Showing posts with label অনিয়ম. Show all posts
Showing posts with label অনিয়ম. Show all posts

কুড়িগ্রামে ঘুষ না দেয়ায় যত্ন প্রকল্পে নাম না উঠার অভিযোগ!

admin May 28, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের হাতে তাদের দাবি করা টাকা না দেয়ায় যত্ন প্রকল্পের তালিকায় নাম উঠেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে যত্ন প্রকল্পের তালিকায় হতদরিদ্র পরিবারের প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের নাম দেখতে না পেয়ে এ অভিযোগ করেন।


সোমবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যাচাই বাছাই করে যত্ন প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা অনুযায়ী আর্ন্তভুক্তদের টিকেট দেয়া হয়। ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে প্রকৃত দারিদ্র মহলিারা নিজের ও শিশুর নামের টিকেট নিতে গিয়ে দেখেন তাদের নাম তালিকায় অর্ন্তুভুক্ত করা হয়নি। তালিকায় নাম না থাকায় তাদের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, শিশুদের জন্মনিবন্ধন ও টিকা কার্ডের ফটোকপিসহ জমা দেয়া কাগজপত্র ফেরত দিলে তারা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান দরিদ্র পরিবারের মহিলারা।


সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম সর্দারপাড়া ৯ নং ওয়ার্ডে গেলে দেখা যায় সেখানে অনেক মহিলা ভিড় জমিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে মুন্নি (৩২), নুর জাহান (২৩), রোসনা (৩০) জানান, আমরা সুবিধাভোগী হওয়ার জন্য যত্ন প্রকল্পে আবেদন করেছি। এসে দেখি তালিকায় আমাদের নাম নেই। যত্ন প্রকল্পের তালিকায় নাম উঠানোর জন্য আমাদের কাছে মেম্বার প্রথমে ১০ হাজার টাকা পরে ৫ হাজার টাকা চেয়েছিল। আমরা গরীব মানুষ টাকা দিতে পারিনি। তাই তালিকায় নামও নাই। আমাদের জমা দেয়া কাগজগুলো ফেরত দিলো তা নিয়েই ফিরে যাচ্ছি।



এভাবে একের পর এক বিভিন্ন বয়সের মহিলা এসে জানাতে থাকে তাদের কাহারো নাম তালিকায় নেই। যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের কারও নামই তালিকায় নেই। আর যারা মেম্বার চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়েছে শুধু তাদের নামই তালিকায় আছে।


ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নংওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ওয়ার্ডে মোট ৫৬৭ জন আবেদন করেছে। এর মধ্যে বরাদ্দ আছে ২৩৭ জনের। কার নাম আছে আর কার নাম নেই সেটা দেখতে চাইলেও যত্ন প্রকল্পের লোকজন তালিকা দেখায়নি। তাহলে কিভাবে বুঝবো কার নাম আছে আর কার নাই। টাকা নিয়ে তালিকায় নাম উঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাদের নাম উঠেনি তারাতো অপবাদ দিবেই। এটা তাদের অভ্যাস। আমি কারো কাছেই কোন টাকা নেইনি।


ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নে ২১৭৫জনকে পুষ্টি ভাতার কার্ড দেয়া হবে। এগুলো ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তালিকা করে যত্ন প্রকল্পের লোকজনকে দেয়া হয়েছে তারাই যাচাই-বাছাই করে তালিকা তৈরি করেছে। সেখানে কার নাম আছে কার নাম নেই সেটা আমার জানা নেই। তবে তালিকায় নাম উঠানোর জন্য মেম্বারদের টাকা নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্যরা টাকা নিয়েছে কি না সেটা আমার জানা নেই। নিজে টাকা নেয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।


এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, যত্ন প্রকল্পে যাতে করে মেম্বার চেয়ারম্যানগণ সুবিধাভোগীদের কাছে টাকা নিয়ে হয়রানি করতে না পারে এজন্য জেলায় যত্ন প্রকল্পের পিডিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রত্যেকটি উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে মাইকিং করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সুবিধাভোগীদের নির্দিষ্ট দিনে উপস্থিত থাকতে বলা হবে। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের উপস্থিতিতে সুবিধাভোগীদের লাইনে দাড় করিয়ে বাছাই করা হবে। আর যদি কেউ এ নিয়মের কোন ব্যাত্যয় ঘটায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ৯ টি উপজেলার মধ্যে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা ছাড়া বাকী ৭ উপজেলা ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, সদর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় নানা অনিয়মের মধ্যদিয়ে প্রথম ধাপে ইনকাম সাপোর্ট ফর দ্য পুওরেষ্ট (যত্ন) প্রকল্পের সুবিধাভোগী যাচাই-বাছাই চলছে। পরের ধাপে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলাতে যত্ন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে। এরই মধ্যে ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সুবিধাভোগীদের যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে। রোববার শুরু হয়েছে সদর উপজেলায়।


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় কর্তৃক দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মা ও শুণ্য থেকে ৫ বছরের নীচে শিশুদের দৈহিক সুস্থ্যতা ও শারীরিক বিকাশের লক্ষ্যে এ বছরের গত এপ্রিল মাসে আইএসপিপি (যত্ন) প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের উপকারভোগী একজন নারী গর্ভবর্তী হলে ৪বার চেকআপের জন্য ৪হাজার টাকা, শিশু জন্ম নেয়ার পর ২ বছর পর্যন্ত মা ও শিশু মাসিক ১হাজার ৪শ টাকা পাবেন। একাধারে তিন মাস সেশনে উপস্থিত থাকলে মা একটি বোনাস ভাতা পাবেন এবং শিশুর বয়স পাঁচ বছর হওয়া পর্যন্ত প্রতি ৩মাস পর পর ৭শ টাকা হারে ভাতা পাবেন।


ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দারা জানান, কোন ইউনিয়ন বা উপজেলাতে যত্ন প্রকল্পের নীতিমালা অনুসরক করে সুবিধাভোগী নিয়োগ করা হয়নি। সবগুলো ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তালিকা নিয়ে যত্ন প্রকল্পে নাম পাঠিয়েছে। এই সুযোগে একেকটি নামের বিপরীতে সুবিধাভোগীরে কাছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ইউপি সদস্যদের নামে। এই টাকার কিছু অংশ চেয়ারম্যানদেরকে দিয়ে নিজের তৈরি করা মনপুত তালিকা জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যানের হাতে।


তবে কোথাও মাইকিং করে লাইনে দাড় করিয়ে কোন সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হয়নি। ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগী হত দারিদ্র পরিবারের মা ও শিশুরা বাদ পড়লে টাকার বিনিময়ে তালিকায় না উঠেছে বিত্তশালী ও মধ্যবিত্তশালী পরিবারের নারী ও শিশুদের।

রৌমারীতে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

রৌমারীতে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

admin August 19, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলায় ভিজিএফ কর্মসূচির চাউল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে  ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেম্বার দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ৮৮০ মে.টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৬টি ইউনিয়নের ৪৩ হাজার নয়শত সাতানব্বই পরিবারের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও বাস্তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপিসদস্যদের নামে ভাগাভাগি করে নেওয়ার কারণে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে সরেজমিনে যাদুরচর, দাঁতভাঙ্গা, বন্দবেড়, শৌলমারী, রৌমারী ও চরশৌলমারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ভিজিএফ কর্মসূচি চাউল বিতরণের তালিকায় নাম আছে কিন্তু তারা চাউল না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এসব চাউলের নামের স্লিপ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার দলীয় নেতাকর্মীসহ একশ্রেণির দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে।
যাদুরচর ইউনিয়নের চাউল নিতে আসা ধনারচর গ্রামের হযরত আলী,আবু সমা, বাইমমারী গ্রামের শুকুর আলী, ইসরাফিল জানান, তালিকায় নাম আছে চাউলের জন্য আসছিলাম, আমাদের নামে স্লিপ বিক্রি হয়ে গেছে, ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাছে বিচার দিলাম কোন লাভ হয় নাই। খালি হাতে বাড়ীতে ঘুইড়া যাই। আমাগো গরীব মানুষের চাল বেইচা চেয়ারম্যান মেম্বার দলের নেতার্কমীর ঈদ উৎসব করবো। আমরা না খাইয়া থাকুম আল্লাহ্ কাছে একদিন গরীবের চাল খায়ার হিসাব হবে।



[কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী-পুলিশ এক রুমে আটক, দেড়লাখ টাকায় মীমাংশা]


রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাদশা মিয়া বলেন, প্রতি বস্তায় কেজি চাউল কম হয়। আমার আরো এক শ’ পঞ্চশটি নাম চাউল দেওয়া বাকী আছে চাউল আছে সাত বস্তা। ইউএনও স্যার পরিদর্শন করে দশ কেজি করে চাউল দিতে বলছে। চাউল নাই তালিকায় নাম আছে তাদের কম বেশি চাউল বিদায় করতে হবে।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক, চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মণ্ডল, বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, রৌমারী ইউপি চেয়ারম্যান (ভারঃ) লালমিয়া জানান, আমরা অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ করেছি। তালিকাভূক্ত সবাই চাউল পাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ভিজিএফ কর্মসূচির চাউল বিতরণে জন্য মিটিং করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানরা তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ করার কথা। এত নাম মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে দেখা সম্ভব না। চাউল না পাওয়ার বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের জানান। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, আমি দশ কেজি করে চাউল দিতে বলি নাই। চাউল বিতরণ করে বেশি হলে উপস্থিত লোকজনের মাঝে বিতরণ করতে বলেছি।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়া দেখা যায় শতকরা পঞ্চশ জন লোক চাল পায় নাই। চুয়াল্লিশ পরিবারে মাঝে সঠিক ভাবে চাউল বিতরণ করলে একটি গরীব মানুষ বাদ যাবেনা। চেয়ারম্যান, মেম্বার, দলীয় নেতাকর্মীরা গরীবের চাউল বিক্রয় করে ঈদের টাকা খরচের ব্যস্ত আছে। ভিজিএফ কর্মসূচির উপকাভোগীদের নামে তালিকা সঠিক ভাবে করা হয় নাই। এক পরিবারে একাধিক মানুষের নাম আছে, পাশে বাড়ী গরীব মানুষটির নাম নাই। ৬টি ইউনিয়নের একাধিক মানুষের অভিযোগ তালিকায় নাম আছে চাউল পায় নাই। ২০কেজি করে চাউল বিতরণে নিয়ম থাকালেও উপকাভোগীদের দেওয়া করা হচ্ছে ১২/১ কেজি করে চাউল।

'‌সরকার দেয়ছে হামাক চাল, মেম্বার-চেয়ারম্যান মারি খায়ছে'

'‌সরকার দেয়ছে হামাক চাল, মেম্বার-চেয়ারম্যান মারি খায়ছে'

admin August 18, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে চরম অনিময়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুবিধাভোগীদের কার্ড প্রতি ২০ কেজির স্থলে দেয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ কেজি চাল। মহিলা মেম্বার সহ অনেক ওয়ার্ড মেম্বার তাদের বরাদ্দকৃত কার্ড সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ না করে চালের পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে গরীব দুস্থরা চাল না পেয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও কোন ফল পাচ্ছেন না। আবার অনেকে টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল পরিবারের লোকজনের কাছে কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে।


সরেজমিনে উপজেলার খাতামধুপুর ও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান মেম্বারদের উপস্থিতিতেই কার্ডপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীর ২০ কেজির চালের পরিবর্তে ১৫ থেকে ১৬ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকেই তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলেও কেউ কর্নপাত করছেন না। খাতামধুপুর ইউনিয়নের সাধাপাড়ার বিমল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী বিনা রানী (৩৫) ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নিয়ে বের হয়ে পাশেই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে চাল ওজন করে কম পান। তার চাল হয়েছে ১৬ কেজি।‌




