Showing posts with label ওসি মোয়াজ্জেম. Show all posts
Showing posts with label ওসি মোয়াজ্জেম. Show all posts
এখন পর্যন্ত ওসি মোয়াজ্জেমের যতো কুকীর্তি প্রকাশ পেলো

এখন পর্যন্ত ওসি মোয়াজ্জেমের যতো কুকীর্তি প্রকাশ পেলো

admin June 20, 2019

সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি (বরখাস্ত) মোয়াজ্জেম হোসেনের নানা কুকীর্তি বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য, থানা এলাকায় দালাল সিন্ডিকেট, চাঁদা আদায়ের জন্য ক্যাশিয়ার নিয়োগ, মাদক মামলা দিয়ে নিরীহ জনগণকে জেলহাজতে প্রেরণ, সব ধরনের ছোট বড় যানবাহন থেকে মাসহারা আদায়সহ সকল ধরনের অপকর্মে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলেন বিতর্কিত ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।


সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাউদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করার পর নুসরাত জাহান রাফির পাশে দাঁড়াননি সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন (বরখাস্ত)। উল্টো রাফির পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেছিলেন তিনি।


রাফির শ্লীলতাহানির ঘটনার পর জেরা করার নামে তাকে হয়রানি করে মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ধারণ করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এরপর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি ছড়িয়ে দেন।


অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, অধ্যক্ষ সিরাউদ্দৌলাকে অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। এ কারণে রাফির শরীরে আগুন দেওয়ার পরও তিনি ঘটনাটিকে আত্মহত্যার চেষ্টা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। এবং এ ঘটনাটি আত্মহত্যার চেষ্টা বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছিলেন।


রাফিকে ওসির জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ওসির বিব্রতকর প্রশ্নে রাফি লজ্জায় পড়ে। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে রাফি কেঁদে কেঁদে বলে, আলিম প্রথম বর্ষে পড়ার সময় তার গায়ে হাত দেয় একজন (নূর উদ্দিন)। অধ্যক্ষ সিরাজ পিয়নের মাধ্যমে তাকে ডাকেন। এরপর শরীরে হাত দেয়। ওসি রাফিকে তখন বলেন, ‘হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছে?’ রাফি বলে, ‘না, দিয়েছেন। ’ ওসি তখন বলেন, ‘তুমি নিজে গেছ?’


এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলছেন, সিরাজকে রক্ষা করতে তাঁর সহযোগীদের পক্ষ নিয়ে বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন দমন করতে চেষ্টা করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। সোনাগাজীতে ১৫ মাস ওসি থাকা অবস্থায় চাঁদাবাজি ও অপকর্মের সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন তিনি। এর আগে তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া ও সদর থানায় ওসি ছিলেন। ছাগলনাইয়া থানায়ও অভিযোগ ওঠায় তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সেখানে সোনার বার উদ্ধার করে গায়েব করে ফেলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।


ছাগলনাইয়ার সাংবাদিক নূরুজ্জামান সুমন বলেন, ২০১২ সালে ছাগলনাইয়ার কাশিপুর গ্রামের একটি বাড়িতে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই বাড়ি থেকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ১৩ বছরের এক শিশুকে আটক করে ১৮ বছর বলে গ্রেপ্তার দেখায়। অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় ওসিকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।


সোনাগাজী শহরের রিকশাচালক মোশারফ হোসেন ও জয়নাল আবদিন ওসি মোয়াজ্জেম দুর্নীতির বিষয়ে বলেন, সোনাগাজী শহরে ব্যাটারিচালিত প্রতিটি রিকশার কাছ থেকে মাসে ২০০ টাকা করে চাঁদা নিতেন ওসি মোয়াজ্জেম। দরিদ্র রিকশাচালকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ করেছিলেন পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। তখন ওসি সাফ জানিয়ে দেন, টাকা না দিলে রিকশা চলবে না। রিকশাচালকরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একদিন ধর্মঘটও ডেকেছিল। শেষে উপায় না পেয়ে টাকা দিয়েই রিকশা চালু করে তারা।


সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে সরকারি খাতে ৫০০ টাকা জমা দেওয়ার পরও ২ হাজার ৭০০ টাকার বেশি দেওয়ার নিয়ম চালু করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। তিনি নিজেই নিতেন ১ হাজার। বাকি টাকা পুলিশ সুপার ও অন্য অফিসাররা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মো. শামিম বলেন, ২০১৮ সালে কোরবানির ঈদের ২দিন আগে ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে আমাকে কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়া অন্যায়ভাবে একদিন থানায় আটকে রেখে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে আপনার পরিবারের সদস্যদের নিকট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করেন।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এক সদস্য জানায়, উপজেলায় প্রতি মাসে একটি আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হলেও ওসি মোয়াজ্জেম কখনো সে সভায় অংশগ্রহণ করতেন না।


তৎকালীন সময় ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক সে সভায় অংশগ্রহণ করতেন। এ নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল।


সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের নুরুল আমিন ও আবদুল মান্নান জানান, মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে ওসি মোয়াজ্জেম গত জানুয়ারি মাসে তাদের নিকট থেকে জোর করে দুই লাখ টাকা করে আদায় করেছে।


সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের মনগাজী বাজারের ব্যবসায়ী নূর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম আমাকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার মিথ্যা অজুহাতে দুইদিন থানায় আটকে রেখে আমার পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করেন।


এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে তার নিয়োগপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার কনস্টেবল আবুল খায়ের মাদক ব্যবসায়ী, যানবাহন, ইটভাটা, করাতকল, বাজার ব্যবসায়ী, বালুমহল, মৎস্য আড়ৎসহ সমগ্র থানা এলাকা থেকে চাঁদা উঠিয়ে তাকে এনে দিতেন।


নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে ওসি মোয়াজ্জেম থানায় মামলা নিতে চাইতেন না। ভুক্তভোগীরা খুব বেশি বিরক্ত করলে তিনি ডাকাতির ঘটনা চুরির মামলা হিসাবে রজু করতেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ওসি মোয়াজ্জেমকে আদালতে হাজির

ওসি মোয়াজ্জেমকে আদালতে হাজির

admin June 17, 2019

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার পর পালিয়ে বেড়ানো ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতারের পর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার শাহবাগ থানা থেকে প্রিজনভ্যান করে তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।


তাকে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক অপারেশনস মাহবুবুর রহমান।


শাহবাগ থানার এক এসআই বলেছেন, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের পরনে রয়েছে হাফ হাতা গেঞ্জি, চোখে সানগ্লাস, মুখে দাঁড়ি। অবশ্য গ্রেফতারের সময় তিনি শার্ট পরিহিত ছিলেন।


এরআগে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মোয়াজ্জেমকে সোনাগাজী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে শাহবাগ থানা পুলিশ। রবিবার বিকালে ওসি মোয়াজ্জেমকে ঢাকার হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাইবার ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হলো।


ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি গত মার্চ মাসে অধ্যক্ষ সিরাজ্জুদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলে ওসি মোয়াজ্জেম তাকে থানায় ডেকে জবানবন্দি নিয়েছিলেন।


তার কয়েক দিনের মাথায় নুসরাতের গায়ে অগ্নিসংযোগ করে হত্যা করা হয়। এরপর সারাদেশে আলোড়ন শুরু হয়। নুসরাতের মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।


ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, মোয়াজ্জেম হোসেন বেআইনিভাবে মোবাইল ফোনে নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও করেছেন এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

অবশেষে গ্রেফতার ওসি মোয়াজ্জেম

অবশেষে গ্রেফতার ওসি মোয়াজ্জেম

admin June 16, 2019
ফেনীর নুসরাত হত্যার ঘটনায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাজধানীর রমনা জোনের উপকমিশনার মারুফ হাসান তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে গত ১৭ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। এরপর থেকেই পলাতক রয়েছেন সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম।

প্রসঙ্গত ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি মোয়াজ্জেম। পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেন তিনি।

ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ১৫ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সুমন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও মামলার নথি পর্যালোচনা করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ২৭ মে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। এরপরও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনি আত্মসমর্পণও করেননি।

পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী, গত ৮ মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি রংপুর রেঞ্জ অফিসে যোগ দেন। গত ক’দিন থেকে তার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ফেনী ও রংপুর পুলিশের ঠেলাঠেলি চলছিল। ঈদের আগে সেখান থেকে নিরুদ্দেশ হন ওসি মোয়াজ্জেম।

এর আগে, গত ৬ এপ্রিল এইচএসসি সমমানের আলিম আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা নুসরাত জাহান রাফিকে ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গত ১০ এপ্রিল নুসরাত মারা যান।
ওসি মোয়াজ্জেম কোথায়?

ওসি মোয়াজ্জেম কোথায়?

admin June 11, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও বাংলাদেশে ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে হত্যার ঘটনায় বিতর্কিত ভূমিকার জন্যে সমালোচিত ফেনীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ শে মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর সেই পরোয়ানার নোটিস পাওয়া নিয়ে মোয়াজ্জেমের সাবেক কর্মস্থল ফেনী এবং বর্তমান কর্মস্থল রংপুর দুই জেলার পুলিশের মধ্যে চাপান-উতর চলে।


এক পর্যায়ে বর্তমান কর্মস্থল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাবার কথা স্বীকার করলেও, ইতিমধ্যে মোয়াজ্জেমকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হয়। পুলিশ বলছে, 'অনুমতি ছাড়াই' কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন হোসেন।


এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন, ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসিকে গ্রেপ্তারে সরকারের দিক থেকে কোন গাফিলতি নেই। বিষয়টি নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে এবং প্রধানমন্ত্রীও খুবই সিরিয়াস। আমাদের পার্টির লোকও তো এখন জেলে এ ঘটনায়। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার গাফিলতি নেই।


কিন্তু সারা বিশ্বে আলোচিত এমন একটি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত একজন আসামি, যিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা তিনি কিভাবে পালিয়ে গেলেন, সে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই এজন্য পুলিশের গাফিলতি এবং স্বজনপ্রীতির কারণে এমনটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করছেন।


তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলছেন, মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করবে। তিনি বলেন, এটা যদি পুলিশের গাফিলতি হয়, তাহলে আমাদের জন্য সেটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আর যদি সেটা পুলিশের অযোগ্যতার বিষয় হয়, তাহলে সেটা আরো বড় উদ্বেগের ব্যপার। কারণ অন্যায়ের প্রতিকার পাবার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর মানুষের আস্থা এতে নষ্ট হয়ে যায়।


গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মোয়াজ্জেম আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। আগামীকাল ১১ই জুন সেই আবেদনের ওপর শুনানি হবার কথা রয়েছে। এখন সেই শুনানিতে তিনি হাজির হন কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।


এদিকে, বাংলাদেশে ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে হত্যার ঘটনায় ১৬জন আসামির বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিট আজ আমলে নিয়েছে আদালত। আগামী ২০ শে জুন এ মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য করা হয়েছে। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানিয়েছেন, আদালত নুসরাত হত্যায় গ্রেফতার ২১ জনের মধ্যে পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three