Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মহান মুক্তযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোববার। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই দলটি প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানী এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ঢাকায় কর্মসূচি শুরু হবে আজ রোববার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে।


এছাড়াও দু’দিন ব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সূর্যোদয়ের সময় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারাদেশের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং সকাল ১১টায় টুঙ্গীপাড়ায় দলের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। পরের দিন ২৪ জুন (আগামীকাল সোমবার) বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক মানুষের অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি গণতন্ত্র ও অসা¤প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারাও। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী অসা¤প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। আর অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশের গড়ার কাজ প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এ দলটিকে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভাষা, স্বাধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা অর্জনে মহোত্তম গৌরবে অভিষিক্ত আওয়ামী লীগের সাত দশকের অভিযাত্রায় শান্তি, সমৃদ্ধি ও দিন বদলের লক্ষ্যে অবিচল বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী।


ইতিহাসবিদ, লেখক ও লোক সাহিত্যিক শামসুজ্জামান খান এই দলকে মূল্যায়ন করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ‘পাকিস্তান’ নামের অবৈজ্ঞানিক এবং ভৌগোলিক ও নৃতাত্তি¡কভাবে এক উদ্ভট রাষ্ট্রের পূর্ব বাংলার বাঙালি জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে অবজ্ঞায়, অবহেলায় ও ঔপনিবেশিক কায়দায় শোষণ-পীড়ন-দমন ও ‘দাবিয়ে রাখা’র বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং গণসংগ্রামের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠা বিপুল জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের নেতা-কর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অঙ্গীকারদীপ্ত সংগ্রামী ভ‚মিকা ইতিহাস বিদিত।


বিশিষ্টজনদের মতে, দলটির বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে সফলতার নতুন পথ দেখিয়েছেন, দেশের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ শুরু করার সুবাদে বাংলাদেশের মর্যাদা আন্তর্জাতিকভাবে সৃষ্টি করেছে এবং আমরা মর্যাদাশীল জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি। পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে তা শুধু আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে বিকাশ লাভ করে।


প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ দেশে পাকিস্তানি সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে এ দলটি। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬৪-এর দাঙ্গার পর সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।


ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হলেও দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দলটির প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ২৩ জুন দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে।


২০০১ এবং পরে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর আর এক দফা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ।পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুযারী এবং ২০১৮এর ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে এ দলটি।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী শনিবার শনিবার এক বিবৃতিতে দলের গৌরবোজ্জ্বল ৭০ বছর পূর্তিতে গৃহিত কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল জেলা, উপজেলাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে -জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে -জিএম কাদের

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির (জাপা) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সুশৃঙ্খল।


তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে সাধারণ মানুষের আস্থার পার্টিতে পরিণত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আর এ কারণেই পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রাণবন্ত রাখতে দায়িত্বশীল সব নেতারা এক হয়ে কাজ করবেন।


শনিবার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় তিনি একথা বলেন। কাদের বলেন, যারা জাতীয় পার্টির জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করবে তাদের নেতৃত্বের বিকাশে যথাযথ মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। দেশ ও মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অটুট রাখতে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।


সভায় জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানোর এখনই প্রকৃত সময়। কোন আসনে কে নির্বাচন করবে, তা এখনই নির্ধারণ করে সম্ভাব্য প্রার্থীর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


তিনি বলেন, যারা জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দেবেন তাদের তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। তাদের কাছে তৃণমূলের সব তথ্য থাকতে হবে। আগামী ২৪ থেকে ২৭ জুন অনুষ্ঠেয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সভা সফল করতে সবার প্রতি আহবান জানান রাঙ্গা। জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর কাদেরের আহŸানে এটাই প্রথম প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভা।


সভায় চলমান রাজনীতির মূল্যায়ন এবং আগামী দিনে জাপার পথচলার বিভিন্ন কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলকে আরো শক্তিশালী করতে উপস্থিত প্রেসিডিয়াম সদস্যরা খোলামেলা আলোচনা করেন এবং শীর্ষ নেতাদের পরামর্শ দেন।


সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, আবুল কাশেম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আজম খান, সোলায়মান আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক, সফিকুল ইসলাম সেন্ট, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীরজাদা শাহজাদা আল মনির, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মো, মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখত, কাজী মামুনুর রশিদ, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নাজমা আখতার এমপি, আবদুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, আদেলুর রহমান ও উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান প্রমুখ।

