Showing posts with label ধরা খেল. Show all posts
Showing posts with label ধরা খেল. Show all posts
কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ধরা খেল পুলিশ

কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ধরা খেল পুলিশ

admin August 28, 2018

সারাদেশ: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সাধারন মানুষকে কোন কারণ ছাড়াই ধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এমন ঘটনা শুনে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার গভীর রাতে মটর সাইকেল নিয়ে ছুটে জান পুলিশের এ কর্মকাণ্ড দেখতে। এমন ঘটনা ঘটেছে কালীগঞ্জ উপজেলার সিংদহ গ্রামে।


জানা যায়, গত শনিবার রাত ১ টার দিকে কালীগঞ্জ থানার অমিত, সমম্বিত, গাফ্ফার সাথে কয়েকজন কনস্টেবল একটি কালো রংয়ের মাইক্রো নিয়ে সিংদহ গ্রামে মোচিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। এ সময় তিনি পুলিশের কথায় দরজা না খুলে এমপি আনোয়ারুল আনারের কাছে ফোন দেয়। একথা শুনে এমপি আনার রাত দেড় টার সময় সাংবাদিক মানিককে সাথে নিয়ে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় পুলিশ জোর করে ঘরের দরজা খুলতে বলছে। পুলিশ এমপি আনারকে দেখে হতাশ হয়ে পড়ে এবং এমপি আনার পুলিশ দের কাছে জানতে চায় এতরাতে এখানে কি। পুলিশ আমতা আমতা করে বলে স্যার এমনি আসছি।


[পাবনায় আবাসিক হোটেলে থেকে ২৯ নারী-পুরুষ আটক]


ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাকে ঘরের দরজা খুলতে বলছে ও নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করছে। দামোদরপুর গ্রামের আবুল কাশেম কে রাতে বাড়ি ধোরে কোলা ক্যাম্পে আটকিয়ে রাখে ২ দিন, পরে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। বারবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সবুজ হোসেন কে ধোরে এনে ১ লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা চাপাচাপি করলে টাকা ফেলতের কথা বলে পুলিশ রক্সা পায়। কিন্তু পুলিশ সবুজের টাকা ফেলত দেয়নি। এধরনের অসখ্য প্রমান রয়েছে নিরিহ মানুষ কে ধোরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া।


[জামাই-শ্বাশুড়ির পরকীয়ার পর বিয়ে, জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু]


সাদিকপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের পুত্র হাফিজুর ও একই গ্রামের রিপন হোসেন জানায়, গভীর শুক্রবার রাতে একটি সিএনজিতে ৪/৫ জন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ তাদের বাড়িতে যায়। এরপর তাদেরকে ঘুম থেকে তুলে মাদক ব্যাবসার অভিযোগ আছে বলে হাতকড়া পরিয়ে থানায় না এনে আমবাগান নামকস্থানে নিয়ে আসে। সেখানে রেখে পুলিশ আটক রিপনের মোবাইল থেকে তার বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে গ্রামের মেম্বরকে নিয়ে দেখা করতে বলে। রাত ৩ টার দিকে মেম্বর ঝুন্টসহ পরিবারের লোকজন আমবাগানে আসে। আটককৃতদের নামে কোন মামলা না থাকলেও পুলিশ ভয় দেখিয়ে পরিবারের নিকট ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ৮ হাজার টাকা নিয়ে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।


[দুদক কারো অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না -ইকবাল মাহমুদ]


ভুক্তভোগী রিপন আরও জানায়, পুলিশ তাকে আটকের পরই তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাতে কিছু মাদকের ছবি পোস্ট দেয়। তবে ছেড়ে দেবার আগে তা ডিলিট করে দেয়। বর্তমানে কালীগঞ্জের মানুষ থানা পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে চরম আতঙ্কগ্রস্থ রয়েছে।


এ বিষয়ে সাদিকপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ঝন্টু মিয়া জানায়, তিনি রাতে আমবাগানে গিয়েছিলেন। তবে পুলিশ কত টাকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়েছেন তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, রাতের ওই ঘটনাটি তিনি জানেন না। তবে খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three