Showing posts with label বজ্রপাত. Show all posts
Showing posts with label বজ্রপাত. Show all posts
ফুলবাড়ীতে বজ্রপাতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু

ফুলবাড়ীতে বজ্রপাতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু

admin June 19, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বজ্রপাতে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।


মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শেষ প্রান্তে কাশিপুর ইউনিয়নের বানিয়াটারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই শিক্ষকের নাম সিরাজুল ইসলাম(৭০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্লার ছেলে।


ওই এলাকার আশরাফুল আলম জানান বাড়ীর পাশের ভেলাংগির দোলায় মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় বৃষ্টির সাথে আকর্স্মিক বজ্রপাতে তিনি লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে আশপাশের লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পরিবারটিতে শোকের মাতম চলছে।


কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

পাবনায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

পাবনায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

admin June 15, 2019

পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার বেড়া উপজেলায় বজ্রপাতে এক স্কুলছাত্রীসহ চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার আগবাকশোয়া হঠাৎপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরুর জন্য ঘাস কেটে ফেরার পথে আগবাকশোয়া গ্রামের জিনাত প্রামাণিকের ছেলে মান্নান প্রাং (৫৮), হবিবর প্রামাণিকের ছেলে সালাম প্রাং (৫০), মনসের সেখের ছেলে আনসার সেখ (৬০) বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।


অপরদিকে ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে একই উপজেলার চর বোরামারা গ্রামে তমসের ব্যাপারীর মেয়ে নাছিমা খাতুন বাড়ির পাশের মাঠে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে বাদাম তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয়। পরে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নাছিমা নতুনভারেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।


বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বজ্রপাতে ভাঙ্গুড়ায় শামিম আহমেদ (৩২) নামে এক কৃষিজীবীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার নৌবাড়িয়া গ্রামের মো. হারান সরদারের ছেলে।


গ্রামবাসীরা জানান, দুপুরের পরে বৃষ্টি শুরু হলে তিনি পাশের আঠারোবাগিয়া বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থেল মারা যান।

ভারতে ধুলিঝড়-বজ্রপাতে নিহত ২৬

ভারতে ধুলিঝড়-বজ্রপাতে নিহত ২৬

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ভারতে প্রবল ধুলিঝড় ও বজ্রপাতে কমপক্ষে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে আহত হয়েছেন আরো ৫৭ জন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এই ঝড় হয় বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।


প্রবল ঝড়ে প্রচুর ঘর-বাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের মইনপুরি জেলা। রাজ্য ত্রাণ কমিশনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কাজ চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।


রাজ্য প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সবরকম সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ঝড়ে নিহতদের পরিবার প্রতি চার লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


শুক্রবার রাজ্য ত্রাণ কমিশনারের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ধুলিঝড়ের ফলে বাড়ি ভেঙে ও প্রবল বজ্রপাতের ফলে মইনপুরি জেলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ের ফলে বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ও গাছ ভেঙে পড়ার কারণে জখম হয়েছেন আরো ৫৭ জন।


রাজ্যের সড়কগুলিতে গাছ ভেঙে পড়ায় বহুক্ষণ বন্ধ ছিলো যান চলাচল। বহু জায়গায় রাস্তার ধারে থাকা হোডিং ও সাইনবোর্ড খুলে পড়ে জখম হয়েছেন অনেকে।


মইনপুরির পাশাপাশি এটাহ‌ এবং কাসগঞ্জ জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ছ’জন। ফারুখাবাদ ও বারাবাঁকিতে দু’জন করে চারজন। আর মোরাদাবাদ, বদায়ুঁ, পিলভিট, মথুরা, কনৌজ, সম্ভল‌, গাজিয়াবাদ, আমরোহা ও মাহোবা জেলায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১০ জনের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে লখনউ-সহ রাজ্যের নানা জায়গায় বহুক্ষণ লোডশেডিং ছিল।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝড় শুরুর সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘরের মধ্যে ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা প্রবল ধুলোঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হওয়ার ফলে কাঁচা বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছে আরো বহু মানুষ। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষিশ্রমিক নিহত

সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষিশ্রমিক নিহত

admin May 26, 2019

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষিশ্রমিক নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের রামাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন-উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের রঘুদীঘি গ্রামের ফজল শেখের ছেলে ইদ্রিস আলী (৩৫) ও মহির উদ্দিনের ছেলে আবদুল জব্বার (৩৬)। আহতদের মধ্যে জিন্নাহ ওরায়হান আলী নামে দু’জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর লিটন বলেন, রঘুদীঘি গ্রামের ৫ শ্রমিক কয়েকদিন ধরে রামাইল গ্রামে ধান কাঁটা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। গত শুক্রবার দিনভর ধানকাটা শেষে রাতে তারা মাঠের মধ্যে অস্থায়ীভাবে করা একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন।


গভীর রাতে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই ইদ্রিস আলী ও আবদুল জব্বারের মৃত্যু হয়। এতে আহত হন আরও তিন শ্রমিক। আহতদের উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুজ্জামান বলেন, হতাহত শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার দেওয়া হবে।

ফণীর প্রভাবে বজ্রপাত, দুই জেলায় নিহত ৭

ফণীর প্রভাবে বজ্রপাত, দুই জেলায় নিহত ৭

admin May 04, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে একই দিনে মারা গেছে ৭ জন। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় তিনজন, মিঠামইনে দুইজন ও ইটনায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, পাকুন্দিয়ার আসাদ মিয়া (৪৫), মুজিবুর রহমান(৩৫) নুরুন নাহার(৩২), মিঠামইনের মহিউদ্দিন(২২), সুমন মিয়া (৭) এবং ইটনার রুবেল দাস (২৬)।


পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামে আসাদ মিয়া নামে এক কৃষক নিজ বাড়ির সামনের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন। বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আসাদ মিয়া নিহত হন। নিহত আসাদ মিয়া কোষাকান্দা গ্রামের মৃত আয়েছ আলীর ছেলে।


ওসি ইলিয়াস আরো জানান, বিকেল সাড়ে চারটায় পাকুন্দিয়ার চর পাড়াদি ইউনিয়নের চর আলগি গ্রামে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মুজিবুর রহমান এবং নুরুন নাহার মারা যান। মুজিবুর মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। অন্যদিকে ধান ভাঙাতে যাওয়ার সময় বৃষ্টির মুখে পড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন নুরুন নাহার। বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।


দুপুর একটার দিকে মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের হাওরে বৃষ্টিপাতের মধ্যে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সুমন মিয়া নামে সাত বছরের এক শিশু নিহত হয়। এ সময় শিশুটির আনতে যাওয়া ষাঁড় বাছুরটিও বজ্রপাতে মারা যায়। এছাড়া বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের নিকটবর্তী হাওরের জমিতে বোরো ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মহিউদ্দিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।


মিঠামইন থানার ওসি মো. জাকির রাব্বানী জানান, নিহত সুমন মিয়া উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে এবং নিহত মহিউদ্দিন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে।


ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রাম সংলগ্ন হাওরে রুবেল দাস (২৬) নামে এক যুবক জমিতে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আচমকা বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং সংঘটিত বজ্রপাতে রুবেল দাস গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুবেল দাস কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে।


এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আপেল নবীনগর উপজেলায় বগডহর গ্রামের উরমুজ আলীর ছেলে।


বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৌসুমী বারী জানান, সন্ধ্যায় বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। এ সময় বাড়ির পাশে ধান ক্ষেত থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই আপেল মারা যান।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three