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির ২ নেতার পদোন্নতি

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির ২ নেতার পদোন্নতি

admin June 19, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির দুই নেতা আবদুর রাজ্জাক ও বারী মুন্সি পদোন্নতি পেয়েছেন।


আবদুর রাজ্জাককে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোহাম্মদ বারী মুন্সিকে যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।


পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ পদোন্নতি দিয়েছেন।


এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি জানান, পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার সুপারিশক্রমে গতকাল সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান তাদের পদোন্নতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। জুন ২০১৯ থেকে এ পদোন্নতি কার্যকর হবে।


প্রসঙ্গত আবদুর রাজ্জাক রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আর বারী মুন্সি জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বুটের তলায় পিশে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বুটের তলায় পিশে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

admin June 17, 2019

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালে একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য বাংলার মানুষ যুদ্ধ করেছে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলেছে। কিন্তু আজ তারাা (আওয়ামীলীগ) সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্নভাবে বুটের তলায় পিশে দিয়ে একটি এক দলীয় শাষণ ব্যবস্থা প্রবর্তন করার সব আয়োজন তারা সম্পন্ন করেছে।


রবিবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রুহিয়া থানা কর্তক আয়োজিত এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে বর্তমানে যে সঙ্কটটা সৃষ্টি হয়েছে এ সঙ্কটটা বিএনপির নয় বরং এ সঙ্কট টা জাতির। জাতি তার সমস্ত অধিকার গুলো হারিয়ে ফেলেেেছ। একটা দম বন্ধ করা পরিবেশ, একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ। কোথাও কথা বলার কোন সুযোগ নেই, কোথাও অধিকার নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, ন্যায় বিচার নেই, ইনসাফ নেই, সোজা কথায় একটা এক নায়কতন্ত্র, একটা শ্বৈরাচার, একটা মগের মূল্লুক তৈরি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনই কল্পনাও করেনি। ফলে বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাঙ্খাগুলো পুরোপুরিভাবে ধুলিস্যাত হয়ে গেছে।


এছাড়াও কৃষকের ধানের দাম কম হওয়ার কারণ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কৃষকের কথা চিন্তা করার সময় এ সরকারের নেই। তারা শুধু চিন্তা করে তাদের পকেটভারী তারা কিভাবে করবে? তিনি বলেন শুধু তাই নয় আপনারা শ্রমিকদের দিকে তাকান শ্রমিকরা ন্যয্য মূল্য পায়না, ব্যসায়ীরা ভালোমতো ব্যবসা করতে পারেনা।


বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বাজেটে সাধারন জনগণের কোন লাভ হয়নি। শুধু জিনিস পত্রের দাম বাড়ে সাধারন মানুষের কষ্ট বেড়েছে। আমরা এর ফলে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যারা আছি তারা সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছি।


এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয় আনতে হলে সংগ্রাম করতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে মানুষটি এত এত নির্যাতন সহ্য করলো, এতো সংগ্রাম করলো সেই মানুষটি হলো বেগম খালেদা জিয়া। আজ তিনিই মিথ্যা মামলার দায়ে কারাগারে। তাকে মুক্ত করতে হবে। কারন আপনাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের জন্মই হয়েছিলো সংগ্রামের মধ্যদিয়ে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো: তৈমুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, রুহিয়া থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. আনছারুল হক সহ বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ছাত্রদল নিয়ে উভয় সংকটে বিএনপি

ছাত্রদল নিয়ে উভয় সংকটে বিএনপি

admin June 13, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বয়সসীমা নির্ধারণ না করে চিরাচরিত ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে ছাত্রদলের আন্দোলন ও কমিটি নিয়ে উভয় সংকটে আছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে নিজের চেম্বারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।


ছাত্রদলের আন্দোলন ও কমিটির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটা নিয়ে আমরা উভয় সংকটে। এই যে ওরা (ছাত্রদলের নেতাকর্মী) দীর্ঘদিন জেল খাটলো, মামলা এবং পুলিশের হয়রানির শিকার হলো, অথচ ওদের অবদানের বিনিময়ে ওরা কী পাবে? ওদের কী মূল্যায়ন হবে? দোষটা কার? দোষ কারও না। কারণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল তার কাজটি সঠিকভাবে করতে পারে না।


তিনি বলেন, ছাত্রদল বিরাট একটি সংগঠন। এই সংগঠনের আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক ঐতিহ্য আছে। তবে অতীতের মতো ওদের আন্দোলনের ধারাবাহিক ঐতিহ্যটা নেই। কিন্তু তারপরও তারা প্রচেষ্টা করে।


