Showing posts with label বিএনপি. Show all posts
Showing posts with label বিএনপি. Show all posts
তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বুটের তলায় পিশে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বুটের তলায় পিশে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

admin June 17, 2019

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালে একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য বাংলার মানুষ যুদ্ধ করেছে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলেছে। কিন্তু আজ তারাা (আওয়ামীলীগ) সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্নভাবে বুটের তলায় পিশে দিয়ে একটি এক দলীয় শাষণ ব্যবস্থা প্রবর্তন করার সব আয়োজন তারা সম্পন্ন করেছে।


রবিবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রুহিয়া থানা কর্তক আয়োজিত এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে বর্তমানে যে সঙ্কটটা সৃষ্টি হয়েছে এ সঙ্কটটা বিএনপির নয় বরং এ সঙ্কট টা জাতির। জাতি তার সমস্ত অধিকার গুলো হারিয়ে ফেলেেেছ। একটা দম বন্ধ করা পরিবেশ, একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ। কোথাও কথা বলার কোন সুযোগ নেই, কোথাও অধিকার নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, ন্যায় বিচার নেই, ইনসাফ নেই, সোজা কথায় একটা এক নায়কতন্ত্র, একটা শ্বৈরাচার, একটা মগের মূল্লুক তৈরি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনই কল্পনাও করেনি। ফলে বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাঙ্খাগুলো পুরোপুরিভাবে ধুলিস্যাত হয়ে গেছে।


এছাড়াও কৃষকের ধানের দাম কম হওয়ার কারণ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কৃষকের কথা চিন্তা করার সময় এ সরকারের নেই। তারা শুধু চিন্তা করে তাদের পকেটভারী তারা কিভাবে করবে? তিনি বলেন শুধু তাই নয় আপনারা শ্রমিকদের দিকে তাকান শ্রমিকরা ন্যয্য মূল্য পায়না, ব্যসায়ীরা ভালোমতো ব্যবসা করতে পারেনা।


বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বাজেটে সাধারন জনগণের কোন লাভ হয়নি। শুধু জিনিস পত্রের দাম বাড়ে সাধারন মানুষের কষ্ট বেড়েছে। আমরা এর ফলে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যারা আছি তারা সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছি।


এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয় আনতে হলে সংগ্রাম করতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে মানুষটি এত এত নির্যাতন সহ্য করলো, এতো সংগ্রাম করলো সেই মানুষটি হলো বেগম খালেদা জিয়া। আজ তিনিই মিথ্যা মামলার দায়ে কারাগারে। তাকে মুক্ত করতে হবে। কারন আপনাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের জন্মই হয়েছিলো সংগ্রামের মধ্যদিয়ে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো: তৈমুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, রুহিয়া থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. আনছারুল হক সহ বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ছাত্রদল নিয়ে উভয় সংকটে বিএনপি

ছাত্রদল নিয়ে উভয় সংকটে বিএনপি

admin June 13, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বয়সসীমা নির্ধারণ না করে চিরাচরিত ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে ছাত্রদলের আন্দোলন ও কমিটি নিয়ে উভয় সংকটে আছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে নিজের চেম্বারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।


ছাত্রদলের আন্দোলন ও কমিটির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটা নিয়ে আমরা উভয় সংকটে। এই যে ওরা (ছাত্রদলের নেতাকর্মী) দীর্ঘদিন জেল খাটলো, মামলা এবং পুলিশের হয়রানির শিকার হলো, অথচ ওদের অবদানের বিনিময়ে ওরা কী পাবে? ওদের কী মূল্যায়ন হবে? দোষটা কার? দোষ কারও না। কারণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল তার কাজটি সঠিকভাবে করতে পারে না।


তিনি বলেন, ছাত্রদল বিরাট একটি সংগঠন। এই সংগঠনের আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক ঐতিহ্য আছে। তবে অতীতের মতো ওদের আন্দোলনের ধারাবাহিক ঐতিহ্যটা নেই। কিন্তু তারপরও তারা প্রচেষ্টা করে।


ছাত্রদলের কার্যক্রমের বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, ছাত্ররা কোথায় থাকবে? কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছর তারা ক্যাম্পাসে যেতে পারে না। তাই তাদের কর্মকাণ্ডটা ক্যাম্পাসভিত্তিক কিংবা ছাত্রদের নিয়ে কর্মকাণ্ডটা তারা করতে পারছে না। ছাত্রদলের নিয়মিত কাউন্সিল হওয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাউন্সিল হওয়ার মতো হয়তো পরিস্থিতি নেই, যে কারণে আমাদের কাউন্সিলগুলো বিলম্বিত হয়। এ কারণে অনেকের ছাত্রত্ব থাকে না। আর কাউন্সিল নিয়মিত হলে ছাত্ররা তাদের অবদান অনুযায়ী পুরস্কৃত হয়।


