নিউজবিডি ডেস্ক:
বিরাট কোহলির ভারতকে রীতিমতো ঘাম ঝড়িয়ে ছাড়ল আফগানিস্তান। ব্যাট-বল দুদিক থেকেই লড়াকু অবস্থানে ছিল বিশ্বকাপের অন্যতম নবীন এই প্রতিপক্ষ। বিরাট কোহলি ও কেদার যাদবের হাফসেঞ্চুরি সত্বেও ভারত ৮ উইকেটে ২২৪ রানের বেশি করতে পারেনি।
জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান লড়াই করেছে শেষ পর্যন্ত। তবে ভারতের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানতে হয়েছে আফগানদের। শেষ ওভারে সামির হ্যাটট্রিকে এক বল বাকি থাকতেই আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে ২১৩ রানে। ১১ রানের জয়ে ভারত তাই কোনোমতো সম্মান রক্ষা করে।
আশা জাগিয়েও হেরে যাওয়ায় প্রথম ছয় ম্যাচেই পয়েন্ট বঞ্চিত থাকল আফগানিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই তাদের অবস্থান তলানিতেই থাকল। অপরদিকে ভারত পাঁচ ম্যাচ থেকে চারটিতে জয় পেয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় তারা ৯ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ভারতের উন্নতিতে চারে নেমে গেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
২২৫ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও শুরু থেকেই চাপে ছিল আফগানিস্তান। শুরু থেকেই দলটির নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন হয়। দলীয় ২০ রানে মোহাম্মদ সামির বলে হযরতুল্লাহ বোল্ড হয়ে যান। আর দলীয় ৬৪ রানে গুলবাদিন নাইবকে (২৭) ফেরান হার্দিক পান্ডে। দলীয় ১০৬ রানে পরপর দুটি উইকেট পতন হয় আফানদের। রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শাহিদী। রহমত ৩৬ ও হাসমত ২১ রান করেন।
পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মোহাম্মদ নবী লড়াই করেছেন শেষ পর্যন্ত। ৫৫ বল থেকে ৫২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের আশাটা তিনিই বাঁচিয়ে রাখেন। এছাড়া নাজিবুল্লাহ জাদরান ২৩ বল থেকে ২১ এবং রশিদ খান ১৬ বল থেকে ১৪ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সামি নেন চার উইকেট। এর মধ্যে শেষ ওভারে তিনি হ্যাটট্রিক করেন।
এর আগে সাউদাম্পটনে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। পঞ্চম ওভারে এসে দলীয় ৭ রানে রোহিত শর্মা ফিরেন রানের খাতা খোলার পরই। দলীয় ৬৪ রানে এসে ভারতের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিলেন মোহাম্মদ নবী। কিছুটা ধীরগতিতে খেলা লুকেশ রাহুল ৫৩ বল থেকে ৩০ রান করে এ সময় আউট হন। সেই ধারাবাহিকতায় দলীয় ১২২ রানে ফিরেন বিজয় শঙ্কর। রহমত শাহের বলে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়ার আগে তিনি ৪১ বল থেকে ২৯ রান করেন।
অন্য ব্যাটসম্যানদের ধীরগিতর ব্যাটিংয়ের মধ্যেও ব্যতিক্রম ছিলেন বিরাট কোহলি। রানের চাকা ঘুরানোর চেষ্টা করেছেন। তবে মোহাম্মদ নবীর বলে রহমত শাহ’র হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে থামে কোহলির সেই প্রচেষ্টা। আউট হওয়ার আগে ৬৩ বল থেকে সাতটি চারের মারে ৬৭ রান করেন তিনি।
তখনও ভারতের ভরসা হিসেবে ছিলেন এমএস ধোনি। দলীয় ১৯২ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ৫২ বল থেকে ২৮ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর কেদার যাদব চেষ্টা করেছেন। ৬৮ বল থেকে ৫২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ভারত ৮ উইকেটে ২২৪ রান করতে সক্ষম হয়। মোহাম্মদ নবী ও গুলবাদিন নায়েব দুটি করে উইকেট নেন।