ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালে একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য বাংলার মানুষ যুদ্ধ করেছে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলেছে। কিন্তু আজ তারাা (আওয়ামীলীগ) সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্নভাবে বুটের তলায় পিশে দিয়ে একটি এক দলীয় শাষণ ব্যবস্থা প্রবর্তন করার সব আয়োজন তারা সম্পন্ন করেছে।
রবিবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রুহিয়া থানা কর্তক আয়োজিত এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে বর্তমানে যে সঙ্কটটা সৃষ্টি হয়েছে এ সঙ্কটটা বিএনপির নয় বরং এ সঙ্কট টা জাতির। জাতি তার সমস্ত অধিকার গুলো হারিয়ে ফেলেেেছ। একটা দম বন্ধ করা পরিবেশ, একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ। কোথাও কথা বলার কোন সুযোগ নেই, কোথাও অধিকার নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, ন্যায় বিচার নেই, ইনসাফ নেই, সোজা কথায় একটা এক নায়কতন্ত্র, একটা শ্বৈরাচার, একটা মগের মূল্লুক তৈরি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনই কল্পনাও করেনি। ফলে বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাঙ্খাগুলো পুরোপুরিভাবে ধুলিস্যাত হয়ে গেছে।
এছাড়াও কৃষকের ধানের দাম কম হওয়ার কারণ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কৃষকের কথা চিন্তা করার সময় এ সরকারের নেই। তারা শুধু চিন্তা করে তাদের পকেটভারী তারা কিভাবে করবে? তিনি বলেন শুধু তাই নয় আপনারা শ্রমিকদের দিকে তাকান শ্রমিকরা ন্যয্য মূল্য পায়না, ব্যসায়ীরা ভালোমতো ব্যবসা করতে পারেনা।
বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বাজেটে সাধারন জনগণের কোন লাভ হয়নি। শুধু জিনিস পত্রের দাম বাড়ে সাধারন মানুষের কষ্ট বেড়েছে। আমরা এর ফলে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যারা আছি তারা সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছি।
এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয় আনতে হলে সংগ্রাম করতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে মানুষটি এত এত নির্যাতন সহ্য করলো, এতো সংগ্রাম করলো সেই মানুষটি হলো বেগম খালেদা জিয়া। আজ তিনিই মিথ্যা মামলার দায়ে কারাগারে। তাকে মুক্ত করতে হবে। কারন আপনাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের জন্মই হয়েছিলো সংগ্রামের মধ্যদিয়ে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো: তৈমুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, রুহিয়া থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. আনছারুল হক সহ বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।