Showing posts with label ওআইসি. Show all posts
Showing posts with label ওআইসি. Show all posts

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যেন সেই দেশে অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তিনি বলেছেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ বোহিঙ্গা মুসলমানকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত হয়নি।


কারণ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন তা সৃষ্টিতে মিয়ানমার তার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। শনিবার পবিত্র মক্কা নগরীতে ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) ১৪তম সম্মেলনে এশীয় গ্রুপের পক্ষ থেকে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের এবারের শিরোনাম ‘মক্কা আল মোকাররমা শীর্ষ সম্মেলন : ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে’।




[caption id="" align="aligncenter" width="1008"]ওআইসি’র ১৪তম সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওআইসি’র ১৪তম সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।[/caption]

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিকূল অর্থনৈতিক, প্রতিবেশ ও নিরাপত্তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা রুজুর বিষয়েও সবার সহযোগিতা কামনা করেন।


তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক, প্রতিবেশ এবং নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ওআইসিকে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ওআইসির নিজস্ব সমস্যাগুলো মোকাবেলার সক্ষমতা থাকা উচিত।’


আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মাধ্যমেই জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পথ তৈরি হয়।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াকে এতদূর এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে আবেদন জানাচ্ছি এই মামলা রুজুর বিষয়ে স্বেচ্ছা তহবিল সংগ্রহ এবং কারিগরি সহযোগিতার জন্য।’


সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাই।’


সন্ত্রাস বন্ধে তিনি রিয়াদ সম্মেলনে ঘোষিত মুসলিম বিশ্বের জন্য প্রদত্ত তার ৪ দফা নীতির কথা স্মরণ করেন। যার মধ্যে রয়েছে- অস্ত্রের জোগান বন্ধ করা, সন্ত্রাসের জন্য অর্থায়ন বন্ধ করা, মুসলিম উম্মাহর মধ্যকার বিভাজন দূর করা এবং সংলাপের মাধ্যমে যে কোনো প্রকার দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধান।


ফিলিস্তিন সমস্যা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওআইসি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের ভূখণ্ড এবং সার্বভৌমত্বের অধিকার ফিরে পাওয়া, মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মর্যাদা রক্ষা এবং মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর জনগণের মধ্যে একতা ও সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে আস্থাশীল ছিল। কিন্তু ৭ দশক কেটে গেছে ফিলিস্তিনিদের সমস্যার আজও সমাধান হয়নি। আমাদের জাতি এবং সম্প্রদায়গুলো এখন পর্যন্ত দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে।’


তিনি বলেন, ‘ইসলাম একদা অন্ধকার বিশ্বে আলোকবর্তিকা নিয়ে এসেছিল। কিন্তু ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য তা আজ ভুলপথে সন্ত্রাস এবং উগ্রপন্থার নীতি নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।’


শ্রীলংকার ধর্মীয় উপাসনালয়সহ পাঁচ তারকা হোটেলে বোমা হামলা এবং নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ দুটি ঘটনাতেই শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রীলংকার সন্ত্রাসী হামলার নিন্দাও জানিয়েছি, যেখানে আমার নাতি ৮ বছরের শিশু শেখ জায়ান নিহত হয়।’


দারিদ্র্যকে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর জন্য মূলত অজ্ঞতা, দুর্যোগ এবং মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দায়ী। এই অসামঞ্জস্য দূর করতে আমাদের যৌথভাবে অ্যাকশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।’


শেখ হাসিনা এ সময় ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আইওএম (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফরম মাইগ্রেশন)-এর উপ-মহাপরিচালক পদের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থী অভিবাসন বিশেষজ্ঞ পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হককে তাদের মূল্যবান সমর্থন দেয়ার অনুরোধ জানান।


প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বকে একটি শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তোলায় তার (বঙ্গবন্ধু) দূরদর্শিতা, সহনশীলতা এবং সমমর্মিতা আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার বিকালে সৌদি আরব পৌঁছেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসিহ এবং জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এফএম বোরহান উদ্দিন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

‘রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসুন’

admin June 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
নির্যাতিত মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ভোররাতে সৌদি আরবের মক্কার সাফা প্যালেসে ইসলামি দেশগুলোর জোট ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।


অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও বাস্তুতন্ত্র নিয়ে বর্তমান বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, তা মোকাবিলায় ওআইসিকে একটি কৌশল গড়ে তোলার আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা, যাতে জোটের সদস্য দেশগুলো একে অন্যের জন্য কাজ করতে পারে। ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের বাদশাহ, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং প্রতিনিধরা অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে।


শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া এই শীর্ষ সম্মেলনে অতিথিদের স্বাগত জানান সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করলে বাদশাহ তাকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য দেন সৌদি বাদশাহ। সংস্থার মহাসচিবের বক্তব্যের পর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বক্তব্য দেন।


সম্মেলনে ওআইসির এশিয়া গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে নিপীড়িত হওয়া এবং তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।


শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত।



গত মার্চে আবুধাবিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এবং জবাবদিহি ও বিচার সম্পর্কিত প্রশ্নের বিষয়টি সামনে আনার লক্ষ্যে এই ইস্যুকে আন্তনর্জাতিক বিচার আদালতে যাওয়ার একটি পথ নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।


এ প্রক্রিয়াকে এতদূর নিয়ে আসার জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছায় তহবিল ও কারিগরি সহায়তার দিয়ে মামলাটি চালু করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আছে আবেদন করছি।’ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের প্রতি বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ তিনি তা মোকাবেলায় ওআইসির সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।


