ইতিহাসে আজকের দিনে: শনিবার ০৬ অক্টোবর’২০১৮

admin October 06, 2018
১৭৬৮ সালের ৬ অক্টোবর তৎকালীন রুশ সম্রাট তার রাজ্য বিস্তারের ধারাবাহিকতায় পোল্যান্ডে তার সেনা বাহিনী প্রেরণ করেন। ফলে তৎকালীন মহাপরাক্রমশালী ওসমানী সাম্রাজ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আটার শতকে রুশ ও ওসমানী সাম্রাজ্যের মধ্যে বেশ কয়েকবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তবে পোল্যান্ডকে নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ এ যুদ্ধে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে শক্তিশালী ওসমানী সাম্রাজ্যের অবস্থান ছিল কিছুটা দূর্বল। অন্যদিকে রাশিয়া সামরিক ক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে যথেষ্ট সুসংহত ও শক্তিশালী করে তোলে। ফলে এ যুদ্ধে ওসমানীয় সেনা বাহিনী মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় এবং ১৭৭৪ সালে দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ বিরতী চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান হয়। ওসমানীয় ও রুশদের মধ্যে যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পোল্যান্ড রাশিয়া, প্রুশিয়া ও অষ্ট্রিয়ার মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
  • ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে প্রথম ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন (১৭০২)
  • কবি আলফ্রেড টেনিসনের মৃত্যু (১৮৯২)
  • বসনিয়া ও হারজেগোভিনার ভূখণ্ড অস্ট্রিয়ার অধিভুক্ত (১৯০৮)
  • তুর্কী সাম্রাজ্যের অধীন বৈরুতে ফ্রান্সের দখল কায়েম (১৯১৮)
  • চিয়াং কাইশেক চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত (১৯২৮)
  • মেক্সিকোর সিয়াটলের কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ২০৮ তার্থযাত্রী নিহত(১৯৭২)
  • ইসরাইলের সঙ্গে মিশর-সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু (১৯৭৩)
  • থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থান (১৯৭৬)
  • মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত সেনাবাহিনীর হাতে নিহত (১৯৮১)
  • বসনিয়ায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৯৫)।
x
ফার্সী ১৩০৭ সালের ১৫ই মেহের ইরানের সমকালীন বিশিষ্ট কবি ও চিত্র শিল্পি সোহরাব সেপেহরী ইরানের কাশান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। ফার্সী ১৩৩০ সালে ‘রংএর মৃত্যু’ শিরোনামে তার প্রথম কবিতা সংকলন ছাপা হয়। এরপর ‌‌‘আটটি গ্রন্থ’ শিরোনামে অপর কবিতা সংগ্রহটি প্রকাশিত হয়। কবিতা চর্চা ছাড়াও চিত্রকলার প্রতি তার অসম্ভব ঝোক ছিল। কবিতা রচনার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার করেছেন এবং নতুন নতুন উপমা, প্রবাদ ও শব্দের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। ইরানের সমকালীন কবিদের মধ্যে সোহরাব সেপেহরী অনন্য স্থান অধিকার করে আছেন। ফার্সী ১৩৫৯ সালে তিনি পরলোক গমন করেন।
১৯৭৩ সালের ৬ই অক্টোবর আরব ও ইহুদীবাদী ইসরাইলের মধ্যে পূনরায় যুদ্ধ শুরু হয়। এই দিনে মিসরের সেনা বাহিনী সুয়েজ খালের অপর প্রান্তে অবস্থিত কুদস দখলদার বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেদ করে সিনাই মরুভুমিতে প্রবেশ করে। এ যুদ্ধে মিসর ও সিরিয়ার সেনাবাহিনী ইহুদীবাদী সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয়। কিন্তু মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতায় ইহুদীবাদী ইসরাইল যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পূনরায় অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে নিজেকে সুগঠিত করে তোলে। আর এভাবেই ইহুদীবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরবদের অর্জিত বিজয় কিছুটা ম্লান হয়ে পড়ে। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের অবসান ঘটে এবং দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ মিমাংশার দায়িত্ব জাতিসঙ্ঘের হাতে অর্পন করা হয়। এ যুদ্ধে আরবদের বিজয় অপ্রতিরোধ্য হিসাবে খ্যাত ইহুদীবাদী ইসরাইলী সেনাদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়।
১৯৮১ সালের ৬ই অক্টোবর মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের সদস্যদের হাতে নিহত হন। প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ১৯৭৮ সালে দখলদার ইহুদীবাদী ইসরাইলের সাথে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ অবৈধ রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। আর এ বিষয়টি আরবদেশ ও বিশ্বের মুসলমানদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে। মুসলিম দেশগুলো এ অপমানজনক চুক্তির কারণে মিসরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। আর মিসরের অভ্যন্তরে ইসলামী দল ও সংগঠনগুলো কুদস দখলদার সরকারের সাথে আনোয়ার সাদাতের আপোষ চুক্তিকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তারা এ মানহানিকর চুক্তির জন্য আনোয়ার সাদাতকে হত্যা করে। মিসরীয় সেনা অফিসার খালেদ ইসলামবুল সেনা বাহিনীর কুচ কাওয়াজ অনুষ্ঠানের সময় আনোয়ার সাদাতকে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের পর মিসর সরকার এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে তিন হাজারের বেশী লোককে হত্যা করে এবং খালেদ ইসলামবুল ও তার সহযোগিদের সামরিক আদালতে বিচারের মাধ্যমে নির্মমভাবে ফাঁসি দেয়।
১৮৬৫ সালের এই দিনে বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ও কবি ‘ইবনে বারদেস’ পরলোক গমন করেন। তিনি লেবাননের ‘বাআলবাদ’ শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম স্থানে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি সিরিয়া যান এবং সেখানে বিজ্ঞ আলেম ও পন্ডিতদের সাহচর্যে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। তিনি বিশ্বের বহু মুসলিম দেশ ভ্রমণ করেন এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও শিক্ষা-দীক্ষায় নিজেকে পারদর্শী হিসাবে গড়ে তোলেন। এরপর তিনি শিক্ষা দান ও সুযোগ্য ছাত্র গড়ার কাজে আত্ম নিয়োগ করেন। তিনি বহু মূল্যবান গ্রন্থও রচনা করে গেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three