Showing posts with label মার্ক জাকারবার্গ. Show all posts
Showing posts with label মার্ক জাকারবার্গ. Show all posts
রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের সময় উস্কানিমূলক বার্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল ফেসবুক

রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের সময় উস্কানিমূলক বার্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল ফেসবুক

admin April 03, 2018

টেক এক্সপ্রেস: মিয়ানমানে বৌদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নিধনযজ্ঞের সময় বৌদ্ধদের ফেসবুকে উস্কানির ম্যাসেজ দেখেছিলেন ফেসবুক জনক মার্ক জাকারবার্গ। এ বিষয়ে তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি মার্কিন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ভক্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। ফেসবুকের কোন একজন কর্মকতার নজরে প্রথমে আসে এটি এবং তিনি জাকার্বাগকে তৎক্ষাৎ বিষয়টি জানান।


ভক্সকে জাকার্বাগ বলেন, "একদিন (ওইসময়) আমি একটা কল পেলাম, তারপর দেখলাম ফেসবুক মেসেঞ্জার দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইনবক্স দেওয়া-নেওয়া হচ্ছে। কিছু ইনবক্স মুসলমানরা একে অপরকে সাবধান করছে এই বলে যে, বৌদ্ধরা ক্ষেপে উঠেছে, সুতরাং আত্মরক্ষার্থে সাথে অস্ত্র রাখো, অমুক জায়গায় যাও।' অপরদেকে বৌদ্ধরাও একই কথাবার্তা চালাচালি করছে"। মার্ক বলছিলেন, "প্রথমেই আমরা বিষয়টি ধরতে পেরেছিলাম, তার বন্ধ করতে পেরেছিলাম। এখন এ ধরণের বিষয়ে আমরা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি।"


ওই সাক্ষাৎকারে মার্ক জুকাবার্গ স্বীকার করেছেন যে, মিয়ানমারে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য ফেসবুককে ব্যবহার করা হয়। জাকারবার্গ বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে তার অফিসে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ফেসবুক ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।


মার্ক যদিও বলছে যে তারা বিষয়টি ধরতে পেরেছিলেন, তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, কিন্তু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ফেসবুককে ব্যবহার করা নিয়ে এখনও বিস্তর সমালোচনা চলছে। হিউম্যান রাইটসের এশিয়ার বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ফেসবুক বর্তমানেও মিয়ানমারের বৌদ্ধদের খবরের প্রধান সূত্র হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু সে দেশের বাজার নিয়ে ফেসবুকের কোনো মাথাব্যথা নেই। তিনি বলেন, ‌যার ফলে (মিয়ানমারে) ফেসবুকের অবস্থা দাঁড়িয়েছে এক প্রবাসী বাড়ি মালিকের মতো'।


মার্চে বৌদ্ধদের সহিংসতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জাতিসংঘ তদন্তকারী দলের এক কর্মকর্তা ইয়াংহি লি বলেন "ফেসবুক হিংস্র জানোয়ারের রূপ নিয়েছে"। তিনি বলেন, কট্টর বৌদ্ধ নেতাদের ফেসবুক পাতা রয়েছে এবং তার মাধ্যমে তারা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন।" ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমারে গতবছর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরুর ঠিক আগে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা ফেসবুকে ঘৃণামূলক বিবৃতি দিতে শুরু করেছিলো।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three