Showing posts with label হাইলাইট. Show all posts
Showing posts with label হাইলাইট. Show all posts
আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মহান মুক্তযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোববার। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই দলটি প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানী এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ঢাকায় কর্মসূচি শুরু হবে আজ রোববার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে।


এছাড়াও দু’দিন ব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সূর্যোদয়ের সময় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারাদেশের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং সকাল ১১টায় টুঙ্গীপাড়ায় দলের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। পরের দিন ২৪ জুন (আগামীকাল সোমবার) বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক মানুষের অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি গণতন্ত্র ও অসা¤প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারাও। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী অসা¤প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। আর অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশের গড়ার কাজ প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এ দলটিকে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভাষা, স্বাধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা অর্জনে মহোত্তম গৌরবে অভিষিক্ত আওয়ামী লীগের সাত দশকের অভিযাত্রায় শান্তি, সমৃদ্ধি ও দিন বদলের লক্ষ্যে অবিচল বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী।


ইতিহাসবিদ, লেখক ও লোক সাহিত্যিক শামসুজ্জামান খান এই দলকে মূল্যায়ন করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ‘পাকিস্তান’ নামের অবৈজ্ঞানিক এবং ভৌগোলিক ও নৃতাত্তি¡কভাবে এক উদ্ভট রাষ্ট্রের পূর্ব বাংলার বাঙালি জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে অবজ্ঞায়, অবহেলায় ও ঔপনিবেশিক কায়দায় শোষণ-পীড়ন-দমন ও ‘দাবিয়ে রাখা’র বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং গণসংগ্রামের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠা বিপুল জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের নেতা-কর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অঙ্গীকারদীপ্ত সংগ্রামী ভ‚মিকা ইতিহাস বিদিত।


বিশিষ্টজনদের মতে, দলটির বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে সফলতার নতুন পথ দেখিয়েছেন, দেশের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ শুরু করার সুবাদে বাংলাদেশের মর্যাদা আন্তর্জাতিকভাবে সৃষ্টি করেছে এবং আমরা মর্যাদাশীল জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি। পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে তা শুধু আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে বিকাশ লাভ করে।


প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ দেশে পাকিস্তানি সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে এ দলটি। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬৪-এর দাঙ্গার পর সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।


ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হলেও দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দলটির প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ২৩ জুন দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে।


২০০১ এবং পরে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর আর এক দফা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ।পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুযারী এবং ২০১৮এর ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে এ দলটি।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী শনিবার শনিবার এক বিবৃতিতে দলের গৌরবোজ্জ্বল ৭০ বছর পূর্তিতে গৃহিত কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল জেলা, উপজেলাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বায়ু দূষণ: দেশে প্রতিবছর পৌনে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু

বায়ু দূষণ: দেশে প্রতিবছর পৌনে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এশিয়ায় এ সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। আর বিশ্বজুড়ে প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যুর কারণ এই বায়ু দূষণ। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত এক সেমিনারে পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এমনটা জানিয়েছেন।


‘আসুন, বায়ু দূষণ রোধ করি’ স্লোগানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘বায়ু দূষণ ও করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ, ইকো সোসাইটিসহ ১০টি পরিবেশবাদী সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান।


তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্যাসিফিক অঞ্চলের তিনজনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু বায়ু দূষণ জনিত কারণে। প্রতি বছর এশিয়ায় মৃত্যু হয় প্রায় ২৬ লাখ মানুষের। বিশ্বে ৮ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কারণও এটি। আর শুধু বাংলাদেশেই প্রতিবছর মারা যায় প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও যে ১০ টি রোগের কারণে বাংলাদেশে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে পাঁচটিই বায়ু দূষণ জনিত রোগ।


তিনি বলেন, পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বায়ু দূষিত দেশ বাংলাদেশ, আর দিল্লির পর দূষিত শহর ঢাকা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন শহুরে জনগণ এবং শিশু, দারিদ্র্য এবং বয়স্ক নাগরিকেরা। বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবদুল মতিন বলেন, চীনের একটি নীতি ছিল যে, আগে উন্নয়ন করি পরে দূষণ সামলাবো। সরকার এমন কোনো নীতিই বাংলাদেশের জন্য নিচ্ছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে। উন্নয়ন করতে গিয়ে আমরা পরিবেশকে দূষিত করে ফেলছি। তবে চীন সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলেও আমরা পারবো না। তাই এমন নীতি হবে আমাদের জন্য আত্মঘাতী।


কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে কয়লাকে বলা হয় ‘ডার্টি ফুয়েল’। বিদেশি বিশেষজ্ঞরা গ্রাফ দিয়ে দেখিয়ে গেছেন, রামপালের ফলে যে বায়ু দূষিত হবে সেটি ঢাকা, নরসিংদীসহ কলকাতাও পৌঁছাবে। আমরা সরকারকে দেখিয়েছি যে, আমাদের দেশে কয়লা ও পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দরকার নেই। তবুও সরকার তা শুনছে না।


প্রখ্যাত কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে বাপা’র সহ সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক বলেন, পরিবেশ রক্ষার দায় সবচেয়ে বেশি সরকারের। কারণ ব্যক্তি পর্যায় থেকে সরকারের পদক্ষেপে অথবা দূষণকারী ব্যক্তি পর্যায়ের কর্মকাÐে সরকারের নির্লিপ্ততার জন্যই পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।


সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা ছিলেন না। সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহম্মদ পরিবেশ সুরক্ষায় নিজ অধিদপ্তরের নানান পদক্ষেপ তুলে ধরেন।


তিনি বলেন, পরিবেশ ও বায়ু দূষণের বিভিন্ন সোর্স আমরা চিহ্নিত করেছি এবং সেগুলোকে আইনের আওতায় এনেছি। আগে বায়ু দূষণের সবচেয়ে বড় সোর্স ছিল ইট ভাটা। এখন সেটি নেই। এখন হচ্ছে যানবাহন ও কারখানা। প্রায় ৭১ শতাংশ ইট ভাটাকে আমরা পরিবেশবান্ধব করেছি অথবা কম দূষণের তালিকায় নামিয়ে আনতে পেরেছি। দেশের ৩৩টি জেলায় এখন পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় আছে, প্রতিটি জেলায় পরিবেশ আদালত আছে। তবে এটা ঠিক যে, আমাদের আরও কাজ করার আছে।


সভায় অন্যান্যের মাঝে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। এর আগে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামানের লেখা ‘সমসাময়িক পরিবেশ ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাংলাদেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা সংসদে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৪ হাজার ৬১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও দিয়েছেন তিনি। শনিবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তালিকা দেন।


শীর্ষ ১০ ঋণ খেলাপির মধ্যে আছে- চট্টগ্রামের সামানাজ সুপার অয়েল (এক হাজার ৪৯ কোটি টাকা), গাজীপুরের গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং (৯৮৪ কোটি), ঢাকা সাভারের রিমেক্স ফুটওয়্যার (৯৭৬ কোটি), ঢাকার কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম (৮২৮ কোটি), চট্টগ্রামের মাহিন এন্টারপ্রাইজ (৮২৫ কোটি), ঢাকার রূপালী কম্পোজিট (৭৯৮ কোটি), ঢাকার ক্রিসেন্ট লেদার ওয়্যার (৭৭৬ কোটি), চট্টগ্রামের এস এ অয়েল রিফাইনারি (৭০৭ কোটি), গাজীপুরের সুপ্রভ কম্পোজিট নিট (৬১০ কোটি), গ্রামীণ শক্তি (৬০১ কোটি)। শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা আছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া ১৪ হাজার ৬১৭ জনের বড় একটি অংশ ঋণ খেলাপি, যাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।


আরেক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৯ মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ জন। সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান তার প্রশ্নে ২০০৯ সালে ঋণ খেলাপি কত ছিল ও তাদের কাছে প্রাপ্ত ঋণের পরিমাণ এবং ২০১৮ সালে ওই সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণও জানতে চেয়েছিলেন।


তবে অর্থমন্ত্রীর উত্তরে বলা হয়, ডাটা ওয্যারহাউজ না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেইজে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পূর্বের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ২০০৯ সালের ঋণের তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে লুৎফুন নেসার প্রশ্নের জবাবে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ঋণ খেলাপি ও তাদের ঋণের পরিমাণ সংসদকে জানান অর্থমন্ত্রী। এ প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে ঋণ খেলাপির সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ জন এবং তাদের কাছে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপির সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ এবং অর্থের পরিমাণ এক লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।


আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। ব্যাংক আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ করে থাকে। সংগৃহীত আমানতের উপর ব্যাংকের মাধ্যমে আমানতকারীদের সুদ দিতে হয় বলে ব্যাংকের পক্ষে বিনাসুদে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হয় না। আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে, যার পরিমাণ ২,৮০,০৬৩ (দুই লাখ আশি হাজার তেষট্টি) কোটি টাকা (সংশোধিত)। বিগত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) এ লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২,২৫,০০০ (দুই লাখ পঁচিশ হাজার) কোটি টাকা। আহরণ হয়েছে ২,০২,৩১৪.৯৪ (দুই লাখ দুই হাজার তিনশত চৌদ্দ দশমিক নয় চার) কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।


সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে গত বছরে (জানুয়ারি ২০১৮-ডিসেম্বর ২০১৮) ছয় হাজার ১৬৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে এক হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি সুদ মওকুফ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি ২০০৮টি ঋণের বিপরীতে ৪৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে। আর বাংলাদেশ ডেভোলপমেন্ট ব্যাংক কোনও সুদ মওকুফ করেনি। অন্যান্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক ৬৬টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪৩৫ কোটি ৯৬ লাখ, রূপালী ব্যাংক ২০৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ১৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক ১৪টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক ২৪৭৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১৩৮০টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংক ১৯টি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে।

দিনাজপুরের ২৯ টি ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা

দিনাজপুরের ২৯ টি ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ইটভাটার জাল আদেশ ও নথি তৈরির ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে দিনাজপুরের ২৯টি ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় এসআই আবদুল হামিদ মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল শুক্রবার রাতে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম এ কথা জানান।


জানা যায়, গত মার্চ মাসের শেষের দিকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হয়বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে যমুনা ইটভাটার কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ সমস্যার কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি লিখেছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মাইশা মনওয়ারা মিশু। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলেন। পরে জেলা প্রশাসককের নির্দেশে ভাটাটি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু পদক্ষেপ নিতে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসন দেখে লাইসেন্স না থাকলেও উচ্চ আদালতে করা রিটের মাধ্যমে যমুনা ইট ভাটাটি চলছে।


মামলা সূত্রে জানা যায়, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ইটভাটা নিয়ে শিশুর উদ্বেগের খবর তুলে ধরে রিট করে রাষ্ট্রপক্ষ। রিটের চুড়ান্ত শুনানিতে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পাওয়া একাধিক আদেশ আদালতের নজরে আনে রাষ্ট্রপক্ষ। এ সময় ২০১৭ সালের ২৫ আক্টোবরের ২২ জন ও ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বরের ২৬ জন আবেদনকারীর স্বাক্ষরিত দুটি রিট আদলতের নজরে আনা হয়। এরপর আদালত সংশ্লিষ্ট শাখার সুপারকে ডেকে রিট আবেদন ও রাষ্ট্রপক্ষের দেখানো আদেশের নথি সরবরাহের জন্য মৌখিত নির্দেশ দেন।


এছাড়াও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে ওই মামলা দুটির আদেশের নকল সংগ্রহেরও নির্দেশ দেন আদালত। পরে সংগ্রহ করা ওই মামলা দুটির আদেশের নকলের ফটোকপি যাচাই করে দেখা যায় নকলগুলো রিট শাখা থেকে সরবরাহ করা হয়নি। এতে সংশ্লিষ্টদের যে স্বাক্ষর রয়েছে তাও জাল। এ ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালত ৩১টি ইটভাটার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আদালতে হাজিররা নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিন জেলার (দিনাজপুর, রংপুর ও নীলফামারী) পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।


গত ২০ মে ওই বেঞ্চ ৩১টি ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পুলিশ সুপারদের আদেশ দেন। এছাড়াও বিষয়টি তদন্ত করে জাল আদেশ তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)নির্দেশ দেন। আগামি ২৫ জুনের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।


