অনলাইন ডেস্ক:
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার রোগী দেখে সময় কাটান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। অন্য সাধারণ চিকিৎসকদের মতোই এদিন কর্মব্যস্ত থাকেন তিনি। ডা. লোটে শেরিং পড়ালেখা করেছেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। তিনি এই কলেজের ২৮তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। এখান থেকে এমবিবিএস পাস করেন। পরে বাংলাদেশেই জেনারেল সার্জারি বিষয়ে তিনি এফসিপিএসও করেন।
২০১৩ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন লোটে শেরিং। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি রাজনীতিতে ব্যাপক সফলতা লাভ করেন। ভুটানে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে লোটে শেরিংয়ের রাজনৈতিক দল ডিএনটি জয়লাভ করে। এরপর তিনি প্রথম দফা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগেকে হারিয়ে দেন। সুখী দেশ হিসেবে খ্যাতি আছে ভুটানের।
এএফপির খবরে জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ন্যাশনাল রেফারেল হাসপাতালের শনিবারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। লোটে এক রোগীর মূত্রনালির অপারেশন করে সবে ফিরলেন। হাসপাতালের সবাই যে যার মতো ব্যস্ত। আলাদা করে লোটের দিকে কারও নজর নেই। তিনি যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তা বোঝার কোনো উপায় নেই। অ্যাপ্রোন পরিহিত লোটে হাসপাতালের করিডরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
লোটে বলেন, ছুটির দিনে কেউ গলফ খেলেন, কেউ আরচারি খেলেন। কিন্তু আমি এই দিনটিকে চিকিৎসাসেবার জন্য বেছে নিয়েছি। হাসপাতালে কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে আমার মানসিক চাপ কমে।
লোটে চিকিৎসাশাস্ত্রে বাংলাদেশ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। শনিবার রোগী দেখা ছাড়াও সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ইন্টার্ন এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর পরিবারকে সময় দেন প্রতি রোববার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও লোটের চেয়ারের পেছনে একটি অ্যাপ্রোন ঝোলানো আছে। তিনি বলেন, এই অ্যাপ্রোন সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কথা আমাকে মনে করিয়ে দেয়।
লোটের কাছে রাজনীতি অনেকটা চিকিৎসাসেবার মতো। তার ভাষায়, হাসপাতালে আমি রোগীদের স্ক্যান করি, সেবা দিই। সরকারে আমি রাজনীতির স্বাস্থ্য স্ক্যান করি ও সেটিকে আরও ভালো করার চেষ্টা করি।