নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকায় ১৫ আগষ্টের আলোচনা সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেফতারের দাবিতে ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা।
এদিকে ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেও বাহাদুরকে গ্রেফতার করাতে পারেনি এমপি গোলাম মোস্তফা। জলঢাকা শহরের উপর দিয়ে বিভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগের মূল সড়কে এমপি’র অবরোধের ফলে চারিদিকে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়ে এতে চরম জন দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পৌর শহরে অতিরিক্ত র্যাব,পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধায় উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্দোগ্যে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে উম্মুক্ত আলোচনা ও কবিতা পাঠের আসরের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা অতিথি না থাকলেও অতর্কিত ভাবে মঞ্চে আসেন এবং বক্তব্য রাখেন। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় এমপি’র বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা, জামায়াত প্রীতিসহ দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে আন্দোলন করে আসছে বাহাদুরের নেতৃত্বাধীন উপজেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ। তার উপস্থিতি দেখে এমপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীরা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে শ্লোগান দিয়ে, কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছেন তা জানতে চায়।
এসময়ে উপস্থিত এমপি সমর্থকরা তার পক্ষে পাল্টা শ্লোগান দিলে উত্তেজনার সৃস্টি হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্ঠা করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরসহ তার নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে এমপি তার সমর্থকদের নিয়ে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১২টা পযর্ন্ত দীর্ঘ প্রায় ৪ঘন্টা বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে সড়ক অবরোধ করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার বলেন,‘আমাদের শোক দিবসের আলোচনা সভায় কাউকে অতিথি করি নাই। তবে যারাই এসেছে তাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি।’
এ বিষয় অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন,‘আমার নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে শ্লোগান দিতে থাকলে আমি গিয়ে তাদেরকে শান্ত করি। যেহেতু এবারে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশি, তাই এমপি প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।’
নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন,‘এটা অন্তঃদলীয় কোন্দল,বিষয়টি আমরা উদ্ধের্তন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ এ বিষয়ে এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে আলোচনা সভায় বাহাদুরের নেতৃত্বে তার লোকজন আমাকে গালমন্দ করে। এরই প্রতিবাদে আমার সমর্থকরা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেফতারের দাবী করে।
Showing posts with label ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা. Show all posts
Showing posts with label ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা. Show all posts
Subscribe to:
Posts (Atom)