রিয়াদ সম্মেলনে নিজের দেয়া চারটি প্রস্তাব মক্কা সম্মেলনেও তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হল- অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করা, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ভেদাভেদ নিরসন, সংলাপের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল অন্ধকার জগতের আলোকবর্তিকা হিসেবে। কিন্তু অপব্যাখ্যার কারণে সন্ত্রাসবাদ ও সংঘাতের ভাবধারা হিসেবে ইসলামকে ভুলভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।’


শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘খ্রিস্টান চার্চ আক্রমণের দুঃখভোগী পরিবারের প্রতি আমরা সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়েছি, যে হামলার আমার আট বছর বয়সী নাতি শেখ জায়ানও নিহত হয়।’


ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় সাহায্য-সহযোগিতাহীন মানুষ যেভাবে হত্যাকাণ্ডে শিকার হচ্ছে সেসব অসহায় মানুষের বেদনা ও যন্ত্রণার সঙ্গেও সংহতি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ওআইসি যে লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল, তা পূরণ না হওয়ার কথাও সম্মেলনে তুলে আনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই ও বোনদের জমি ও সার্বভৌমত্বের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, উম্মাহর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা এবং মুসলিম বিশ্বের জনগণের মধ্যে একাত্মতা ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য লক্ষ্যে ওআইসির জন্য হয়েছিল। কিন্তু সাত দশক পরেও ফিলিস্তিনের সমস্যা এখনও বিদ্যমান এবং এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহ এখনও বিভক্ত।


মুসলমানদের অমর্যাদা ও দুর্ভোগের অবসানের পথ নির্দেশনা তৈরি করতে সৌদি বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে রয়েছে অর্থনীতি, বাস্তুতন্ত্র ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ। এসব মোকাবেলায় ওআইসিকে একটি বিস্তৃত কৌশল গড়ে তুলতে হবে, যার মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলো একে অন্যের জন্য কাজ করতে পারে।’


তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কৌশলগত সম্পদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এবং যুবশক্তির বেশিরভাগই রয়েছে আমাদের হাতে। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরেই সমাধান করার সমক্ষতা থাকা উচিত।’


দরিদ্রকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অসঙ্গতি মোকাবেলার জন্য যৌথ ইসলামী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওআইসি-২০২৫ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। ওআইসির ইন্সটিটিউশনগুলোকে বিশেষ করে ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের নীতিমালা ও অনুশীলনগুলোকে ওআইসির এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার ওপরও জোর দেন তিনি।


‘পণ্য বাজারজাত ও পরিষেবায় ধারণা ও উদ্ভাবন আজ ইসলামী বিশ্বের প্রয়োজন’ বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আওএম) উপ মহাপরিচালক পদে প্রার্থী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের জন্য ইসলামী দেশগুলো নেতাদের সমর্থন চান।


এর আগে ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকালে জাপান থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেন শেখ হাসিনা।


সৌদি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছাড়াও রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন প্রমুখ।


সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যায় ওমরাহ পালন করবেন শেখ হাসিনা। এরপর রোববার মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (স.) এর রওজা জিয়ারত করবেন তিনি।


সৌদি আরব সফর শেষে মদিনা থেকে জেদ্দা ফিরে সোমবার ভোরে ফিনলান্ডের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। ফিনল্যান্ড সফর শেষে ৮ জুন দেশ ফিরবেন তিনি। ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা।

চারদিনের সফরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

চারদিনের সফরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

admin June 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চারদিনের সরকারি সফরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৩১ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৫১২) বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।


এসময় বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসিহ এবং জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এফএম বোরহান উদ্দিন। বিমান বন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে মক্কা যাবেন। তিনি সন্ধ্যায় মক্কার সাফা প্রাসাদে ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।


এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাপানে চারদিনের সরকারি সফর শেষে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করেন। জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তোশিকো আবে ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাবা ফাতিমা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।


সৌদি আরব ওআইসির এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ। পবিত্র মক্কা নগরীতে শুক্রবার ও শনিরাব (১ জুন) ওআইসির ১৪তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


শেখ হাসিনা শনিবার মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। রোববার (২ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠের উদ্দেশে জেদ্দা থেকে বিমানযোগে মদিনা রওয়ানা হবেন। সন্ধ্যায় তিনি বিমানযোগে মদিনা থেকে জেদ্দা যাবেন। সোমবার (৩ জুন) স্থানীয় সময় রাত ১টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কির উদ্দেশে সৌদি আরবের জেদ্দা ত্যাগ করবেন। তিনি ওইদিন দুপুর ১ টায় (ফিনল্যান্ড সময়) হেলসিঙ্কি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছাবেন।


প্রধানমন্ত্রী গত মঙ্গলবার (২৮ মে) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জাপান অবস্থানকালে দু’দেশের মধ্যে আড়াই বিলিয়ন ডলারের (চার প্রকল্পের জন্য) একটি সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করেন। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।


এছাড়া প্রধানমন্ত্রী টোকিওতে ২৫তম নিক্কেই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অন্যতম প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী ত্রিদেশীয় সফরের উদ্দেশে ২৮ মে ঢাকা ত্যাগ করেন। তার প্রথম গন্তব্য ছিলো জাপান। পরের গন্তব্য সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড। ১২ দিনের সফর শেষে আগামী শনিরাব (৮ জুন) তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three