নীলফামারী প্রতিনিধি:
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহায়তা প্রচেষ্টা করায় নীলফামারীর জলঢাকায় ৪ যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৩ যুবককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ নিজপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সাদেকুল ইসলাম, নীলফামারী সদর কচুকাটা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে শামীম হোসেন ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ডোংগা গ্রামের মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে রফিকুল ইসলাম।তাদের প্রত্যেকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
অপরদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম এলাকার সত্যেন্দ্র সরকারের ছেলে চয়ন সরকারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে পৌরশহরের মহিলা কলেজ সংলগ্ন একটি বাসা থেকে ওই ৪ যুবককে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে অপরাধ কাজে ব্যবহারের জন্য ১০ টি মোবাইল সেট, সিমকার্ড ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। সাজাপ্রাপ্তরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্র।
অপরাধীদেরকে শুক্রবার ভোরে আটক করা হলেও শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আরো কিছু তথ্য জানার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত ছিল। শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান শেষ করে ভ্রাম্যমান আদালতে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সহায়তা প্রচেষ্টার অভিযোগ থাকায় তাদের প্রত্যেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা ও জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।