ছাত্রদলের কার্যক্রমের বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, ছাত্ররা কোথায় থাকবে? কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছর তারা ক্যাম্পাসে যেতে পারে না। তাই তাদের কর্মকাণ্ডটা ক্যাম্পাসভিত্তিক কিংবা ছাত্রদের নিয়ে কর্মকাণ্ডটা তারা করতে পারছে না। ছাত্রদলের নিয়মিত কাউন্সিল হওয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাউন্সিল হওয়ার মতো হয়তো পরিস্থিতি নেই, যে কারণে আমাদের কাউন্সিলগুলো বিলম্বিত হয়। এ কারণে অনেকের ছাত্রত্ব থাকে না। আর কাউন্সিল নিয়মিত হলে ছাত্ররা তাদের অবদান অনুযায়ী পুরস্কৃত হয়।


ছাত্রদলের বিক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার যেটা হয়েছে, সেটাকে আমি অস্বাভাবিক মনে করি না। কারণ বড় বড় রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনে প্রতিযোগিতাগুলো অনেক সময় প্রতিহিংসারও রূপ নেয়। সুতরাং এটাকে বড় করে বা নেতিবাচক করে দেখার কিছুই নেই। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে- সেটা হলো, ওদের বোঝানো এবং এই বিষয়টা স্বাভাবিক করতে ইতিবাচক ভ‚মিকা পালন করতে হবে। আর তাদের মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়, তা আমরা করবো। তাই আমি সবাইকে বলবো, এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেন।


বিএনপি একটি বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গয়েশ্বর বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলবো, উনি যেন নিজের চরকায় তেল দেন, তার চেহারাটা আয়নায় দেখুন। কারণ আমার সংগঠনকে তিরস্কার করে তার সংগঠনের দূরবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সুতরাং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজের ঘর গোছানোর কাজটা আগে করুন। ছাত্রদলের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা তাদের কথাগুলো শুনবো এবং সেই কথাগুলো শুনে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করবো। আমি বিশ্বাস করি, ওরা এটা বুঝবে। সুতরাং ওদের সঙ্গে আলাপ করে আমরা এটার সমাধান করবো।


প্রশ্ন উঠেছে যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে বিএনপির কী লাভ হলো- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন কোনো দলের লাভ-ক্ষতির হিসাব করার সময় নয়। আর আমি যদি দলীয় লাভের হিসেব করি তাহলো তো ঐক্য হবে না। কবে নাগাদ বিএনপি মাঠে নামবে- জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, আমরা তো মাঠে নামি। কিন্তু আমাদের মাঠে নামাটা নামার মতো কেউ দেখেনি। সেই দেখানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর বিএনপির জন্ম বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রশ্নে। আর যদি ঐক্য নাও হয়, তাহলে বিএনপি ঘরে বসে থাকবে? তাহলে তো জনগণের দল হিসেবে বিএনপি দায়িত্বশীল দল হলো না।


আন্দোলনের জন্য বিএনপি কতোটা সংগঠিত- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো সময় কোনো দল শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে এবং শতভাগ দল গুছিয়ে আন্দোলন করে না। কারণ আন্দোলনের মাধ্যমেই দলটা গুছিয়ে আসে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ নেই- ক্ষমতাসীন দলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, আমরা মনে করি, আমার দেশে আমি বাস করি। সুতরাং আমার দেশের সমস্যা আমাকেই সমাধান করতে হবে।

সংসদে যোগ দিয়েই উত্তাপ ছড়ালেন রুমিন ফারহানা

সংসদে যোগ দিয়েই উত্তাপ ছড়ালেন রুমিন ফারহানা

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সংসদে যোগ দিয়েই উত্তাপ ছাড়িয়েছেন বিএনপি সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সংসদ।


তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।’ এতে সংসদ কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানালে স্পিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আপত্তিকর কোনো কথা থাকলে তা এক্সপাঞ্জ করা হবে বলে জানান।


বিএনপির এই এমপি প্রায় আড়াই মিনিট বক্তব্য রাখলেও সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিদের চিৎকার, চেঁচামেচি ও প্রতিবাদের কারণে সংসদ কক্ষে কেউ রুমিনের বক্তব্য ভালোভাবে শুনতে পাননি। এ সময় স্পিকার সরকারি দলের সদস্যদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালেও কেউ কর্ণপাত করেননি।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three