অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফণী গুরুত্বহীন হয়ে পড়লেও এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে দেশে ও দেশের বাইরে আসাম, মেঘালয়, সিকিমে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন নদীর পানি বাড়ছে। ফলে আগামীকাল নাগাদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা হতে পারে।
ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ৫ মে অর্থাৎ রোববার নাগাদ আসাম, মেঘালয়, ময়মনিসংহ ও সিলেট অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৬ মে নাগাদ ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওয়া বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফণী’র প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় অঞ্চলগুলোর কতিপয় স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এক্ষেত্রে ৬ মে (সোমবার) নাগাদ উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদীগুলো বিশেষত সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, যদুকাটা ও তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। কোথাও কোথাও বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে আকষ্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ৩৯টি স্টেশনের মধ্যে শনিবার ২৯টি পয়েন্টে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কমেছে ৯ টিতে আর ১টির তথ্য পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মাইজদীকোর্টে, ১২১ মিলিমিটার।
বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে কন্ট্রোলরুম খুলেছে। কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙলে অথবা ভাঙার উপক্রম হলে জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোলরুমে ফোন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এই মন্ত্রণালয় থেকে হাওর ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলের জেলা প্রশাসকদের বিশেষ সতর্ক থাকতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।