Showing posts with label গুপ্তধনের খোঁজে. Show all posts
Showing posts with label গুপ্তধনের খোঁজে. Show all posts
গুপ্তধনের খোঁজে: মিরপুরের সেই বাড়ির খবর কি?

গুপ্তধনের খোঁজে: মিরপুরের সেই বাড়ির খবর কি?

admin August 13, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: মিরপুরের একটি বাড়ির মাটির নিচে গুপ্তধন আছে! এমন খবর নিয়ে গতমাসের শেষের দিকে একটি বাড়িতে খোঁড়াখুড়ি শুরু করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। ২১ জুলাই সারাদিন খোঁড়াখুড়ির পরও মেলেনি কোনও গুপ্তধন-সোনা। জানা গিয়েছিল, ওই বাড়ির নিচে স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে কোন এক ব্যক্তি স্বর্ণ-রৌপ্য বস্তায় পুড়ে চলে যান পাকিস্তানে। যা কোন এক মাধ্যমে জানতে পারেন টেকনাফের এক বাসিন্দা। তিনি বিষয়টি জানিয়ে জিডি করেন থানায়। পরে প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালায়। চলে খোঁড়াখুড়ির কাজ।


তবে এরই মধ্যে প্রথমে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ও পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারনে স্থগিত হয়ে যায় ওই বাড়িতে গুপ্তধনের খোঁজ। তবে জানা গেছে, খুব তারাতারি ওই বাড়িতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হবে। তারপর যদি কোন কিছুর সত্যতা পাওয়া যায় তবে পুনরায় খোঁড়াখুড়ির কাজ করা হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাড়িটি বর্তমানে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। সেখানে দায়িত্বপালন করছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ওই বাড়ির দারোয়ান সুরুজ আলী জানান, গুপ্তধনের খবর শুনে এর আগে অনেক জায়গা থেকে মানুষ আসতো, বাড়ির সামনে ভিড় জমাতো। কিন্তু এখন আর কেউ আসে না।



[মিরপুরে মাটির নিচে গুপ্তধন: গুজব নাকি সত্যি?]


কক্সবাজারের টেকনাফের বাসিন্দা মোহাম্মদ তৈয়ব নামে এক ব্যক্তির জিডির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গত ২১ জুলাই ঢাকার মিরপুর-১০ নং সেকশনের সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়িতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করা হয়। ২০ জন শ্রমিক ছয়ঘন্টা কাজ করার পরও কোনকিছুর সন্ধান মেলেনি সেদিন। পরে চার ফুট খোঁড়া হলে বাড়ির ভিত্তি দুর্বল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগে যন্ত্রপাতি দিয়ে বাড়ির ভূ-গর্ভ পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানোর।


মো. তৈয়ব জিডিতে দাবি করেন, ওই বাড়িতে পাকিস্তান আমলে দিলশাদ খান নামে এক ব্যক্তি ওই গুপ্তধন রেখেছেন। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে তার মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার বস্তায় করে ওই বাড়ির মাটির নিচে পুতে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে ওই সময় পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হইচই পড়ে যায়। তবে বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ওই বাড়িটিতে পরীক্ষা নিরিক্ষা চালানো হয় নি।


ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তারা বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের কথা বলেছেন। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের দক্ষ লোক ও যন্ত্র (জিপিআর স্ক্যানার) দিয়ে পরীক্ষা করা হবে ওই বাড়ির ভূগর্ভ। জানা যায়, যেকোন সময় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সিডিউল নিয়ে তারা ওই বাড়িতে আদৌ কোন গুপ্তধন আছে কিনা, পরীক্ষা করবে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম জানান, ওইসময় যা যা খোঁড়া হয়েছিল, ওইভাবেই রয়েছে। বর্তমানে বাসাটি পুলিশের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three