রংপুর এক্সপ্রেস: বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় করা মামলায় নতুন করে আর আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
এরা হলেন- কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহম্মদ; মহাব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) আবুল কাসেম প্রধানীয়া, ব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) মোশারফ হোসেন সরকার; ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার; ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার; ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান; ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম এবং উপ-ব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হক।
এর আগে মঙ্গলবার অপর আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা।
তারা হলেন- কোল মাইনিং কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী; উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর বিভাগ) এ কে এম খালেদুল ইসলাম; উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মোরশেদুজ্জামান; উপ-ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান; উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান; সহকারী ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন; ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং) জোবায়ের আলী।
এর আগে গত ১৩ অগাস্ট মামলার ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তাকে তলব করে নোটিস দেয় দুদক। তাদের মধ্যে দুই দফায় ১৫ জন দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন।
বুধবার ওই আট জনের জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবারও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।
এদের মধ্যে রয়েছেন- কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) মুহাম্মদ খলিলুর রহমান; সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারি ও গোপাল চন্দ্র সাহা।
একই দিন ব্যবস্থাপক (হিসাব) সারোয়ার হোসেন; ব্যবস্থাপক (সেলস ও রেভিনিউ কালেকশন) কামরুল হাসান; উপব্যবস্থাপক (মার্কেটিং ও কাস্টমার সার্ভিসেস) মোহাম্মদ নোমান প্রধানীয়া; সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল আলম এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা আছে।
কয়লা দুর্নীতির ঘটনায় গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম।
এজাহারে বলা হয়, খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নূর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) একেএম খালেদুল ইসলামসহ খনির ব্যবস্থাপনায় জড়িত অপর আসামিরা ওই কয়লা চুরির ঘটনায় জড়িত। অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ব্যবস্থাপক, উপ-ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপক পর্যায়ের কর্মকর্তা।