Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts
Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts
শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাংলাদেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা সংসদে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৪ হাজার ৬১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও দিয়েছেন তিনি। শনিবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তালিকা দেন।


শীর্ষ ১০ ঋণ খেলাপির মধ্যে আছে- চট্টগ্রামের সামানাজ সুপার অয়েল (এক হাজার ৪৯ কোটি টাকা), গাজীপুরের গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং (৯৮৪ কোটি), ঢাকা সাভারের রিমেক্স ফুটওয়্যার (৯৭৬ কোটি), ঢাকার কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম (৮২৮ কোটি), চট্টগ্রামের মাহিন এন্টারপ্রাইজ (৮২৫ কোটি), ঢাকার রূপালী কম্পোজিট (৭৯৮ কোটি), ঢাকার ক্রিসেন্ট লেদার ওয়্যার (৭৭৬ কোটি), চট্টগ্রামের এস এ অয়েল রিফাইনারি (৭০৭ কোটি), গাজীপুরের সুপ্রভ কম্পোজিট নিট (৬১০ কোটি), গ্রামীণ শক্তি (৬০১ কোটি)। শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা আছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া ১৪ হাজার ৬১৭ জনের বড় একটি অংশ ঋণ খেলাপি, যাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।


আরেক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৯ মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ জন। সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান তার প্রশ্নে ২০০৯ সালে ঋণ খেলাপি কত ছিল ও তাদের কাছে প্রাপ্ত ঋণের পরিমাণ এবং ২০১৮ সালে ওই সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণও জানতে চেয়েছিলেন।


তবে অর্থমন্ত্রীর উত্তরে বলা হয়, ডাটা ওয্যারহাউজ না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেইজে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পূর্বের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ২০০৯ সালের ঋণের তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে লুৎফুন নেসার প্রশ্নের জবাবে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ঋণ খেলাপি ও তাদের ঋণের পরিমাণ সংসদকে জানান অর্থমন্ত্রী। এ প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে ঋণ খেলাপির সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ জন এবং তাদের কাছে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপির সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ এবং অর্থের পরিমাণ এক লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।


আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। ব্যাংক আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ করে থাকে। সংগৃহীত আমানতের উপর ব্যাংকের মাধ্যমে আমানতকারীদের সুদ দিতে হয় বলে ব্যাংকের পক্ষে বিনাসুদে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হয় না। আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে, যার পরিমাণ ২,৮০,০৬৩ (দুই লাখ আশি হাজার তেষট্টি) কোটি টাকা (সংশোধিত)। বিগত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) এ লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২,২৫,০০০ (দুই লাখ পঁচিশ হাজার) কোটি টাকা। আহরণ হয়েছে ২,০২,৩১৪.৯৪ (দুই লাখ দুই হাজার তিনশত চৌদ্দ দশমিক নয় চার) কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।


সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে গত বছরে (জানুয়ারি ২০১৮-ডিসেম্বর ২০১৮) ছয় হাজার ১৬৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে এক হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি সুদ মওকুফ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি ২০০৮টি ঋণের বিপরীতে ৪৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে। আর বাংলাদেশ ডেভোলপমেন্ট ব্যাংক কোনও সুদ মওকুফ করেনি। অন্যান্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক ৬৬টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪৩৫ কোটি ৯৬ লাখ, রূপালী ব্যাংক ২০৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ১৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক ১৪টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক ২৪৭৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১৩৮০টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংক ১৯টি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে।

মোবাইল ব্যাংকিং: ব্যালেন্স দেখতে পয়সা গ্রাহকদের দিতে হবে না

মোবাইল ব্যাংকিং: ব্যালেন্স দেখতে পয়সা গ্রাহকদের দিতে হবে না

admin June 19, 2019

মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবায় (এমএফএস) হিসাবের ব্যালান্স দেখার জন্য গ্রাহকদের কোনো খরচ হবে না। প্রতি বার ব্যালেন্স দেখার জন্য যে ৪০ পয়সা খরচ হবে তা বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করা হয়।


বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়, বিকাশ, রকেট, শিওরক্যাশ ও নগদের মতো মুঠোফোন ভিত্তিক আর্থিক সেবায় (এমএফএস) ব্যালান্স দেখতে গ্রাহককে কোনো টাকা গুনতে হবে না।