মামলায় যেসব ইটভাটার মালিককে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার যমুনা ব্রিকসের সত্ত্বাধিকারী হাসান শাহরিয়ার, আরবি ব্রিকসের রবিউল আলম মুন্সী, এইচবি ব্রিকসের এজেডএম রেজওয়ানুল হক, অর্নব ব্রিকসের নুর আলম ও ইব্রাহীম আলী মন্ডল, বারী ব্রিকসের ফখরুল ইসলাম শাহ, এআরবি ব্রিকসের রেজওয়ানুল হক, আরটি ব্রিকসের মো. তাশরিফুল, এসএ ব্রিকসের আমানুল্লাহ প্রামাণিক, জেএস ব্রিকসের শাহরিয়ার ইফতেখারুল আলম চৌধুরী, ফাইভ ষ্টার ব্রিকসের নজরুল ইসলাম, হক ট্রেডার্সের জিকরুল হক, মাইশা ব্রিকসের রেজাউল ইসলাম, এসপি ব্রিকসের পলাশ কুমার রায়, শফী ব্রিকসের শফিকুল ইসলাম, আজাদ ব্রিকসের আবুল কালাম আজাদ, হামিদ অ্যান্ড সন্স ব্রিকসের মোকারম হোসেন।


ফুলবাড়ী উপজেলার রহমান ব্রিকসের সত্ত্বাধিকারী এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ওরফে মিল্টন, নবী ব্রিকসের মাসুদুর রহমান চৌধুরী, এলএইচবি ব্রিকসের লোকমান হাকিম, এসবি ব্রিকসের মঞ্জুরী-ইশ-শাহাদৎ। বিরল উপজেলার এমবি ব্রিকসের মাসুদ রানা, এএম ব্রিকসের রবিউল হাসান, চিরিরবন্দর উপজেলার এনএইচ ব্রিকসের নাজমুল হুদা, আরএ ব্রিকস-১ এবং আরএ ব্রিকস-২ এর রফিকুল ইসলাম।


দিনাজপুর সদরের পিআর ব্রিকসের পলিন চন্দ্র রায়, এআর ব্রিকসের মাহফুজুল হক আনার, কাহারোল উপজেলার এএস ব্রিকসের এসএম হায়দার। নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার এনআরবি ব্রিকসের শফিকুর রহমান এবং রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কাজী ব্রিকসের কুদরতি খুদা ও আসাদুজ্জামান।

ফুলবাড়ীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

ফুলবাড়ীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

admin June 23, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের জেলে পাড়ায়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষকের বিরুদ্ধে ।


ওই এলাকার ছয়ফুর ইসলাম ও লতিফ সরকার জানান যায়, ঝালু বিশ্বাসের মেয়ে ও গাগলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পার্শ্ববর্তী হযরত আলীর বাড়িতে সুপারি কুড়াতে যায়। এ সময় কৌশলে জাবদুল হোসেন (৫০) ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে বাড়ি সংলগ্ন পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তার আর্তচিৎকারে লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হলে জাবদুল পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।


জাবদুল ওই এলাকার নাড়িয়া বাজারির ছেলে। সে পাঁচ সন্তানের জনক।


এদিকে দিনভোর স্থানীয় মাতব্বরা সালিশী বৈঠক করার পর দেনদরবারে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় বাধ্য হয়ে মামলা দায়েরের জন্য মেয়েটিকে শনিবার থানায় পাঠানো হয়।


কাশিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফছার হোসেন জানান এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এর উপযুক্ত বিচার হওয়ার দরকার। তা না হলে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাবে ।


ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে ।

কুড়িগ্রামে দিনমজুরের লাশ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য

কুড়িগ্রামে দিনমজুরের লাশ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য

admin June 23, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব-ধনিরাম মোহাম্মদপুর বাজার সংলগ্ন শ্বশুর বাড়ি থেকে এক দিনমজুরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


শনিবার গলায় প্লাস্টিকের রশি প্যাঁচানো শয়ন ঘরের একটি বাঁশের সঙ্গে বাঁধা নিহত ব্যক্তির দুই হাটু মাটিতে পড়ে থাকায় এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। নিহত দিনমজুর ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের টেপড়ির বাজার এলায়।


এলাকাবাসীর ধারনা, স্ত্রীর যন্ত্রণায় কাতর হয়ে দিনমজুর মতিয়ার রহমান আত্মহত্যার করতে পারেন অথবা তাকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে তার শুশুর বাড়ির লোকজন। এলাকাবাসী পুলিশের কাছে এর সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন।


এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, ঘটনাস্থলে থেকে দড়িতে ঝুলে থাকা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রির্পোট ও তদন্ত স্বাপেক্ষে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। পরবর্তীতে এর উপর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three