Showing posts with label ঘূর্ণিঝড়. Show all posts
Showing posts with label ঘূর্ণিঝড়. Show all posts
ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও ঝড় চলাকালীন সময়ে করণীয়

ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও ঝড় চলাকালীন সময়ে করণীয়

admin May 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
১। ইন্টারনেটে পোস্ট দেখে আতঙ্কিত না হওয়া: স্যোশাল মিডিয়া বা নিউজ পোর্টালে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বাড়াবাড়ি খবর দেখে আতঙ্কিত না হয়ে বিশ্বস্ত নিউজ পোর্টাল, টিভি অথবা এফএম রেডিও এর খবর শুনুন। রেডিও এবং টিভিতে ভেরিফাইড নিউজ পাবেন। বিপদে শান্ত থেকে সমাধানের চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।


২। চার্জ দেওয়া: পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট, টর্চ লাইট এ চার্জ ফুল রাখুন। এরআগে ঘূর্ণিঝড় আইলার জন্য ১ দিনের বেশি বিদ্যুৎ, গ্যাস, মোবাইল ফোন এর সার্ভিস পাওয়া যায়নি। শহরে আছি বলে কিছু হবে না, এমন মনে করা বোকামি। ব্যাকআপ হিসেবে মোমবাতি এবং লাইটার রাখা ভালো। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আগুণ সব সময়ই লাস্ট অপশন।


৩। ফার্স্ট এইড বক্স: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়রিয়া, জ্বর এর জন্য স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে রাখুন।


৪। নিরাপদ আশ্রয়: বাসা টিন শেড হলে বা নিচ তলায় হলে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ওয়াটারপ্রুফ বক্স এ টেপ এবং পলিথিন পেঁচিয়ে রাখুন। ফ্লোরে মাল্টিপ্লাগ রাখবেন না।


৫। শুকনো খাবার: নিরাপত্তার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন লাইন অফ থাকতে পারে। রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখুন।


৬। রেলিং এর ওপর ফুলের টব, নির্মাণ সামগ্রী: ফুলের টব নিরাপদ স্থানে রাখুন। খোলা যায়গায় নির্মাণ সামগ্রি রাখবেন না। বাসার পাশে নির্মানাধীন ভবন থাকলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।



ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে করণীয়:


১। রাস্তায় থাকলে শপিং মল, মসজিদ, স্কুল বা যেকোনো পাকা ইমারতে আশ্রয় নিন। কোনভাবেই খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না।


২। রাস্তায় জ্যামে পড়লে গাড়ির পাশে জায়গা রেখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন যেন বিপদের মুহূর্তে দরজা খোলা যায়।


৩। বাড়ির বিদ্যুৎ এবং গ্যাস এর মেইন লাইন অফ করে দিন।


৪। দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন যাতে বাইরে থেকে ময়লা বা ভারী কিছু উড়ে এসে আঘাত করতে না পারে।


৫। টিনশেড বাসা হলে বা নিচু জায়গায় হলে নিরাপদ কোথাও আশ্রয় নিন।


৬। ইন্টারনেট ব্যবহার না করে, ফোনে রেডিও শুনতে হবে। ডাটা কানেকশন অন রেখে ফেসবুক স্ক্রল করলে ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হবে, নেটওয়ার্কও বেশি ব্যস্ত থাকবে।


৭। কোনভাবেই ট্যাপের পানি সরাসরি খাওয়া যাবে না। ফুটিয়ে বা ভালো ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে।


৮। খুব বেশি জরুরি না হলে রাস্তায় বের হওয়া নিরাপদ নয়।


৯। কল করে নেটওয়ার্ক বিজি না রেখে SMS ব্যবহার করে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করুন। ডাটা কানেকশন অফ রাখুন।


সর্বোপরি উদার হওয়ার চেষ্টা করুন। বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করার সুযোগ থাকলে সাহায্য করুন। নিজে উপরতলায় থাকলে নিচতলার বসবাসকারীদের দিকে খেয়াল রাখুন। বাসার পাশের টিনশেড এর বসবাসকারীদের আশ্রয় দিন। এছাড়াও জেনে নিন ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত নম্বরগুলোর অর্থ বুঝে রাখুন।


 

https://www.newsbd.tv/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%AE/
জেনে রাখুন সতর্ক সংকেত নম্বরগুলোর অর্থ কী?

জেনে রাখুন সতর্ক সংকেত নম্বরগুলোর অর্থ কী?

admin May 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় এলে নদী ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১ থেকে ১১ পর্যন্ত সতর্ক সংকেত দিতে দেখা যায়। এই সংকেতগুলোর প্রতিটির পৃথক পৃথক অর্থ রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষকরা বলছেন, সংকেতগুলো তৈরি করা হয়েছে শুধু সমুদ্রবন্দর এবং নদীবন্দরকে লক্ষ্য করে। এই সংকেত জনসাধারণের জন্য নয়, তবে তাদের জন্যও সংকেতের ব্যবস্থা এখন করা সম্ভব। কারণ, ঘূর্ণিঝড় কোন এলাকার ওপর দিয়ে কখন অতিবাহিত হবে, সেটি বের করার প্রযুক্তিও এখন আছে।


১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত: এর অর্থ বঙ্গোপসাগরের কোন একটা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং সেখানে ঝড় সৃষ্টি হতে পার। (একটি লাল পতাকা)


২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত: সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে।


৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত: এর অর্থ বন্দর দমকা হাওয়ার সম্মুখীন (দুইটি লাল পতাকা)।


৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত: এর অর্থ বন্দর ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে, তবে বিপদের আশঙ্কা এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


৫ নম্বর বিপদ সংকেত: এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।


৬ নম্বর বিপদ সংকেত: এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।


৭নং বিপদ সংকেত: এর অর্থ অল্প অথবা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড় হবে এবং এজন্য আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। (তিনটি লাল পতাকা)


৮ নং মহাবিপদ সংকেত: এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হবে এবং বন্দরের আবহাওয়া খুবই দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।


৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত: এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।


১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত: এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঘূর্ণিঝড়টির বন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।


১১ নম্বর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংকেত: এর অর্থ ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সাথে সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েগিয়েছে এবং স্থানীয় অধিকর্তার বিবেচনায় চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’: ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত

এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’: ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত

admin May 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।


ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার (০১ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৩৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৯০ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৯৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১০০ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।


ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কি. মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।


এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three