এতে আরো বলা হয়, গত ১৩ জুন যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে গ্রাহকের ওপর নতুন করে চার্জ আরোপের কোনো সুযোগ নেই।


এর আগে, গত ১৩ জুন এ সংক্রান্ত বিটিআরসি’র ওই নির্দেশনায় বলা হয়, একটি আর্থিক লেনদেন ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হলে মুঠোফোন অপারেটররা ৮৫ পয়সা পাবে। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেন ছাড়া অন্য কাজের জন্য প্রতিবার ৪০ পয়সা দিতে হবে। উল্লেখ্য, আর্থিক লেনদেন ছাড়া গ্রাহকরা মূলত ব্যালেন্স দেখার কাজই করেন।


তবে, নির্দেশনায় আর্থিক লেনদেন ব্যতীত অন্য কাজের জন্য নির্ধারিত ৪০ পয়সা গ্রাহক নাকি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দেবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে আজকের এই নির্দেশনার মাধ্যমে এই ধোঁয়াশা দূর করলো বিটিআরসি।

জবাবদিহিতা নিশ্চিতে নিবন্ধনের আওতায় আসছে বায়িং হাউজগুলো

জবাবদিহিতা নিশ্চিতে নিবন্ধনের আওতায় আসছে বায়িং হাউজগুলো

admin June 17, 2019

এদেশে কর্মরত বায়িং হাউজগুলোকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রায় ৩ দশক আগে দেশে বায়িং হাউজ ব্যবসা চালু হলেও ওসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পায়নি। এমনকি বায়িং হাউজগুলোর নিবন্ধনে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠানই তা মানছে না। এমন অবস্থায় অনিবন্ধিত বায়িং হাউজগুলোকে দুই দিনের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আর ওই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। বস্ত্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।


জানা গেছে, দেশে আশির দশকে রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের যাত্রার শুরুতে পোশাক শিল্প মালিকরা আন্তর্জাতিক ক্রেতা গোষ্ঠির সাথে সংযোগ তৈরি ও দর কষাকষিতে তেমন পারদর্শী ছিল না। আর ওই সুযোগেই মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বায়িং হাউজ ব্যবসার উত্থান ঘটে। কিন্তু ওই ব্যবসার ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ বা তদারকি না থাকায় অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। দেশের বায়িং হাউজগুলোয় বিপুল পরিমাণ বিদেশী কাজ করে। যাদের কারণে প্রচুর অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর কূটকৌশল অবলম্বনের কারণে অবৈধ পন্থায় ওই অর্থের বেশির ভাগ বিদেশ যাচ্ছে। তাছাড়া বায়িং হাউজের গাফিলতিতে পণ্য প্রস্তুতকারক কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ক্রেতার মধ্যে বিরোধও সৃষ্টি হয়। তাতে করে শিল্প মালিকদেও বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সমস্যার মূলে থাকা বায়িং হাউজকে কোনো জবাবদিহিতায় আনা সম্ভব হয় না।


সূত্র জানায়, সরকার বস্ত্র শিল্প আইন ২০১৮ প্রণয়ন করার পর ওই আইনের মাধ্যমে বায়িং হাউজের নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হয়। আইনে বলা হয়, পোশাক শিল্পের বায়িং হাউজ, ব্র্যান্ড ও অন্য ক্রেতাদের লিয়াজোঁ কার্যালয় থেকে শুরু করে শিল্পসংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোকে বস্ত্র অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। সেজন্য বায়িং হাউজগুলোকে নিবন্ধনের আহŸান জানিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কিন্তু ওই প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নিবন্ধন নিয়েছে মাত্র ৮-১০টি প্রতিষ্ঠান।


এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, যাতে নিবন্ধন গ্রহণের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে ৬০ দিন। বিগত ২৮ মে জারি করা দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বায়িং হাউজগুলোকে এটি জারির দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে নিবন্ধক অতিরিক্ত ৬০ দিন সময় বাড়াতে পারবে। আর ওই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণে ব্যর্থ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনটি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বস্ত্র খাতসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি মোট ৭০টি সংস্থা ও সংগঠনের কাছে পাঠানো হয়েছে।


