Showing posts with label ইমরান খান. Show all posts
Showing posts with label ইমরান খান. Show all posts
টেলিফোনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

টেলিফোনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

admin May 27, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
শান্তির আলোচনায় বসতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বোববার টেলিফোনে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ইমরান।


কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলাল ঘটনার পরে এই প্রথম টেলিফোনে কথা বললেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট আসন নিয়ে জয়ী হওয়ার পর দেশটির প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।


ইমরান খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চান ভারতের দ্বিতীয়বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন।


এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নিজেদের বিশ্বাস বাড়াতে হবে, হিংস্রতা মুক্ত এবং সন্ত্রাসবাদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় দেশ তাদের জনগণের কল্যাণে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।


এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মোদিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সরকারি লাইনের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদি ইমরানকে মনে করিয়ে দিয়েছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইটা সবার আগে লড়তে হবে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য।


এই অঞ্চলে শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য যে পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা আর সংঘর্ষ বন্ধ করাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি ইমরান খানকে সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। সূত্র: এএফপি

সাদাসিধে জীবনযাপনের অঙ্গীকার নবাগত পাক প্রধানমন্ত্রীর

সাদাসিধে জীবনযাপনের অঙ্গীকার নবাগত পাক প্রধানমন্ত্রীর

admin August 20, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানি শাসক শ্রেণির বিলাসবহুল জীবন-যাপনকে ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা আখ্যা দিয়ে সাধারণ ও সাদাসিধে জীবনযাপনের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানিয়েছেন, শিগগিরই তিন বেডরুমের আবাসিক বাড়িতে উঠবেন তিনি। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়িটি ব্যবহার করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।


ইমরান খান বলেছেন, প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আলোচনা চান তিনি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরের দিন গতকাল জাতির উদ্দেশে প্রথম বক্তৃতায় একথা বলেন ইমরান খান। গতকাল রবিবার রাতে ঘণ্টাখানেকের ওই বক্তৃতায় ভারত বা অন্য কোনও দেশের নাম উচ্চারণ না করে এসব কথা বলেন তিনি। বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি সম্পর্কের উন্নতি চাই। তা না-হলে পাকিস্তানে শান্তি আসবে না।’


দেশের বর্তমান আর্থিক সঙ্কট, ২৮ লাখ কোটি রুপি দেনার বোঝার জন্য সাবেক সরকারকে দায়ী করে ইমরান আবার বলেছেন, অর্থের অপচয় রুখবেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ৫২৪ জন পরিচারক, ৮০টা গাড়ি, তার মধ্যে ৩৩ টা বুলেটপ্রুফ। আমি দু’জন সাহায্যকারীকে রাখব, দু’টো বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকবে। বাকি গাড়িগুলো নিলাম করে টাকাটা সরকারি কোষাগারে দিয়ে দেব। আমার কোনও ব্যবসা নেই। আমার জীবনযাত্রাও সাদামাটা।


দেশটির তহবিল ঘাটতি মোকাবেলায় এ পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন ইমরান। জঙ্গিদের হুমকির মুখে থাকা পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রীর জন্য এ পদক্ষেপকে সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের মানুষকে আমি বলতে চাই যে, আমি সাদাসিধে জীবন যাপন করবো। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ইমরান খান।


প্রবাসী পাকিস্তানিদের নিজের দেশে বিনিয়োগ ও ধনীদের নিয়ম মেনে কর দেয়ারও আহ্বান জানান ইমরান। ব্যক্তি পর্যায়ে কর ফাঁকির জন্য পাকিস্তান বিখ্যাত, দেশটির মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম লোক নিয়মিত আয়কর দেয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। পিটিআই প্রধান বলেন, কর দেয়া আপনাদের দায়িত্ব। মনে করুন এটি জিহাদ, আপনার দেয়া কর দেশের উন্নতিতে ব্যয় হবে।


গতকাল ইমরানের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে তার দল। এদের মধ্যে ১২ জনই পারভেজ় মুশাররফের জমানায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। আজ সোমবার সকালে ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট হাউসে ইমরানের ২১ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার মধ্যে ১৬ জন শপথ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন মনোনীত মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো খবর দিচ্ছে, সব ঠিক থাকলে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানে আসবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

