আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জেলযাত্রার একবছর পূর্তিতে প্রচার থেকে অনেক দূরে ডেরা সচ্চা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম। রোহতক জেলে কারাবাসের বর্ষপূর্তিকে কেমন আছে সে। কেমন আছে রামরহিম এ নিয়ে গতকাল রবিবার এক ভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে প্রকাশ করা হয়েছে ধর্ষক রাম রহিমের বর্তমান অবস্থা।
গত বছর ২৫ অগাস্ট ২ মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাবাসের দণ্ড দেয় ভারতের পঞ্চকুলার আদালত। এর পরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে একাধিক রাজ্যে। তাতে মৃত্যু হয় ৪১ জনের। সেই থেকে রাম রহিমের ঠিকানা হয় জেলে। জেলে প্রায় আধ একর জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে রাম রহিমের ব্যারাক। চারদিক ঘেরা ৮ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে। তার মধ্যে ১৫ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া একটি ঘরে থাকে রাম রহিম।
জেল সূত্রে জানা যায়, রোজ সকাল ৫টা থেকে ৫.৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে ওঠে রাম রহিম। এর পর ঘরের সামনে বারান্দায় কিছুক্ষণ হাঁটে সে। কখনও যোগাসন করতেও দেখা যায় রাম রহিমকে। সকাল সাড়ে ৬ টায় অন্যান্য কয়েদিদের সঙ্গে রাম রহিমকেও জেলের বাগানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে সবজি চাষ করছে রাম রহিম। সেখানে ২ ঘণ্টা ধরে ফসলের পরিচর্যা করে সে। এরপর ৮ টা নাগাদ তাকে সকালের খাবার দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৮ টার মধ্যে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাম রহিমকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে শুনানির জন্য তৈরি করা হয়। শুনানি না থাকলে নিজের কুঠুরিতে বসে বই পড়ে রাম রহিম।
জানা গেছে, এক বছরে চেহারার জৌলুস অনেকটাই কমে গিয়েছে রাম রহিমের। এক বছর আগে যেদিন রাম রহিম রোহতক জেলে এসেছিল সেদিন তার ওজন ছিল ১০৫ কিলোগ্রাম। ১২ মাসের বন্দিদশার পর তার ওজন কমেছে ১৩ কিলোগ্রাম। এখন রাম রহিমের ওজন ৯২ কেজি। চেহারার জৌলুসও ম্লান হয়ে গিয়েছে জেলবন্দি এই ধর্ষকের। তার কুচকুচে কালো দাড়ি দু'দিক থেকে পেকে সাদা হয়ে গিয়েছে। তবে দাড়ি বা চুল কাটেনি সে।
গত বছর ২৫ অগাস্ট ২ মহিলাকে ধর্ষণের দায়ে রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় পঞ্চকুলার বিশেষ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সে। দিন কয়েক আগে রাম রহিমের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।