নওগাঁ: একেকটি খিলি পান বিক্রি হয় ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। একই স্থানে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ খিলি পানের ব্যবসা করছেন নওগাঁর আত্রাই বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটির মোড়ে সুপরিচিত মূর্খ বীর মুক্তি যোদ্ধা কাজী রুহুল ইসলামের সন্তান পান বিক্রেতা কাজী আজিজুল ইসলাম। এতে একদিকে যেমন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্য দিকে পান বিক্রি করে তার ভাগ্য বদল হয়েছে। প্রতি মাসে এখান থেকেই ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে তার। আজিজুলের পানের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি হরেক রকম জর্দ্দা ও মসলা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদের পান তৈরি করেন। বাহারি এ পান খেতে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে রেল ঘুমটির কাজী আজিজুলের দোকানে।
বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটি মোড়ের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পান বিক্রি করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন কাজী আজিজুল। নওগাঁর আত্রাই বিহারীপুর বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রেল ঘুমটি মোড়ের সকলের পরিচিত মূর্খ কাজী আজিজুল। শুধু আত্রাই নয় বিভিন্ন এলাকার মানুষরা সখের বসে পান খেথে আসেন রেল ঘুমটির মোড়ের এ দোকানে। আজিজুল প্রতিটি মিষ্টি পানের মূল্য ৫টাকা থেকে ২০টাকা পর্যন্ত নেন। মিষ্টি পান ক্রেতা আত্রাই সদরের সাহেবগঞ্জ এলাকার সরদার কালাম বলেন, আমি সাধারণত পান খাই না।তবে যখন কোনো প্রয়োজনে এদিকে আসি তখন আজিজুলের এ মিষ্টি পান খেতে আমি ভ’ল করি না। ৫টাকা করে দুই টা পান কিনেছি খাওয়ার জন্য।
অপর ক্রেতা স্থানীয় বাব মিঞা জানান, এ দোকানে সব সময় ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে শুক্রবার দুপুরে রেল ঘুমটি মোড় এলাকা যখন প্রায় জনশূন্য তখনও দেখা যায় আজিজুলের পানের দোকানে অনেক ভিড়। পুরোদমে চলছে তার দোকান পান বিক্রি।
পান বিক্রি করে স্বালম্বী হওয়া আজিজুলের সঙ্গে উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকের এ প্রতিবেদকের কথা হয়। প্রতিবেদককে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫-৭হাজার টাকার পান বেচাকেনা হয়। ১০বছর ধরে পান বিক্রি করছি। এর বাহিরে অন্য কিছু করি না। আগে বাবা বীর মু্িক্ত যোদ্ধা কাজী রুহুল ইসলাম দোকানটি চালাতেন। এখন আমি চালাই। প্রতিমাসে এখান থেকেই ৪০/৫০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। এ দিয়ে খুব ভালো ভাবে আমার সংসার চলে। পান বিক্রি করে কিছু অর্থ সম্পদও কিনেছি। আমার কোনো াভাব নেই। অন্যান্যের তুলনায় অনেক ভাল আছি আমি।
Showing posts with label খিলি পান. Show all posts
Showing posts with label খিলি পান. Show all posts
Subscribe to:
Posts (Atom)