ছাত্রদলের বিক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার যেটা হয়েছে, সেটাকে আমি অস্বাভাবিক মনে করি না। কারণ বড় বড় রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনে প্রতিযোগিতাগুলো অনেক সময় প্রতিহিংসারও রূপ নেয়। সুতরাং এটাকে বড় করে বা নেতিবাচক করে দেখার কিছুই নেই। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে- সেটা হলো, ওদের বোঝানো এবং এই বিষয়টা স্বাভাবিক করতে ইতিবাচক ভ‚মিকা পালন করতে হবে। আর তাদের মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়, তা আমরা করবো। তাই আমি সবাইকে বলবো, এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেন।


বিএনপি একটি বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গয়েশ্বর বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলবো, উনি যেন নিজের চরকায় তেল দেন, তার চেহারাটা আয়নায় দেখুন। কারণ আমার সংগঠনকে তিরস্কার করে তার সংগঠনের দূরবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সুতরাং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজের ঘর গোছানোর কাজটা আগে করুন। ছাত্রদলের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা তাদের কথাগুলো শুনবো এবং সেই কথাগুলো শুনে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করবো। আমি বিশ্বাস করি, ওরা এটা বুঝবে। সুতরাং ওদের সঙ্গে আলাপ করে আমরা এটার সমাধান করবো।


প্রশ্ন উঠেছে যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে বিএনপির কী লাভ হলো- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন কোনো দলের লাভ-ক্ষতির হিসাব করার সময় নয়। আর আমি যদি দলীয় লাভের হিসেব করি তাহলো তো ঐক্য হবে না। কবে নাগাদ বিএনপি মাঠে নামবে- জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, আমরা তো মাঠে নামি। কিন্তু আমাদের মাঠে নামাটা নামার মতো কেউ দেখেনি। সেই দেখানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর বিএনপির জন্ম বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রশ্নে। আর যদি ঐক্য নাও হয়, তাহলে বিএনপি ঘরে বসে থাকবে? তাহলে তো জনগণের দল হিসেবে বিএনপি দায়িত্বশীল দল হলো না।


আন্দোলনের জন্য বিএনপি কতোটা সংগঠিত- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো সময় কোনো দল শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে এবং শতভাগ দল গুছিয়ে আন্দোলন করে না। কারণ আন্দোলনের মাধ্যমেই দলটা গুছিয়ে আসে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ নেই- ক্ষমতাসীন দলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, আমরা মনে করি, আমার দেশে আমি বাস করি। সুতরাং আমার দেশের সমস্যা আমাকেই সমাধান করতে হবে।

সংসদে যোগ দিয়েই উত্তাপ ছড়ালেন রুমিন ফারহানা

সংসদে যোগ দিয়েই উত্তাপ ছড়ালেন রুমিন ফারহানা

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সংসদে যোগ দিয়েই উত্তাপ ছাড়িয়েছেন বিএনপি সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সংসদ।


তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।’ এতে সংসদ কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানালে স্পিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আপত্তিকর কোনো কথা থাকলে তা এক্সপাঞ্জ করা হবে বলে জানান।


বিএনপির এই এমপি প্রায় আড়াই মিনিট বক্তব্য রাখলেও সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিদের চিৎকার, চেঁচামেচি ও প্রতিবাদের কারণে সংসদ কক্ষে কেউ রুমিনের বক্তব্য ভালোভাবে শুনতে পাননি। এ সময় স্পিকার সরকারি দলের সদস্যদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালেও কেউ কর্ণপাত করেননি।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের তোপের মুখে বিএনপি

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের তোপের মুখে বিএনপি

admin June 11, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে দলীয় একক সিদ্ধান্তে দলের পাঁচ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নেওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন বিএনপির নেতারা। সোমবার রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে জোটের সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে সংসদে যোগদান করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।


তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এসময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়- সংসদে যোগদানের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করা হবে।


সূত্রটি আরো জানায়, বৈঠকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে দলের পাঁচজন এমপির শপথ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চান। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রবসহ অন্যান্য নেতারাও জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে শপথ নেওয়ার সমালোচনা করেন। তারা এ বিষয়ে বিএনপির কাছে সঠিক ব্যাখ্যাও দাবি করেন।


তবে যেহেতু এ শপথ গ্রহণে বিএনপির সঙ্গে গণফোরাম সম্পৃক্ত রয়েছে, তাই আগামী বৈঠকে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


