Showing posts with label প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label প্রযুক্তি. Show all posts
স্বাভাবিক আছে হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের উৎপাদন!

স্বাভাবিক আছে হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের উৎপাদন!

admin June 22, 2019

স্মার্টফোনের উৎপাদন একটুও কমায়নি চীনা জায়ান্ট হুয়াওয়ে। তাইওয়ানের ডিজিটাইমস নামের একটি সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি এক খবরে দাবি করেছিল, হুয়াওয়ে তাদের স্মার্টফোন বিশেষ করে ফ্ল্যাগশিপ ফোনের উৎপাদন কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। খবরটি সঠিক নয় বলে এক বিবৃতি পাঠিয়েছে হুয়াওয়ে।


সেখানে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমাদের বৈশ্বিক যে স্মার্টফোন উৎপাদন তা স্বাভাবিক রয়েছে। এটি একটুও কমানো হয়নি এবং কমানোর কোন ধরনের কথাও ভাবেনি হুয়াওয়ে।প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাইমসের ওই খবরের দাবিকে গুজব বলে বর্ণনা করেছে।


গত ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্র সরকার হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অন্যান্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করার জন্য আলাদা একটি লাইসেন্স প্রয়োজন পড়বে। এরপর গুগল, কোয়ালকমসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি বাতিল করে। ফলে বিশ্বব্যাপী কিছুটা চাপে পড়ে হুয়াওয়ে।তবে শুধু ডিজিটাইমস নয়, এর আগেও বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম হুয়াওয়ের ফোন উৎপাদন কমানোর কথা বলেছে।


ব্লুমবার্গ এর আগে এক প্রতিবেদনে দাবি করে, হুয়াওয়ে গত মাস থেকে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত স্মার্টফোন বিক্রি কমে গেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফোন উৎপাদনও কমিয়ে দিয়েছে।


এমনকি গত কয়েকদিন আগে হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রেন ঝেংফেই এক লাইভ ভিডিওতেও বলেছেন, হুয়াওয়ের ফোনের বিক্রি কমে গেছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যই তা কাটিয়ে উঠবে প্রতিষ্ঠানটি।

নিজস্ব ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘লিব্রা’ আনতে যাচ্ছে ফেসবুক

নিজস্ব ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘লিব্রা’ আনতে যাচ্ছে ফেসবুক

admin June 21, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কোটি কোটি গ্রাহকের জন্য ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘লিব্রা’ আনছে ফেসবুক। এর মধ্যে দিয়ে সোশাল নেটওয়ার্কিং ছাড়িয়ে ই-কমার্স ও বৈশ্বিক আর্থিক লেনদেন বাণিজ্যে পা রাখতে যাচ্ছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

মঙ্গলবার মার্ক জাকারবার্গ তার ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে বিশ্বের ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান সহযোগে লিব্রা অ্যাসোসিয়েশন গঠনের ঘোষণা দেন, যার প্রধান দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনিভা শহরে।

অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা লিব্রা অ্যাসোসিয়েশনে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছে মাস্টারকার্ড, ইবে, পেপাল, উবারের মতো নামি প্রতিষ্ঠানগুলো।

গঠনের ঘোষণা এই জুনে এলেও ২০২০ সালের প্রথম ভাগে এই ডিজিটাল মুদ্রা ছাড়তে যাচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুকের লিব্রা প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পেপালের সাবেক কর্মকর্তা ডেভিড মারকাস। তিনি রয়টার্সকে বলেন, স্বাধীনতা, ন্যায় এবং অর্থ, ঠিক এটাই আমরা এখানে এক করার চেষ্টা করছি।

মাস্টারকার্ডের ল্যামবার্ট বলেন, যদি এই প্রকল্প অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণের মুখে পড়ে, তবে হয়ত আমরা আর এটা চালু করব না।

নিজেদের সৃষ্টি এই মুদ্রা নিয়ে ফেসবুকের দাবি, কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই লিব্রা লেনদেনে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই তারা এই ব্যাংকিং জগতে প্রবেশ করে টাকা পাঠাতে পারবে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ফেসবুক বলছে, এটা উন্নত এবং কম খরচে মুক্ত ব্যাংকিং সেবা।

নিরাপত্তা নিয়ে মার্ক জাকারবার্গ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, এর ক্রিপ্টোগ্রাফি পদ্ধতি লেনদেনে সুরক্ষা দেবে গ্রাহককে। গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট ক্যালিব্রা আনবে ফেসবুক, যা থাকবে দক্ষ কর্মীদের তদারকিতে। লেনদেনে যে কোনো ধোঁকাবাজি থেকে গ্রাহককে সুরক্ষা দেবে তারা।