পরিবর্তন করতে কতটা সফল হবে পিটিআই ও ইমরান খান

পরিবর্তন করতে কতটা সফল হবে পিটিআই ও ইমরান খান

admin July 28, 2018

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সাবেক ক্রিক্রেট অলরাউন্ডার ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ফল আসার আগেই টেলিভিশনে জাতির উদ্দ্যেশ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী স্টাইলে’ দেওয়া এক ভাষণে নিজেকে বিজয়ী দাবি করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে দেন তার ভাষায় ‘নয়া পাকিস্তান’ গড়ার ওয়াদা।


বর্তমানে সর্বত্র সন্ত্রাসবাদের বিস্তার, আত্মঘাতী হামলায়, রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতিতে পাকিস্তান অনেকটা ভঙ্গুর রাষ্ট্রের রুপ ধারণ করেছে। এমনকি অর্থনৈতিকভাবেও দেশটির অবস্থা শোচনীয়। এই মুহূর্তে পাকিস্তানকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আর সদ্য বিজয়ী ইমরান খানের ভাষ্য থেকে সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোরই একটি ইঙ্গিত প্রকাশিত হয়েছে।


ইমরান খান ভাষণের প্রথমেই দেশটিকে একটি মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করার কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত মোহাম্মদ (স) এর গড়া মদীনা রাষ্ট্রের কথা, যার ভিত্তিই ছিল মানবিকতা। বক্তব্যে তিনি দুর্বল, শোষিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামর্থ্য দিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন।


তবে ইমরান খান তার বক্তব্যে সবচেয়ে আশা জাগানিয়া যে কথাটি বলেছেন, যার চর্চা উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে খুব একটা দেখা যায় না, সেটা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাবের ইতি ঘটানো। তিনি বলেছেন, তিনি একটি ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান দেখতে চান। যারা তাকে ভোট দেয়নি বা নির্বাচনের আগে যারা তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন তাদের সে আচরণকে তিনি ভুলে গিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কোনো পদক্ষেপ নেবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


পাশ্চাত্যের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, তিনি প্রত্যেকের জন্য আইনকে সমানভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। দুর্নীতি ও রাষ্ট্রচালকদের ভোগ বিলাসের কারণে প্রবাসী পাকিস্তানিরা দেশের বিনিয়োগ করেন না বলে তিনি রাষ্ট্রের দুর্নীতি ও বেহুদা খরচ কমিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন। নাগরিকরাও ট্যাক্স প্রদান করে না একই কারণে, যা তিনি বন্ধ করে পাকিস্তানকে একটি ব্যবসাবান্ধব দেশে পরিণত করার ব্যবস্থা তার সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন।


পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপারেও পাকিস্তানকে তিনি অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান। আফগানিস্তান, ইরান ও ভারতের সাথে তার উদারনীতি বাস্তবায়ন হবে বলে বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে। আফগানিস্তান ভালো থাকলে পাকিস্তান ভালো থাকবে বলে তিনি মনে করেন। ভারতের সাথে কাশ্মির প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাবেন। এক্ষেত্রে ভারত এক পা এগোলে তিনি দুই পা এগোনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


এদিকে ভারতীয় কূটনৈতিকরা মিডিয়াগুলো ইমরান খানের সরকার ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে ভীত হয়ে যেভাবে তাকে খল চরিত্ররূপে প্রকাশ করতে সচেষ্ট হয়েছে তাতে তিনি দুঃখবোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সাথে তার গভীর আত্মীয়তাবোধ রয়েছে। বক্তব্যে তিনি পাকিস্তানের ব্যাপারে সর্বদা সহযোগিতামূলক ভূমিকার জন্য চীন এবং সৌদি আরবের কথা স্মরণ করেন। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও তিনি পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়তে চান।


দুর্নীতি ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের আখড়ায় নিমজ্জিত দেশটি সত্যিকার অর্থেই একটি শোচনীয় সময় পার করছে। ঠিক এই মুহূর্তে ইমরান খানের বিজয় এবং জাতির উদ্দেশে তিনি যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তাতে সমস্যা সমাধানে তাকে যথেষ্ট পরিণত ও বিচক্ষণ বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।


তবে পাকিস্তানের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সব সময়ই অন্তরায় হয়ে দেখা গেছে দেশটির সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ও প্রভাব খাটানো। বার বার সামরিক শাসনের কবলে পড়েছে দেশটি। এবারেও ইমরান খান যে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন তাতে যদি সামরিক বাহিনী অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় তবে আশা করা যায় দেশটি একটি স্থিতিশীল ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশে পরিণত হবে। এখন এই সব বিষয়ই দেখার অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই বিশ্ববাসীর।


 

আরও পড়তে পারেন-


Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three