এসময় কাদের সিদ্দিকীকে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের না হওয়ার জন্য ঐক্যফ্রন্টরে পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। তিনি আগামী বৈঠক থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।


প্রসঙ্গত, গত ৯ মে ঐক্যফ্রন্টের সাতজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যের শপথ নেওয়ার সঠিক ব্যাখ্যা না পেলে জোটে থাকবেন না বলে ঘোষণা দেন কাদের সিদ্দিকী।

আজ এমপি হিসেবে শপথ নেবেন রুমিন

আজ এমপি হিসেবে শপথ নেবেন রুমিন

admin June 09, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আজ রোববার (৯ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের নিজ কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী তাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।


জানা যায়, গত ২৮ মে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির যুগ্ম-সচিব মো. আবুল কাসেম। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।


উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সাতটি আসনে জয় লাভ করে। কিন্তু দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি সবাই শপথ নিয়ে সংসদে গেছেন। এ ক্ষেত্রে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন আইন অনুযায়ী, দলটিকে একটি আসন বণ্টন করে দিয়ে নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি।


টেলিভিশন টকশোর পরিচিত মুখ হিসেবেই ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পরিচিত। একাদশ জাতীয় সংসদের আগে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে তিনি আলোচনায় আসেন।

প্রথমবারের মতো হাসপাতালে ঈদ করছেন খালেদা

প্রথমবারের মতো হাসপাতালে ঈদ করছেন খালেদা

admin June 05, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
এবার নিয়ে পঞ্চম বারের মতো কারা হেফাজতে ঈদ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে চারবার তিনি কারাগারে ঈদ করেন। খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তাই সেখানেই কাটছে তার এবারের ঈদ। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে বিএনপি এবং সরকার ও হাসপাতালপক্ষ পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছে।


বিএনপি বলছে, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। গত ২৪ মে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন করেন চিকিৎসা না দিয়ে সরকার কি খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়? তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বন্দী অবস্থায় খালেদা জিয়ার কোনো ক্ষতি হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।


এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও বিএনপির মুক্তি দাবি প্রসংগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে মেরে ফেলার মতো এতটা নিষ্ঠুর নয় আওয়ামী লীগ সরকার। খালেদা জিয়ার মু্ক্তির জন্য সরকারের ওপর যে চাপ সৃষ্টি করা দরকার ছিল বিএনপি তাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।


অপরদিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক গত ২৯ মে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ১ মাস ২৯ দিন আগে ভর্তি হওয়ার সময় ওনার শারীরিক যে সমস্যা ছিল, সে অবস্থানের চেয়ে দুই মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে।


সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কে মাহবুবুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর্থারাইটিসের অনেক উন্নতি হচ্ছে। তার জিহ্বায় যে ঘা হয়েছিল, সেটা আমাদের প্রায় সবার মুখেই হয়। সেটা অন্য কিছু না। জিহ্বার ঘা ৯০ শতাংশ সেরে গেছে। তিনি রোজা রাখছেন। ছোলাসহ অন্য স্বাভাবিক খাবারও খাচ্ছেন।


জানা গেছে, হাসপাতালে খালেদার সঙ্গে আছেন গৃহকর্মী ফাতেমা। তার তৈরি খাবার ও পরিবার থেকে পাঠানো খাবার ঈদের দিন খাবেন খালেদা জিয়া।


এবার ঈদের দিন দলের সিনিয়র নেতারা প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিএসএমএমইউ যাবেন। সেখান থেকে বনানীতে খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করবেন।


ঈদের দিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।


এবার নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাগারে ঈদ হবে পঞ্চমবার। এর আগে ১/১১ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দু’টি ঈদ কারাগারে কাটাতে হয়েছে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াকে। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঘোষিত সাবজেলে ওই দুই ঈদে খালেদা জিয়ার পাশের আরেকটি সাবজেলে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।


জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাবজেলে থাকার সময় ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর প্রথম উদযাপিত হয় রোজার ঈদ। এরপর ২০০৭ সালের ২১ ডিসেম্বর কোরবানির ঈদও ওই সাবজেলেই উদযাপন করেন তিনি। ওই কারাগারে ৩৭২ দিন কাটানোর পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে মুক্তি পান।


খালেদা জিয়া ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে তখন তাকে বেশিদিন বন্দি থাকতে হয়নি।


বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে পারেন। তারেক রহমানের পরিবার, কোকোর স্ত্রী ও মেয়েরা লন্ডনে থাকায় খালেদা জিয়ার ভাই, বোন ও তাদের ছেলে-মেয়েরা কারাগারে দেখা করতে যাবেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত খালেদা জিয়া। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাবন্দি।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three