ফেসবুকের অন্য দুটি সেবা হোয়াটস আপ ও মেসেঞ্জারে আগামী বছর থেকে ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপ ক্যালিব্রা চালু করবে।

জাকারবার্গ বলেন, আমরা ধোঁকাবাজি থেকে সুরক্ষা দেব। যদি আপনি লিব্রা মুদ্রা হারান, আমরা তা ফেরত দেব। এটা একটি দুর্দান্ত যাত্রার কেবল শুরু।

এদিকে বিশেষজ্ঞদের বরাতে গার্ডিয়ানের ভাষ্য, ফেসবুকের আর্থিক পড়তির এই সময়ে লিব্রা লাভের মুখ দেখাতে পারে প্রতিষ্ঠানটিকে।

কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকের তথ্যফাঁসে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনায় খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। তাদের অনেক বিজ্ঞাপনদাতা ক্ষতিপূরণ দাবি করার পাশাপাশি চুক্তিও বাতিল করেছে। বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি পদ্ধতি নিয়ে ফেসবুকের নতুন বাণিজ্যিক পরিকল্পনাকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কীভাবে দেখছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকারীরা লাখ লাখ ডলার খুইয়েছেন হ্যাকারদের কবলে পড়ে। মানি লন্ডারিং, অবৈধ মাদক কেনাবেচায় ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সিকে একটি নীতিমালার আওতায় আনার প্রস্তাব উঠেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও। বাস্তব অস্তিত্ব না থাকা ক্রিপটোকারেন্সির চলে শুধু ইন্টারনেট জগতেই। ২০১৭ সাল থেকে এটি একটি উঠতি বাজারে পরিণত হয়েছে, যার মধ্যে বিটকয়েনের নাম এখন অনেকেরই জানা।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে তৃতীয় পক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই কে কার কাছে এই ডিজিটাল মুদ্রা দিচ্ছে বা নিচ্ছে, তা অন্য কেউ জানতে পারে না। আবার পরিচয় গোপন রেখেও এটা দিয়ে লেনদেন করা যায়। ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর কোনো দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ না থাকায় অনেক দেশেই তা নিষিদ্ধ।

গার্ডিয়ান বলছে, এই ভার্চুয়াল ব্যাংকিং খাতে ফেসবুকের আগমনে এরই মধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ফেসবুকের নির্বাহী প্রধান মার্ক জাকারবার্গের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং, আবাসন, নগরায়ন বিষয়ক সিনেট কমিটি।
বাজেট ২০১৯-২০: দাম বাড়ছে স্মার্টফোনের

বাজেট ২০১৯-২০: দাম বাড়ছে স্মার্টফোনের

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
এবারের বাজেটে স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে স্মার্টফোন আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, যা বাজেটে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এতে স্মার্টফোনের দাম বেড়ে যাবে।


একই সঙ্গে ফিচার ফোনের দাম কমবে। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।


বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার কিছু পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এরপর বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।


অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, আইসিটি খাতের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে ৫-৬টি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।


এ খাতে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কতিপয় যন্ত্রাংশের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করছি। আমদানি পর্যায়ে ফিচার ফোন ও স্মার্টফোনে বর্তমানে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে।


ফিচার ফোন কম দামের বলে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ ব্যবহার করে। স্মার্টফোন ব্যবহার করে উচ্চবিত্তরা। তাই স্মার্টফোনে ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।


এর মধ্যে ট্রানজিস্টরের শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, ক্রিস্টাল ডায়োডস ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, চার্জার কানেক্টর পিন ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ, সিম স্লট ইজেক্টর পিন ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।


অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। আইসিটি খাতের সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

বাজেট ২০১৯-২০: খরচ বাড়ছে মোবাইলে কথা বলার

বাজেট ২০১৯-২০: খরচ বাড়ছে মোবাইলে কথা বলার

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাজেটে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলায় খরচ বাড়বে। আগে কথা বলার ওপর সম্পূরক শুল্ক ছিল ৫ শতাংশ। আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে তা ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব করা হয়েছে।


বাজেট বক্তৃতায় মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে কথার বলার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা আছে। যাতে করে গ্রাহককে মোবাইলে কথা বলতে হলে সরাসরি ২২ শতাংশ কর দিতে হয়। আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ হওয়ায় তা হবে ২৭ শতাংশর কিছু বেশি।