#সৈয়দপুরে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম #কার্ড প্রতি ২০ কেজির জায়গায় ১৫ কেজি বিতরণ #মেম্বারের কার্ড বিক্রির অভিযোগ



বটতলী বছির উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল (৪০) এসময় বলেন, তার চালও কম হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ১৪ কেজি। একই অভিযোগ করেন আরাজি পানিশালার খগেন্দ্র চন্দ্র রায় (৬৫)। তিনিও তাৎক্ষণিক চাল ওজন করে দেখেন তার চাল হয়েছে ১৬ কেজি ৩ শ’ গ্রাম। এসময় উপস্থিত সুবিধাভোগী শেফালী বেগম আক্ষেপের সাথে বলেন, সরকার দেয় হামাক গরিবের জন্য চাল, কিন্তু মেম্বার-চেয়ারম্যানরা তা মারি খায়ছে। কাহো চাল কম দেয়ছে আবার কাহো স্লীপ (কার্ড) বেচে (বিক্রি) দেয়ছে পাইকারের ঠে (কাছে)।


এদিকে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ ওয়ার্ডের মেম্বার ও জাতীয় পার্টির নেতা জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে তার বরাদ্দপ্রাপ্ত ৪০০ কার্ডই বিতরণ না করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা বলছেন, তার ওয়ার্ডের কোন সুবিধাভোগীই কোন কার্ড পায়নি। একইভাবে এই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও জাতীয় পার্টির নেত্রী জেবুন্নেসা তার প্রাপ্ত ৩৫০টি বিতরণ না করে বিক্রি করেছেন। ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশেদা বেগমও তার প্রাপ্ত ৪৬৬টি কার্ড বিক্রি করেছেন। এনিয়ে চরম তোলপাড় ও ক্ষোভ বিরাজ করছে ইউনিয়ন জুড়ে।


এ বিষয়ে খাতামধুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভাইরে কেউই ১৮ কেজির বেশি চাল দিতে পারবেনা। তবে ১৫/১৬ কেজিও দেয়া হয়নি। তারপরও কারো কম হলে সেটা মিসটেক, ইচ্ছেকৃত নয়। এমতাবস্থায় চালের কার্ড বিক্রি করে দেয়ায় প্রকৃত গরীব ও দুস্থরা সরকারের দেয়া চাল না পেয়ে অসুবিধায় পড়েছে। তাছাড়া যারা কার্ড পেয়েছে তারাও চাল কম পেয়ে মনোক্ষুন্ন হয়ে চেয়ারম্যান মেম্বার সহ সরকারের সমালোচনা করছেন। এতে জনমনে বিরুপ প্রভাব পরছে।

অবিশ্বাস আর অনাস্থা নিয়ে বেশিদিন চলা যাবে না

অবিশ্বাস আর অনাস্থা নিয়ে বেশিদিন চলা যাবে না

admin August 07, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: বছরের পর বছর মরুকরণ প্রক্রিয়ার দ্বারা সমগ্র বন যখন শুষ্ক হয়, তখন বাইরে থেকে অগ্নিসংযােগের প্রয়োজন হয় না, সামান্য দুটো শাখার ঘর্ষণেই দাবানল জ্বলে উঠে অল্প সময়ের মধ্যেই সমগ্র বন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তেমনি দশকের পর দশক ধরে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থার প্রতিটি পদে পদে দুর্নীতি, অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব, অনিয়ম চলতে চলতে কোথাও আস্থা ও বিশ্বাসের ছিটেফোঁটাও নেই।