সূত্র আরো জানায়, বিজিবিএর সদস্য প্রায় ৪০০ বায়িং হাউজ সক্রিয় রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে বিদেশী ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের লিয়াজোঁ অফিস। বাংলাদেশে ব্র্যান্ড ক্রেতাদের লিয়াজোঁ দপ্তর হিসেবে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় এক-দেড়শো। এখন ওসব প্রতিষ্ঠানকেও বস্ত্র অধিদপ্তরের নিবন্ধন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০০৯-২০১৮ সালের মধ্যে সব খাত মিলিয়ে অনুমোদিত লিয়াজোঁ অফিসের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ১০০। আগে বিলুপ্ত বিনিয়োগ বোর্ড থেকে অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের লিয়াজোঁ কার্যালয়গুলো পরিচালনা করতো। সুনির্দিষ্ট কোনো পোশাক কর্তৃপক্ষ না থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ বোর্ডে ৫০ হাজার ডলার জমা দিয়ে লিয়াজোঁ অফিস হিসেবে অনুমোদন নিতে হতো। নতুন আইনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ওসব লিয়াজোঁ কার্যালয়কে বস্ত্র অধিদপ্তরের নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।


এদিকে পোশাক শিল্প প্রতিনিধিরা বলছেন, বায়িং হাউজের মতো মধ্যস্থতাকারীর কারণে আয়ের একটি বড় অংশ অন্যের পকেটে চলে যায়। যদিও শুরুর দিকে তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশের স্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বায়িং হাউজগুলো। কিন্তু এখন পোশাক খাতের কারখানা মালিকদের সরাসরি ক্রেতার সঙ্গে বিপণন সংযোগ ও দরকষাকষির কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।


অন্যদিকে ৬০ দিনের বাধ্যবাধকতা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কেআই হোসেন জানান, সরকার আইন ও আইনের আলোকে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি বহুল প্রচারিত হতে পারেনি। তাই এখনো কাক্সিক্ষত পরিমাণে নিবন্ধন হয়নি। গত কয়েক দশকে কোনো অভিভাবক ছাড়াই বস্ত্র ও পোশাক শিল্প বড় হয়েছে। এখন একটি পোশাক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিল্পটি অভিভাবক পেয়েছে। এর আওতায় বায়িং হাউজগুলোও অন্তর্ভুক্ত। খাতের স্বচ্ছতা ও জাতীয় রাজস্বের স্বার্থে ইতিবাচক এ পদক্ষেপ কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। দুঃখজনক হলেও সত্য, আইন থাকলেও এখনো এ খাতে নিয়ন্ত্রণ বা তদারকি পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা পায়নি। তবে ধীরে হলেও সচেতনতা বাড়ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপারিশও করা হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে বস্ত্র অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা স্বল্প সময়ের জন্য নামসর্বস্ব ভুইফোঁড় বায়িং হাউজের নামে ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি পরিচালনায় সম্পৃক্ত হয়। অনেকে ক্ষেত্রে এ ধরনের বায়িং হাউজের ব্যবসার সময় ৩ মাসেরও কম হয়ে থাকে। এ কারণেই সময়টি ৬০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ ব্যাংকেও পাঠানো হয়েছে, যাতে করে ব্যাংকের মাধ্যমে অনিবন্ধিত বায়িং হাউজ শনাক্ত করা যায়। নিবন্ধন না নিলে কোনো বায়িং হাউজ ব্যবসা করতে পারবে না।

কুড়িগ্রামে খাদ্যগুদামকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে কৃষকের তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ

কুড়িগ্রামে খাদ্যগুদামকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে কৃষকের তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ

admin June 16, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
অবশেষ কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার খাদ্য গুদামকে সিন্ডিকেট মুক্ত করাসহ সরকারীভাবে ধান সংগ্রহ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে উলিপুর উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটির সর্বশেষ সভায় পূর্বের কৃষকের তালিকা সংশোধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের সহায়তায় স্থানীয় কৃষিবিভাগ তালিকা সংশোধনের কাজ চুড়ান্ত করবে মর্মে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।


সূত্র জানায়, উলিপুর উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটির নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এলাকার প্রকৃত কৃষকরা তার সুফল পাবে।