মোবাইল কোম্পানির আয়কর বাড়ছে আড়াই গুণ: নতুন অর্থবছরের মোবাইল কোম্পানির বার্ষিক মোট আয়ের (টার্নওভার) উপর নূন্যতম কর আড়াই গুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।


অর্ধমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা বিবেচনা করে সব ধরনের কোম্পানি করের হার অপরিবর্তিত রাখা হলেও মোবাইল কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভারের উপর নূন্যতম কর দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বিদ্যমান করহার ২৫ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এই হার ৩৫ শতাংশ।


এছাড় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট ব্যাংক ছাড়া) জন্য ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কর এবং অতালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪০ শতাংশ করপোরেট কর বহাল আছে। মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ কর।


তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি ৪০ শতাংশ ও অতালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি ৪৫ শতাংশ কর দেয়। এই করপোরেট করহার বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানি হ্রাসকৃত করহার ও কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করছে।


এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে করপোরেট করের কার্যকর হার ৫ শতাংশেরও কম। এছাড়া গতবার ব্যাংক কোম্পানির কর হার আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছিল, যার ফলে রাজস্ব আহরণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সেবা: মান নিয়ে অভিযোগ বিটিআরসি’র গণশুনানিতে

ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সেবা: মান নিয়ে অভিযোগ বিটিআরসি’র গণশুনানিতে

admin June 13, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
থ্রিজি-ফোরজিতে ধীরগতি, ভয়েস কল কেটে যাওয়া ও অযাচিত এসএমএস সার্ভিসের নামে টাকা কেটে নেওয়াসহ টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক দুর্বলতার অভিযোগ তুলে গ্রাহকেরা তা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ বিষয়ে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। গণশুনানি কমিটির সভাপতি ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে গণশুনানি পরিচালনা করেন সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক এবিএম হুমায়ুন কবির। প্রশ্নকারী রাজকুমার সাহা জানতে চান, ইন্টারনেটের মূল্য কমানো ও নূন্যতম মেয়াদ ৮ দিন করা যায় কিনা? জাকির হোসেন নামে একজন গ্রাহক ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর দাবি জানান।


এ বিষয়ে বিটিআরসির এবিএম হুমায়ুন কবির বলেন, অপারেটররা আশা করি বিবেচনায় নেবেন। ইন্টারনেটের মূল্য কমানো নিয়ে পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যবেক্ষণ শেষে মূল্য ও সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আব্দুস সালাম নামে একজন গ্রাহক অযাচিত নম্বর থেকে কল আসা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন।


এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ডিএনডি (ডু নট ডিস্ট্রাব) অপশন কাজ করছে, এ ছাড়া অপারেটররাও ব্যবস্থা নেবে। ডি-অ্যাক্টিভেটেড নম্বর দিয়ে ইমো, ভাইবারের মতো অ্যাপস ব্যবহার বন্ধের দাবি জানান জাহিদুল ইসলাম এবং ইমরান আহমেদ নামে গ্রাহক।


এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করছে আইটিইউ, আমরাও কাজ করছি। আশা করি দ্রæতই সমস্যার সমাধান হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের সেবার মান নিয়ে এক গ্রাহকের প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, টেলিটক সরকারি প্রতিষ্ঠান। সৌদি টেলিকম আসছে, টেলিটক যাতে আরো উন্নতর হয়।


যত্রতত্র টাওয়ার বসানো নিয়ে টাওয়ার শেয়ারিং বিষয়ে এক গ্রাহকের প্রশ্নে বিটিআরসির মহাপরিচালক মাহফুজুল করিম মজুমদার বলেন, টাওয়ারের রেডিয়েশনের যে ফলাফল পেয়েছি তা আন্তর্জাতিকমানের চেয়ে অনেক নিচে। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। টাওয়ারের চেয়ে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের ঝুঁকিটা বেশি, এটাও মাথায় রাখতে হবে। টাওয়ার শেয়ারিং নিয়ে অপারেটর ও টাওয়ারকো কাজ করছে।


মহাপরিচালক শহিদুজ্জামান বলেন, টাওয়ারের জন্য ক্ষতি হচ্ছে- এটা অমূলক ধারণা। যদি ক্ষতি হতো তাহলে উন্নত দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। সারা দেশে বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও জনবহুল এলাকায় রেডিয়েশন পরীক্ষা করে হাইকোর্টকে জানাবো।


