Showing posts with label এলএনজি. Show all posts
Showing posts with label এলএনজি. Show all posts
এলএনজি সরবরাহে জটিলতায় ক্ষতির মুখে শিল্পোদ্যোক্তারা

এলএনজি সরবরাহে জটিলতায় ক্ষতির মুখে শিল্পোদ্যোক্তারা

admin August 10, 2018

একাধিকবার সময় নির্ধারণ করেও এখন পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে শেষ হচ্ছে না অপেক্ষার প্রহর। কবে তা সরবরাহ করা সম্ভব হবে তাও নিশ্চিত নয়। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের শিল্পোদ্যোক্তারা। অনেকেই উৎপাদন শুরু করার প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছেন গ্যাসের অপেক্ষায়। এলএনজির জন্য আবেদন করা নতুন শিল্পের মধ্যে ভারি, হালকা ও মাঝারি ধরনের শিল্প রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও পুরাতন শিল্পে গ্যাসের লোড বৃদ্ধির আবেদন। ভুক্তভোগী সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।


সূত্র অনুযায়ী, সরকারিভাবে চট্টগ্রাম ৩ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও একটি সার কারখানা এলএনজির অপেক্ষায় রয়েছে। গ্যাস সঙ্কটে দীর্ঘদিন যাবত রাউজান ও শিকলবাহায় অবস্থিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ওসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪৮০ মেগাওয়াট। তাছাড়া সিইউএফএল গ্যাস সঙ্কটে বন্ধ রয়েছে। এলএনজি দিয়ে ওসব কারখানা চালু করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।


সূত্র জানায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে শিল্পের ৬৭৬টি গ্যাস সংযোগের অনুমোদন দিয়েছে। ওসব সংযোগের বিপরীতে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। শিল্পের এলএনজির ২৬৮টি সংযোগের জন্য গ্রাহকরা ডিমান্ডনোটের টাকাও পরিশোধ করেছে। ওসব গ্রাহকের গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩৩৪ মিলিয়ন ঘনফুট। তারা নিরাপত্তা জামানত বাবদ পরিশোধ করেছেন প্রায় ১৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। কিন্তু গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ১ লাখ ৩৩ হাজার ঘনমিটার এলএনজিবাহী জাহাজটি মহেশখালীতে সমুন্দ্রে নোঙর করে। কিন্তু প্রায় সাড়ে ৩ মাস কেটে গেলেও গ্রিডে এলএনজি যুক্ত হয়নি। সরকারের প্রথম ঘোষণায় গত ১৫ মে থেকে চট্টগ্রামে এলএনজি সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তারপর আরো কয়েক দফায় তারিখ ঘোষণা করা হলেও সরবরাহ নিয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।


সূত্র আরো জানায়, মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত এলএনজি সঞ্চালন পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামে গ্যাসের রিং মেইন পাইপ লাইনও ইতোমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। পাইপ লাইনে কোনো ত্রæটি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিদ্যমান বিতরণ লাইন দিয়ে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যায়। তাই ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।


এদিকে শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, এলএনজি সংযোগের ডিমান্ডনোটের টাকা দীঘদিন আগে পরিশোধ করার পরও গ্যাসের জন্য অন্তহীন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। গ্যাস না পাওয়ায় অনেক কারখানাই ডিজেল দিয়ে চালানো হচ্ছে। তাতে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বারের ভাইস-চেয়ারম্যান মাহাবুব চৌধুরী জানান, উৎপাদনে যাওয়ার জন্য অনেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে। গ্যাস সরবরাহ বিলম্বে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three