সুত্র আরো জানায়, খাদ্য দস্যু রাজা মিয়ার নেতৃত্বধীন চিহ্নিত সিন্ডিকেটটি দীর্ঘ এক যুগ ধরে সরকারী খাদ্য গুদামকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে কৃষকের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে আসছিল। কাগজ-কলমে কৃষকের নাম থাকলেও প্রকৃত পক্ষে কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে পারতো না। কৃষকের স্বাক্ষর জাল করে ফায়দা লুটতো ওই চিহ্নিত সিন্ডিকেটটি। এই সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে কৃষকের তালিকা তৈরির জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু জোর দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে তার কৃষক বান্ধব দাবিটি উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটির সভায় পূর্ণতা পায়।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে, উলিপুর উপজেলায় মোট কৃষকের সংখ্যা ১লাখ। তার মধ্যে কৃষি ভ‚র্তকীর কার্ড প্রাপ্ত কৃষকের সংখ্যা ৭৪ হাজারের অধিক। এদের মধ্য থেকে ধান সংগ্রহের জন্য ১৮ হাজার ৮শ ৯৫ জন কৃষককে তালিকাভুক্ত করা হয়। এই তালিকা নিয়ে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের সহায়তায় তালিকা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়।


উলিপুর উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বোরো ধান কেনার লক্ষ্য মাত্র ধরা হয়েছে- ৬শ’ ৩৭ মেঃটন। এর মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ৩শ’ ১৮ মেঃ টন ধান কেনার জন্য লটারীর মাধ্যমে ৬শ’ ৬২ জন কৃষকের নাম চূড়ান্ত করা হয়। তালিকা সংশোধনের পর দ্বিতীয় কিস্তির ৩শ’ ১৯ মেঃটন ধান কেনার জন্য লটারীর মাধ্যমে কৃষকের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।


উলিপুর উপজেলার খাদ্য দস্যু খ্যাত সিন্ডিকেটের হোতা রাজা মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি একজন মিল মালিক। এইটুকুই আমার পরিচয়।


এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।


উলিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, খাদ্য সংগ্রহ কমিটির নির্দেশনা অনুসরণ করে কৃষকের তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করেছি।


উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের জানান, খাদ্য সংগ্রহকে ত্রুটি মুক্ত করার জন্য আমরা কৃষকের তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি এই উদ্যোগের সুফল সাধারণ কৃষকরা পাবেন।


উলিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, চিহ্নিত সিন্ডিকেটটি অসৎ কৃষি অফিসারদের সহায়তায় তাদের মনগড়া তালিকা প্রণয়ন করার বিষয়টি অবগত হবার পর থেকে আমি কৃষকের তালিকা সংশোধনের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম।


তিনি বলেন, ‘অবশেষে উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটি সেই দাবির আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। তবে লটারীতে নাম উঠার পরে যাতে ভাগ্যবান কৃষকরা সরাসরি খাদ্য গুদামে ধান জমা দিয়ে সরকার প্রদত্ত্ব আর্থ হাতে গুণে নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’

বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম

বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম

admin June 14, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়বে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৭ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা এবং ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৭ টাকা ও ৪০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিড়ি-সিগারেটের মতো ভয়াবহ আরেকটি পণ্য জর্দা ও গুল। এগুলোর ব্যবহার সরাসরি হওয়ায় শরীরের ওপর এর বিরূপ প্রভাবও বেশি। এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা এবং ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শীর্ষক বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা

বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রস্তাবিত (২০১৯-২০) অর্থবছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের থেকে ২০ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বেশি। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ।


বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বাজেটে অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজটে প্রস্তাব করা হয়। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’।


বাজেটে প্রস্তাবে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।


বাজেটে ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস থেকে নিট ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হতে পারে। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমকি ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের পরিমাণ ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা।


এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিট ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা নেওয়া হবে। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমকি ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া হবে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা) এবং সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা) নেওয়া হতে পারে।


এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরে একই পরিমাণ রয়েছে। এর আগে বিকেল তিনটার দিকে বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তব্য শুরু করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।


এরপর শুরু করেন ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ১০০ পৃষ্ঠার ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন। কিন্তু অসুস্থ থাকায় কিছুক্ষণ পর থেকে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় প্রস্তাবিত বাজেটটি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের ক্যাবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়।


এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।


এবারের বাজেটে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর আদায় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ছাড়া আদায় বা প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three