এজন্য যে কোনো একটা ইস্যুতেই দাবানল জ্বলে ওঠে। সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর ঘটনায় তেমনি জ্বলে ওঠে ছাত্রসমাজ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা শহরের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এলো। ট্রাফিক পুলিশকে ধুয়ো ধ্বনি শুনিয়ে পুরো রাজপথের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলো ছোট ছোট ছোলমেয়েরা। এই অভাবনীয় প্রতিক্রিয়াকে কেবল একটি দুর্ঘটনায় দু’জন শিক্ষার্থীয় মৃত্যুর প্রতিবাদ হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে। বরং এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলার প্রতি আমাদের নতুনপ্রজ্যন্মর অনান্থা আর অবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।



[পথদুর্ঘটনা নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর যত বিরুপ মন্তব্য]


প্রমাণ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি। তাদেরকে একটা কথাই বারবার বলতে শোনা গেছে, আগে দাবি বাস্তবায়ন হোক, তারপর আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসব। পুরো রাজধানী এক সপ্তাহের জন্য যেভাবে অচল হয়ে পড়ে, শেষ পর্যন্ত তারা যে সেই অবস্থান থেকে সরে এলো। তার বড় কারণ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।



[নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ]


এই ভোগান্থির কষ্ট বিবেচনা করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য সবমহল থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি যখন অনুরোধ করা হলো তখনই তারা স্কুলে ফিরে গেছে। কথা হচ্ছে এই অবিশ্বাস, এই অনান্থা নিয়ে রাষ্ট্র বেশিদিন চলতে পারে না।আজকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছে, কিছুদিন আগে দেখা গেছে শিক্ষকরা নেমেছিলেন। আগামীতে দেখা যাবে অভিভাবকেরা নামবেন। কোনো ইস্যু পেলে শ্রমিক, মজুর, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, চিকিৎসক, নার্স, কেউ বাদ যায় না, হয় রাস্তায় নেমে আসেন, না হয় কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে সবকিছু অচল করে দেন। এর কারণ কি?



[আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন]


আমাদের নীতি নির্ধারকদের বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। গোটা ব্যবস্থাটা এত অবিশ্বাস আর অনাস্থার উপর কোনো রকম দাঁড়িয়ে আছে যে কোনো সময় এটা ধসে পড়তে পারে, যে কোনো ক্ষুদ্র একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুষ্ক বনের ন্যায় দাবানল ছড়িয়ে পড়তে পায়ে মুহূর্তের মধ্যেই একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাত্তব্যেবন্থা প্রতিষ্ঠা না করে জোড়াতালি দিয়ে দিয়ে তৈরি ভঙ্গুর এ ব্যবস্থাকে ঠেকানোর জন্য এই দাবানলকে কতদিন ফিরিয়ে রাখা যাবে সেটাই এখন প্রশ্ন।

দুর্নীতির অভিযোগে কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষকে শিক্ষা অধিদপ্তরে ওএসডি

দুর্নীতির অভিযোগে কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষকে শিক্ষা অধিদপ্তরে ওএসডি

admin March 27, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.আব্দুল লতিফ মিয়াকে ঢাকার শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিজি অফিসে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অভিযোগে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে তাকে ওএসডি করা হয়। অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী অংশের পক্ষে থাকা উপাধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাকেও ওএসডি করা হয়। দাবিতে আন্দোলনের তোপে রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ ২০১৮) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত এক চিঠিতে তাদের ওএসডি করে রাখার বিষয়ে জানানো হয়।
জানা যায়, অধ্যক্ষ প্রফেসর আ. লতিফ মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অভিযোগ এনে তাকে অপসারণের দাবিতে গত এক মাস থেকে তুলেছিলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। এ দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালাও ঝুলানো হয়েছিল। এ নিয়ে কলেজ অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের চলমান দাবির মুখে গত ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি তদন্ত করে। এর পরই অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ও আন্দোলনকারী অংশের পক্ষে থাকা উপাধ্যক্ষকে শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি অফিসে ওএসডি করে রাখা হল।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three