আব্দুস সালাম নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, তিনি প্রতি সেকেন্ড পালসের প্যাকেজ কিনে কথা বললেও অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মহাপরিচালক শহিদুজ্জামান বলেন, সুস্পস্ট অভিযোগ দিন। যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। অপারেটররাও সতর্ক থাকবেন, ভবিষতে যাতে এ ধরনের অভিযোগ না আসে।


তিনি বলেন, আমরা সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছি। এ বছরেই চালু করবো। এ সিস্টেম চালু হলে অভিযোগ করলে পরীক্ষা করে দেখবো কোনো ধরনের ফাঁকি দেওয়া হয়েছে কিনা এবং করে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবো। বিটিআরসির হুমায়ুন কবির জানান, শুনানিতে প্রায় ২২টি প্রশ্ন এসেছে। অভিযোগের সমাধানের তথ্য আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।


বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগগুলো নিশ্চয়ই কমিশন সমাধান করবে। কল সেন্টার সপ্তাহে ৫ দিন ছিল। এখন সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। ফেসবুকসহ ওয়েবসাইটে অভিযোগ নেওয়া হবে। অপারেটরের যারা আছেন, কী কী অভিযোগ এসেছে তা শুনেছেন, কী কী সমস্যা? আমরা এটুকু শুনেছি আমরা আপনাদের বেশি বেশি সমর্থন করি! সত্যিকার অর্থে বিটিআরসি কখনও কাউকে সমর্থন করে না। আইন যেভাবে আছে আমরা সেভাবে আচরণ করি।


মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা খুবই তৎপর। আমরা টেস্ট করেছি, রেডিয়েশন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফাইভ-জির জরিপ কাজ শেষ করা হবে বলে জানান একজন কর্মকর্তা।

জুকারবার্গই থাকছেন ফেসবুকের হর্তাকর্তা

জুকারবার্গই থাকছেন ফেসবুকের হর্তাকর্তা

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বোর্ড চেয়ারম্যানের পদ থেকে মার্ক জুকারবার্গকে সরানোর দাবিতে আনা ভোটের ফল ফেসবুক প্রধানেরই পক্ষে গেছে। বৃহস্পতিবার ফেসবুকের বার্ষিক সাধারণ সভায় জুকারবার্গের নেতৃত্ব নিয়ে ভোট দেয়ার সুযোগ আসে শেয়ারধারীদের।


বর্তমানে প্রধান নির্বাহীর পাশাপাশি ফেসবুক বোর্ড চেয়ারম্যানেরও দায়িত্বে রয়েছেন জুকারবার্গ। চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে যারা আহ্বান জানিয়েছেন তাদের দাবি, এতে সিইও হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় আরও বেশি নজর দিতে পারবেন তিনি।


ভোট হলেও এতে জুকারবার্গের হারার সম্ভাবনা সামান্য বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি নিজেই। ফলে ৬০ শতাংশ ভোটও রয়েছে তার হাতে।


ফেসবুকের প্রায় ৭০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের শেয়ার রয়েছে ট্রিলিয়াম অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের। এছাড়াও ফেসবুকের লাখো কোটি ডলার মূল্যের শেয়ারের মালিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করে ট্রিলিয়াম অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।


জুকারবার্গের পদত্যাগের দাবি করেছে এ প্রতিষ্ঠান। ট্রিলিয়ামের জ্যেষ্ঠ ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোনাস ক্রোন বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চমানের একটি প্রতিষ্ঠানের দুইটি পূর্ণকালীন পদ ধরে রেখেছেন তিনি। যদি তিনি প্রধান নির্বাহী হওয়ার দিকে নজর দেন এবং অন্য কাউকে স্বাধীন বোর্ড চেয়ার হওয়ার দিকে নজর দিতে দেন, সেটা অনেক ভালো ফল দেবে।’


‘তার কাছে উদাহরণ আছে ল্যারি পেইজ ও অ্যালফাবেট, বিল গেটস ও মাইক্রোসফট, যেখানে একজন প্রতিষ্ঠাতাকে বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে দেখা হয় না।’ ‘আমি জানি এ পদক্ষেপ নেয়া সহজ হবে না, কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা পদক্ষেপ, যাতে তার এবং শেয়ারধারীদের লাভ হবে।’


এক বছর ধরে গোপনীয়তা ও ডেটা কেলেঙ্কারির মধ্যেও আয়ের প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে ফেসবুক। বার্ষিক সভায় ফেসবুক প্রধানকে প্রশ্ন করা হয় কেন তিনি একজন স্বাধীন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবেন না। প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি জুকারবার্গ।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three