রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদ উদযাপন শেষে ধীরে ধীরে কর্মস্থল ও রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন নগরবাসী। একইভাবে ঈদের তৃতীয় দিনেও অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি এবং অন্যান্য স্থানে যাচ্ছেন। ঈদের আগে যারা ঢাকা ছাড়তে পারেননি বা যাননি তাদের অনেকেই এখন প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে বাড়ির পথ ধরছেন।
তবে রাজধানীতে শুক্রবারও ছিল ঈদের আমেজ। ঈদের সরকারি ছুটি বৃহস্পতিবার শেষ হলেও শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে চিরচেনা ঢাকার অচেনা চিত্রটিই থাকবে বলে অনেকে মনে করেন। যদিও বৃহস্পতিবারের তুলনায় ঢাকা শহরে যানবাহনের সংখ্যা একটু বেশি ছিল শুক্রবারে। যথারীতি দোকানপাট বেশির ভাগেই বন্ধ ছিল। কিছু কিছু কাঁচা বাজার খুললেও পণ্যসামগ্রী ছিল কম।
সেগুন বাগিচার কাঁচাবাজারের এক সবজি দোকানদার জানান, এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকবে। ঢাকার ব্যাস্ততম এলাকা মতিঝিলের খাবারের দোকানগুলো এখনো বন্ধ দেখা গেছে। বিআইডব্লিওটিএর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ১০০টিরও বেশি লঞ্চ সদর ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে, যা স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি। অন্যদিকে যে লঞ্চগুলো সদর ঘাটে এসেছে তাতে যাত্রী সংখ্যা ছিল কম।
কমলাপুর রেল স্টেশনে আসা বিভিন্ন আন্ত:নগর ট্রেনেও নগরবাসীদের ফেরার চিত্র দেখা গেছে। এবার স্বস্তির সঙ্গেই ফিরছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন। দুপুরের আগে দুরপাল্লার যে বাসগুলো এসেছে, তাতে যাত্রী সংখ্যা মোটামুটি দেখা গেলেও একটা অংশ ছিল ঢাকায় বেড়াতে আসা।
অন্যদিকে ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর চিড়িয়াখানা, শিশুমেলা, ফ্যান্টাসি কিংডম, বলধা গার্ডেন, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যমুনা ফিউচার পার্ক, নন্দন পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দেখা গেছে বিপুল মানুষের উপস্থিতি।
গত দুই দিনের মতো শুক্রবারও সকাল থেকেই ঈদ আনন্দ উদযাপনে উল্লাসে মুখর ছিল রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো। পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নগরবাসী।