরের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এলো। ট্রাফিক পুলিশকে ধুয়ো ধ্বনি শুনিয়ে পুরো রাজপথের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলো ছোট ছোট ছোলমেয়েরা। এই অভাবনীয় প্রতিক্রিয়াকে কেবল একটি দুর্ঘটনায় দু’জন শিক্ষার্থীয় মৃত্যুর প্রতিবাদ হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে। বরং এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলার প্রতি আমাদের নতুনপ্রজ্যন্মর অনান্থা আর অবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।



[পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


প্রমাণ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি। তাদেরকে একটা কথাই বারবার বলতে শোনা গেছে, আগে দাবি বাস্তবায়ন হোক, তারপর আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসব। পুরো রাজধানী এক সপ্তাহের জন্য যেভাবে অচল হয়ে পড়ে, শেষ পর্যন্ত তারা যে সেই অবস্থান থেকে সরে এলো। তার বড় কারণ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।



[নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ]


এই ভোগান্থির কষ্ট বিবেচনা করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য সবমহল থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি যখন অনুরোধ করা হলো তখনই তারা স্কুলে ফিরে গেছে। কথা হচ্ছে এই অবিশ্বাস, এই অনান্থা নিয়ে রাষ্ট্র বেশিদিন চলতে পারে না।আজকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছে, কিছুদিন আগে দেখা গেছে শিক্ষকরা নেমেছিলেন। আগামীতে দেখা যাবে অভিভাবকেরা নামবেন। কোনো ইস্যু পেলে শ্রমিক, মজুর, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, চিকিৎসক, নার্স, কেউ বাদ যায় না, হয় রাস্তায় নেমে আসেন, না হয় কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে সবকিছু অচল করে দেন। এর কারণ কি?



[আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন]


আমাদের নীতি নির্ধারকদের বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। গোটা ব্যবস্থাটা এত অবিশ্বাস আর অনাস্থার উপর কোনো রকম দাঁড়িয়ে আছে যে কোনো সময় এটা ধসে পড়তে পারে, যে কোনো ক্ষুদ্র একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুষ্ক বনের ন্যায় দাবানল ছড়িয়ে পড়তে পায়ে মুহূর্তের মধ্যেই একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাত্তব্যেবন্থা প্রতিষ্ঠা না করে জোড়াতালি দিয়ে দিয়ে তৈরি ভঙ্গুর এ ব্যবস্থাকে ঠেকানোর জন্য এই দাবানলকে কতদিন ফিরিয়ে রাখা যাবে সেটাই এখন প্রশ্ন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে গ্রেপ্তার, বিক্ষোভে উত্তাল লাহোর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে গ্রেপ্তার, বিক্ষোভে উত্তাল লাহোর

admin July 14, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লন্ডনে চিকিৎসাধীন স্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেখান থেকে ফেরার পরপরই আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় ৯ টার দিকে তার মেয়েসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। তারা উভয়ই পাকিস্তানের আদালতে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। এদিকে তাদের গ্রেপ্তারের পর লাহোরে প্রবল বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। নওয়াজ শরিফের সমর্থকরা তাকে স্বাগত জানাতে লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দরে গিয়ে বিক্ষোভ করলে বিপুল পরিমাণ নেতা-কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি।


এমন এক সময় নওয়াজ শরিফকে গ্রেপ্তার করা হলো যখন পুরো পাকিস্তানে চলছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ। আগামী ২৫ জুলাই দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন থেকেই পাকিস্তানে সহিংসতা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবারও নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে একটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে পঁচাশি জন নিহত হয়। এর আগে শুক্রবারই উত্তরাঞ্চলীয় বান্নু শহরে নিহত হয় ৪ জন। মূলত নওয়াজ শরিফের দণ্ড ঘোষণার পরই পাকিস্তানে এসব নির্বাচনী সহিংসতা শুরু হয়েছে।


লাহোরে অবতরণের পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতির সময় নওয়াজ শরিফ বিবিসিকে বলেছিলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা বর্তমান সরকার বিরোধীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তবে তিনি যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনবারের এ প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য আদালত নওয়াজ শরিফকে আজীবনের জন্য রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা করে। ফলে তিনি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।


পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট গত ৬ জুলাই শুক্রবার দুর্নীতির দায়ে পাকিস্তানের আদালত নওয়াজ শরিফকে ১০ বছর, তার মেয়ে মরিয়মকে ৭ বছরের এবং মেয়ে জামাই ক্যাপ্টেন সফদরকে ১ বছরের দণ্ড দেয়। নওয়াজ শরিফ ঘোষিত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে ওই সম্পদ গোপনে সহায়তার অভিযোগ আনা হয় আদালতে। কারাদণ্ড ছাড়াও নওয়াজকে ৮০ লাখ পাউন্ড ও মরিয়মকে ২০ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা করে আদালত।

দুর্নীতির অভিযোগে কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষকে শিক্ষা অধিদপ্তরে ওএসডি

দুর্নীতির অভিযোগে কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষকে শিক্ষা অধিদপ্তরে ওএসডি

admin March 27, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.আব্দুল লতিফ মিয়াকে ঢাকার শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিজি অফিসে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অভিযোগে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তাকে ওএসডি করা হয়। অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী অংশের পক্ষে থাকা উপাধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাকেও ওএসডি করা হয়। দাবিতে আন্দোলনের তোপে রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ ২০১৮) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত এক চিঠিতে তাদের ওএসডি করে রাখার বিষয়ে জানানো হয়।
জানা যায়, অধ্যক্ষ প্রফেসর আ. লতিফ মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অভিযোগ এনে তাকে অপসারণের দাবিতে গত এক মাস থেকে তুলেছিলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। এ দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালাও ঝুলানো হয়েছিল। এ নিয়ে কলেজ অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের চলমান দাবির মুখে গত ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি তদন্ত করে। এর পরই অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ও আন্দোলনকারী অংশের পক্ষে থাকা উপাধ্যক্ষকে শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি অফিসে ওএসডি করে রাখা হল।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three